হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
“গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ওয়েলস রিজিওনের উদ্দোগে ৫২ এর ভাষা সংগ্রামের অহংকারের ৭৩ বছর তথা মহাণ শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার লন্ডন সময় রাত ১০টায় বৃটেনের কার্ডিফের সিরিয়ানা রেষ্টুরেন্টে ডিনারপার্টি ও অমর একুশের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সাউথ ওয়েলস রিজিওনাল কনভেনার মুজিবুর রহমান মুজিব এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রকিবুর রহমান ও অর্থ সচিব এ বি রুনেল এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনার কমিউনিটি লিডার মকিস মনসুর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে গ্রেটার সিলেটের সাবেক চেয়ারপার্সন আলহাজ্ব লিয়াকত আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ শাফি কাদির, সাবেক সহ সভাপতি আব্দুর রুউফ তালুকদার, আলহাজ্ব আসাদ মিয়া,ভিপি সেলিম আহমদ, আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, বদর উদ্দিন চৌধুরী বাবর, মফিকুল ইসলাম, ইকবাল আহমেদ, আব্দুল বাছিত বাচ্ছু, শেখ সুমন তরফদার, মৌলা আফতাব, এস এইচ রাজিব, শাহ মুন্না আহমেদ, বদরুল হক মনসুর, ও রাসেল আহমদ, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় আাগামী ১০ ই মার্চ সোমবার সংগঠন এর পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল করার সীদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা আবহাওয়া উপেক্ষা করে মাতৃভাষার টানে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে গনতন্ত্রের মাতৃভূমি নামে খ্যাত মাল্টি কালচারেল ও মাল্টিন্যাশনালের বৃটেনের ওয়েলস এর রাজধানী কার্ডিফের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ভাষা শশহীদানদের অমর স্মৃতির প্রতি পুস্পস্তবক অপনের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের ও সাউথ ওয়েলস রিজিওনাল নেতৃবৃন্দ।
শুরুতেই সমবেত কন্ঠে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি এই গান পরিবেশন করা হয়েছে। এর পর এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী দিনটি এখন আর শুধু শোক ও বেদনার দিন নয়। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সব ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার এক সাবজনীন উৎসবের দিন।
একুশ আমাদের অহংকার, একুশ আমাদের আত্মপরিচয় একুশের পথ ধরেই আমরা পেয়েছি লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা বলে উল্লেখ করে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনার সিনিয়র সাংবাদিক মকিস মনসুর বলেন আমাদের ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাবার পর অমর একুশের চেতনা আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। তিনি বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানের অব্যাহত ক্যাম্পেইনে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জর্জিয়া স্টেট সিনেটর হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাবিলা ইসলাম। গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জর্জিয়ার ৭ম সিনেট জেলা থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নাবিলা তার স্বামী পার্কেস এবং নবজাতক ছেলে আহসানকে সঙ্গে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিশু ও পরিবার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং প্রাক্তন সেনা, সামরিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক সিনেট কমিটিগুলিতে মনোনীত হয়েছেন।
সিনেটর নাবিলা ইসলাম সম্প্রতি জর্জিয়া উইমেনস লেজিসলেটিভ ককাসের সহ-চেয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নাবিলা ইসলাম একজন উদীয়মান নেত্রী এবং সমাজসেবী। তিনি জর্জিয়ার ডুলুথ একজন বাসিন্দা এবং একজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, যিনি তার কর্মজীবন ও পারিবারিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কমিউনিটির সেবা প্রদান করছেন।
নাবিলা ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী পরিবারে। তার বাবা-মা একটি উন্নত জীবন গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। নাবিলা জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।
নাবিলা ইসলাম ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো জর্জিয়া রাজ্যের ৭ম সিনেট জেলা থেকে নির্বাচিত হন। তিনি অত্যন্ত প্রতিভাবান, দক্ষ এবং জনগণের সমস্যাগুলোর প্রতি আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছেন। তার পিতামাতার অভিবাসী জীবন থেকে তার অনুপ্রেরণা আসে, এবং তিনি সবসময় তার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করেন কমিউনিটির উন্নতির জন্য।
