হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
‘প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ভালবাসুন, নিজেকে ভালবাসুন এবং একে অন্যকে ভালবাসুন-তাহলেই প্রবাসের স্বপ্ন পূরণের পথ সুগম হবে, বহুজাতিক এ সমাজে নিজেরা উদ্ভাসিত হতে সক্ষম হবো’ প্রবাসী শেরপুর জেলা সমিতির নয়া কমিটির অভিষেক উৎসবে এমন আকুতি ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। এক মিনিটের এই বক্তব্যে উপস্থিত সকলেই অভিভূত এবং সকলের প্রত্যাশার পরিপূরক আহবানই এই আমব্রেলা সংগঠনের নেতার কন্ঠে ধ্বনিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের জন্যে নির্বাচিত প্রবাসী শেরপুর জেলা সমিতির এই অনুষ্ঠান হয় ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় হিলসাইডের আল- আকসা (তাজমহল রেস্টুরেন্ট) পার্টি মিলনায়তনে ।
সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক আবুল কাশেমের তত্ত্বাবধানে কমিউনিটির সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্বকারি ব্যক্তিবর্গের বিপুল উপস্থিতির এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী সভাপতি নাহিদ রায়হান লিখন। প্রধান অতিথি ছিলেন হোমকেয়ার ব্যবসায়ী এইচ এম জামিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডিউক খান, সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদার, শেরপুর সমিতির সাবেক সভাপতি মামুন রাশেদ ,আক্তারুজ্জামান ও জান্নাতআরা রহমান এবং অভিষেক-উৎসবের জন্যে গঠিত সাব কমিটির আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রাসেল, সদস্য-সচিব নাইস চৌধুরী ।
মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিরবতা পালনের পর পবিত্র কোরআন ও গীতা থেকে পাঠ করা হয়।
নূতন কমিটর শপথ বাক্য পাঠ করান সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক আবুল কাশেম। অতিথিগণকে মঞ্চে নিয়ে অভিষিক্তরা হলেন : সভাপতি-ইঞ্জিনিয়ার প্রদোষ চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক-ছামেদুল হক ঝন্টু, সিনিয়র সহ সভাপতি আক্তারুজ্জামান এবং সাবেরা জামান চৌধুরী, সহ সভাপতি আল আমিন এবং এস এম আসাদুজ্জামান সেলিম, কোষাধ্যক্ষ রাকিবুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মেহেদী হাসান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক সিহাব আহমেদ কিবরিয়া। কার্যকরী সদস্যরা হলেন নাহিদ রায়হান লিখন,মাসুদ পারভেজ মুক্তা,সিরাজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম. গৌতম চক্রবর্তী মিন্টু,মোসতারীন আক্তার লিমু,মোস্তফা সাদী, শহিদুল আলম শাহীন বদিউজ্জান মিয়া শিমুল এবং রেখা জামান চৌধুরী।
আধ্যাতিক মরমি সাধক গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী’র পদধন্য শেরপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কমিউনিটিতে তুলে ধরার নিরলস প্রয়াস অব্যাহত রাখার জন্য সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও সাংবাদিক আবুল কাশেম ও বিদায়ী সভাপতি নাহিদ রায়হান লিখন ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে বিশেষ সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় ।
অনুষ্ঠানে দেশের গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শাহ মাহবুব ও রুখসানা মির্জা ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া রুমী, জামালপুর সমিতির সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, সাপ্তাহিক প্রবাস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, সাপ্তাহিক ঠিকানার বার্তা সম্পাদক এম. শহীদুল ইসলাম, সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি ইয়র্কের সম্পাদক শাহ ফারুক, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, ভিপি জসীমউদ্দীন, বাংলাদেশ মিশনের প্রসাশনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও রানা রায়হান প্রমুখ ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা সাদী ।
অনুষ্ঠানে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।
আরিফুর রহমান আরিফ ২০ জানুয়ারি সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ শুরু। আরিফুর রহমান আরিফ আশা প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে বিশ্বের সকল যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করবেন। তিনি বিশ্ব মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উপর সকল ভ্যাট ও টাক্স পরিহার করে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর জন্য এক মাইলফলক স্থাপন করবেন। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের সকল মানুষের কল্যাণের এক শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিশ্বের সকল বিশ্ব নেতাদের প্রতি আমার অনুরোধ বিশ্বে মানবতার কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল আল্লাহর/ স্রষ্ঠার সৃষ্টি সকল মানুষকে ভালোবেসে মহান আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ ও শান্তি লক্ষ্যে সকলে একসাথে কাজ করলে আল্লাহ রহমতে বিশ্ব শান্তি বয়ে আনবে। পরিশেষে আজকের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল বিশ্ব নেতাদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে এবং আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন Brahmanbaria2usa.com এর সম্পাদক ও প্রকাশক আরিফুর রহমান আরিফ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বিশ্বব্যাপী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যাপক প্রসারে ইউরোপ-আমেরিকা সহ সারা বিশ্বেরই চোখ এখন আইটি খাতে। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার বিভিন্ন স্বনামধন্য আইটি সেক্টরে কাজ করা অসংখ্য বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান আইটি ও সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞরা এই খাতে বাংলদেশের সম্ভাবনার দরজা আরো ব্যাপক পরিসরে উন্মোচনের জন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে এসেছে!
