অনলাইন ডেস্ক :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ পুড়ানোর অপরাধে এক ইটভাটা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২ মার্চ রবিবার দুপুরে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের ইটভাটার মালিক বনি আমিনকে এ জরিমানা করা হয়।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের নাজির শহিদুল ইসলাম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর ১৬ (৬) ধারায় জিএলবি ভাটা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা (২১)। মাত্র ১৫ দিনের ছুটি পেয়েছেন তিনি। প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন নিজ বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামে। টুম্পা ঐ গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রাহিমের মেয়ে। বাড়িতে এসে মা-বাবা ও ছোট বোনের সাথে সময় কাটানোর কথা তার। কিংবা গ্রামের বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা, গল্প ও আড্ডা দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি তার দরিদ্র ভ্যান চালক বাবা ও পরিবারের আর্থিক অনটনের কথা চিন্তা করে বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে মেরিগাছা বাজারে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সিদ্ধ ডিম বিক্রি করছেন। একই সঙ্গে বিক্রি করছেন কাঁচা ডিম। টুম্পার এই ডিম বিক্রির ঘটনা এলাকায় সাড়া ফেলেছে।
মঙ্গলবার মেরিগাছা বাজারে টুম্পার সিদ্ধ ডিমের দোকানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খোলা আকাশের নিচে খড়ির চুলা জ্বলছে এবং সেখানে বড় কড়াইয়ে শতাধিক ডিম সিদ্ধ হচ্ছে। পাশে প্লাস্টিকের টুলে বসে ডিমের খোসা ছাড়াচ্ছেন টুম্পা এবং খোসা ছাড়ানোর পর ডিমের ওপর লবণ-ঝাল ছিটিয়ে তা ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। টুম্পার ভ্রাম্যমাণ দোকানে একটি সিদ্ধ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫টাকা এবং একসঙ্গে দুইটি নিলে ২৫ টাকা। পাশাপাশি কাঁচা ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪২ টাকা দরে।
জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা বলেন, খুবই কম লাভে আমি ডিম বিক্রি করছি। প্রতি হালি কাঁচা ডিমে লাভ হচ্ছে মাত্র ৩ টাকা এবং সিদ্ধ ডিমে লাভ হচ্ছে গড়ে হালি প্রতি ৪-৬ টাকা। সিদ্ধ ডিমের ক্ষেত্রে খড়ি, নষ্ট ডিম বা অনেক সময় খোসা ছাড়াতে গিয়ে ডিম নষ্ট হয়। যার ফলে এর লাভ মাঝে মধ্যে সামান্য ওঠানামা করে।
প্রতিদিন গড়ে ৬০০-৭০০ ডিম বিক্রি করেন তিনি এবং গত দুইদিনে তার লাভ হয়েছে ১৪৭০ টাকা। ক্রেতাদের কাছে ডিম বিক্রির ফাঁকে টুম্পা আরও জানান, ‘বাবা ভ্যান চালিয়ে আমাদের দুই বোনকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। বর্তমানে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত। গত সপ্তাহে আমি বাড়িতে এসেছি, ১৫ দিন ছুটি কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবো। ডিম বিক্রির মাধ্যমে আমার যাতায়াতের টাকাও জোগাড় হবে।
ডিম বিক্রি করার প্রসঙ্গে টুম্পা জানায়, বিভিন্ন মানুষ নানা কথা বলবে। তবে এতে আমার কিছু আসে-যায় না। কারণ আমি সৎ ভাবে আয় করছি। শহরে এই কাজ করলে কেউ কিছু বলে না। আমি নিজেকে অতি ক্ষুদ্র ও গরীব উদ্যোক্তা মনে করছি। এটাই আমার কাছে আনন্দের ও সুখের। আমি অল্প লাভে ডিম বিক্রি করে স্থানীয় অতিমাত্রায় মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের মেসেজ দিতে চাই; অতি মুনাফার সুযোগ থাকলেও তার সুযোগ গ্রহণ না করা।
টুম্পার বাবা ভ্যান চালক আব্দুর রাহিম জানান, আমার ভ্যানে করেই আমি আমার মেয়েকে এই বাজারে নিয়ে আসি ও নিয়ে যাই। টুম্পা অনেক কষ্টে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ছুটিতে এসে আমাদের প্রতি মায়া করে সে ডিম বিক্রি করছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক খরচ হয়। তার বাবা হিসেবে এই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার নাই। তাই সে নিজেই সৎ উপার্জন করে টাকা যুগিয়ে নিচ্ছে যেন আমার কাছে টাকা না চাইতে হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামসুজ্জোহা জানান, টুম্পা স্কুল জীবন থেকেই সংগ্রাম করে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সে অনেক মেধাবী। ছুটিতে বাড়িতে এসে ডিম বিক্রির এই ভালো কাজটি অনুপ্রেরণামূলক ও প্রশংসনীয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বগুড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালকের সততায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ফেলা যাওয়া ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ১৮ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
৪ এপ্রিল শুক্রবার রাত ১১টায় বগুড়া সদর থানায় পুলিশের মাধ্যমে স্বর্ণের প্রকৃত মালিককে এসব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ভরি স্বর্ণ ফিরিয়ে দিয়ে শততার আরেক দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন খায়রুল ইসলাম নামের ওই অটোরিকশাচালক।
