চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, রমজানের পবিত্রতার রক্ষার দাবিতে এবং মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে কসবা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কসবা টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।
এ বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামায়াত ইসলামের প্রচার সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম, কসবা উপজেলা জামায়াত ইসলামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. ফরিদ উদ্দিন এবং সেক্রেটারি পীরজাদা শিবলী নোমানী।
পথসভায় বক্তারা মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন বিজিবি। আজ ৮ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গোসাইস্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ও বিকেলে একই ইউনিয়নের চন্ডিদ্বার শেখ ফজলুল করিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সুলতানপুর ৬০ বিজিবির পক্ষ থেকে এলাকার দুই শতাধিক অসহায়, দরিদ্র মানুষের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে আনন্দিত অসহায় পরিবারের লোকজন।
কম্বল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
এসময় সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সহকারী পরিচালক মোঃ মতিউর রহমান ও গোসাইস্থল বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মোঃ আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এবং এলাকার উপকারভোগী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এএম জাবের বিন জব্বার বলেন, বিজিবি সবসময় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কল্যাণমূলক কাজ চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে কসবা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনে শোভা যাত্রা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহামমদ শাহরিয়ার মুক্তার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কসবা পৌর মেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ সোলেমান খান, উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার অবসরপ্রাপ্ত শামসুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় জিবির নামে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। আজ ২৬ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু করে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এ অবরোধ। এতে করে কসবা-কুটি চৌমহনী, কসবা-নয়নপুর সড়কে আড়াইঘন্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা প্রশাসনের আশ^াসে অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা। অটোরিক্সা শ্রমিক, কসবা পৌরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা পৌরসভা থেকে কসবার দুটি অটোরিক্সা ষ্ট্যান্ডকে ইজারা দেওয়া হয়েছে।
ইজারাদারা প্রতিটি অটোরিক্সা থেকে ১৫ টাকা করে আদায় করেন। গত বছর থেকে অটোরিক্সা শ্রমিকরা তার বিরোধিতা করে আসছেন। শ্রমিকরা বলছেন, জীবির নামে তারা চাদাঁ দিবেন না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শ্রমিকরা। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ ছামিউল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠকও করেছেন। শনিবার সকাল ১০টা থেকে ঘোষণা দিয়ে কসবা-নয়নপুর, কসবা-কুটি চৌমহনী সড়কের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অটোরিক্সা থেকে অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। জীবির নামে চাঁদা বন্ধ না করা পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এতে করে দুইদিকে গাড়ী জমতে থাকে। ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের।
খবর পেয়ে কসবা থানার এস.আই সোহেল শিকদার ঘটনাস্থলে পৌছে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা আন্দোলন চালিয়ে যান। পরে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কসবা পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ ছামিউল ইসলাম, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের, কসবা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল ইসলাম ভুইয়া, কসবা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মো. শিবলী নোমানী, কসবা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. জিয়াউল হুদা শিপনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ সময় আন্দোলন কারীদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করেন। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দিলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলকারীরা। পরে যান চলাচল শুরু হয়। অটোরিক্সা শ্রমিক লিটন মিয়াসহ একাধিক শ্রমিক বলেন, জীবির নামে তাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ চাঁদা দিতে দিতে করলেই তাদের চাবি নিয়ে গিয়ে চালায় নির্যাতন। গাড়ীতেও লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। আমরা এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জীবির টাকা বন্ধ করে দেওয়ার আশ^াসের প্রেক্ষিতে অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কসবা পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ ছামিউল ইসলাম বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী অটোষ্ট্যান্ড ইজারা দেওয়া হয়েছে। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিদিষ্ট ষ্ট্যান্ড ব্যতিত অন্যকোন ষ্ট্যান্ড থেকে জীবির নামে চাঁদা তুলতে পারবে না। তিনি বলেন, জীবি বন্ধের বিষয়ে শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি উর্ধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালানোর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা থেকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সদ্য সাবেক যুগ্মসচিব এ. এ. এম. জি. কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ ১২ অক্টোবর শনিবার দুপুরে বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা কসবার পুটিয়া সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে। সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানিয়েছে বিজিবি। কিবরিয়া ঢাকার সবুজবাগ এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দুপুর সাড়ে ১২টায় বিজিবির সালদা নদী সীমান্ত ফাঁড়ির একটি টহল দল পুটিয়া সীমান্ত থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এজন্য গ্রেফতার এড়াতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ. এম. জাবের বিন জব্বার জানান, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কেউ যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে – সেজন্য সীমান্তে সজাগ দৃষ্টি রাখছে বিজিবি সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় রেলপথ ধরে হাঁটার সময় মালবাহী একটি ট্রেনের ধাক্কায় মো. আলী আশরাফ (৩২) নামের এক প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে। ২৯ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চকচন্দ্রপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলী আশরাফ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দরপুর এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে। তিনি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কসবায় কর্মরত ছিলেন। কসবা রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ভবনে থাকতেন তিনি।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চকচন্দ্রপুর এলাকায় রেলপথ দিয়ে হাঁটার সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মালবাহী একটি ট্রেন ধাক্কা দিলে রাস্তার পশ্চিম পাশে পড়ে যান আলী আশরাফ। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।