শপথ গ্রহণের পর সিনেটর নাবিলা ইসলাম বলেন, একজন শ্রমজীবী অভিবাসীর কন্যা হিসেবে, আমি সবসময় আমাদের বৈচিত্রময় সম্প্রদায়গুলিকে উজ্জীবিত করতে আমার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করব। তিনি বলেন, একজন নতুন মা হিসেবে, আমি বুঝতে পারি যে জর্জিয়ার পরিবারগুলো কী ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আমি প্রস্তুত, যতটুকু সম্ভব, জর্জিয়াকে এমন একটি স্থানে পরিণত করতে যেখানে পরিবারগুলো সফল হতে পারে এবং শিশুরা উন্নতি করতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র না থাকা এবং দেশে অতিরিক্ত সময় অবস্থানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ২২ জানুয়ারি বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, সন্ধ্যায় ‘হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত বুকিত বিনতাংয়ের জালান আলোর আশপাশে অভিযান চালিয়ে ১৭৬ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে ৭১ জন বাংলাদেশি।
বিবৃতিতে কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, কুয়ালালামপুর সিটি হলের (ডিবিকেএল) সহযোগিতায় শুরু হওয়া এ অভিযানে ৭১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও মিয়ানমারের ৬০, ইন্দোনেশিয়ার ২৪, নেপালের ১৬, পাকিস্তানের ৩, মিশর ও সুদানের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। গ্রেফতারকৃদের নথিপত্র ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা মহিলা সম্পাদক আইরিন পারভীন এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি গানিউর রহমানের তনয়া ডাঃ রুকসানা রহমানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রয়াত ড. খন্দকার মনসুর এবং মেরী মনসুর এর তনয় ড. কাবিড মনসুর এর বিবাহ উত্তর সংবর্ধনা ২৯ ডিসেম্বর রবিবার নিউইর্য়ক এর লং আইল্যান্ডের একটি অভিজাত পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রবাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী ও কলাকুশলী সহ প্রায় দুই শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জেএসডি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য কানাডা প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার স্ত্রী নাসিমা আক্তার ইলিয়াস দূরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কানাডার টরোণ্টো একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
প্রিয় এ নেতার স্ত্রীর সুস্থতা কামনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষ থেকে নিউইয়র্কের ব্রূকলিনে হযরত বেলাল মসজিদে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুম্মা বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন জে এস ডি’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
দলের নেতৃবৃন্দ নাসিমা আক্তার ইলিয়াস এর সার্বিক সুস্থতা কামনায় দেশে এবং প্রবাসে সকলের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রাখেন।
এছাড়াও নাসিমা আক্তার ইলিয়াসের দূত আরোগ্য কামনা করছেন আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও আমেরিকান প্রেসক্লাব অব বাংলাদেশ অরিজিন-এর সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হেলাল মাহমুদ,রাজনীতিবিদ ও সংগঠক শামসুদ্দিন আহমেদ শামীম, জেএসএফ”র সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন, কবি এবিএম সালেহ উদ্দিন, রাজনীতিবিদ মাহবুবুর রহমান মাহবুব, ওসমান গণি, বিশ্বজিত সাহা, সুহাস বড়ুয়া হাসু,হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী, আরিফুর রহমান আরিফ, ফিরোজ আহমেদ কল্লোল, ফিরোজ মাহমুদ, দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, নুরে আলম জিকু প্রমুখ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন :
পোশাক শিল্পের নতুনত্বে ফ্যাশন ডিজাইনারদের অবদান অনস্বীকার্য।পোশাকের মাধ্যমে মানুষের রুচিশীল মনোভাব ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধের প্রকাশ পেয়ে থাকে। আর তাই ফ্যাশন নিয়ে অন্ত নেই গবেষণার। সময়ের সাথে ছুটে চলেছেন ফ্যাশন অনুসারীরা তাদের পছন্দের ডিজাইনারদের সৃষ্টি নিয়ে।ফ্যাশন এর প্রচলিত ধারা প্রতিনিয়ত বদলে দিচ্ছেন ডিজাইনাররা তাদের মেধা দিয়ে।
আত্মবিশ্বাস ও পরিবর্তনশীল চিন্তাধারায় সৃষ্টিশীল কাজ নিয়ে ডিজাইনার রোজিনা আহামেদ রুনি রয়েছেন দীর্ঘদিন যাবত এই পোশাক শিল্পে একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে। যা তার নেশা এবং পেশা দুটোই বলা যেতে পারে।
তারই প্রেক্ষাপটে ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার নিউইয়র্ক এর জ্যামাইকার মান্নান সুপার মার্কেট সংলগ্ন ‘জাশন’ পার্টি সেন্টারে(১৬৫-২৩ হিলসাইড এভিনিউ) দেশি গার্লস বাই মিলিয়া লেনিন আয়োজন করেছেন ডিজাইনার রুনির একক পোশাক প্রদর্শনী। এ তথ্য জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক সংগঠক নিসার জামিল শুড্ডু। দুপুর দুটো থেকে রাত এগারোটা অবদি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে সকল প্রবাসীের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ডিজাইনার রুনি,তার এই প্রচেষ্টায় একাত্ম্য হওয়ার জন্য।
এবারে তার ফ্যাশন আয়োজনে রয়েছে ট্র্যাডিশনাল ক্ল্যাসিক, রেট্রো, ফিউশন, আংরাখা, বক্স প্লিটেড সহ বৈচিত্র্যময় নানা প্যাটার্নের সালোয়ার-কামিজ, ডাবল লেয়ারড সালোয়ার-কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, ডাবল লেয়ারড কুর্তি, টিউনিক, কাফতান, প্যান্টসহ টপস, টপস-স্কার্ট।
শাড়ির বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইনে থাকছে মোটিফের ব্যবহার, কালার কম্বিনেশন সহ আরো নানা আকর্ষণীয় ডিজাইন। আপনাদের উপস্থিতি ডিজাইনার রুনি’র উৎসাহের উৎস হয়ে থাকবে বলে আয়োজকদের বিশ্বাস।