হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসেরস নিরব রেস্টুরেন্টে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।কামাল উদ্দীন ও হুমায়ন কবিরের দুই পর্বে সভাপতিত্বে এবং কবির হোসেনের সঞ্চালনায় চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ এর দুই সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন -লিয়াকত হোসেন মামুন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, নুর আলম সেলিম, মোহাম্মেদ আলী, গোলাম কবির শিপন, বারাকাত শিউল, মোঃ ফারুক, নোমান সিদ্দীকি ।
প্রধান বক্তা ছিলেন-মাঈন উদ্দিন নটু।
প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন শরিফ হোসেন নিরব ও হুমায়ন বাংগালী।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌরসভার ব্যক্তিবর্গ এর মাঝে বাহার, শওকত আকবর, সরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শিহাব বিন ওয়াছেক, আসিফ মাহবুব, রাশেদ আলম, শাহাদাত হোসেন টিটু, শাহাদাত হোসেন সুজন, মামুন, শামছুর রহমান, মিলন, আবু তাহের, রাজিব হোসেন, শাহরিয়ার হিমেল, মহসিন, নুরুল হুদা পিন্টু, মাহবুব আলম, আবদুর রহিম, নুর জালাল, ইসমাইল হোসেন পলাশ, নুর হোসেন মিঠু, মো. নাঈম, আব্দুল কুদ্দুস বাবু, মো: আল-আমিন, সঞ্জয় শীল, সবুজ হোসেন, আবদুর রহমান, ওমর ফারুক শরীফ, আরিফ হোসেন, আমিন উল্লাহ, আবু বক্কার সিদ্দিক, ইব্রাহিম খলিল, নুর হোসাইন, সজীব আহমেদ, লিটন চৌধুরী, শামীম হোসেন, কিরন, মো. জাবেদ, রবিউল হাসান সৈকত, বাদশা ফাহাদ, মোহাম্মাদ কাকন, সজীব, মিশু, রিয়াদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ইয়াছিন আরাফাত রাফি, জহিরুল ইসলাম সোহাগ, জামসেদ মজুমদার, হাছান আহম্মেদ, মোহাম্মদ রবিন, মোহাম্মদ ইয়াছিন, রমযান আলি রাশেদ, রবিউল হোসেন রাসেল, ফাহাদ, আমিন উল্যাহ, সাইফুল ইসলাম, সজীব, বিপ্লব, তারেক, জুয়েল, পিয়াল, হাসান, আরিফ হোসেন, নাঈম, ফয়সাল, সৈকত ফারুক, নিশাদ, জাহিদ, মুরাদ, জর্জ, সাব্বির, আবদুর রহমান, জাহিদ, তৌহিদ সহ চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের উপস্থিতিতে চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ এর দুই সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন-
হুমায়ন কবির, লিয়াকত হোসেন মামুন, আনোয়ার হোসেন লিটন এবং মাঈন উদ্দিন নটু। নব মনোনীত আহবায়ক-হেলাল উদ্দিন ও সদস্য সচিব শরিফ হোসেন নিরব বলেন-আগামী কিছু দিনের মধ্যে আহবায়ক কমিটির ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
নব মনোনীত দুই সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি পবিত্র রমযান মাসে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে সোসাইটির কার্যক্রম শুরু করবেন।
আপ্যায়ন শেষে হুমায়ন কবিরের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মুমিনুল হক :
কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ফোরাম, অন্টারিও’র সভাপতি মিলাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কানাডা বিএনপির সাবেক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সল আহমেদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি কমিটি (বাংলাদেশ ককাস) এর ভাইস-চেয়ারম্যান সালমা জাহিদ এমপি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কানাডা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা আব্দুল মুহিত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ।
বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত, ফরহাদ মিশু নির্বাহী, সরওয়ার হোসেন, দেলওয়ার হোসেন বাচ্ছু, চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম সোহেল, সোহেল আহমেদ, সারওয়ার রাশেদ, কাজী রায়ফুল শামিম, বুলবুল আহমেদ, আবদুল হামিদ চৌধুরী, মাহবুব সজীব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম এবং মানুষের অধিকারের জন্য আন্দোলন — এই বিশ্বাসকে ধারণ করেই বিএনপির ৪৭ বছরের পথচলা। শান্তিময় ও মানবিক সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই জাতীয়তাবাদী শক্তির মূল লক্ষ্য, আর এই লক্ষ্যেই তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন ওমর ফারুক।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আসেফ বারী টুটুল। জ্যাকসন হাইটসের সবচেয়ে পরিচিত ভবনগুলোর মধ্যে একটি, ‘ব্রুসন ভবন’, এখন থেকে পরিচিত হবে ‘বারী টাওয়ার’ নামে। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এটি শুধু ভবনের নাম বা মালিকানার পরিবর্তন নয়, বরং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির উন্নয়ন এবং স্বপ্ন পূরণের এক উদাহরণ। এ সংবাদ পরিবেশন করেছেন সাইয়েম শুভ।
বাংলাদেশি ও মূলধারার ব্যবসায়ীদের অফিসে ঠাসা জ্যাকসন হাইটসের প্রাণকেন্দ্র ৩৭তম এভিনিউ, ৭৩ ও ৭৪ স্ট্রিটের সংযোগস্থলে অবস্থিত ৭৪-০৯ ঠিকানার বিখ্যাত ‘ব্রুসন বিল্ডিং’টি ছিলো একটি আধুনিক অফিস ভবন, যা দীর্ঘ ইতিহাস এবং পুনর্জাগরণের প্রতীক হিসেবে আজও দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
