চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত দামে মুড়ি, লেবু ও শসা বিক্রি করায় ৭ ব্যবসায়ীকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ ২ মার্চ রবিবার সকালে নবীনগর পৌর শহরের বড় বাজারে অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন নবীনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবু মুসা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নবীনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবু মুসা জানান, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে পৌর শহরের বড় বাজারে বিভিন্ন মুড়ির দোকান ও কাঁচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রমজানকে সামনে রেখে কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে মুড়ি, লেবু ও শসা বিক্রয় করছে। পরে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার দায়ে ৭ ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৭ মামলায় ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় নবীনগর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরসহ সারাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও আন্যান্য শিক্ষকদের বল প্রয়োগে পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদে আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে নবীনগর প্রেসক্লাব চত্বরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব মোসাম্মৎ কাউসার বেগমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম লিটন, ইব্রাহিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস রহমান, শিক্ষক শাজাহান কবির, শিক্ষক ইয়ার হোসেন, শিক্ষক পার্থ পালসহ প্রমুখ। নবীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ কাউসার বেগম বলেন, সারাদেশে আমাদের শিক্ষক সমাজের উপর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। শিক্ষকদের বল প্রয়োগ করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে। এসব বলপ্রয়োগ বন্ধ করে শিক্ষকগণের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আমরা শিক্ষক সমাজ কর্মবিরতিতে যাবো।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষক সমাজ। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভির ফরহাদ শামীম বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যসস্থা নেওয়ার আশ^াস প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে এক কাজীর বিরুদ্ধে আরেক কাজীর সংববাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ মে শনিবার সকালে শ্যামগ্রাম বাজারে কাজী মোঃ জয়নাল আবেদিনের অফিসে এ সংবাদ সম্মেল অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে জয়নাল আবেদিন লিখিত বক্তব্য বলেন দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের চলমান মামলা অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে বিবাহ নিবন্ধনের জন্য আমিই একক কাজী।
এদিকে মোসাদ্দেক কাজী জানায় এই সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা ভিত্তিহীন, আমার বাবা দীর্ঘদিন এই ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্বে ছিলেন, তারিই ধারাবাহিকতায় শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন সাপেক্ষে আমি এই ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্ব পালন করে আসছি। জয়নাল কাজী নিজেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী দাবি করছেন কিন্তু মামলা চলমান অবস্থায় কাউকে নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার নাই। তাহলে তিনি কি করে নিজেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী দাবি করেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমি রিকল পিটিশন দায়ের করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর পৌরসভার বিজয়পাড়ার বাসিন্দা সোহাগ মিয়া, তার স্ত্রী জান্নাতুল আক্তারকে দুই মেয়ে ফারিয়া ও ফাহিমাসহ পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।
২৮ জুলাই রোববার মাগরিব নামাজের পর জানাযা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌরসভার ইমামবাড়ি কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়েছে। রোববার সকালে সোহাগের ঘর থেকে তাদের চারজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত শেষে চারজনের লাশ বাড়িতে এলে শত শত লোক লাশ দেখতে নিহতদের বাড়িতে ভিড় জমায়। গোসল শেষে তাদেরকে জানাযার জন্য নেয়া হয় নিমতলা মাঠে। সারিবদ্ধ করে রাখা হয় লাশগুলো। মাগরিব নামাজের পর তাদের চারজনের আলাদাভাবে জানাযা শেষে নবীনগর পৌরসভার ইমামবাড়ি কবরস্থানে পাশাপাশি কবরস্থ করা হয়।
জানাযায় শত শত মুসল্লি অংশ গ্রহণ করেন। মুসল্লিদের মুখে মুখে আলোচনায় ছিলো, সোহাগ খুব ভালো ছেলে, ছেলেটা নামাজী ছিলো, কী কারণে এমন একটা কাজ করলো? এমন প্রশ্ন ছিলো উপস্থিত সবার। নিহতের বাবা আমির হোসেন জানান, সোহাগ আমার বড় ছেলে। তাদের মধ্যে পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল না। রাতেও তারা হাসিখুশি ছিল। কী কারণে তার স্ত্রী, দুই শিশু সন্তানসহ গলায় ফাঁস লাগালো, কিছুই বুঝতে পারছি না। সোহাগের শাশুড়ি জানান, আমার ঘরের সঙ্গে আমার মেয়ের ঘর, সকাল হয়ে গেল। কিন্তু আমার মেয়ে ঘুম থেকে উঠছে না। অনেকবার ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চিৎকার শুরু করি। আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে ঘরের দরজা ভাঙে। তখনই দেখতে পেলাম আমার মেয়ে, দুই নাতনি ও জামাই ফাঁসিতে ঝুলে আছে।
নবীনগর থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ দাফনের জন্য তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুত্যুর কারণ জানতে আমাদের তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষ হওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নবাসীর উদ্যাগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বড়িকান্দি ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাহা উদ্দিন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফেরদৌস আহমেদ, মো. তোফাজ্জল আহমেদ তপু প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৪-৫ মাস যাবৎ মেঘনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি, শ্রীঘর, কান্দা পাড়া গ্রামের প্রায় ২০ বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কান্দাপাড়া গ্রামের ১০/১২ টি বাড়ি হুমকির মুখে।
বক্তারা অবিলম্বে নিয়ম বহির্ভূত বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসন থেকে দেয়া ইজারার মাধ্যমে নবীনগরের বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা নতুনচর ও জাফরাবাদ মৌজা থেকে বালু উত্তােলন হচ্ছে।
ইজারাদার সংশ্লিষ্টরা জানান, ইজারার স্থান থেকে ভাঙ্গন এলাকা প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে অবৈধ অস্ত্র, মাদক পাচারকারী, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আসিফ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৯ অক্টোবর বুধবার গভীর রাতে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে মোঃ আলী আকবর (৫৫) এবং মোঃ মতি মিয়া (৪৫) নামে দুজনকে আটক করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সম্মিলিত যৌথ বাহিনী।
এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৪টি রামদা, ২টি চাকু, ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে। পরে তাদেরকে নবীনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যৌথ বাহিনীর নবীনগর ক্যাম্প ইনচার্জ ক্যাপ্টেন আসিফ চৌধুরী জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আটক না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।