চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। তাদের রাজনীতি হচ্ছে হত্যা ও মিথ্যার রাজনীতি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, তাদের বিশ্বাস করা যায় না।
আজ ১০ মার্চ শুক্রবার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছোট ভাই আরিফুল হক রনির ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনামলে দেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি ও মিসকিনের দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন।
এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০টি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি গণভবন থেকে যুক্ত ছিলেন।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম যুক্ত ছিলেন শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প, পুনঃখননকৃত ৪৩০টি ছোট নদী, খাল, জলাশয়ের উদ্বোধনসহ নতুন ২০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলাবদ্ধতা যেন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সব জায়গায় পানি সরে যাওয়ার জন্য জলাধার রাখতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নদী-নালাগুলো মানুষের জীবনের মতো, এগুলোর প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। মানুষের হার্ট বন্ধ হলে যেমন মরে যায়, নদী-নালার প্রবাহ বন্ধ হলে দেশটাই মরে যায়। শুধু পাড় বাঁধলেই হবে না, নদীর ড্রেজিংও করতে হবে।
জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রত্যেক এলাকায় নদী, খাল, বিল, হাওরের পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নদীপথগুলোও সচল করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। একই সঙ্গে দেশের ৬৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি আই সেন্টার’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চেয়েও পাকিস্তানিরা বিশ্ববাসীর চাপে পারেনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে তাকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল দেশটাকে আবারও পাকিস্তান বানানোর জন্য। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখা যায় না। এর কারণ তিনি বুজতে পেরেছিলেন এই পাকিস্তান রাষ্ট্রের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তি আসবে না। তাই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং জীবনের ১৩ বছরেরও অধিক সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কখনো পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেননি।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানিরা নিরীহ বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা করলে তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোর রাতে স্বাধীনতার ডাক দেন। বাঙালি জাতি তার ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার পথকে তরান্বিত করবেন। আমি কসবা-আখাউড়ায় বহু উন্নয়ন করেছি। প্রায় আড়াইহাজার বেকারকে চাকরি দিয়েছি। তাই আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই।
শোকসভায় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভুঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম জি হাক্কানি, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সোহাগ, কাজী আজহারুল ইসলাম, এমরান উদ্দিন জুয়েল, মনির হোসেন, শামিম আহম্মেদ, বাহাদুর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন। পরে মিলাদ ও মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গরুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার প্রান্তিক খামারিরা। এই রোগে আক্রান্ত গরুর গায়ে গুটি বের হতে দেখা যায়। পরে গায়ে প্রচণ্ড ব্যথায় গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন খামারি ও গরু পালনকারীরা।
কসবার গরু পালন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এখন গরু পালন করা হচ্ছে। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরু পালন অনেকের সংসারে সচ্ছলতা এনেছে। পাশাপাশি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু নতুন এই রোগের কারণে শঙ্কিত গরু পালনকারীরা।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ হাসপাতালে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশ আক্রান্ত গরু চিহ্নিত হয়েছে। এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। প্রতিদিনই নতুন আক্রান্ত গরু চিহ্নিত হচ্ছে। এই রোগে গরুর গায়ে গোটা উঠতে দেখা যায়।
