চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার প্রায় নয় ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এতে অন্যান্য ট্রেনে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ৮ মার্চ শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর ডাউন পথের এক নম্বর লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো। ঘটনার প্রায় নয় ঘণ্টা পর দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি নির্ধারিত গন্তব্যের দিকে ছেড়ে গেছে। দুর্ঘটনা কবলিত বগিটি রেখে সকাল পৌনে নয়টার দিকে ট্রেনটি নির্ধারিত গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
এদিকে, দুর্ঘটনার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ের স্টেশনের এক নং লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় অন্যান্য ট্রেনে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মো. কবির হোসেন, সহকারী স্টেশন মাস্টার সাকির, ট্রেন যাত্রী এমরান উদ্দিন ও মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের আনঅফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে। ট্রেনটি থামার আগ মুহূর্তে মাঝামাঝি থাকা ‘ঝ’ বগি লাইন থেকে সরে যায়। এতে ট্রেন বেশ ঝাঁকুনি খায়। ট্রেনের কয়েকটি বগিতে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এতে করে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত বগি সরিয়ে নেয়। মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদেরকে একই গন্তব্যের তুর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেস ট্রেনে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আজ ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি।
সকালে শহরের লোকনাথ উদ্যান থেকে জেলা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রেসক্লাবের সামনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকার পতনে ছাত্র- জনতার আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় পাশে ছিলো। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদি সরকারের পতন হয়। বক্তারা শেখ হাসিনাকে দ্রুত দেশে এনে বিচারের দাবি জানান। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়াতেও একই ধরণের কর্মসূচি পালন করা হয়। বিএনপির একটি মিছিল মটর স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে নেতৃবৃন্দ পৌর মুক্তমঞ্চে এসে অবস্থান নেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবদুল মতিনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল-মামুন সরকার বলেন, জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্মৃতি বিজরিত স্থান আখাউড়া উপজেলার ঘাগুটিয়া এলাকায় একটি পর্যটন ছাউনী নির্মাণ করা হবে। সেই ছাউনীর নাম করন ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিনের নামে করা হবে। এছাড়াও জেলার আরো চারজন ভাষা সৈনিকের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে জেলা পরিষদ।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৯১ বয়স বয়সী ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিন বলেন, তখন আমি আখাউড়ার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। মায়ের ভাষা তারা কেড়ে নিতে চায় বিষয়টি শোনার পর আর স্থির থাকতে পারিনি। পরে আখাউড়ায় আন্দোলন শুরু করি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার বাড়ি থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসি। এই আন্দোলনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে শার্ট ও প্যান্ট উপহার দেন।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য অতিথিরা তাকে বিদায় জানানোর সময় অনেকের চোখেই পানি চলে আসে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মিয়া মতিনের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, মিয়া আবদুল মতিনের বাড়ি আখাউড়া ফেব্রুয়ারি টনকী গ্রামে। তিনি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য আটজনের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি উপজেলার মোগড়া বাজার ও গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা প্রদিক্ষণ করে। পরে তাদের এই আন্দোলনটি গণবিক্ষোভে রূপ নেয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে তিনি ছাড়া পান। ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মতিনসহ আরো কয়েকজনকে ঢাকায় ডেকে পাঠান ও সাহসিকতার জন্য তাদের উপহার দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে কোনো সংকট নেই। বিএনপি সংকট তৈরির চেষ্টা করছে; কিন্তু পারেনি। বরং তাদের দলের মধ্যে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।
আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রয়াত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও সাংবাদিক স. ম. আলাউদ্দীন স্মরণে প্রকাশিত দীপ্ত আলাউদ্দীন সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আলাউদ্দীন তনয়া লায়লা পারভীন সেঁজুতি এবং সাংবাদিক এএইচএম তারেক উদ্দীন মোড়ক উন্মোচন অংশ নেন।
বিএনপির পাশাপাশি ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ ডাকা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকবে, সেদিন এত বড় ঢাকা শহরে আর কেউ সমাবেশ করতে পারবে না, এ নিয়ম তো নেই। দ্বিতীয়ত, বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে, তখন তো মানুষ আতঙ্কে থাকে, সরকারি দল হিসাবে আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা, বিশৃঙ্খলার বিষয়ে সতর্ক থাকা।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল, ভেবেছিল সরকার তিন মাসের মধ্যে পড়ে যাবে। কিন্তু সেই সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করেছে। ২০১৮ সালেও তারা সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের কাছে নানা দেনদরবার, দেশে-বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে তারা অনেক চেষ্টা করেছিল। তারা কিছুই করতে পারেনি।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এখন দেশে কোনো সংকট নেই। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট আছে। কারণ, বিএনপির নেতারা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু মূল নেতৃত্বের কাছ থেকে নির্বাচন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পায় না। তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটি দল, যারা জনমানুষের দল বলে দাবি করে, অথচ তাদের নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না। এটা তো একটি দলের অভ্যন্তরীণ সংকটের বহিঃপ্রকাশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা বারণ সত্ত্বেও অংশ নিয়েছে, কেউ কেউ জয়লাভও করেছে। তাদের আক্ষেপ আমরা পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। তারা যদি আগামী সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়, দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে শিশুদের জীবন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন।
তিনি শিশুদের অত্যাধিক ভালবাসতেন বলে তার জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তার আদর্শ ধারণ করে প্রত্যেকটি শিশুকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার মনোভাব নিয়ে বড় হতে হবে। তার আদর্শ উজ্জীবিত হয়ে বড় হয়ে শিশুদের একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুজনেই আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন।
তাই শেরে বাংলা গবেষণা পরিষদ জাতির পিতার জন্মদিন সাড়ম্বরে উদযাপনের জন্য শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্যোগের প্রশংসানীয়। এ ধরনের মহতী উদ্যোগের সাথে আমরা সব সময় আছি।
অনুষ্ঠানে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নাসিম প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সাজ্জাদ হায়দার, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, চিত্রনায়িকা মেহজাবিনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনাসভার শেষে মন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের পক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দেন।