ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি পালন

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 2 March 2025, 295 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
‘প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে’ ও ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের’ দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছে প্রশাসন ব্যতীত ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আজ ২ মার্চ রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

banner

‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়কারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক খন্দকার কামরুজ্জামান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আক্তার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মো. মেহেদী হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মারজিয়া শবনম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা ২৫ ক্যাডারের ১৩ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বৈষম্য নিরসনে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে সেখানে সকল ক্যাডারে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে ডিএস কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার নিশ্চিত করতে হবে।’

Leave a Reply

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৬৩৯জন নিহত

অনলাইন ডেস্ক : ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত Read more

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে শেষ পরিণতি ভোগ করতে হবে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 14 October 2023, 963 Views,

আল-মামুন সরকারের স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় আহম্মদ হোসেন

চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে নেবে। তবে আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপি-জামায়াত জনগণের কাছ থেকে রক্ষা পাবে না। তাদের শেষ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

banner

১৩ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় এ কথা বলেন তিনি। শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আহম্মদ হোসেন বলেন, বিদেশে ঘুরে লাভ নেই, বিদেশিরা ক্ষমতায় উঠাতে পারবে না। দেশের মূলশক্তি হচ্ছে জনগণ। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কারা ক্ষমতায় থাকবে।

তিনি বলেন, মাছ যেমন পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনি একটি গণতান্ত্রিক দল নির্বাচন ছাড়া বাঁচতে পারে না। এ কথা বিএনপির অনুধাবন করা উচিত।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আহম্মদ হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৈনিকেরা যুদ্ধে গিয়ে হেরে আসেন না, হারতেও জানেন না। সামনে অগ্নি পরীক্ষা, সেই পরীক্ষায় আবার জিততে হবে। চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে মরে যাব, তবে গণতন্ত্রকে খুন করতে দেব না। পাকিস্তান মার্কা স্বাধীনতা আনতে দেব না। সরকার বহির্ভূত কোনো সরকার আসতে দেব না।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।

এছাড়া সভায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বস্তিবাসীদের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধুনিক ফ্ল্যাট : গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী এমপি

জাতীয়, 28 June 2024, 501 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বস্তিবাসীদের জন্য উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে নির্মাণ করা হবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ফ্ল্যাট। স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ পাবেন তারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

banner

আজ ২৮ জুন শুক্রবার মহাখালীর টিএন্ডটি কলোনির মাঠে কড়াইল বস্তিবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিতিদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সকল মানুষের মানসম্মত আবাসনের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে বস্তিবাসীদের উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে তারা বসবাসের সুযোগ পাবেন।

রাজধানীর মিরপুরে ইতোমধ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মিত ৫৩৩টি ভাড়া ভিত্তিক ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে।

সেখানকার বস্তিবাসীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে সেখানে বসবাস করছেন।
টঙ্গীর দত্তপাড়া এবং মহাখালীর কড়াইল বস্তিতেও একই ধরনের ফ্ল্যাট নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

মন্ত্রী বলেন, বস্তিতে বসবাসকারীরা যথাযথ ভাড়া পরিশোধ করে থাকেন। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা বাবদ তাদের যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়।

অথচ বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তারা পায় না। পর্যাপ্ত অর্থ খরচের পরও তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করে। এসব ফ্ল্যাট নির্মিত হলে স্বল্প ভাড়ায় তারা আধুনিক জীবন যাপনের সুযোগ পাবেন। অবস্থানরত কোনো বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ না করে তাদেরকে বিদ্যমান স্থানে পুনর্বাসিত করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

এসব ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে।

সবার সহযোগিতা পেলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
ঢাকা-১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১১ আসামের মাননীয় সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কড়াইল বস্তিতে বসবাসরত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শীতার্ত মানুষের মধ্যে ৮০০ কম্বল বিতরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 20 January 2024, 781 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের উদ্যোগে ৮০০ শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার বেলা ১১টায় শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

banner

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মিজানুর রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।

বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইউনিটের নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান লিটন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করছে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি। সকল ভালো কাজের সাথে রেডক্রিসেন্ট জড়িত। রেডক্রিসেন্ট কাজ করে মানবতার জন্য। আজকের এই কম্বল বিতরণ প্রতিষ্ঠানটির একটি মহৎ উদ্যোগ। এই কম্বল শীতার্ত মানুষের একটু হলেও শীত নিবারন হবে।

