ইসলাম ডেস্ক :
আল্লাহ ইরশাদ করেন,
أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ
অর্থ : রোজার রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী সহবাস হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পোশাকের মতো এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাকের মতো। আল্লাহ জানেন তোমরা তোমাদের নিজেদের সঙ্গে অবিচার করছিলে। তিনি তোমাদের তাওবা কবুল করেছেন এবং তোমাদের ক্ষমা করেছেন।
এখন তোমরা তাদের সঙ্গে সহবাস করতে পারবে এবং অনুসন্ধান কোরো মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে রেখেছেন। (বাকারাহ, আয়াত : ১৮৭)
উল্লিখিত আয়াত অবতীর্ণের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে এসেছে, বারা (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, নবী (সা.)-এর যুগে সাহাবীদের আমল ছিল, রোজা রাখার পর ইফতারের সময় হলে যদি ইফতার করার আগেই ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে এই রাত ও পরের দিন সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই আহার করা যাবে না।
কায়স ইবন সিরমা আনসারি (রা.) একবার রোজা পালন করছিলেন। ইফতারের সময় তিনি স্ত্রীর কাছে এসে বললেন, কোন খাবার আছে? স্ত্রী বলল, নেই।
তবে আপনার জন্য কিছু খুঁজে আনছি।
এদিকে ওই সাহাবি সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত থাকায় তার দুই চোখে ঘুম চলে আসে। তার স্ত্রী এসে তাকে ঘুমন্ত দেখে বলল, হায়, আপনিত বঞ্চিত। পরদিন দুপুরে ওই সাহাবি বেঁহুশ হয়ে পড়েন।
নবী (সা.)-এর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করা হলে তখন এই আয়াত নাজিল হয়-
(أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ)
অর্থ : ‘রোহার রাত্রে তোমাদের জন্য স্ত্রী সম্ভোগ বৈধ করা হয়েছে।’
তখন এই খবরে সাহাবিরা খুবই আনন্দিত হন। (আবু দাউদ, হাদিস : ২০৩৪)
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
রাসুলুল্লাহ (সা.) সবার আগে জান্নাতের দরজা খুলবেন। আনাস (রা.) বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন নবীদের মধ্যে আমার উম্মতের সংখ্যা হবে সর্বাধিক এবং আমিই প্রথম জান্নাতের দরজা খুলব।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯৬)।
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি জান্নাতের দরজায় পৌঁছে দরজা খোলার জন্য বলব। তখন দ্বাররক্ষী বলবে, আপনি কে? আমি বলব, মুহাম্মাদ। তখন সে বলবে, আপনার সম্পর্কে আমাকে বলা হয়েছে যে আপনার আগে আমি যেন অন্য কারো জন্য এ দরজা না খুলি।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯৭)
জান্নাতের আটটি দরজা হবে। সেগুলো হলো-
এক. বাবুস আস-সালাহ (নামাজের দরজা), যারা আন্তরিকভাবে নিয়মিত নামাজ আদায় করবে, তাদের সম্মানে জান্নাতের এই দরজার নাম করা হয়েছে বাবুস সালাহ বা নামাজের দরজা।
দুই. বাবুল জিহাদ (জিহাদের দরজা), যারা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর পথে তার জীবন ও সম্পদ দিয়ে জিহাদ করবে, তাদের সম্মানে জান্নাতের এই দরজার নামকরণ হয়েছে বাবুল জিহাদ বা জিহাদের দরজা।
তিন. বাবুর-রাইয়ান। যারা মহান আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠভাবে রোজা রাখবে, তাদের সম্মানে এই দরজার নামকরণ হয়েছে বাবুর রাইয়ান।
চার. বাবুস-সদকা (দানের দরজা), মানুষের প্রয়োজনে যারা তাদের অর্থ-সম্পদ দিয়ে মানুষকে সহযোগিতা করবে, তাদের সম্মানে এই দরজার নামকরণ হয়েছে বাবুস সদকা।
পাঁচ. বাবুল আইমান, কেউ কেউ এই দরজাকে বাবুস শাফাআতও বলেছেন। কিয়ামতের দিন যারা নবীজির সুপারিশে বিনা হিসাবে জান্নাতে স্থান পাবে, তাদের সম্মানে এই দরজার নামকরণ হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস : ৩৬৮)।
ছয়. বাবুল কাজিমিনাল গইজা ওয়াল আফিনা আনিন্নাস (রাগ দমনকারী ও লোকের ভুলকে ক্ষমাকারী ব্যক্তিদের দরজা), যারা লোকদের ভুলকে ক্ষমা করে এবং নিজের রাগকে দমন করে, এই দরজার নামকরণ তাদের সম্মানে। (উমদাতুল কারি : ১৬/২৫৪)।