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আইটি বিশেষজ্ঞ গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব নেটওয়ার্ক বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ মিজান চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য বাংলাদেশী আইটি প্রতিষ্ঠান আইডাটাকোর ইমফোটেকের সিইও ও নিউইয়র্কের বোর্ড অব এডুকেশনে কর্মরত সিনিয়র আইটি বিশেষজ্ঞ আহমেদ সোহেল সম্প্রতি নিউইয়র্কে অন্যান্য আইটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আমেরিকান-বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন (বিএটিসি) নামে একটি আইটি সংগঠন গঠন করেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক সাধারণ সভায় সংগঠনের একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিউইয়র্কের জামাইকায় অবস্থিত মেহমান রেস্টুরেন্টে এক অনুষ্ঠানে এ কার্যকরী কমিটি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট হিসাবে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন মিজান চৌধুরী. প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন আহমেদ সোহেল, এই কার্যকরী কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন সিনিয়র সহসভাপতি – ড মোহাম্মদ শফি চৌধুরী, সহসভাপতি- মাহফুজ রহমান, সহসভাপতি-রায়ান তাজ, যুগ্ম সম্পাদক-রাশেদুল আলম রিমেল, যুগ্ম সম্পাদক-সাদাত হোসেন, কোষাধ্যক্ষ- তোরিকুল ইসলাম, সহকারী কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, সংগঠনিক সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-রাব্বি আরমান, মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক-মো. আজাদ, সদস্যপদ বিষয়ক চেয়ারম্যান-আসাদুজ্জামান চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য – সংগীত সাহা, আনিসুর রহমান, মো. সামদানি, মো. আব্দুল করিম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠনের পরিচিতি অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইটি বিশেষজ্ঞ ও কমিটির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সোহেল। সভাপতিত্ব করেন আইটি বিশেষজ্ঞ ও কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি মিজান চৌধুরী।
বিশেষ আলোচনা সভায় উপিস্থিত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান আইটি বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলার জন্য একটি টেকসই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন যেখানে তারা আইসিটি (ICT) ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা, মেন্টরশিপ ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন।এক্ষেত্রে তারা নিকট ভবিষতে একটি আইটি ওয়ার্কশপ আয়োজনের ব্যাপারেও মতামত ব্যাক্ত করেন। পাশাপাশি কমিউনিটির স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে তারা তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করতে পারবেন এবং আইটি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত পেতে পারেন।
বাংলাদেশি এবং আমেরিকান প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময় ও ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা উন্নীত করার ব্যাপারেও তারা গুরুত্বআরোপ করেন। নবগঠিত ব্যাতিক্রমী এই আইটি সংগঠনটি বাংলাদেশি-আমেরিকানদের আইটি খাতে উৎসাহী করতে আইটি খাতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি, প্রশিক্ষণ সেশন এবং নেতৃত্ব উন্নয়ন কর্মসূচিসহ পেশাগত অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জনে ফ্রি সার্ভিস দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
নিউইয়র্কে বাঙালী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবণ নির্মানের জন্য ফান্ডরেজিং লাঞ্চ ২২ ডিসেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ঈদুল আযহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ডে একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এ ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীবৃন্দ মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানে অর্থ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতায় তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বাংলাবাজার জামে মসজিদের ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলীর সভাপতিত্বে এবং মসজিদের সাধারণ সম্পাদক লালন আহমেদ ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ বদরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে বক্তব্য রাখেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ ও বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহইয়া।