তিনি সমাজের বিত্তবান লোকদেরকেও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। তিনি বলেন, আমি আশা করি ভবিষ্যতেও রেডক্রিসেন্ট এই ধরনের মানবিক কাজ অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, এই শীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরনের জন্য কম্বল পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে তিনি শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ইউনিটের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মধ্যে ৮০০ কম্বল বিতরণ করা হয়। এই শীতে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

দেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 23 August 2023, 972 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের বিশেষ করে আইসিটি, অবকাঠামো, টেক্সটাইল এবং পর্যটন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তাঁর স্বপ্ন বাংলাদেশকে একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা।

banner

তিনি বলেন, ‘আমার একটি স্বপ্ন আছে যা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষেরও স্বপ্ন, আর তা হলো, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ট্রিলিয়ন-ডলারের অর্থনীতি এবং একটি সম্পূর্ণ উন্নত স্মার্ট জাতিতে পরিণত করা।’ তিনি আরো বলেন,স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে তারা সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণে একটি উচ্চাকাক্সক্ষী প্রচেষ্টা শুরু করেছেন।

শেখ হাসিনা আজ ২৩ আগস্ট রেডিসন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’ শীর্ষক একটি রোড শো’র অনুষ্ঠানে তাঁর বাসস্থান থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভাষণে একথা বলেন।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫ তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শেখ হাসিনা এখানে এসে পৌঁছেন।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য আরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নির্ধারণে বাংলাদেশ তাঁর বাণিজ্যিক পরিস্থিতিকে দৃঢ়তার সাথে শক্তিশালী করে চলেছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ^াস আমাদের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র আমাদের জন্য সুবিধাই দেবে না বরং যারা আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করে তাদের জন্যও লাভজনক প্রমাণিত হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা খুঁজে নিতে তারা বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ, এটি বাংলাদেশের প্রস্তাবগুলোর সাথে নিজেকে পরিচিত করার উপযুক্ত সময়।

তিনি বলেন, ‘এটিই সময় বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে জানার এবং এর ভবিষ্যতে এখানে বিনিয়োগ করার আমরা আইসিটি, ইলেকট্রনিক্স, অবকাঠামো, টেক্সটাইল, পর্যটন, ভারী শিল্প এবং ছোট শিল্পের মতো খাতগুলোতে নানা সুযোগ সুবিধার প্রস্তাব করেছি। আমাদের সরকার সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বাংলাদেশ সম্ভাব্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত উেেল্লখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ যেমন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সর্বোত্তম আয়ের জন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই আপনারা আমাদের উন্নয়ন যাত্রায় অংশ নিন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন; আমরা আস্থাশীল যে আপনাদের বিনিয়োগ সাফল্যের জন্য প্রাধান্য পাবে এবং আমরা একটি টেকসই অংশীদারিত্বের জন্য সম্পূর্ণরূূপে প্রস্তুত।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি নাগরিক একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদের ধন্যবাদ। আমরা আপনাকে আমাদের প্রবৃদ্ধিতে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।’

বাংলাদেশে বিনিয়োগের যৌক্তিকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আসলে, আমাদের দেশে আপনার বিনিয়োগ সুরক্ষিত রয়েছে অব্যাহত হাই রিটান্স ইনভেস্টমেন্টের(আরওআই) কারণে। এছাড়া, আমাদের সরকার ব্যবসা-বান্ধব এবং স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করে যা আপনার বিনিয়োগের সফলতার নিশ্চয়তা দেয়।’ এছাড়া তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেয় এবং বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের রয়েছে সবচেয়ে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ নীতি। এর মধ্যে রয়েছে একটি উদারীকৃত শিল্প নীতি, ওয়ান-স্টপ সার্ভিস, ১০০% বিদেশী মালিকানার ভাতা, একটি সহজ প্রস্থান নীতি, ১৫-বছরের কর ছাড় নীতি, আমদানি করা যন্ত্রপাতির জন্য ভ্যাট ছাড়, সুবিন্যস্ত পরিষেবা এবং আরও অনেক কিছু।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে, আমরা টেকসই দীর্ঘ-মেয়াদী অর্থায়নের জন্য প্রস্তুত আছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, এআই ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ‘আর্থিক সংযোগ’ অনুসরণ করছে। বাংলাদেশ ট্রেডিশনাল কাস্টমার ব্যাংকিংয়ের চেয়ে বিনিয়োগ ব্যাংকিংকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