সাত. বাবুর-রাদ্বিন (সন্তুষ্টদের দরজা), এই দরজাকে কেউ কেউ বাবুল জিকির, বাবুল হজ, বাবুল ইলম ও বাবু লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহও বলা হয়। যারা আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট এবং আল্লাহও যাদের ওপর সন্তুষ্ট, তাদের সম্মানে এ দরজার নামকরণ হয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮১)।
আট. বাবুত তাওবা (ক্ষমা প্রার্থনার দরজা), নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তার সম্মানার্থে জান্নাতের এই দরজার নামকরণ হয়েছে। এটি তাওবাকারীদের জন্য সব সময় খোলা থাকে। (জামিউস সগির, হাদিস : ৭৩২০)।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে দুই হাজার কুরআন বিতরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ সোসাইটি। আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে কুরআন বিতরণ করা হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম।
আলোচক হিসেবে ছিলেন লন্ডন আল কুরআন অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম।
প্রধান আলোচক হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাত্র সাত ভাগ মানুষ কুরআন বুঝে। বাকী কিছু মানুষ কুরআন পড়ে কিন্তু বুঝে না। তবে অধিকাংশ মানুষের কাছে কুরআনই পৌঁছায়নি। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা কুরআন পড়ায় এবং শিখায়। কিন্তু কুরআন মানুষের কাছে পৌঁছে দিবে এমন মানুষ বা প্রতিষ্ঠান নেই। আল কুরআন একাডেমির মাধ্যমে সেই কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষের কাছে কুরআন বিতরণ করেছি। সকল মানুষের কাছে কুরআন পৌঁছে দিতে চাই।’
প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, কুরআন মানুষের হেদায়াতের জন্য নাজিল হয়েছে। কুরআন মানুষকে সত্য পথ দেখাবে। সকল অন্যায় খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখবে। কুরআন নাজিল হয়েছে বুঝার জন্য। আমাদের মুসলমান মুত্তাকী হওয়ার জন্য কুরআন বুঝা অপরিহার্য। কুরআন বুঝা ছাড়া মুত্তাকী হওয়া যাবে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ নামে একটি বিভাগ আছে। আমি আশা করি এই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কুরআন শিক্ষা দিবে। কুরআনই একমাত্র কিতাব যেটা মানুষ না বুঝেও পড়ে। এটা কুরআনের প্রতি ভালোবাসা। তোমরা সবাই কুরআন বুঝে পড়বে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের মানুষের বুকে একেকটা ফিলিস্তিন বাস করে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক স্কলার ও আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী। আজ ১২ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদে রাজধানীর ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসমাবেশে এ কথা বলেন আজহারী।
কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছেন- জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকে।
মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, জনতার এই মহাসমুদ্রে উপস্থিত হয়ে আমরা বুঝতে পেরেছি, আজকের এই জনসমুদ্র ফিলিস্তিনের প্রতি, আল-আকসার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ভৌগলিকভাবে আমরা ফিলিস্তিন থেকে অনেক দূরে হতে পারি, কিন্তু আজকের এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে, আমাদের একেক জনের হৃদয়ে, বুকের ভেতরে বাস করে একেকটা ফিলিস্তিন। আজহারী আরও বলেন, আমাদের হৃদয়ে বাস করছে একেকটা গাজা, আমাদের হৃদয়ে বাস করছে একেকটা আল-কুদস।
বক্তব্যের সময় জনসমুদ্রে স্লোগান তুলেছেন মিজানুর রহমান আজহারী। গাজায় মুসলিম ভাইয়েরা কেন শহীদ হচ্ছে, এ ব্যাপারে জাতিসংঘের কাছে জবাব চেয়েছেন তিনি। ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, আমার ভাই শহীদ কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘আল কুদুস, আল কুদুস, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’— এসব স্লোগানে মুখরিত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আজ সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে স্রোতের মতো জনতার মিছিল আসতে থাকে। এতে করে জনসমুদ্রে পরিণত হয় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে এই জমায়েতের ডাক দেয় ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’।