গরু পালনকারী সৈয়দাবাদ গ্রামের আলিম মিয়া জানান, গাভী গরুগুলো বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এতে প্রয়োজনীয় দুধ না পাওয়ায় বাছুর পালন করতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। অন্যদিকে গরুর শরীরে ব্যথা ও শরীরে ঘা’র স্থলে মশা-মাছি বসে অস্থির করে রাখছে।
একই গ্রামের গরু পালনকারী বিল্লাল মিয়া বলেন, এ রোগ হলে চিকিৎসা কী হবে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণা নেই। প্রাণীসম্পদ হাসপাতালেও কোনো চিকিৎসা নেই। শুধু জ্বর ও ব্যথার ইনজেকশন দিচ্ছে। এতে আক্রান্ত গরুর ফোলা ও গুটি সারতে অনেক সময় লাগছে। অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
কসবা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তারেক মাহমুদ বলেন, মশা-মাছির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। মশা বা মাছি আক্রান্ত গরুর শরীরে বসে। অন্য একটি সুস্থ গরুর শরীরে বসলে সেটিও আক্রান্ত হয়ে যায়। তাই এই রোগ প্রতিরোধে গরুগুলোকে মশারির ভেতরে রাখা ও বাড়ির আশপাশ (গোয়াল ঘর) পরিষ্কার রাখতে বলা হচ্ছে। এছাড়া এ রোগের বিস্তার ঠেকাতে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ভাইরাসজনিত এই রোগের কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে ছাগলের বসন্ত রোগের মিল থাকায় প্রাথমিকভাবে ১১ হাজার সুস্থ গরুকে ‘গোট পক্স’ টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রোগ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ প্রাণীসম্পদ দপ্তর বা ভেটেরিনারি সার্জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। সেখানে বেশির ভাগ দক্ষ জনগোষ্ঠী প্রয়োজন পড়বে। দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে `স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইনকিউবেটর সেন্টার তৈরি করে কম্পিউটার ট্রেনিং দেওয়া শুরু করেছি। তাছাড়া স্কুল লেভেল থেকে কম্পিউটার ল্যাব করে দিচ্ছি, সেখানে ট্রেনিং দিচ্ছি। পাশাপাশি ন্যানো টেকনোলজির জন্য একটি আইনও করে দিয়েছি। ন্যানো টেকনোলজির ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। আইন ইতিমধ্যে কেবিনেট অনুমোদন দিয়েছি। দ্রুতই আইন পার্লামেন্টে পাস করে দেব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযুক্ত স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে ওঠে সে জন্য এসব পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।
সরকার বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় পরিকল্পনা নিয়েছিলাম সরকারে গেলে কী করব। আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। ব্যবসা-বাণিজ্যে বেসরকারি খাতকে আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যাংক, বিমা, হেলিকপ্টার সার্ভিস, বিমান থেকে শুরু করে বেসরকারি টেলিভিশন, শিল্প, কলকারখানা, হাসপাতাল, যা কিছু যেখানে দরকার সবকিছু তৈরি করার জন্য বেসরকারি খাতকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছি। শিল্প, কলকারখানা বা বিনিয়োগ যদি না হয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। অনেক বাধা অতিক্রম করে আমাদের এসব করতে হয়েছে। অনেক পরামর্শদাতা বিদেশ থেকে এসে পরামর্শ দিত, এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। সরকার গঠনের আগেই এই পরামর্শ শুনতে হয়েছে। আমার একটাই কথা ছিল, দেশটা আমাদের, মাটি ও মানুষও আমাদের। তাদের ভালো মন্দ কী হবে সেটা আমরা বুঝি, জানি। আমরা আমাদের মতো করেই করব।
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের দেশের জনগণ হবে স্মার্ট সিটিজেন, আমাদের ইকোনোমি হবে স্মার্ট ইকোনমি, আমাদের সমস্ত গভর্নমেন্টকে আমরা স্মার্ট গভর্নমেন্ট করতে চাই, পাশাপাশি আমাদের সমাজ হবে স্মার্ট সোসাইটি। এভাবে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলাম, দিন বদলের সনদ, রূপকল্প ২০২১। আমরা তা বাস্তবায়ন করেছি। ফলে আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এখন আমরা শিল্প কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে স্মার্ট ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, রোবোটিক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানো টেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিজিটাল ডিভাইসে।