বাংলাদেশ কেন ‘লুক আফ্রিকা পলিসি’ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আফ্রিকার জনসংখ্যা ১.৫ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং বর্তমানে দ্রুত নগরায়ণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্মুখীন হচ্ছে- যা বাংলাদেশের জন্য, বিশেষত টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষি পণ্যের মতো খাতে রপ্তানি সম্প্রসারনের জন্য অনুকূল সুযোগ প্রদান করছে।’

তিনি আরো বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ আফ্রিকার নতুন বাজারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতা উভয়েই আফ্রিকার অর্থনীতির সম্ভাবনা ও শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুবিধার কথা স্বীকার করে। আফ্রিকায় ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণী, দ্রুত বর্ধিত জনসংখ্যা ও ভোক্তা চাহিদার কারণে অঞ্চলটি বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানির একটি আকর্ষণীয় বাজারে পরিণত হয়েছে।’

তিনি বলেন, একই সাথে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে আফ্রিকান দেশগুলো থেকে প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ ও কাঁচামাল সংগ্রহের উপায় খুঁজছে। এই অন্বেষণের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্প, খনিজ, পেট্রোলিয়াম পণ্য, তুলা, কৃষিপণ্য ও আরো অনেক কিছুর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালও অর্šÍভূক্ত রয়েছে।

গত পাঁচ দশকে, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধা, অভীন্ন মূল্যবোধ ও বিশ্বাস এবং সংস্কৃতিক বন্ধনের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে- উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বন্ধন ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সংযোগের মাধ্যমে আরো সুদৃঢ় হয়েছে। উভয় দেশই উন্নয়নের একই পথে আছে- যা পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নকে সম্ভবপর করে তোলে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গত বছর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ৩১৬.৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার- যা উভয় দেশের রপ্তানি ও আমদানির পূর্ণ সম্ভাবনার তুলনায় কম। উভয় দেশের জন্য আমদানি-রপ্তানির আরো সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে-উভয় দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও বাণিজ্য সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্টদের জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতার সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে। বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়ার বাইরে আমরা ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি যৌথ কমিটি’ প্রতিষ্ঠা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দ্বৈত কর এড়ানোর চুক্তি নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে আগ্রহী।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এফবিসিসিআই ও দক্ষিণ আফ্রিকার চেম্বারের মধ্যে একটি যৌথ ব্যবসায়িক ফোরামও গঠনেরও বাংলাদেশের পরিকল্পনায় রয়েছে।

তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানসহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকার গণপূর্ত ও অবকাঠামো মন্ত্রী সিহলে জিকালালা বক্তৃতা করেন।

বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বৃহত্তর বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় নগরী জোহানেসবার্গে এটি হচ্ছে ৭ম রোড শো।

বিডা ও বিএসইসি বাংলাদেশে বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পদক্ষেপের অংশ হিসাবে দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, কাতার ও জাপানে এই ধরণের রোড শো আয়োজন করে। জার্মানি, কানাডা, রাশিয়া, হংকং, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশেও একই ধরনের রোড শো করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেও বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক ও জাতীয় অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে স্বতন্ত্র একটি দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পাঁচ দশকের অবিচল দৃঢ় সংকল্প, নিরলস প্রচেষ্টা এবং আমাদের নাগরিকদের আপসহীন প্রতিশ্রুতির কারণে সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি, অনেকগুলো বৈশ্বিক গবেষণা, সমীক্ষা ও ব্যাপক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের সাফল্যের যাত্রা বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি স্বতন্ত্র উন্নয়নমূলক নজির হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। দারিদ্র্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি এর জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করার সক্ষমতা প্রদর্শন করছে।