১৯৪৯ সালে নির্মিত এই ভবনটি ২০১৬ সালে আধুনিক রূপে পুনর্গঠন করা হয়। এই বিশাল ভবনটি সম্প্রতি কিনে নিয়েছেন আসেফ বারী ও তাঁর সহধর্মিণী মুনমুন হাসিনা বারী। ২০২৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ভবনটির ক্রয় ও হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এ উপলক্ষ্যে বারী পরিবার আয়োজন করে এক দোয়া মাহফিলের। এতে উপস্থিত ছিলেন বারী গ্রুপের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ থেকে আগত মুনমুন হাসিনা বারীর বাবা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, এবং মা সালেহা কবির চৌধুরী।
জ্যাকসন হাইটস একটি বৈচিত্র্যময় ও সংস্কৃতিমণ্ডিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। ব্রুসন বিল্ডিংয়ের এই এলাকায় অবস্থানই তার অন্যতম বড় সম্পদ। আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, দোকান, এবং সাংস্কৃতিক আকর্ষণ। যা শুধু অফিস কর্মচারী নয়, ক্লায়েন্টদের জন্যও এক বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ভবনটি ৭৪ স্ট্রিট-ব্রডওয়ে স্টেশন থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত, যা ৭ ট্রেনের মাধ্যমে ম্যানহাটনসহ কুইন্সের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সহজ যোগাযোগ নিশ্চিত করে। এই সুবিধাটি ব্যবসার জন্য চমৎকার এক সংযোগ স্থাপন করেছে।
এই বিল্ডিংয়ের নতুন সংস্করণটি আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত, যা আধুনিক অফিস ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভবনের ইন্টেরিয়র ডিজাইন অত্যাধুনিক, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য একদম উপযোগী। ভবনটি বৈচিত্র্যময় ব্যবহারের জন্য আদর্শ এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক হাব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ভবনটি শুধু একটি ইমারত নয়, এটি জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্যও একটি পরিচিত নাম। এটি একটি পেশাদারদের ব্যবসায়িক হাব, যেখানে অনেক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এবং মূলধারার বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছে আস্থা ও গৌরবের প্রতীক ছিল। এই ভবনের মালিকানা পরিবর্তনের খবরে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এক নতুন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
আসেফ বারী টুটুল, যিনি বারী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, নিশ্চিত করেছেন যে, “বারী টাওয়ারের চতুর্থ তলা হবে বারী হোম কেয়ার এবং প্রবাসের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক পত্রিকা “বাংলা পোস্ট” এর নতুন অফিস। তিনি বলেন, “দু-এক মাসের মধ্যেই আমরা বারী গ্রুপের সকল কার্যক্রম নতুনভাবে এই ভবন থেকে পরিচালনা শুরু করবো। আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যাতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে পারি।”
নিউইয়র্কের মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ শহরে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করা এক বিরল অর্জন। রংপুরের সন্তান আসেফ বারী টুটুল সেই বিরল উদাহরণগুলোর মধ্যে অন্যতম। কেবল ব্যবসায়ী হিসেবেই নয়, তিনি তাঁর কর্মনিষ্ঠা, মানবিক মূল্যবোধ, এবং নেতৃত্বগুণ দিয়ে নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশি সমাজে নিজেকে এক আদর্শ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি তাঁর সাফল্যকে সবসময় কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য কাজে লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি শুধু আমার বা আমার পরিবারের জন্য নয়, বরং পুরো কমিউনিটির জন্য একটি অর্জন। আমাদের সবার জন্য এটি গর্বের বিষয়।” বারী গ্রুপ ভবিষ্যতে তাদের কার্যক্রম প্রসারের জন্য বারী টাওয়ারকে একটি ব্যবসায়িক এবং সামাজিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে।
আসেফ বারী টুটুল জানান, “ভবিষ্যতে এখানে একটি গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে, যেখানে কমিউনিটির সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কমিউনিটির জন্য কাজ করা। সবার দোয়া আমাদের শক্তি যোগায়। আশা করছি, এই নতুন যাত্রা আমাদের এবং কমিউনিটির জন্য আরও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।” আসেফ বারী জানান, ভবনের ব্যবস্থাপনায় এমন কিছু পরিবর্তন আনা হবে, যা বাংলাদেশি কমিউনিটির মার্কিন মূলধারার সঙ্গে আরও গভীর সংযোগ স্থাপন করবে।”