জানা গেছে, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ি হাজীপাড়ার খায়রুল ইসলাম তার লেখাপড়ার খরচ জোগাতে ও বাড়তি আয় করতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। খায়রুল বগুড়ার একটি সরকারি কলেজে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের মতো ঈদের দুই দিন আগে ২৯ মার্চ অটোরিকশা চালাচ্ছিলেন তিনি। সেই দিন ইফতারের আগে জুয়েলারি ব্যবসায়ী পাবনার ফরিদপুর উপজেলার উত্তর গোপালনগর এলাকার শফিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ শাহিন বগুড়া নিউ মার্কেট থেকে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ১৮ ভরি স্বর্ণ কিনে একটি কালো রঙের ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে খায়রুলের অটোরিকশা করে শাজাহানপুর উপজেলার বনানীতে গিয়ে দ্রুত বাসে উঠে যান। বাসে উঠে ইফতার করার সময় তার মনে পড়ে যায় স্বর্ণসহ নগদ ১৫ হাজার টাকার ব্যাগটি অটোরিকশা ফেলে এসেছেন। বাস থেকে নেমে অটোরিকশাচালককে খুঁজে না পেয়ে শাজাহানপুর থানা ও বগুড়া সদর থানায় গিয়ে আইনগত সহযোগিতা কামনা করেন।
পুলিশের পরামর্শে তিনি শাজাহানপুর থানায় একটি জিডি করেন এবং বাড়ি ফিরে যান। এরপর থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী শাহিন বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় তার হারিয়ে ফেলা ব্যাগটির খোঁজ করতে থাকেন। একপর্যায় সেটি না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
এদিকে, নিজের অটোরিক্সায় ব্যাগটি পেয়ে সেটি না খুলে ওই যাত্রীর সন্ধান করতে থাকেন খায়রুল। সেদিন ব্যাগটির মালিককে খুঁজে না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। বাড়ি গিয়ে খায়রুল তার মাকে সব খুলে বলেন। তার মা তাকে বলেন স্বর্ণগুলো প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরে দিতে। পরে পরিচিত এক পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে বগুড়া সদর থানায় যোগাযোগ করেন খায়রুল।
সর্বশেষ শুক্রবার রাতে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীনকে বিষয়টি জানালে তিনি দ্রুত স্বর্ণের মালিককে ডেকে নেন। সেদিন রাত ১১টায় প্রকৃত মালিক শাহিনের হাতে ১৮ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ হাজার টাকার ব্যাগটি তুলে দেন।
বগুড়া সদর থানায় ওসির কক্ষে অটোরিক্সা চালক খাইরুলকে দেখেই চিনতে পারেন যাত্রী শাহিন। মালামাল ফিরে পেয়ে যাত্রী শাহিন ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দিতে চান অটোরিক্সা চালক খাইরুলকে। অটোরিক্সা চালক খাইরুল পুরস্কারের টাকা নিতে অনীহা প্রকাশ করেন এবং বলেন ব্যাগে থাকা সোনা ও টাকা তাকে ফিরিয়ে দিতে পেরে তিনি দায়মুক্ত হয়েছেন।
আবেগাপ্লুত শাহিন স্বর্ণ ফিরে পেয়ে জানান, তিনি ভেবেছিলেন তার সব শেষ হয়ে গেছে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার পর থানার ওসির ফোন পেয়ে আনন্দে দিশেহারা হয়ে পড়েন। অটোরিক্সা চালক খায়রুলের সততা তাকে মহিত করেছে। খায়রুলের মতো মানুষ থাকলে সমাজের কোনো ভয় নেই।
সিএনজি চালক খায়রুল জানান, সারা জীবন সৎ থাকতে হবে, সৎ থাকলে পরকালে ভালো হবে। মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি সোনার গহনা ও টাকাগুলো ফেরত দিতে পেরে ধন্য মনে করছেন। শিক্ষার উদ্দেশ্য মনুষ্যত্ব অর্জন, অসততা নয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, খায়রুল মূলত একজন শিক্ষার্থী। অটোরিক্সা চালিয়ে নিজের লেখাপড়ার জন্য খরচ বহন করেন। তিনি শুধু সৎ নন, দায়িত্বশীল ও মানবিকও। তার মতো মানুষই আমাদের সমাজে আরও আলো ছড়াবে। এ যুগেও যে হাজারো মানুষের ভিড়ে সৎ মানুষ আছে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ খায়রুল।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৩ আগস্ট বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজবীর আগমন উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১৬ আগস্ট সকাল ১১টার পৌর শহরের পুনিয়াটস্থ বাস ভবনে জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল সভাপতিত্বে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আলী আজম ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীনের সঞ্চালনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ জহিরুল হক খোকন, সহ-সভাপতি এডভোকেট সফিকুল ইসলাম, এডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, মোঃ জসিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক সামছুজ্জামান চৌধুরী কানন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আরমান উদ্দিন পলাশ, নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এম এ হান্নান, আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ খোরশেদ আলম, আখাউড়া পৌর বিএনপির সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আক্তার খান, কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বাপন, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন আকাশ, বাঞ্ছারামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি এম. এ. সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক ছালে মুসা, বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাকির হোসেন শাহআলম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হেবজুল বারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচীব মোল্লা সালাউদ্দিন, মহিলা দলের হুসপিয়ারা বেগম, এডভোকেট জেসমিন আক্তার, শাহ মাহমুদা আক্তার, ডাঃ শারমীন সুলতানা টুনটুন,শামীমা ইস্কারসহ পৌরসভার ওয়ার্ড ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, গাজীপুর :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নারীরা ঢাল হিসেবে কাজ করেছেন। ঘর-সংসার সামলে রাজপথের আন্দোলনে প্রথম সারিতে অবদান রেখেছেন তারা। তাই নারী নেতৃত্বের অবদানকে স্বীকার করে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।
