চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের ৩৫০ জন নিম্ন আয়ের মানুষ পেয়েছেন ইফতার সামগ্রী। প্রত্যেককে মোট ১০ কেজি পরিমান ছানাবুট, ডাল, তেল, পিয়াজ, আলু, খেজুর ও লবন দেয়া হয়।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে সাতঘর হাটি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাঙ্গণে সাতঘর হাটি দারুস সুন্নাহ্ ইসলামীয়া মাদ্রসার সহ-সভাপতি, প্রবাসী আলহাজ্ব মোঃ হারুন আল-রশিদের অর্থায়নে ও আলোকিত সমাজ সাতঘর হাটির আয়োজনে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণের উদ্বোধন করেন উত্তর লক্ষ্মীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. মাসুদুল ইসলাম মাসুদ।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন। আলোকিত সমাজ সাতঘর হাটির আহবায়ক এম. নাঈমুর রহমানের সভাপতিত্বে ও শারমিনুল ইসলাম সাইফুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু কাউছার, নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন রাজু, নবীনগর পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি ইলিয়াছুর রহমান, সাতঘর হাটি দারুস সূন্নাহ্ ইসলামিয়া মাদ্রসার সহ-সভাপতি হাজী ছিদ্দিকুর রহমান মেম্বার, কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবক সদস্য সাংবাদিক এম. নুরুল আলম সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আবু বকর (রাযি:) মডেল মাদ্রসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতী ইয়াছিন আরাফাত।
অনুষ্ঠানে ইফতার সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি সমাজ সেবক হারুন আল-আল রশিদ এর পক্ষে অতিথিবৃন্দ আমতুলি খাদিজাতুল কোবরা মহিলা মাদ্রসার টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য মাদ্রসার মোহতামিম মাওলানা আব্দুর রহমানের হাতে দশ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন। পাশাপাশি ‘সবার জন্য ইসলাম’ নামক বই সবার মাঝে বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন মাওলানা আরাফাত হুসাইন মুজাহিদী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ছেলের হাতে লিল মিয়া (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ১৪ আগস্ট সোমবার দুপুরে উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ বৃদ্ধের ছেলে জসিমকে (৪০) আটক করেছে। নবীনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, লিল মিয়ার ছেলে জসিম প্রায় ১৫ বছর যাবত মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। সোমবার দুপুরে লিল মিয়া জমিতে পাট কাটতে যান। এ সময় জসিমকে পাট কাটায় সহযোগিতা করতে বলেন লিল মিয়া। এ নিয়ে ছেলের সঙ্গে লিল মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে ধান ভাঙার ছিয়া দিয়ে জসিম তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে লিল মিয়া মারা যান।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় ঘাতক ছেলে জসিমকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় নৌকা ডুবে রিয়াদ নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় শিশুটির মা বিউটি বেগম গুরতর আহত হয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর পরই নৌকার মাঝি আতিক মিয়া পলাতক রয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীনগর নৌকাঘাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু রিয়াদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের উরখুলিয়া গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উরখুলিয়া গ্রামের আতিক মাঝির নৌকা সদরের চাল বাজার থেকে উরখুলিয়া প্রতিদিন আসা যাওয়া করে থাকে। দুপুরে নবীনগর নৌকা ঘাট থেকে ২ শতাধিক বস্তা সিমেন্টসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে একটি মালবাহী নৌকা উরখুলিয়া যাবার জন্য রওয়ানা হয়। নৌকাটি ঘাট থেকে ছাড়ার সময় হঠাৎ ডুবে যায়। নৌকার ডুবির কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেতরের মধ্যেই নৌকার ভেতরে মহিলাকে উদ্ধার করে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিছুক্ষণ পর শিশু বাচ্চাটি নদীতে ভেসে ওঠে। নৌকায় বেশি যাত্রী ছিল না। নৌকায় সিমেন্ট ও রড অতিরিক্ত বোঝাই হওয়ার কারণে নৌকাটি ডুবেছে বলে জানান স্থানীয়রা। নিহত শিশুটির নানা মোঃ হেলিম মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে নবীনগরে বাজার করতে আসছিলাম। বাজার শেষ করে দুপুরে নৌকা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম। নৌকা ঘাট থেকে ছাড়ার সময় নৌকাটি হঠাৎ ডুবে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধার করে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় আমার নাতি রিয়াদ মারা যায়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নাফিছা বলেন, আজকে নৌকা ডুবির ঘটনায় দুই জন রোগীকে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। একজন হচ্ছে মা, পরে এসেছেন তিন বছরের একটি বাচ্চা। মা জীবিত আছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি এখন সুস্থ্য আছেন। শিশু বাচ্চাটি আমাদের এখানে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন।