আসেফ বারীর সাফল্যের গল্প শুধু তাঁর একার নয়। এটি একটি পরিবারের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতিচ্ছবি। তাঁর জীবনসঙ্গী মুনমুন হাসিনা বারী এবং তাদের তিন সন্তান আদিব বারী, সাবাহ বারী, এবং মাহি বারী নিজেদের মেধা ও শ্রম দিয়ে বারী গ্রুপকে একটি সুপরিচিত নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহযোগিতা করেছেন। বারী গ্রুপের নেতৃত্বে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির উন্নয়ন এবং দেশের সামাজিক অগ্রগতির জন্য তারা নানা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। শীঘ্রই তিনি নিউইয়র্ক বাংলাদেশি আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন দাতব্য কার্যক্রমে লায়ন্স ক্লাব ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
“সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা বিশ্বময় গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না,”সিলেট বিভাগের চারটি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জকে নিয়ে সিলেট প্রদেশ ঘোষণার দাবিতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে সাউথ ইষ্ট রিজিয়নের উদ্যোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ভ্যালেন্স রোডস্থ উডেহাম কমিউনিটি সেন্টারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ নুরুল ইসলাম।
সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে এবং রিজিওনাল সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ও কমিউনিটি সংগঠক কদর উদ্দিন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রেটার সিলেটের প্রেট্রন, কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর, গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, ও কমিউনিটি সংগঠক হাবিবুর রহমান রানা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রিজিওনাল নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খান জামাল নুরুল ইসলাম ,আজিজুল আম্বিয়া, সৈয়দ সায়েম করিম, আজম আলী, আব্দুল বাছিত রফি, আব্দুর রহিম রনজু,আব্দুল মুকিত, খালেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, সেরওয়ান আলী, হালিমুল ইসলাম, শাহ আজিজ সাজু, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী,তানভীর হোসেন, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, বদরুল হক মনসুর, কামরুল আই রাসেল, আমজাদ হোসেন, ও কবির আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন -১৯৪৭ সালে গণভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানে যোগদান করেছিল ।পাকিস্তান আমলে ও বাংলাদেশ আমলে সিলেট বিভাগের তেমন কোন উন্নতি হয়নি ।সিলেট বিভাগ সব সময় বৈষম্যের শিকার ।সিলেটের খনিজ সম্পদ, চা বাগান, রাবার বাগান সহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদে সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন হলেও সিলেটের সমস্যার এখনও কোন সমাধান হয় নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি দূর্যোগময় মুহুর্তে সিলেটবাসীর অবদান ইতিহাসের অন্তর্গত ।
সংস্কার কমিশন বাংলাদেশে চারটি প্রদেশ করার প্রস্তাব করলেও সিলেট বিভাগকে প্রদেশ করার কোন প্রস্তাব করেনি। এটা আরেকটি বৈষম্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না,চট্টগ্রামের সাথে সিলেটকে যুক্ত করার চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে বলে উল্লেখ করে বলেন আমরা সিলেট বিভাগ নিয়ে জালালাবাদ প্রদেশ চাই, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মতে বাংলাদেশকে যদি কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করতেই হয় তাহলে বৃহত্তর সিলেটের চারটি জেলা নিয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হবে যুক্তিযুক্ত। চট্টগ্রামের সাথে যুক্ত করা হবে অবাস্তব ও অযৌক্তিক। বৃহত্তর সিলেটের ভৌগোলিক অবস্থা ও লে-আউট আলাদা একথা সরকারের বুঝা উচিৎ, সিলেট থেকে চট্টগ্রামের চেয়ে ঢাকায় বরং যাওয়া যাবে দ্রুত। তাই চট্টগ্রামের সাথে সিলেট কানেক্ট করে প্রদেশ করলে সিলেট হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত, এরকম হটকারি, অবাস্তব এবং অযৌক্তিক সীদ্ধান্ত কোনো অবস্থাতেই বিশ্বময় বসবাসকারী গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব বলেন ১৯৭১ এর মহাণ মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণে তথা রাজনৈতিক, সামাজিক,ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষা – দীক্ষা, জ্ঞান – গরিমা,সাংস্কৃতিক ইতিহাস ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে এমনকি প্রবাসের মাটিতে ক্যাটারিং সেক্টর ও ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিশ্বময় বাংলাদেশ কমিউনিটির কল্যাণে ব্যাপক ভুমিকা রাখা সহ বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে গ্রেটার সিলেটবাসীর অবদান অনস্বীকার্য।