তারা মসজিদকে ইবাদত বন্দেগীর সর্বশ্রেষ্ট স্থান হিসেবে উল্লেখ করে কুরআন-হাদীসের আলোকে মসজিদ নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইহকাল-পরকালের কল্যাণে সহীভাবে ইসলাম পরিপালনের দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তারা মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের নিকট অনুরোধ জানান।
মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর নতুন জায়গায় বহুতল মসজিদ ভবণ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, স্থান সংকুলানের অভাবে বর্তমান মসজিদে জুমার নামাজে দু’টি পৃথক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তার পরও স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লীদের বাইরে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। এজন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলী ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মসজিদ নির্মাণে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রঙ্কসের ১৩৫১ ওডেল স্ট্রিটে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়, মসজিদের ক্রয়কৃত পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গায় নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজ শুরু করার পর পর্যায়ক্রমে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ঈদুল আজহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
আলমাছ আলী ইউএসএনিউজঅনলাইন.কমকে জানান, অনুষ্ঠানে সুধী ও মুসল্লীরা বাংলাবাজার জামে মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানের জন্য অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতিসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আবু সাঈদ।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটি সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, বাংলাবাজার মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা মো. ফখরুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ দলা মিয়া ও ডা. মোহাম্মদ শাহ আলম, মসজিদের লাইফ মেম্বার ডা. রুমানা সবুর, ডা মাসুম, ডা. কাদের, ডা. জুয়েল, ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হাশেম হাসনু ও সামাদ মিয়া জাকারিয়া, মসজিদ কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ এ হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক শামিম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, সহ কোষাধ্যক্ষ সোহেল চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য আজিজুল হক, ওয়ালিউর রহমান, লাইফ মেম্বার আকশাদ আলী বাবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটি, মুসল্লীসহ সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্যরা।
শেষে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। মসজিদের জন্য সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা : বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক, ১৩৫১, ওডেল স্ট্রিট, ব্রঙ্কস, নিউইয়র্ক – ১০৪৬২, ফোন : ৩৪৭-২৯৩-৫৮৫৮।
বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক্, চেজ ব্যাংক এন.এ. হিসাব নং : ১৭৮ ৭৩২ ৯০৬, রাউটিং নং : ০২১০০০০২১ এবং gofundme, Zelle.
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী মরহুম আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের প্রচেষ্টায় ব্রঙ্কসে বাঙালীদের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র স্টারলিং-বাংলাবাজার এলাকায় ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ভাড়া বাড়িতে বাংলাবাজার জামে মসজিদের যাত্রা শুরু হয়। পরের বছরের মাঝামাঝি ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার মূল্যে মসজিদের বর্তমান নিজস্ব ভবণটি ক্রয় করা হয়। গত ২০২৩ সালে বাংলাবাজার জামে মসজিদের জন্য ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মসজিদের পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গা ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ক্রয় করা হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির (ডিএনসি) ভাইস চেয়ারম্যান (Civic Engagement and Voter Participation ) পদে প্রথম মুসলমান প্রার্থী বাংলাদেশী-আমেরিকান ষ্টেট সিনেটর (জর্জিয়া) শেখ রহমান চন্দন ২৪ জানুয়ারি সাউথ ক্যারলিনায় অনুষ্ঠিত পার্টির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামে বলেছেন, এখনও সময় হচ্ছে নেতৃত্বে আমার মত লোকের আসার। ট্রাম্পের মত লোকেরা বারবার আসছেন এবং চলেও যাচ্ছেন। কিন্তু আমার মত বাদামি রংয়ের মানুষেরা, মুসলমানেরা কখনোই এদেশ-সমাজ থেকে চলে যাবো না। বিভিন্ন অঞ্চল ও স্টেটের নেতৃবৃন্দের তুমুল করতালির মধ্যে সিনেটর শেখ রহমান চন্দন আরো বলেন, গত নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিপর্যয়ের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু হোয়াইট হাউজ আর ক্যাপিটল হীলেই নয়, স্টেট, সিটি ও কাউন্টি প্রশাসনেও ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিজয়ের পথ সুগম করতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলে আগামী ৯০দিনের মধ্যে বিজয় নির্দ্ধারণী ৭টি স্টেটে গিয়ে আপামর মানুষের সাথে মতবিনিময় করবো। সামনের দু’বছরের মধ্যে সকল টেরিটরিসহ ৫০টি স্টেট ভ্রমণ করবো এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রতি আমেরিকানদের আস্থার ভিত পুনপ্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। এটাই সময়ের দাবি। শেখ রহমান চন্দন আরো উল্লেখ করেছেন, ভোটারের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ সুগম করতেও সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্বকারিরা নীতি-নির্দ্ধারণে অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ পেতে হবে। বিশেষ কোন বর্ণ আর জাতি-গোষ্ঠির আধিক্য পরিহার করতে পারলেই নাজুক অবস্থা থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টিকে উদ্ধার করা সহজ হবে। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচরের সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের সন্তান শেখ রহমান চন্দন ২০১৮ সাল থেকে ডিস্ট্রিক্ট-৫ আসনে জর্জিয়া লোকাল সরকারের স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এটা হচ্ছে তার চতুর্থ টার্মের দায়িত্ব। ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের অভিপ্রায়ে উচ্চ শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন এবং সেন্ট্রাল পাইডমন্ট কম্যুনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর কর্মজীবনে পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি বসবাসকারি এলাকার বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণের মানুষের সাথে সম্পর্ক নিবিড় করতে সক্ষম হন। সেই পথ বেয়েই আফ্রিকান-আমেরিকান ও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান অধ্যুষিত এলাকা থেকে বারবার বিজয়ী হচ্ছেন। স্পষ্টভাষী শেখ রহমান চন্দনের স্ত্রী আফরোজা এবং এক পুত্র আঞ্জার ও এক কন্যা রাওদাকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকাতেই স্থায়ীভাবে বাস করছেন। ডিএনসি নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদি।
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পাশাপাশি সিনেট এবং হাউজেরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুইয়েছে ডেমক্র্যাটরা। অনেক স্টেটের আসনও হারিয়েছে। এহেন অবস্থায় ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে উদ্যমী-কর্মঠ-মেধাবি এবং ধর্ম-বর্ণ-অঞ্চল নির্বিশেষে সকল আমেরিকানের আস্থা রয়েছে-এমন ব্যক্তিগণের প্রয়োজনীয়তা অনুভ’ত হচ্ছে। সে তাগিদ সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর মধ্য থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩দিনের এই জাতীয় সম্মেলন হবে ম্যারিল্যান্ড স্টেটে ন্যাশনাল হার্বারে। পার্টির চেয়ারম্যান, ট্রেজারার, ভাইস চেয়ারসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি। আরো উল্লেখ্য, প্রথম বাংলাদেশী এবং প্রথম মুসলমান প্রার্থী হলেও ষ্টেট সিনেটর শেখ রহমান চন্দনকে ইতিমধ্যেই ৬ টেরিটরি-সহ অধিকাংশ স্টেটের ডেলিগেটরা সাপোর্ট দিয়েছেন। এরফলে তার নির্বাচনের পথ অনেকটা সুগম হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। ভাইস চেয়ার পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন কংগ্রেসওম্যান (ওহাইয়ো ) জয়েস বীটি, কংগ্রেসওম্যান নিকেমা উইলিয়ামস (জর্জিয়া), বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ার সাবেক স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান (নিউইয়র্ক) মাইকেল ব্ল্যাক প।
