অনলাইন ডেস্ক :
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য চলতি বছর সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হবে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ কবি আল মাহমুদ (মরণোত্তর)। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী (মরণোত্তর)। পাশাপাশি পপ সম্রাট আজম খান (মরণোত্তর) পাচ্ছেন সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। সেই সঙ্গে বামপন্থি রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর ও ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর) পাচ্ছেন এই পুরস্কার।
এছাড়া ভাস্কর নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর) ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাদের স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, সম্মানীর অর্থের চেক ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাভারে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভোর রাতে ছিনতাই করার সময় তাদেরকে গ্রেফতার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আজ ৪ জুলাই ভোর রাতে সাভারের শাহীবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার শান্তসহ বাকিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছিনতাই করার সময় স্থানীয়রা তাদের ধরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গ্রেফতার করে।
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, গ্রেফতারকৃতদের নামে সাভার মডেল থানায় আগে থেকে কোন মামলা নেই। তবে আশেপাশে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেগুলা নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এই কিশোররা জড়িত কিনা। যদি জড়িত থাকে এই মামলায় তাদেরকে শোন এরেস্ট করা হবে। এই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। রেল সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ট্রেন চালানো কোনো বিষয় না, বিষয়টি হচ্ছে এর নিরাপত্তা। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মন্ত্রী, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে শুধু কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় আজ থেকে স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো চলাচল করার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপিসহ বিরোধীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরিয়া ভূত হইয়া গেছে। এগুলো মাথা থেকে নামান।
নয়ত এ ভূতে বিএনপি শেষ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে। এ তত্ত্বাবধায়ক আর কোনোদিন চোখ মেলবে না। ’
আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর মোড়ে ঢাকার প্রবেশপথে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক বলতে বলতে শেষ। দুই সেলফিতে আপনাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভারতে এক সেলফি, এরপর নিউইয়র্কে আরেক সেলফি। দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘অন্তরে জ্বালা। পদ্মা সেতু হয়ে গেল, মেট্রোরেল হয়ে গেল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেল। একদিনে একশ সেতুর উদ্বোধন। জ্বালারে জ্বালা অন্তরে জ্বালা। ’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তারা খাম্বা দিয়েছে বিদ্যুৎ দেয়নি। এখন শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। খেলা হবে! অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে। ফখরুল নাকি ঢাকা অবরোধ করবেন। এ নারায়ণগঞ্জের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, জনগণ তাদের জবাব দেবে। আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়িয়ে দেব। লাঠি নিয়ে এলে হাত ভেঙে দেব। ’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল বলেন—শেখ হাসিনা ঘোরাঘুরি করেন। শেখ হাসিনা কোথায় গেছেন। জি-২০ সম্মেলনে। কী সম্মান নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন! নিউইয়র্কে গিয়েছেন, কী সম্মান পেয়েছেন! শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। দেশের প্রয়োজনেই তিনি বাইরে যান। তিনি ব্রাসেলসে যাচ্ছেন আমন্ত্রণে। তিনি যাচ্ছেন দেশের জনগণের জন্য। ’
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওরা গণতন্ত্রের কী জানে? ওরা জানে মানুষ খুন, লুটপাট, ভোটচুরি। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছিল বিএনপি। এদের হাতে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতা আর ফিরিয়ে দেবে না। আপনাদের বলছি বিএনপি থেকে সাবধান। ’
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া সাজনু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় নির্মীয়মাণ একটি সেতুর বিকল্প সড়কে পাথর রাখার ঘটনায় সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক খাদে পড়ে যায়। এ সময় আটকা পড়ে ঢাকা-আগরতলা সার্ভিসের বাস। এতে এই গরমে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার সকালে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সড়ক থেকে পাথর সরিয়ে নেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গাজীর বাজার এলাকা পার হয়ে একটি সেতুর নির্মাণকাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি করানো হচ্ছে।
বেইলি সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে বিধায় এর পাশ দিয়ে বিকল্প সড়ক করা হয়। সকাল থেকে ওই বিকল্প সড়কে নির্মাণকাজের জন্য পাথর রাখা হয়। এতে সড়কটি একেবারে সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। ছোট ছোট যান চলতেও বেশ বেগ পেতে হয়।
সকালে স্থলবন্দরগামী সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক ওই জায়গাটি পার হতে গিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। পরে একটি প্রাইভেট কার পার হতে গিয়েও এখানে আটকে যায়।
এদিকে ঢাকা-আগরতলা পথের রয়েল মৈত্রী পরিবহনের বাসও বাংলাদেশে প্রবেশ করে আটকা পড়ে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার। যাত্রী দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে তিনি উদ্যোগ নিয়ে পাথর সরানোর ব্যবস্থা করলে এ পথে যান চলাচল শুরু হয়।
রয়েল মৈত্রী বাসের যাত্রী প্রশান্ত গুপ্ত বলেন, ভারতের আগরতলা থেকে তারা গাড়িতে ওঠেন। আখাউড়া স্থলবন্দর আসার পর জানতে পারেন সড়কে সমস্যার কথা। এ অবস্থায় তাঁদের দুই ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হয়।
ইউএনও রাবেয়া আক্তার জানান, খবর পেয়ে তিনি সেখানে ছুটে যান। মূলত সড়কে সেতু নির্মাণকাজের পাথর রাখায় সমস্যা দেখা দেয়। পাথর সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস আলম। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ফেসবুক পোস্টে সারজিস লিখেছেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আমি আর নেই। ফাউন্ডেশনের গতি বাড়াতে এর গঠনতন্ত্র, কাঠামো এবং কাজের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে ‘এক্সিকিউটিভ কমিটি’ পুরো অফিসের সার্বিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব নেবে এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। বর্তমানে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ সিইও হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
ফাউন্ডেশনের পলিসি মেকিংয়ে ‘গভর্ণিং বডি’ কাজ করবে, যার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা সহ চারজন উপদেষ্টা (স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার, আইসিটি) রয়েছেন। এছাড়া, ‘সাধারণ সম্পাদক’ পদটি এখন আর নেই।
ফাউন্ডেশন প্রথম আর্থিক সহযোগিতা প্রদান শুরু করে ১ অক্টোবর এবং অফিস কার্যক্রম শুরু হয় ১৫ অক্টোবর। সারজিস ২১ অক্টোবর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ১০ দিন এই দায়িত্ব পালন করেন। ৭ জানুয়ারি তিনি সাইনিং অথোরিটি হস্তান্তর করে অফিসিয়ালি দায়িত্ব শেষ করেন।
সারজিস জানান, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফাউন্ডেশন ৮২৬টি শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬২৮ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে, পাশাপাশি প্রায় ১১ হাজার ভেরিফাইড আহতদের মধ্যে ২ হাজার আহতকে আর্থিক সহায়তা করা হয়।
তিনি তার পোস্টে আরো উল্লেখ করেন, “যতোদিন আমি ফাউন্ডেশনে আমার সর্বোচ্চ সময় দিতে পেরেছি, ততোদিন আমি দায়িত্ব পালন করেছি। যখন মনে হয়েছে, আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়, তখন আমি দায়িত্ব থেকে সরে এসেছি। নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝে দায়িত্ব গ্রহণ বা ত্যাগ করা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এটি সৎ সাহসের বিষয়। আমি চেষ্টা করেছি আমার দায়িত্বের প্রতি সৎ থাকতে।”