পাকিস্তান আমল থেকেই দেশে বিদেশে সিলেট প্রদেশ গঠণের দাবিতে আন্দোলন চলছে। তাই অবিলম্বে সিলেট বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রদেশ ঘোষণার দাবি জানানো হয় ।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হারুনুর রশিদ সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম সম্পদশালী এলাকা সিলেটের খনিজ তেল, গ্যাস, পাথর, চা শিল্প, পর্যটন ও দেশের রেমিটেন্সের সিংহভাগই আসে প্রবাসী সিলেটবাসীর মাধ্যমে বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন বর্তমান সরকার যদি প্রাদেশিক সরকার গঠন করে তাহলে সিলেটের নাম আসবে সবার আগে।কারণ সিলেটের মানুষের এই দাবি দীর্ঘদিনের।
সিলেটবাসীর ন্যায্য দাবি সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়নের ক্যাম্পেইনে দেশে বিদেশে সিলেট বাসীকে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন। অনেক সিলেটের জনগণ এবং প্রবাসীরী সংবাদ সংস্থা বলেছেন, ছোট আয়তনের বাংলাদেশে যেখানে বিভাগের ই কোন প্রকার প্রয়োজন নেই, সেখানে প্রদেশ দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। তারা আরো বলেছেন, প্রদেশ কেন হবে? মাতাবারী বিভাগই বাতিল করে শুধু জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন, পৌর সভা এবং সিটি করপোরেশন এই পাঁচ ভাগে লোকাল সরকার থাকার কথা জানিয়েছেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ‘ইটজি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে-এ হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে এবং শরিফ হোসেন নিরব ও কবির হোসেনের সঞ্চালনায় “চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ”এর অনুষ্ঠান গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন-মাঈন উদ্দিন নটু।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত চাটখিল উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ব্যক্তিবর্গ এর মাঝে নুর আলম সেলিম, মোহাম্মদ আলি, কবির হোসেন, মাসুদ রানা, আবু সাঈদ, সরাজ ইসলাম, হুমায়ন বাংগালী, শওকত আকবর, গোলাম গাউস রুবেল, শফিকুল ইসলাম, রাশেদ আলম, নুর হোসেন, তারেক হোসেন, শিবলু, শিহাব বিন ওয়াছেক, আসিফ মাহবুব, রাজিব হোসেন, মামুন, শাহরিয়ার হিমেল, নুরুল হুদা পিন্টু, মাহবুব আলম, আবদুর রহিম, নুর জালাল, শাওন শুভ, ইসমাইল হোসেন পলাশ, রাব্বি হোসেন, নুর হোসেন মিঠু, ইয়াছিন আরাফাত, মোহাম্মদ কাকন, হাছান আহম্মেদ, মোহাম্মদ রবিন, মেহেদী হাসান ফাহাদ, আহমেদ বাবু, মেহিদী হাসান অন্তর, মোহাম্মদ ইয়াছিন, গোলাম রাব্বানী অপু, কার্তিক, রমযান আলি রাশেদ, আমিন উল্যাহ সহ অনেক ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের সম্মতিতে অতিশীঘ্রই চাটখিলের ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত সকল স্টেটের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। অনুষ্ঠানে আপ্যায়ন শেষে হুমায়ন কবিরের সমাপনী বক্তব্যে দ্রুত কমিটি গঠনের জোর দাবি জানানো হয়।
সুমন মৃধা, অষ্ট্রেলিয়া :
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে নিউ সাউথ ওয়েলস বিএনপি এবং যুবদল অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে আজ ১৬ আগস্ট শনিবার লাকেম্বা রেলওয়ে প্যারেডে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিউসাউথওয়েলস স্টেট বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ ইরফান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. খাইরুল কবির পিন্টু।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ আবুল হাছান।
আরো উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ডা. আব্দুল ওহাব বকুল, সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন ঢালী, কামরুল হাসান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এএনএম মাসুম, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ শিবলু, এসএম খালেদ, যুবদলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মিনহাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ কুদ্দুসুর রহমান, আরমান হোসেন ভূইয়া, প্রচার সম্পাদক লিন্টাস পেরেরা, নিউসাউথওয়েলস বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম অপু, মাসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল খন্দকার, অসিত গোমেজ, বিজন পালমা, শফিকুল ইসলাম, দীন মোহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা সাহেদ আহম্মেদ, মমিন আহম্মেদ, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সিডনির লাকেম্বায় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা এবং জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে সাধারণের মাঝে তবারক হিসেবে কেক বিতরণ করা হয়
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ভূমিকা এবং আন্দোলনে সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে আপসহীন নেত্রী হওয়ার ভূমিকা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি আশা করেন বেগম খালদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে চিরদিন গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে বেঁচে থাকবেন।