তিনি বলেন, শুধু স্বপ্ন দেখলে হবে না স্বপ্ন বাস্তবায়নেরও চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। সে জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এখানে যেমন বয়স্ক অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীরা আছেন, আবার নতুন প্রজন্মের ব্যবসায়ীরাও আছেন। আমাদের যুব সমাজকে আমরা সেভাবে উৎসাহিত করতে চাই, তারা নিজেরাই মাস্টার হবে, নিজেরাই উদ্যোক্তা হবে, নিজেরাই চাকরি দেবে, সে যোগ্যতা তারা অর্জন করবে। সেজন্য ইতিমধ্যে স্ট্যাটাস প্রোগ্রাম আমরা কার্যকর করেছি। স্ট্যাটাস প্রোগ্রামের পাশাপাশি তাদের জন্য স্পেশাল ফান্ডও রেখেছি আমি বাজেটে। কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে এক ব্যক্তি যাতে একাধিক কোম্পানি খুলতে পারে সেই ব্যবস্থাও নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবসা করি না। কিন্তু আমরা ব্যবসায়ীকে উৎসাহিত করা, সুযোগ সৃষ্টি করা, সুবিধার তৈরি করে দেওয়া, পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া এবং সেই সুযোগ নিশ্চিত করে ব্যবসাবান্ধব সরকার আমরা নিশ্চিত করেছি। সেটা আপনার উপলব্ধি করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দল-মত নির্বিশেষে কে কোন দলের আমরা কিন্তু সেটা দেখিনি। কে কোন ব্যবসা করে, কার কারণে দেশের মানুষ লাভবান হচ্ছে সেটাই আমার কাছে বিবেচ্য। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য যার যতটুকু প্রয়োজন সুযোগ সুবিধা আমরা কিন্তু সেটা দিই। এটা বলতে পারি আমরা কিন্তু হাওয়া ভবন খুলিনি, স্বাধীন মতো ব্যবসা করতে পারেন সেই ব্যবস্থাটাই করে দিয়েছি। অর্থাৎ সরকার সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দেবে, অবকাঠামো উন্নয়ন করে দেবে। সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ব্যবসায়ী-বান্ধব সরকার। সেটা নিশ্চয়ই আপনারা টের পেয়েছেন। আমি চাই, ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাক।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর এক একটা কাজ করতে গিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়। মেট্রোরেল করার সময় শুনতে হলো, ‘৩৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করার কী দরকার। ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই তো নাকি সব সমাধান হয়ে যায়।’ অবশ্য ভালোই একদিকে। আমি বেসরকারি খাতে অনেক টেলিভিশন দিয়েছি, সেখানে সবাই টকশো করে আর টক টক কথা বলে। সেই টক টক কথা শুনতে হয়। মাঝে মাঝে আমি বলি, আপনারা শুধু টক টক বলেন কেন? কথা যদি টক-ঝাল-মিষ্টি হয় তখন না সুস্বাদু হবে।
তিনি বলেন, একজন বলে দিলেন, ‘এতো টাকা খরচ করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল করার কী দরকার ছিল।’ মানে আপনি যাই করতে যান, কিছু লোকের মানসিকতাই হচ্ছে কিছুই ভালো লাগে না। তাই কিছুই ভালো লাগে না লোকের কথা ভুলে গিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য যা করা দরকার সেটাই করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশের সঙ্গে সেই ৮১ সালের বাংলাদেশের অনেক তফাৎ। অনেকেই বলেছিলেন যে, ‘এতো ব্যাংক দিয়ে কী হবে? বাংলাদেশের অর্থনীতি তো এত বড় না।’ আমার কথা ছিল, অর্থনীতি তো এতো ছোটো থাকবে না। অর্থনীতি বড় করার জন্যই তো আমাকে ব্যাংক দিতে হবে। কাজেই সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ সময় নতুন বাজার খুঁজতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় মন্দা চলছে। সেখানে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। তাছাড়া সেখানে রপ্তানি খরচও বেড়ে গেছে। এজন্য বিকল্প বাজার খোঁজতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান উজ্জ্বল মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার রাত ৯ টার দিকে জেলার কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বিস্ফোরক উপাদানাবলি আইন এর ৩/৬ ধারার পলাতক আসামি।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।