অনলাইন ডেস্ক :
গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। ৮ মার্চ শনিবার দিবাগত রাতে চাঁদপুরের পৌর শহরের কোরালিয়া রোড রুস্তম বেপারী বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের মধ্যে আব্দুর রহমান, শানু বেগম, খাদিজা আক্তার ও মঈন নামে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনিস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর আহত ইমাম হোসেন ও দিবা আক্তার চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধ্যরাতে সেহরির রান্নার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘরটিতে আগুন ধরে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্রীনগরে আদর্শ ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে উপজেলার খাহ্রা-চুড়াইনে আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মো. সেলিম খান।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন প্রধান অতিথি ও কলেজের শিক্ষক, আমন্ত্রিত অভিভাবক, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ বিপুলসংখ্যক দর্শক।
এ সময় অতিথি ছিলেন, কলেজ গভর্নিং বডির বিদোৎসাহী সদস্য আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, দাতা সদস্য গাজী শফিউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমান।
প্রতিযোগিতায় ১০টিরও বেশি খেলাধুলা ও অনান্য বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। ‘গোলক নিক্ষেপ ও দৌড় প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠানটি হয়েছিল বিশেষ উপভোগ্য।
অনুষ্ঠানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
অনলাইন ডেস্ক :
জীবনের শেষ বয়সে এসেও জীবন যুদ্ধে হার মানতে রাজি নয় ফজলুল হক (৯০)। শরীরের চামড়াগুলো টান ধরে শুকিয়ে গেছে। বয়সের ভাড়ে কোমর বাঁকা হয়ে গেছে। এরপরও হালাল পথের আয় দিয়ে নিজে কর্ম করে বাকি জীবন কাটাতে চায় ফজলুল হক। তাই দুই হাতে পাপড় এর বস্তা নিয়ে ‘লাগবে না কি পাপড় এই যে লাগবে না কি পাপড়, মচমচে পাপড় বলে বিক্রি করছেন। মো. ফজলুল হক দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি পৌরসভার মধ্যে বাসুদেবপুর (তারকাটা) এলাকার বাসিন্দা। ফজলুল হক তার দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছে এবং তাদের সকলের আলাদা সংসার। বাড়িতে তার প্রতিবন্ধী স্ত্রী রুনা বেগম। জীবনের শেষ বয়সে এসে কারও উপর নির্ভরশীল বা হাত না পেতে পাপড় বিক্রির টাকায় সংসার চালাচ্ছেন তিনি।
গ্রামেগঞ্জ ও শহরে ছোট থেকে বড়দের একটি মুখরোচক খাবার হচ্ছে পাপড়। সাধারণত মেলার মাঠ, সিনেমা হলের সামনে, পূজা-পার্বণে, অস্থায়ী বাজার, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা ধর্মীয় মাহফিলস্থলে পাপড় বিক্রির ধুম পড়ে যায়। দামে সস্তা এ খাবারটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হলেও মুখরোচক হওয়ায় এর চাহিদার কমতি নেই। জীবনের শেষ বয়সে এসে দুই হাতে বস্তায় নিয়ে পাপড় বিক্রি করে সংসার চালায় ফজলুল হক। দীর্ঘদিন পাপড় তৈরি করে ফেরি করে বিক্রি করে তিনি চালান অভাবের সংসার। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নিয়ে বেশ সুখেই আছেন তিনি।
সম্প্রতি ফজলুল হকের সাথে কথা হয়। বলছেন এই যে পাপড় লাগবে পাপড়, মচমচে পাপড়। মুহূর্তে তাঁর নিকট এগিয়ে গিয়ে শুনলাম তার অতীত ও বর্তমান জীবনের গল্প। অভাবের সংসার তেমন লেখা পড়া করতে পারে নাই। প্রথমের দিকে হিলি এলএসডি গোডাউনে বস্তা ভড়াতো এবং বস্তা সেলাই করতো এতে সুন্দর সংসার চলতো তার। দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে বড় করে বিয়ে সাদী দিয়ে সবার এখন আলাদা সংসার। বড় ছেলে গার্মেন্টসে চাকরি করে এবং আর এক ছেলে একটি কারখানায় চাকরি করে। ছেলেরা প্রতি মাসে যে খরচের টাকা দেয় তা দিয়ে সংসার চলে না। তাই জীবনের শেষ বয়সে এসে পাপড় বিক্রি করে সংসার চালান ফজলুল হক।