তিনি আরো বলেন, সে কারণেই বাংলাদেশকে প্রায়শই উন্নয়নমূলক বিবরণে প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও কল্যাণের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং প্রায়শই অদম্য চেতনার মানুষের দেশ হিসাবেও দেখা হয়। তিনি বলেন, ‘গত এক দশকে, বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত গড় প্রবৃদ্ধির হার বজায় রেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মহামারী এবং অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখেও এই স্থিতিস্থাপকতা সুস্পষ্ট রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের একটি ‘স্বল্পোন্নত দেশ’ থেকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উত্তরণের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এই অসাধারণ পথচলাকে সুস্পষ্ট করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, একটি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথ তৈরিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ও শিল্পায়নের সুবিধার্থে বাংলাদেশ সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ১০৯টি হাই-টেক অ্যান্ড সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি পদ্মা সেতু এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের উদ্বোধন বহিঃসংযোগ ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য উভয় ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করবে এবং তা প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় ও শক্তিশালী বেসরকারি খাত ভবিষ্যতে যারা আমাদের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করবে তাদের জন্য প্রচুর সুযোগ প্রদান করবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে সম্পূর্ণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের শক্তির কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নিহিত রয়েছে। প্রয়োজনীয় দক্ষতা সম্পন্ন আমাদের প্রায় ৫৫ মিলিয়ন তরুণ-তরুণী ভবিষ্যতে আমাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরো বলেন, ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সংযোগের মাধ্যমে আমাদেরকে সৌভাগ্যের অবস্থানে উন্নীত করেছে। উপরন্তু, একটি ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ বাজার এবং একটি সম্প্রসারিত ভোক্তা শ্রেণী এই জনসংখ্যাগত সুবিধাকে আরও শক্তিশালী করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য তার পুঁজিবাজারকে উন্নত করছে।

তিনি বলেন, ২০২০ সালে, দেশের স্টক মার্কেট আঞ্চলিক মার্কেটগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে বাজার মূলধন প্রায় ৬১ বিলিয়ন ডলার যা জিডিপির ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

তিনি বলেন, ‘আর্থিক অগ্রগতির জন্য, আমরা আমাদের বন্ড মার্কেটকে প্রসারিত করেছি। বিনিয়োগের সুযোগ বৈচিত্রময় করতে আমরা সুকুক, গ্রিন বন্ড, ইটিএফ, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, প্রাইভেট ইক্যুইটি এবং ইমপ্যাক্ট ফান্ড প্রবর্তন করেছি। শিগগিরই, আমরা আমাদের পুঁজিবাজারে ডেরিভেটিভ পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছি, যা বেড়াজালের মাধ্যমে বিনিয়োগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। সূত্র : বাসস

আস্ত অটোরিক্সাকে ৩০ মিনিটেই যন্ত্রাংশে পরিণত করত যারা!

জাতীয়, 27 February 2023, 1452 Views,

কুমিল্লা প্রতিনিধি :
চুরির পর অটোরিক্সার পার্টসগুলো খুব দ্রুত আলাদা করা হতো। কখনো কখনো রং পরিবর্তন করা হতো। এছাড়াও ব্যাটারি খুলে বিক্রি করে দিত চোর চক্রের সদস্যরা। ৩০ মিনিটে অটোরিক্সা তার অস্তিত্ব হারিয়ে পরিণত হতো পার্টসে (যন্ত্রাংশে)!

banner

ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাসহ চোর চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতারের পর এই তথ্য পাওয়া যায়। এ সময় চুরি হওয়া চারটি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়। চোর চক্রের সদস্যদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা আশফাকুজ্জামান জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি চাঙ্গিনী এলাকা থেকে ফজলুর রহমান নামে এক ব্যক্তির অটোরিক্সা চুরি হয়। এ ঘটনায় ফজলুর রহমান বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি অভিযান চালায়। অভিযানে চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতদের তথ্য মোতাবেক চোর চক্রের আরো ৬ সদস্যকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেস বড়ুয়াসহ গোয়েন্দা পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার বেহুতা গ্রামের মোঃ সাইদুর রহমান (৩০), কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শাকতলা এলাকার মোঃ রুবেল (২৮), চান্দিনা উপজেলার অম্বরপুর গ্রামের মোঃ শরীফ (৩২), লালমাই উপজেলার সোন্ডা গ্রামের মোঃ শাহ ইমরান ওরফে শাহিন (৩৪), চান্দিনা উপজেলার শাকুছ গ্রামের মোঃ ছাদেক হোসেন (৩৭), চান্দিনার মহিচাইল গ্রামের মোঃ রুবেল (২৫), চাঁদপুর জেলার কুটিয়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোঃ মানিক হোসেন (২৭), চান্দিনা উপজেলার মুরাদনগর গ্রামের মোঃ লিটন (৩২) ও সদর দক্ষিণ উপজেলার দারোরা লক্ষ্মীপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৩০)।