আজ ১৯ জুন বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর জেলা মহিলা দলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নারীদের মূল্যায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার ২৪ নাম্বারে নারীদের যথাযোগ্য মর্যাদার কথা বলেছেন। তা বাস্তবায়ন হলে গণতান্ত্রিকভাবেই নারীদের মূল্যায়ন বাড়বে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেবে।
তিনি আরো বলেন, কাপাসিয়ার কৃতীসন্তান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্ জাতিকে বারবার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। হান্নান শাহ্ ছিলেন আমার ভাসুরের মতো। তিনি মির্জা আব্বাসের বড় ভাইয়ের ভূমিকা পালন করেছেন। কাপাসিয়ার সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা করেছিলেন। রেখে যাওয়া তার সুযোগ্য উত্তরসূরি কাপাসিয়ার অভিভাবক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ আমার সন্তানতুল্য। আমি তাকে অনেক স্নেহ করি।
পরিবারের ঐতিহ্যকে ধারণ করে সবার সাথে সৌজন্যতা রক্ষা করে চলছেন। বিগত আন্দোলনে জেল-জুলুম ও হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। তাকে আপনারা আগামী দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন। তিনি গাজীপুর জেলা মহিলা দল, তথা কাপাসিয়া উপজেলা মহিলা দলসহ সব ইউনিটের নেতাদের একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
কাপাসিয়া সদরে অবস্থিত মডিউল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসির সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল গাজীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদিকা গুলনাহার বেগমের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান, জেলা বিএনপির সদস্য ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, ঢাকা মহানগর মহিলা দল নেত্রী তাবাসসুম টুম্পা, জেলা বিএনপির সদস্য আজগর হোসেন খান, কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বিআরডিবি চেয়ারম্যান মো. সেলিম হোসেন আরজু প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কাপাসিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন, সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. মহিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল, বিএনপি নেতা মফিজ উদ্দিন, মেহেদী হাসান বাচ্চু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রেন থামিয়ে লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) থেকে তেল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ট্রেনের চালক, পরিচালকসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের সহকারী কমান্ড্যান্ট মো. ফিরোজ আলীকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
এদিকে, আজ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন : ট্রেনচালক মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী চালক আব্দুর রাজ্জাক, ট্রেন পরিচালক (গার্ড) মো. ওমর ফারুক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের পারভেজ ওরফে জাফর (৩১), কাজী রতন (৪৫), মুরাদ মিয়া (২৮), ইসহাক মিয়া (৩০) ও শামীম মিয়া (৪৭)। এর আগে গত ৮ এপ্রিল আখাউড়া রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শোভন কুমার দাশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযানের সময় দুটি ড্রামে ২১০ লিটার তেল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন পার হওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা এলাকায় ট্রেন থামিয়ে ইঞ্জিন থেকে তেল চুরির ঘটনা ছিল ওপেন সিক্রেট।
পুলিশের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ এপ্রিল রাত সোয়া ১২টার দিকে কোড্ডা এলাকায় ৬০৩ নম্বর কনটেইনার অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দিয়ে ইঞ্জিন থেকে তেল নামানো হচ্ছিল। সবুজ সংকেত দেওয়া থাকা সত্ত্বেও ট্রেনটি দাঁড়ানো ছিল। এ অবস্থায় রেলওয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশকে দেখামাত্র চালক ট্রেন চালানো শুরু করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে সংকেত দেওয়া হলেও ট্রেন থামানো হয়নি। এ সময় একটি বড় ড্রামে ২০০ লিটার ও একটি ছোট ড্রামে ১০ লিটার তেল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তেল পাচারের কাজে ব্যবহৃত একটি বড় পাতিল ও একটি বাঁশ উদ্ধার করা হয়। তবে কনটেইনার ট্রেনের চালক মো. নাসির উদ্দিন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘লালবাতি থাকায় ট্রেন থামানো হয়। পরে সবুজ বাতি পেয়ে ট্রেন চালানো হয়। তেল চুরির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার গণমাধ্যমকে জানান, কনটেইনার থেকে তেল চুরির ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। অভিযানের সময় ২১০ লিটার তেল উদ্ধার করা হয়। সূত্র: ইত্তেফাক অনলাইন।