ফায়ার ফাইটার আব্দুল জব্বার বলেন, ৯৯৯ একজন নারী আমাদের ফোন করে অবগত করলে আমার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আধা ঘন্টা পর নৌকাটি উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এই ঘটনার একটি শিশু মারা গেছে। অতিরিক্ত মালমাল থাকায় কারণে নৌকাটি ঘাটেই তলিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় গলিত ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিহীন অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ৭ জুলাই রোববার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। নিহত ওই নারীর নাম রাবেয়া ইসলাম রাবু (৩৩)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের মৃত আলী আজম সরকারের মেয়ে। মাদক ব্যবসার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কাশিরামপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে সামসুল ইসলাম প্রকাশ মিন্টু (৪৮), একই ইউনিয়নের রঘুরামপুর দক্ষিণপাড়ার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল আলীম (৪২) ও একই গ্রামের মৃত সামসু মিয়ার ছেলে মো. কুডু মিয়া (৩৮)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সোনাহর আলী জানান, গত ২ জুলাই কসবা উপজেলার বায়েক ইউপির কাশিরামপুরে পাহাড়ের ঢালে বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে মাথাবিহীন অর্ধগলিত একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহটির হাত ও পায়ের তালুতে চামড়া না থাকায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। দৈহিক গড়ন পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, এটি একটি নারীর মরদেহ এবং ৫-৭ দিন আগে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে কিছু আলামত পাওয়া যায় এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিহত নারীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। তার পরিবারের লোকজনকে সংবাদ দিলে তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে নিহত রাবেয়া ইসলাম রাবুর ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তিনি জানান, পুলিশ তদন্তে বায়েকের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সামসুল ইসলাম প্রকাশ মিন্টুকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কসবা থেকে গ্রেফতার করা হয় আব্দুল আলীম ও মো. কুডু মিয়াকে। ৬ জুলাই শনিবার বিকেলে তারা সবাই আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী আরও জানান, পুলিশের কাছে তিন আসামি জানিয়েছেন তারা তিনজনই মাদক ব্যবসায়ী।
নিহত রাবেয়া ইসলাম রাবু মাদক পরিবহন করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন। বেশ কিছুদিন আগে রাবু তাদের কাছ থেকে ১২ কেজি গাঁজা নিয়ে যান সরবরাহ করতে। কিন্তু সেই গাঁজার টাকা আর পোরিশোধ করেননি। এনিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এরই জেরে রাবুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা। গত ২৫ জুলাই রাবু কসবায় আবারো মাদক নিতে এলে সামসুল ইসলাম প্রকাশ মিন্টু, আব্দুল আলীম ও মো. কুডু মিয়া তাকে ধরে বায়েকের সীমান্তবর্তী একটি পাহাড়ে নিয়ে যান। সেখানে রাবুকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাঁশের ঝোপে ফেলে চলে যান। নীরব এলাকা হওয়ায় মরদেহটি কারো নজরে পড়েনি। এক সপ্তাহ পর স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে সেটি উদ্ধার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে প্রথমবারের মতো সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সহযোগিতায়, বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে উপজেলা সাহিত্য মেলা-২০২৩ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার এ সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফিতা কাটার মাধ্যমে উপজেলা সাহিত্য মেলার শুভ সূচনা হয়। এরপর মনোমুগ্ধকর বাউল সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নবীনগর শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সাহা।
উপজেলার সাংবাদিক, শিক্ষকসহ কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন উপস্থিত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর সরকারি কলেজের প্রভাষক রাশেদুল হক (রাশেদ), কুমিল্লা নজরুল ইনস্টিটিউটে পরিচালক আল আমিন, জেলা কালচার একাডেমির পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন, নবীনগর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মুসা, সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী ওয়াজেদ উল্লাহ, স্বজনের প্রধান উপদেষ্টা আবু কামাল খন্দকার, গুঞ্জন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা দিনমজুর স্বপন মিয়া প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ উপজেলার কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে রয়েছে প্রবন্ধ পাঠ, আলোচনা সভা, লেখক কর্মশালা, স্থানীয় লেখকদের স্বরচিত কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।