অনলাইন ডেস্ক :
পরিবারে স্বাচ্ছন্দ্য ফেরানোর জন্য দুই বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান আয়নাল হক (২৮)। গত ৮ অক্টোবর ২৪ সৌদি আরবের আভা শহরে নিজ কর্মস্থলে যাবার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন আয়নাল।
৯ মার্চ রবিবার সাড়ে রাত ১১টায় মৃত্যুর ৫ মাস পর সৌদি আরব থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে তার মরদেহের কফিন। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন কফিন বাড়ি নিয়ে যায়।
আজ ১০ মার্চ সোমবার সকাল ৯টায় জানাযা শেষে তাকে কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত আয়নাল হক মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার পাতিলাপাড়া গ্রামের মৃত কুদ্দুস আলীর ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে পরিবারের সবার ছোট সন্তান ছিলেন আয়নাল। দেশে থাকাকালীন আয়নাল কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন।
সংসারের অভাব দূর করতেই সেই পেশা ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তিনি। স্ত্রী ও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে তার। বড় মেয়ের বয়স ১২ আর ছোট মেয়ের ৫ বছর। আয়নালকে হারিয়ে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহতের বড় ভাই ভ্যানচালক মো. ময়নাল হোসেন বলেন, ‘ভাইকে জীবিত পাইনি তবে বিমানবন্দর থেকে তার মৃতদেহের কফিন এনেছি। ভাতিজিদের দেখভাল করার মতো কেউ নাই।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার উপদেষ্টা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম (৭৫)চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শহরেরএকটি হাসপাতালে গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গণমাধ্যমকে সংবাদ জানিয়েছেন সামসুল আহমেদ শামীম। বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম এর নামাজে জানাযা ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নিউইয়র্ক শহরের1404 newkirk avenue, Brooklyn বেলাল মসজিদে বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবারের ও দলের পক্ষ তার নামাজে জানাযায় উপস্থিত হওয়ার সকলের প্রতি অনুরোধ করা হচ্ছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর মাষ্টার আবুল কালাম স্বস্ত্রীক দেশে যান। ২৯ জানুযারি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেরার পথে, নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের সাথে সাথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বিমানবন্দর থেকে জরুরি গাড়ির মাধ্যমে হাসপাতালে নেয়া হয়,আর সেখান থেকেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরপারে পাড়ি জমালেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আবুল কালাম।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি, যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, ছেলে, দুই মেয়ে নাতি – নাতনিসহ অসংখ্য সহযোদ্ধা, বন্ধু – বান্ধব রেখে গেছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের এ বীর সেনানী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে, স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা কায়েমসহ শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অধিকার ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামে আজীবন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে গেছেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন সরকারের সময়ে জেল জুলুমের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ হিসাবে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
মাষ্টার আবুল কালাম এর মৃত্যুতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাষ্টার আবুল কালামের মৃত্যুতে জেএসএফ’র পক্ষ থেকে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান এর মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র জেএসডি’র পক্ষ থেকে গভীর শোক, শ্রদ্ধা এবং শোকাবহ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দলটির নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান ছাত্র জীবন থেকেই দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা গঠনে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তীকালে বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে সংক্রিয়ভাবে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ সহ বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে আমৃত্যু পযর্ন্ত তিনি আপোষহীনভাবে সোচ্চার ছিলেন। এসময় ওনার চিরবিদায়ে রাজনীতিতে এক শূন্যতা সৃষ্টি হলো। যা পূরণ হবার নয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন – জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জেএসডি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন, যুক্তরাষ্ট্রে মূল ধারার রাজনীতিবিদ এডভোকেট মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, যুক্তরাষ্ট্র জে এস ডি’র আহবায়ক এনামুল হায়দার, যুগ্ম আহবায়ক সামছুদ্দীন আহমেদ শামীম, তছলিম উদ্দিন খান, আরজু হাজারী, মোহাম্মদ রফিক উল্যাহ, তারেক হোসেন সদস্য হারুনুর রশীদ, মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
“সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা বিশ্বময় গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না,”সিলেট বিভাগের চারটি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জকে নিয়ে সিলেট প্রদেশ ঘোষণার দাবিতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে সাউথ ইষ্ট রিজিয়নের উদ্যোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ভ্যালেন্স রোডস্থ উডেহাম কমিউনিটি সেন্টারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ নুরুল ইসলাম।
সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে এবং রিজিওনাল সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ও কমিউনিটি সংগঠক কদর উদ্দিন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রেটার সিলেটের প্রেট্রন, কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর, গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, ও কমিউনিটি সংগঠক হাবিবুর রহমান রানা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রিজিওনাল নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খান জামাল নুরুল ইসলাম ,আজিজুল আম্বিয়া, সৈয়দ সায়েম করিম, আজম আলী, আব্দুল বাছিত রফি, আব্দুর রহিম রনজু,আব্দুল মুকিত, খালেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, সেরওয়ান আলী, হালিমুল ইসলাম, শাহ আজিজ সাজু, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী,তানভীর হোসেন, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, বদরুল হক মনসুর, কামরুল আই রাসেল, আমজাদ হোসেন, ও কবির আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন -১৯৪৭ সালে গণভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানে যোগদান করেছিল ।পাকিস্তান আমলে ও বাংলাদেশ আমলে সিলেট বিভাগের তেমন কোন উন্নতি হয়নি ।সিলেট বিভাগ সব সময় বৈষম্যের শিকার ।সিলেটের খনিজ সম্পদ, চা বাগান, রাবার বাগান সহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদে সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন হলেও সিলেটের সমস্যার এখনও কোন সমাধান হয় নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি দূর্যোগময় মুহুর্তে সিলেটবাসীর অবদান ইতিহাসের অন্তর্গত ।
সংস্কার কমিশন বাংলাদেশে চারটি প্রদেশ করার প্রস্তাব করলেও সিলেট বিভাগকে প্রদেশ করার কোন প্রস্তাব করেনি। এটা আরেকটি বৈষম্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না,চট্টগ্রামের সাথে সিলেটকে যুক্ত করার চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে বলে উল্লেখ করে বলেন আমরা সিলেট বিভাগ নিয়ে জালালাবাদ প্রদেশ চাই, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মতে বাংলাদেশকে যদি কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করতেই হয় তাহলে বৃহত্তর সিলেটের চারটি জেলা নিয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হবে যুক্তিযুক্ত। চট্টগ্রামের সাথে যুক্ত করা হবে অবাস্তব ও অযৌক্তিক। বৃহত্তর সিলেটের ভৌগোলিক অবস্থা ও লে-আউট আলাদা একথা সরকারের বুঝা উচিৎ, সিলেট থেকে চট্টগ্রামের চেয়ে ঢাকায় বরং যাওয়া যাবে দ্রুত। তাই চট্টগ্রামের সাথে সিলেট কানেক্ট করে প্রদেশ করলে সিলেট হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত, এরকম হটকারি, অবাস্তব এবং অযৌক্তিক সীদ্ধান্ত কোনো অবস্থাতেই বিশ্বময় বসবাসকারী গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব বলেন ১৯৭১ এর মহাণ মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণে তথা রাজনৈতিক, সামাজিক,ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষা – দীক্ষা, জ্ঞান – গরিমা,সাংস্কৃতিক ইতিহাস ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে এমনকি প্রবাসের মাটিতে ক্যাটারিং সেক্টর ও ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিশ্বময় বাংলাদেশ কমিউনিটির কল্যাণে ব্যাপক ভুমিকা রাখা সহ বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে গ্রেটার সিলেটবাসীর অবদান অনস্বীকার্য।
পাকিস্তান আমল থেকেই দেশে বিদেশে সিলেট প্রদেশ গঠণের দাবিতে আন্দোলন চলছে। তাই অবিলম্বে সিলেট বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রদেশ ঘোষণার দাবি জানানো হয় ।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হারুনুর রশিদ সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম সম্পদশালী এলাকা সিলেটের খনিজ তেল, গ্যাস, পাথর, চা শিল্প, পর্যটন ও দেশের রেমিটেন্সের সিংহভাগই আসে প্রবাসী সিলেটবাসীর মাধ্যমে বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন বর্তমান সরকার যদি প্রাদেশিক সরকার গঠন করে তাহলে সিলেটের নাম আসবে সবার আগে।কারণ সিলেটের মানুষের এই দাবি দীর্ঘদিনের।
সিলেটবাসীর ন্যায্য দাবি সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়নের ক্যাম্পেইনে দেশে বিদেশে সিলেট বাসীকে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন। অনেক সিলেটের জনগণ এবং প্রবাসীরী সংবাদ সংস্থা বলেছেন, ছোট আয়তনের বাংলাদেশে যেখানে বিভাগের ই কোন প্রকার প্রয়োজন নেই, সেখানে প্রদেশ দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। তারা আরো বলেছেন, প্রদেশ কেন হবে? মাতাবারী বিভাগই বাতিল করে শুধু জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন, পৌর সভা এবং সিটি করপোরেশন এই পাঁচ ভাগে লোকাল সরকার থাকার কথা জানিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
