চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার খাটিহাতা বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অন্তত ৪০টি অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আজ ২ মার্চ রবিবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সরাইল উপজেলা প্রশাসন, সদর ও সরাইল থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এ অভিযানের অংশ নেয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যানজট নিরসনের লক্ষ্যে রবিবার বেলা ১১টা থেকে পৌনে একটা নাগাদ বিশ্বরোড এলাকায় সড়কের পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় বুলডেজার দিয়ে ও শ্রমিক লাগিয়ে অন্তত ৪০টির মতো দোকান গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় নতুন করে যেন আর দোকান না উঠানো হয় এ বিষয়ে স্থানীয়দেরকে সতর্ক করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন, সরাইল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মামুন রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জাল টাকার নোটসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার ভূঁইশ্বর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে ৭২ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার ভূঁইশ্বর গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (৩০) ও অরুয়াইলের আলী হোসেনের ছেলে মো. ইমন মিয়া (২৩)।
তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় ইটভাটায় সন্তানের সামনে নয়ন তারা (৩৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার স্বামী।
আজ ১৩ মে শনিবার ভোরে উপজেলার ধরন্তি এলাকায় দি নিউ আশা ব্রিক ফিল্ডে এ ঘটনা ঘটে। ইটভাটার অন্য শ্রমিকরা ঘাতক চাঁন মোস্তফাকে আটকের পর পুলিশের কাছে দিয়েছেন।
ইটভাটার শ্রমিকরা জানান, চাঁন মোস্তফা ধরন্তি এলাকার দি নিউ আশা ব্রিক ফিল্ডে শ্রমিকের কাজ করতেন। সেখানে অন্য শ্রমিকদের মতো ছাউনি ঘরে স্ত্রী নয়ন তারা ও একমাত্র মেয়ে তাজিনকে (১০) নিয়ে বসবাস করেন।
শুক্রবার রাতে পারিবারিক কলহ নিয়ে চাঁন মোস্তফা ও তার স্ত্রী নয়ন তারার মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় ঘুম থেকে জেগে যায় মেয়ে তাজিন। এক পর্যায়ে সন্তানের সামনেই চাঁন মোস্তফা দা দিয়ে কোপাতে থাকে তার স্ত্রীকে। এ অবস্থায় মেয়ে তাজিন ঘর থেকে বেরিয়ে অন্য শ্রমিকদের বিষয়টি জানায়। তারা গিয়ে দেখেন নয়ন তারার রক্তাক্ত নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। পরে চাঁন মোস্তফাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, মরদেহ সুরতহাল রিপোর্টের পর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি বলেন, জনগণের কামলা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে জনগণ আমাকে ৫ বছরের জন্য কামলা হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি যদি ভাল কাজ করি তবে পরবর্তীতে আমার প্রমোশন হবে। আর আমি যদি কাম না করে কামচোরা হয় তবে পরবর্তীতে আমাকে জনগণ সরিয়ে দিবে। আমি শতভাগ কাজ করব ইনশাল্লাহ।
১৫ জানুয়ারি সোমবার বিকালে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি মঈন উদ্দিন মঈন সরাইল উপজেলায় ল’ ইন অর্ডারে যারা আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আম জনতার এমপি। দল মত নির্বিশেষে সকলে আমার এলাকায় রাতে বাড়িতে শান্তিতে ঘুমাবে। সরাইল-আশুগঞ্জ আমার এলাকায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না। যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে সেটা ভিন্ন কথা।
তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা আপনাদের মতো কাজ করে যাবেন। আপনাদের কাজে আমি ইন্টারফেয়ার করব না। তবে, আমার এলাকায় কারও খবরদারি চলবে না। যারা ইলেক্টেড তাদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে আপনারা কাজ করবেন। কারও সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি হউক এটা আমি চাই না। অনৈতিকভাবে আপনাদের উপর কেউ প্রভাব বিস্তার করলে কিংবা আপনাদের কাজে বাধাঁ দিলে, আমি এটা টলারেন্স করব না।
এলাকার রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে কাবিখাসহ সরকারি স্তূপ বরাদ্দের ব্যাপারে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এখানে কোনো ঘুষ লেনদেন চলবে না। আমি শিক্ষকের সন্তান। আমার দাদাও ছিলেন একজন শিক্ষক। কোনো হারামের টাকা যেন আমার এখানে না যায়। আর কোনো কন্টাক্তারের ফাইল নিয়ে আমার এখানে আসা আমি লাইক করব না। ফাইনাল ম্যাসেজ হিসেবে সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আই ওয়ান্ট হান্ড্রেট পারসেন্ট ওয়ার্ক। ওয়ার্ক টুগেদার টু সি সরাইল আশুগঞ্জ মডেল অব বাংলাদেশ।’
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সরাইল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবু হানিফ মিয়া, সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো: ইসমত আলী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: মাহফুজ আলীসহ সরাইল উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দসহ অন্যান্য স্তরের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে (শিউলি আজাদ) ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ ৭ অক্টোবর সোমবার দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সাম্য এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পরিদর্শক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার দুপুর ১২ টায় তাকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নিকট ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে গত রোববার রাতে ঢাকার নিকেতনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রয়াত এ কে ইকবাল আজাদের সহধর্মিনী।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।