তিনি অনেক আগের কথা মাটির বাড়ির দেয়াল ভেঙে পড়ে গিয়ে ছিল আমার স্ত্রীর উপরে তখন তার কোমড়ে প্রচণ্ড আঘাত পায়। চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মতিঝিল এলাকায় প্রায় দেড় যুগ সময় পার করেন তিনি। মতিঝিল এলাকায় ছেঁড়া, ফাটা ও টুকরো টুকরো করা টাকা কিনে নিতেন তিনি। এরপর ওই টাকা গুলো নাম্বার সহ জোড়া দিয়ে ব্যাংকে দিতো এতে প্রতি হাজারে তার ৪’শ থেকে ৫’শ টাকার মতো ব্যাংক দিতো। তা দিয়েই সংসার চলতো ফজলুল হকের। কিন্তু তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তার যেতে বলেন ভারতের বেঙ্গালুরুর। টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয় নাই। সেখানে চিকিৎসার ব্যয় প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা। এতো টাকা কোথায় পাবো বলে প্রশ্ন ছোড়ে ফজলুল হক।
রাজধানীতে বাসা ভাড়া ও সংসারের খরচ বেশি হওয়ার প্রায় বিশ বছর আগে চলে আসেন নিজ বাড়ি হিলিতে। বাড়িতে বসে তেল, ময়দা, হলুদ, ডিম, কালোজিরা ও লবণসহ বিভিন্ন মশলা দ্বারা তৈরি কার হয় এই পাপড়। তৈরি করা পাপড় প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই হাতে পাপড়ের বস্তা নিয়ে বিক্রি করেন তিনি।
উপজেলা পরিষদে পাপড় কিনে নেওয়া আরিফ হোসেন নামের এক যুবক বলেন, ফজলু কাকার পাপড় খুবই মজাদার। আমি প্রায়ই জায়গায় দেখা হলেই খাই। আবার মাঝে মাঝে আমার ছেলে-মেয়ের জন্য কিনে নিয়ে যাই।
তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় এর নিকট ফজলুল হক চাচার বিষয়ে কিছু বলতেই তিনি বলেন, আমি ওনাকে আগের থেকে চিনি। আমার জানা মতে ওনি খুব ভালো মানুষ। মাঝেমধ্যে আমার অফিসে আসে আমি তাকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করি।
পাপড় কেমন বিক্রি হয় জানতে চাইলে ফজলুল হক চাচা বলেন, প্রতিদিন ১’শ থেকে দেড়শ পাপড় বিক্রি করি। একটি পাপড় ৫ টাকা দরে বিক্রি করায় দৈনিক প্রায় ৫’শ থেকে সাতশত টাকা বিক্রি হয়। এখন বেশি লাভ হয় না তেলসহ সব জিনিসের দাম বেশি।
তিনি আরো বলেন, আমার দুই ছেলে তাদের আলাদা সংসার তাদের ও খরচ আছে। বাড়ীতে আমার স্ত্রী (তোমার চাচি) অসুস্থ প্রতিবন্ধী মানুষ। পাপড় ভাজতে হয় গ্যাসের চুলায়। ছেলেরা যে টাকা দেয় গ্যাস সিলিন্ডার ও ঔষধ সহ টুকটাক খরচ করতেই শেষ হয়। তাই কার ও কাছে হাত না পেতে নিজে পরিশ্রম করে সংসার চালায়।
সরকারি কোন সুবিধা পায় কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাও বা ১৮০০’শ টাকা কখন ও দুই মাস আবার কখনো তিন মাস পরে এলা দিয়ে কি হয় বা!
ওই দিন বাদ মাগরিব উপজেলা পরিষদের মসজিদের বাহিরে আমার সাথে দেখা হয় ফজলুল হক চাচার। আমি পাপড় নিতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বলে তোমাকে টাকা দেওয়া লাগবে না বা। তুমি আমার অনেক গল্প শুনলেন, ছবি তুললেন টাকা নিবো না বা। আমি ৫০ টাকার নোট দিয়ে বললাম চাচা একটা পাপড় দেন বাকিটা রেখে দেন। ওনি বললেন না এতো টাকা নিবো কেন! পরে আমাকে একটি পাপড় দিয়ে ৪০ টাকা ফেরত দেয়। আমাদের সমাজের অনেকের ফজলুল হক চাচার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।(সূত্র :বিবার্তা)
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোরে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার সমাপনী শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান। নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় টিএফ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ফরমান খান চৌধুরি ওরফে সৈকত চৌধুরী জেলার মোট এক’শ ২০ জন অংশগ্রহণকারী হাফেজকে নিয়ে ২১ জানুয়ারি থেকে প্রতিযোগিতা শুরু করেন। বিজ্ঞ বিচারকমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত তিনটি ধাপে প্রতিযোগিতায় বাছাই শেষে ২০ জন অংশগ্রহণকারী চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন।
আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সমাপনী প্রতিযোগিতায় চূড়ান্তভাবে প্রথম বিজয়ী হয় লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ী এলাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাফেজ ইয়াছিন আলী।
পুরস্কার হিসেবে পান ৫০ হাজার টাকাসহ আকর্ষণীয় আরো পুরস্কার। এছাড়া দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার টাকা।
অন্যান্য অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য ছিলো ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পুরস্কার।
পরে সমাপনী প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক ও প্রধান অতিথী মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