চিকিৎসা শেষে দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমানকে সাথে নিয়ে বীরের বেশে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করার সংবাদে উৎফুল্ল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিএনপির নেতা-কর্মীরাও। এ উপলক্ষে গতকাল ৫ মে সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় এক আনন্দ-সমাবেশ করেছেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, সারা বিশ্বের প্রবাসীদের অকুন্ঠ ভালবাসা আর শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার চক্রান্তের অংশ হিসেবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় সাজা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু দেশবাসী তা কখনোই মেনে নেননি।
গিয়াস আহমেদ উল্লেখ করেন, সময়ের পরিক্রমায় দিবালোকের মত উদ্ভাসিত হলো যে, বেগম খালেদা জিয়া হলেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিকের অনন্য উদাহরণ। কারণ, স্বৈরাচার এরশাদ, মইন-ফখরুদ্দিনের আমল থেকেই বেগম জিয়া গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন রয়েছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার জঘন্য ষড়যন্ত্রের কাছেও মাথানত করেননি। তারই পুরস্কার হিসেবে এখোন তিনি সুচিকিৎসা শেষে বাংলাদেশে ফিরছেন বীরের বেশে। সাথে যাচ্ছেন ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমান। অপরদিকে, শেখ হাসিনা দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-গুম-খুন-লুটতরাজের দায় নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন অর্থাৎ নিজেই রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।
বিশেষ সম্মানীত অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন বলেন, আমরা এখোন অধীর আগ্রহে রয়েছি বাংলাদেশের অবিসম্বাদিত নেতা তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানানোর জন্যে। এবং এটা হচ্ছে সময়ের দাবি। দীর্ঘদিন থেকেই আমরা ‘তারেক রহমানের বীরের বেশে প্রত্যাবর্তন’কে উদযাপনের জন্যে। এতে আরো বক্তব্য দেন স্টেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জসীমউদ্দিন ভিপি।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ আনন্দ-সমাবেশ পরিচালনা করেন সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান সাঈদ। নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন বদরুল হক আযাদ, মনিরুল ইসলাম, কাওসার আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধেও মামলার পর বিভিন্ন মেয়াদেও সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মামলাকেও বিএনপির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন বলে অভিহিত করা হয়েছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে নিউইয়র্কের জ্যামাইকার স্থানীয় এক রেষ্টুরেন্টে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস স্মরণে ও দিবসটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের দাবিতে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের আহবায়ক এনামুল হায়দার এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসাইন, মুলধারার রাজনীতিবিদ ও নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, মুলধারার রাজনীতিবিদ এডভোকেট মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর ভূইঁয়া, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম, সাংবাদিক রিমন ইসলাম, দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, চৌমুহানী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আবদুল মান্নান, জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন স্বপন,যুগ্ম আহবায়ক তছলিম উদ্দিন খান, আরজু হাজারী, মোহসিনুর রহমান সবুজ, দলটির যুক্তরাষ্ট্র এর অন্যতম নেতা গাজী আযম বাদল,শরীফ উদ্দিন, সাবেক ছাত্র নেতা গোলাম ফারুক, আজিজুল হক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতেই দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সদ্য প্রয়াত স্ত্রী নাসিমা আক্তার, দলটির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম সহ দলের সকল শহীদ ও প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট কাল নীরবতা পালনসহ বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চের দ্বিতীয় তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝখানে সোনালি মানচিত্রখচিত পতাকা। নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে সেদিন পতাকাটি উত্তোলন করেন ঐসময়কার ডাকসু’র ভিপি ও সাবেক মন্ত্রী এবং জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে তৎকালীন ডাকসু নেতাদের উদ্যোগে সাড়া দিয়েছিলেন আমজনতা। প্রকৃতপক্ষে সেদিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত হয় এবং স্বাধীনতা অর্জনের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় স্বাধীনতার পর প্রত্যেক সরকারই এই ঐতিহাসিক দিনটিকে অবহেলা আর অবজ্ঞা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দেয়নি। তেমনিভাবে ঐতিহাসিক ৩রা মার্চকেও প্রতিটি সরকারই শুধুমাত্র রাজনৈতিক হীনমন্যতার রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুগ্ম আহবায়ক সামছু উদ্দিন আহমেদ শামীম।
৩ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে ঐদিন পল্টন ময়দানে ছাত্র জনতার সমাবেশে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান সিরাজ।
তাই আজকের আলোচনা সভা থেকে জুলাই ‘২৪ গণ আন্দোলনের ফসল বতর্মান সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, ঐতিহাসিক ২ ও ৩ মার্চকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার জন্য এবং অন্যান্য দিবসের সাথে এ দুটো দিবসকেও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।তবেই নতুন প্রজণ্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ইফতার এবং নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।