স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত সংগঠন (ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশন) এর সমন্বয়ে শতাধিক প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরাও আমাদের মত মানুষ। তাদের পাশে আমাদের সকলকে থাকতে হবে। তাহলেই একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব।
ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সঞ্চালনায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব রুহুল আমিন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান হোসেন , জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত,স্বপ্নতরী সমাজ উন্নয়ণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী তাহের উদ্দিন ভূইয়া, প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজকর্মী বশির আল হাসানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় দুই শতাধিক কবি সাহিত্যিকদের আনন্দঘন অংশহগ্রহনের মাধ্যমে ২৯ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অদ্বৈতমল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন। কয়েকটি পর্বে বিভক্ত এই কবিতা উৎসবে ছিলো উদ্বোধনী আলোচনা। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, আবৃত্তি গান ও সম্মাননা প্রদান।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এসময় তিনি এই ধরণের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্যের সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে দেবার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁর সকল ভালো কাজে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সূচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব কবি আসাদ মান্নান। এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক সাবেক যুগ্ম সচিব কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কবি জয়দুল হোসেন ও কবি মো. আ. কুদদূস। মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এ পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, অনুষ্ঠানের আহবায়ক কমিটির সমস্য সচিব কবি আব্দুর রহিম, উপাধ্যক্ষ একেএম শিবলী।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠণ ও আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এসময় অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনির মোড়ক উন্মোচন ও বিতরণ করা হয়। তাছাড়াও কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস এর সদ্য প্রকাশিত ছিন্নপক্ষ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর আবৃত্তি পরিবেশন করেন তিতান আবৃত্তি সংগঠণের নাওমী।
কয়েকটি পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানমালায় কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, আলোচনা, আবৃত্তি আর গানের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন আমন্ত্রিতরা। দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি জয়দুল হোসেন। এই সময় সভাকবির বক্তব্য প্রদান করেন ফরিদ আহমেদ দুলাল, আলোচনা করেন কামরুল হাসান, মজিদ মাহমুদ, মামুন মোস্তফা প্রমুখ। উপস্থাপনা করেন কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়। এসময় আবৃত্তি পরিবেশনা করেন- ভাষা সাহিত্য ও অনুশীলন কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এসময় সঙ্গীত পরিবেশন করেন কবি আসাদ মান্নানের সহধর্মিনী নাজমা মান্নান।
তৃতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি জয়দুল হোসেন। এই সময় সভাকবির বক্তব্য প্রদান করেন সম্পাদক-অধ্যাপক ও কবি মাহমুদ কামাল, আলোচনা করেন রানা কুমার সিংহ, কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের ডিন ডক্টর জিএম মনিরুজ্জামান। এ পর্বে উপস্থাপনা করেন কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। এসময় আবৃত্তি পরিবেশনা করেন- তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রোকেয়া দস্তগীর।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায় দুই শতাধিক কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।
বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসবে বক্তারা বলেন, বর্ষা ঋতু বাংলার অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কাজেই বর্ষা ও পানিকে সুরক্ষ করতে হবে। তারা বলেন, এদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি বর্ষার পানির উপর নির্ভরশীল। এজন্য আমাদের জলবায়ূ নিয়ে কথা বলতে হবে। প্রকৃতির সব ঋতুর যেনো সুরক্ষা হয়-তা নিয়ে ভাবতে হবে। তারা আরও বলেন, সাহিত্যে বর্ষা নিজস্ব মহিমায় বিস্তৃত। সাহিত্যের প্রাচূর্য বৃদ্ধি পাক। তরুণ প্রজন্মকে সাহিত্যের দিকে টেনে আনার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তারা বলেন, তরুণরা এখন কবিতা লিখছেনা, এটা ভাববার বিষয়। তরুণদের কবিতা পড়ায় উৎসাহ দিতে হবে।
বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসব শিরোনামের প্রশংসা করে তারা বলেন, কবিতার জন্য অবশ্যই বিষয় থাকতে হবে। একটা সময় বর্ষা ছিলো আমাদের জন্য আশির্বাদ। বাংলা সাহিত্যে এমন কোনো কবি নেই যিনি বর্ষা নিয়ে কবিতা লিখেন নাই। অথচ আজ প্রকৃতি যেমন বদলে যাচ্ছে তেমনি আমাদের কবিরাও বর্ষা নিয়ে তেমন কবিতা লিখছে না।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আগত কবিদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ওয়েলকাম ড্রিংকস, চা, মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন ছিলো। পুরো অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি ও গীতিকার এবং কবিতাবিষয়ক গবেষক মো. আ. কুদদূস ও সাবেক যুগ্ম সচিব কবি সানাউল হক।
দিনব্যাপী এই বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কয়েকজন কবি অংশগ্রহন করেন এবং তাদের মাতৃভাষায় রচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবিদের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট, পাবনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, নোয়াখালি ও ঢাকার কবিরা অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুল্লাহ, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যাপক এসআরএম ওসমান গণি সজিব উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৪ জুন বুধবার বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার (পৌর মুক্ত মঞ্চ) মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অডিও কলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা আইন কর্মকর্তা (পিপি) অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, মাহমুদুর রহমান জগলু, এহছানউল্লাহ্ মাসুদ, আশেক মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, মিনহাজ নবী খান পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. এনামুল হক কাজল, মশিউর রহমান লিটন, অ্যাড. আল- মনির রমজান, খোকন কান্তি আচার্য্য, শাহে আলম কিরণ, উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে শামস্ আলম, এম. এ আজিজ, আলী আজম, জসিম উদ্দিন রানা, আমজাদ হোসেন রনি, ইমরান আলী মামুন, আকবর হোসেন লিটন, আল-আমিন সওদাগর, রায়হান আলী ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম মাষ্টার, রাসেল খান, সফিকুল ইসলাম, সাইফুর রহমান মনির, মতিউর রহমান সরকার, আশরাফুল ইসলাম রিপন, সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান, মফিজুর রহমান রনি, অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