মাইমুনা আক্তার:
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করানো প্রত্যেক মায়ের কর্তব্য। কারণ মহান আল্লাহ মায়ের দুধে শিশুর বেড়ে ওঠার সব উপাদান দিয়েছেন। যেমন- আমিষ, চর্বি, ভিটামিন, রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পানি, সহজ পাচ্যকারী উপাদান ইত্যাদি সুষমভাবে থাকে মাতৃদুগ্ধে। ফলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়া শিশু সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে বেড়ে ওঠে। পাশাপাশি তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও অনেক বেশি থাকে। এর ফলে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অপুষ্টিজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পায়। শারীরির সুস্থতার পাশাপাশি শিশুর মানসিক বিকাশেও মায়ের দুধের ভূমিকা অনবদ্য। এ ছাড়া মায়ের সুস্থতা যেমন— স্তন ক্যান্সার ও ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে সন্তানকে সঠিকভাবে মায়ের দুধ পান করানোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেক মায়ের উচিত সন্তান জন্মলাভের পর থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাকে নিয়মমাফিক দুধ পান করানো। অনেকে আবার না জেনে কোরআনের নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও সন্তানকে বুকের দুধ পান করান। অথচ পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর নির্দিষ্ট একটি সীমারেখা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘মাতাগণ নিজেদের বাচ্চাদেরকে পূর্ণ দুই বছর স্তন্যদান করবে, যদি দুধ খাওয়ার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৩৩) তাফসিরবিদরা বলেন, এ আয়াত থেকে বোঝা যায় যে সন্তানকে দুধ পান করানো ওয়াজিব এবং আরো বোঝা গেল যে বিশেষ ওজর ছাড়া স্তন্যদান থেকে বিরত থাকার অবকাশ নেই। (মাআরেফুল কুরআন, তাফসিরে মাযহারি, কুরতুবি, জামিউ আহকামিসসিগার : ১/১২৩) অনেক মা সন্তানকে তিন-চার বছরও দুধ খাওয়ান। আবার অনেকে আড়াই বছর খাওয়ানো যায় মনে করে এই মেয়াদ পূর্ণ করেন। এটা ভুল। সন্তান অনূর্ধ্ব দুই বছর মায়ের বুকের দুধ খেতে পারবে। দুই বছরের বেশি বয়সী সন্তানকে দুধ পান করানো নাজায়েজ। দুই বছর দুধ পান করানোর বিষয়টি উল্লিখিত আয়াতে রয়েছে। এ ছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, ‘মায়ের দুধ পানের সময় দুই বছরই।’ (সুনানে দারাকুতনি : ৪/১৭৪, তাফসিরে মাযহারি : ১/৩২৩, মাজমাউল আনহুর : ১/৫৫২, আত্তাসহিহ ওয়াত্তারজিহ ৩৩৫, ফাতহুল কাদির : ৩/৩০৭-৩০৯) তাই প্রত্যেক মায়ের দায়িত্ব সন্তানের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তাকে অন্যান্য খাবারে অভ্যস্ত করা, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাকে মায়ের দুধ দেওয়া বন্ধ করা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ৩০ মার্চ রবিবার ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল ৩১ মার্চ সোমবার সারা দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ-উল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জেলা ঈদগাহ ময়দানে। এতে ইমামতি করবেন – জেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিবগাহতুল্লাহ নূর।
তবে, বৈরী আবহাওয়া থাকলে জেলা জামে মসজিদে নির্ধারিত সময়ে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাত পালনে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন।
এছাড়াও জেলা শহরের ট্যাংকের পর জামে মসজিদ, শেরপুর জামে মসজিদ, কাউতলী নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়াম, ভাদুঘর ফাঁটা পুকুর ঈদগাহ ময়দান, ভাদুঘর শাহী মসজিদ প্রাঙ্গণ, পূর্বমেড্ডা বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ, শরীফপুর ঈদগাহ মাঠ, মধ্যপাড়া ভাওয়াল দিঘীরপাড় মসজিদসহ জেলার ৭৮০টি ঈদগাহ ও ৫১০টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।