টিএফ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের সভাপতি ফরমান খান চৌধুরির সভাপতিতে অনুষ্ঠানে ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান খান চৌধুরি বাবুল ও নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজি আহমদ রফিক বাবসহ জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার সুপারও আলেমগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোর সদর উপজেলায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী গাঁওয়ালী শিরনি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাল, ডাল দিয়ে রান্না করা এ শিরনি খেতে হাজারও মানুষের সমাগম ঘটে।
আজ ৬ জানুয়ারি সোমবার ভোর ৬ টা থেকে সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ভাতুরিয়া গ্রামে বিএনপি নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত উৎসবে অংশ নেন ২৬ সমাজের ৪৬০টি পরিবার। অনুষ্ঠানকে ঘিরে দূর-দূরান্ত থেকে গ্রামে আসেন জামাই-মেয়ে-নাতি-নাতনীসহ স্বজনরা।
গাঁওয়ালী শিরনিকে কেন্দ্র করে ভাতুরিয়া গ্রামে করা হয় ভোজের আয়োজন। সেই ২০০ বছর আগে থেকে এখন পর্যন্ত গ্রামবাসী প্রতিবছর দুবার এই উৎসব পালন করেন। প্রতি শীতকালে ঝাল এবং আষাঢ় মাসে মিষ্টি শিরনি করা হয়। উৎসব উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সাবেক সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, গত সরকারের আমলে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যেতে বসেছিল। উৎসবগুলো ফিরিয়ে আনা হবে। বেশ কয়েক বছর ভাতুরিয়া গ্রামের গাঁওয়ালী শিরনি উৎসব বন্ধ ছিল। এখন থেকে প্রতিবছর এ আয়োজন করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, গাঁওয়ালী শিরনি অনুষ্ঠানে দূর-দূরান্ত থেকে জামাই-মেয়ে-নাতি-নাতনিসহ স্বজনরা গ্রামে আসেন। ভোজনের আয়োজন করা হয়। ফজরের নামাজের পর থেকে দিনভর চলে এই আয়োজন। পরিবারের সদস্য ও আগত অতিথিদের সংখ্যা ভেদে ৮ থেকে ১০টি পর্যন্ত ভোজের ভাগ দেন পরিবারপ্রধান। কেউ চাল কেউবা টাকা দিয়ে অংশ নিয়ে থাকেন।
দিঘাপতিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আনোয়ার জানান, একসময় বছরে দুইবার এই উৎসব পালন করা হতো। শীতকালে ঝাল এবং আষাঢ় মাসে মিষ্টি শিরনি হতো। উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে তৈরি হতো ভাতৃত্বের বন্ধন। বসতো হরেক রকমের খাবার ও পণ্যসামগ্রীর মেলা। গাঁওয়ালী এই শিরনি উৎসবে ঈদের মতো আনন্দ হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাদিম মাহমুদ জানান, দুইশ বছর আগে এই গ্রামে ডায়রিয়া-কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। অনেক মানুষ মারা যায়। আতাব্দি ফকির নামে এক আলেমের পরামর্শে শিরনি উৎসব করা হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন আক্রান্তরা। কিছুদিন পর গবাদি পশুও আক্রান্ত হলে একইভাবে খির শিরনি উৎসব করা হয়।
দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভাতুরিয়া গ্রামের দেখাদেখি এখন আশপাশের গ্রামগুলোতেও গাঁওয়ালী শিরনির আয়োজন করা হয়। এবারের উৎসবে অংশ নিয়ে গ্রামবাসীর সাথে কুশল বিনিময় করেছেন সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তার আগমনে উৎসব আলাদা মাত্রা পেয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চিহ্নিত নারী মাদক কারবারি পলি বেগম (২৮) ও তার ভাই বোনসহ ৫ মাদক কারবারীকে যৌথ বাহিনী আটক করেছে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে গোপন সংবাদে হাজিগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প এবং হাজিগঞ্জ থানা পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করে। আটককৃতদের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাজিগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প এবং হাজিগঞ্জ থানা পুলিশ যৌথভাবে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে উপজেলার তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী কাজী আহমেদ শরীফ (৩৫), আইয়ূব ভূঁইয়া (৪৫), খোরশেদ আলম (৩৮), মানিক কাজীর মেয়ে পলি বেগম (২৮) ও নাজিয়া আক্তার কাঁকন (২৫)কে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও তাদের বাড়ি হতে ৩শ” ৯০ পিসইয়াবা, ২শ” গ্রাম গাঁজা, নগদ ৪১ হাজার টাকা এবং ৩ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি মহিউদ্দিন ফারুক জানান, এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।