সময়ের প্রয়োজনে চার বছর মেয়াদি (২০২৫-২০২৯) ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরগরম শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও। সচেতন ভোটারেরও অধীর আগ্রহে নয়া নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। তেমন একটি আকাঙ্খার পরিপূরক কমিটির চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৮ জন। এর অন্যতম হচ্ছেন ম্যারিল্যান্ড স্টেটের সাবেক গভর্ণর এবং সোস্যাল সিকিউরিটি এডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার মার্টিন ও’ম্যালি, উইসকনসিন স্টেট ডেমক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান বেন উইকলার, বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ার কেন মার্টিন, ইউএস সিনেট প্রার্থী (ম্যারিল্যান্ড) রবার্ট হোটন, এটর্নী ও রাজনৈতিক বিশ্লেক (ম্যাসেচুসেট্স)জ্যাসন পোল, বাইডেন ও ওবামা প্রশাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ন্যাট স্নাইডার, ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার টিমে দায়িত্বপালনকারি সংগঠক ও লেখক ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন এবং টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির এডজাঙ্কট প্রফেসর কুইনটেসা হ্যাথাওয়ে। ট্রেজারার পদে লড়ছেন অলাভজনক একটি সংস্থার সিইও এবং নর্থ ক্যারলিনা ডেমক্র্যাটিক পার্টির ওরেঞ্জ কাউন্টি শাখার সাবেক চেয়ারপার্সন ম্যাট হাজেজ এবং বিদায়ী কমিটির ট্রেজার ভার্জিনিয়া ম্যাকগ্রেগর। সেক্রেটারি পদেও সরাসরি লড়াই হচ্ছে দু’প্রার্থীর। এরা হলেন নিউজার্সি শ্রম দফতরের সাবেক ডেপুটি কমিশনার ম্যারিলিন ডেভিস এবং বিদায়ী কমিটির সেক্রেটারি জ্যাসন র্যা। ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ার পদে পুনরায় লড়ছেন বিদায়ী কমিটির চেয়ার ক্রিস কর্গ এবং ডেপুটি চেয়ার ক্রিস্টফার লওই।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জর্জিয়া স্টেট সিনেটর হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাবিলা ইসলাম। গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জর্জিয়ার ৭ম সিনেট জেলা থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নাবিলা তার স্বামী পার্কেস এবং নবজাতক ছেলে আহসানকে সঙ্গে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিশু ও পরিবার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং প্রাক্তন সেনা, সামরিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক সিনেট কমিটিগুলিতে মনোনীত হয়েছেন।
সিনেটর নাবিলা ইসলাম সম্প্রতি জর্জিয়া উইমেনস লেজিসলেটিভ ককাসের সহ-চেয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নাবিলা ইসলাম একজন উদীয়মান নেত্রী এবং সমাজসেবী। তিনি জর্জিয়ার ডুলুথ একজন বাসিন্দা এবং একজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, যিনি তার কর্মজীবন ও পারিবারিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কমিউনিটির সেবা প্রদান করছেন।
নাবিলা ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী পরিবারে। তার বাবা-মা একটি উন্নত জীবন গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। নাবিলা জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।
নাবিলা ইসলাম ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো জর্জিয়া রাজ্যের ৭ম সিনেট জেলা থেকে নির্বাচিত হন। তিনি অত্যন্ত প্রতিভাবান, দক্ষ এবং জনগণের সমস্যাগুলোর প্রতি আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছেন। তার পিতামাতার অভিবাসী জীবন থেকে তার অনুপ্রেরণা আসে, এবং তিনি সবসময় তার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করেন কমিউনিটির উন্নতির জন্য।
শপথ গ্রহণের পর সিনেটর নাবিলা ইসলাম বলেন, একজন শ্রমজীবী অভিবাসীর কন্যা হিসেবে, আমি সবসময় আমাদের বৈচিত্রময় সম্প্রদায়গুলিকে উজ্জীবিত করতে আমার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করব। তিনি বলেন, একজন নতুন মা হিসেবে, আমি বুঝতে পারি যে জর্জিয়ার পরিবারগুলো কী ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আমি প্রস্তুত, যতটুকু সম্ভব, জর্জিয়াকে এমন একটি স্থানে পরিণত করতে যেখানে পরিবারগুলো সফল হতে পারে এবং শিশুরা উন্নতি করতে পারে।