১ ডিসেম্বর ছিল বিশ্ব এইডস দিবস। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাঙ্গন হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে শহীদ ডা. মিলন সভা কক্ষে এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ সভার সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন এবং ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন।
এবারের বিশ্ব এইডস দিবস এর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘কমিউনিটির আমন্ত্রন এইডস হবে নিয়ন্ত্রণ’ (Let Communities Lead) বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. মো. মারুফ হোসেন, উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বন্ধু ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির মুখপাত্র মো. আরিফ।
অনুষ্ঠানে এইডস বিষয়ে প্রেজেনটেশন উপস্থাপনা করেন ডিএসএমও ডা. মফিজুর রহমান ফিরোজ।
বক্তাগণ প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর বিষদ আলোচনা করেন এবং এইডস নির্মূলে জনসচেতনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজবাহুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের বৈষম্য মানা হবেনা। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে জেলার সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সম্বন্বয়ক ও সূধীজনদের সাথে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশকে শান্তিপূর্ণভাবে চলতে দিতে হবে। কেউ পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধংস করে দিতে চায় কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, দোষীদের শাস্তি দিতে হলে তদন্ত করে বের করতে হবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তারের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান, সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বুলবুল আহমেদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বকুল, সাংবাদিক ইব্রাহিম খাঁন সাদাত, সাংবাদিক শাহাদৎ হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, সমন্বয়ক সিয়াম, সমন্বয়ক শাহআলম, অভিভাবক মোঃ আজিম, মাহাবুবুর রহমান অভিভাবক অ্যাডভোকেট ইমরুল মুর্শিদ, তানজিনা আক্তার, শিক্ষার্থী শাবনুম শিখার মাতা, শিক্ষার্থী তানহার মাতা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর জেলার ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা চলছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকগনকে বের করে দিয়েছেন। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষকগন নাজেহাল হয়েছেন। এই অবস্থা চলতে দেয়া যায়না। বক্তারা বলেন, সামনে স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা এই অবস্থায় গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকতে পারেনা। বক্তারা আগামীকাল ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবারের মধ্যে গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল খুলে দেয়ার দাবি জানান। বক্তারা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে কোন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমানিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এর আগে অভিযুক্ত শিক্ষকদেরকে পাঠদানের সুযোগ দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে হবে। ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সভায় বুধবার গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়লা-আবর্জনাসহ দখলে ভরাট হয়ে যাওয়া মেড্ডা শ্মশান ঘাট খাল পুনরুদ্ধার কাজ শুরু করেছে পৌরসভা।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শহরের মেড্ডা শ্মশান ঘাট থেকে কবরস্থান পর্যন্ত খাল পুনরুদ্ধার করেছে পৌরসভা। এসময় খাল পাড়ে থাকা ২৩টি দোকান উচ্ছেদসহ ভরাট হয়ে যাওয়া জায়গা থেকে মাটি অপসারণ করে খালের ৪০০ ফুট জায়গা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ময়লা-আবর্জনা ও দখলের কবলে পড়ে শহরের মেড্ডা শ্মশানঘাট ভরাট হয়ে গেছে। খালের দৈর্ঘ্য ৬০০ মিটার। মেড্ডা এলাকার বাসিন্দারা খালটি উদ্ধারের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাছে আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকাল আটটার দিকে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোঃ আবদুল কুদদূস মেড্ডা শ্মশান ঘাট খাল পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেন। এসময় তাঁর সাথে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউসার আহমেদ, নগর পরিকল্পনাবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কাওসার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) সুমন দত্ত ও সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমানসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মেড্ডা এলাকার বাসিন্দা শরাফত হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খালটি দখল ও ভরাটের কব্জায় ছিল। একটি প্রভাবশালী মহল খালের পাড়ে মাটি ফেলে ভরাট করে দোকান নির্মাণ করে দখল করে রেখেছিল। তাছাড়া ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারনে খালটি ভরাট হয়ে গেছে। খালটি উদ্ধার করা খুব দরকার। পৌরসভা দীর্ঘদিন পরে হলেও একটি কাজের কাজ করেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) সুমন দত্ত বলেন, মেড্ডা শ্মশান ঘাট খালটি ভরাটসহ দখল হয়ে গিয়েছিল। খালের মেড্ডা শ্মশান ঘাট থেকে কবরস্থান পর্যন্ত পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলেছে। খালটি পুনরুদ্ধারের সময় খালের পাড় ভরাট করে নির্মাণ করা ২৩টি দোকান উচ্ছেদ করে সেখান থেকে মাটি অপসারণ করা হয়েছে। খালের প্রায় ৪০০ ফুট বা ১৫০ মিটার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।