চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আলেম-ওলামারা।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের কাউতলি এলাকায় এ অবরোধ করেন তারা। এর ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরায় মহাসড়কের দুইপাশে যানজট তৈরি হয়। তবে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এবং জনদুর্ভোগ বিবেচনায় তিন ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ ও ২০২১ সালে পৃথক সহিংসতার ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় ৭৫টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় ৩ হাজারেরও বেশি হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীসহ আলেম-ওলামাদের আসামি করা হয়। এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন আলেম-ওলামারা। এর ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। সরকারের তরফ থেকে আজকের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে অবরোধ চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন অবরোধকারীরা।
জেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকারিয়া ণমাধ্যমকে জানান, ৫ আগস্টের পর অনেক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাদের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। আজকের মধ্যে মামলাগুলো প্রত্যাহারের ঘোষণা না এলে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয় ঘেরাওয়ের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আলেম-ওলামাদের অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবগঠিত এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি ডা. খালেদা আখতার, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি শুভাশীষ পাল, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য কবি দেওয়ান দিদারুল আলম মারুফ। এ সময় পরিচিত সভায় নবনিযুক্ত সভাপতি মো: রাশেদ কবির আখন্দ, প্রধান শিক্ষক ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবু জামাল, অভিভাবক প্রতিনিধি মমিনুল হক সরকার, শিক্ষক প্রতিনিধি মনিরুল আলম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নবনিযুক্ত সভাপতি রাশেদ কবির আখন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবো কিভাবে আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও পড়াশোনার গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে পারবো। পড়াশুনার মাধ্যমে একটি জাতিকে এগিয়ে যেতে হয়। পড়াশোনা ছাড়া একটি জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। এডহক কমিটি তার কার্যক্রম পরিচালিত করবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও মানোন্নয়নে।
নবনিযুক্ত সভাপতি রাশেদ কবির আখন্দ বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বজায় রাখার জন্য এবং শিক্ষার পরিবেশ সুন্দরভাবে পরিচালিত করার জন্য আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাবো। আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর এবং কমিটির সকলকে নিয়ে সুন্দরভাবে আমার কাজ পরিচালিত করবো ইনশাআল্লাহ। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন তোমাদের কাজ পড়াশুনা করা। তোমরা পড়াশুনায় মনোযোগী হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য, অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আমেরিকান ইন্টারকন্টিনেন্টাল হেলথকেয়ার গ্রুপ ইউএনএ’র ইন্টারন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর মোঃ সোহরাব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য আইনুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, উপ-মহাদেশের খ্যাতিমান সেতারবাদক প্রয়াত ওস্তাদ আফজালুর রহমানের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তিন সন্তানের স্থায়ী পূণর্বাসনের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাকে উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আজ এই প্রতিবন্ধী পরিবারকে চিকিৎসা খাতে জেলাপরিষদ থেকে এককালীন আর্থিক সাহায্যের চেক বিতরণকালে ওস্তাদ আফজালুর বেকার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুইকন্যা ও একপুত্রের পরিবারের আর্থিক দূরাবস্তার বর্ণনা শুনে তিনি মানবিক কারণে তাদের পরিবারের আয় নির্ভর স্থায়ী পূণর্বাসনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাকে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান ইজাজকে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা হাসান আল ফারাবী জয়।
৮ জুন শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ফারাবী।
পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ফারাবীকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে নতুন করে আর কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেফতার ফারাবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি কলেজপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক দম্পতি ইয়াকুব আলী ও রোকেয়া বেগমের একমাত্র ছেলে।
মামলায় মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার ভোরে ফারাবীকে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৫ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় খান টাওয়ারের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজ খুন হয়।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার পর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কৃত হাসান আল ফারাবী তাকে গুলি করে কোমরে পিস্তল রেখে ঘটনাস্থল থেকে সরে যাচ্ছে। এ ঘটনায় আশরাফুল রহমানের বাবা আমিনুর রহমান বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ সীমানা প্রাচীর, টিনের ঘর ও চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে প্রায় তিন শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার সুলতানপুর ও রামরাইল ইউনিয়নের অধীনে সেন্দ মৌজায় রামরাইল ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের সৈয়দ জাকির হোসেন বাহারের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। জাকির হোসেনের জায়গার উত্তর পাশে রয়েছে সরকারি রাস্তা। সরকারি সার্ভেয়ার নিয়োগ করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণের জন্য ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাকির হোসেন বাহার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। ওই বছরের ৮ মার্চ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ারকে নিয়ে মাপঝোঁক করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করেন।
সে সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা ও রাস্তার সীমানার উপর ছয়টি পিলার স্থাপন করে জাকিরকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া নিষ্পত্তিকৃত সীমানা নির্ধারণ লঙ্ঘণ করে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে বরাদ্দ নিয়ে সরকারি রাস্তাটি বিভাজন করেন। পরে তারা জাকিরের জায়গা দখলের পায়তাঁরা শুরু করেন। এক পর্যায়ের তারা সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করা শুরু করেন। ২০২০ সালের ১২ জুলাই জাকির হোসেন বাহার নকশা অনুযায়ি সরকারি রাস্তাসহ তার ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে কাছে লিখিত আবেদন করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া সেন্দ মৌজার ১ নং বিএস খাস খতিয়ানভুক্ত ৫৬৩২ দাগে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন। সেখানে তারা অবৈধভাবে দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর নির্মাণ করে বসবসা করে আসছিলেন।
২০২০ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ( রাজস্ব) আদালতের এক উচ্ছেদ মামলার রায়ের নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসসক কার্যালয়ের এক চিঠি অনুযায়ী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন অবৈধভাবে দখলদার চার ভাই সেলিম, মনির, খোকন ও মামুনকে প্রথমে গত ১০ এপ্রিল পরে গত ৫ জুনের মধ্যে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও তারা কর্ণপাত না করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের চার ভাইয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এসময় দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিমশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন জানান, অবৈধ স্থাপনাসহ দখল সরিয়ে নিতে তাদের দুই দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু দখলকারীরা কোনো কর্ণপাত করেননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদালতের উচ্ছেদ মামলা মূলে খাস জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উক্ত অবৈধ স্থাপনা সমূহের কারণে সেখানে সরকারি রাস্তা নির্মান করা যাচ্ছিল না।