কানাডার উপর দ্বিগুণ শুল্কের হুমকি আপাতত স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক, 12 March 2025, 210 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
কানাডা থেকে আসা অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বিদ্যুতের উপর শুল্কের পরিকল্পনা বাতিল করে কানাডার অন্টারিও’র প্রধান। এর ফলে কানাডার উপর দ্বিগুণ শুল্কের হুমকি থেকে সরে এসেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ১১ মার্চ মঙ্গলবার অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের উপর কর দ্বিগুণ করার প্রস্তাব আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা করে ট্রাম্প প্রশাসন।

banner

হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো এই পরিপ্রেক্ষিতে জানান, কানাডার উপর দ্বিগুণ শুল্কের হুমকি থেকে আপাতত সরে এসেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

তবে, আজ ১২ মার্চ বুধবার থেকেই অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিল আমদানির উপর ২৫ শতাংশ নতুন শুল্ক ধার্য হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার আপাতত সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি। এর আগে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন যে কানাডা থেকে আনা অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের উপর তিনি দ্বিগুণ শুল্ক ধার্য করবেন। সেক্ষত্রে ৫০ শতাংশ কর দিতে হতো।

এর অনেক আগেই ট্রাম্পের কানাডার উপর কর আরোপ করার ঘোষণার পর গত সোমবার ওটাওয়ার প্রধান ডগ ফোর্ড প্রস্তাব করেন সেক্ষেত্রে তারাও আমেরিকাকে বিদ্যুৎ রপ্তানির উপর শুল্প বসাবে। এর পরেই ট্রাম্প কর দ্বিগুণ করার হুমকি দিয়েছিলেন।

তার ট্রুথ সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, বাণিজ্য সচিবকে তিনি জানিয়েছেন যেন কানাডা থেকে আসা অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের দ্রব্যের উপর আরো ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়। বুধবার থেকেই তা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার এই ঘোষণার পরেই স্টক মার্কেটে ধস নামে।

কানাডা যদি কর না কমায় তাহলে আমদানি করা গাড়ির উপরে কর বসানো হবে বলে হুমকি দেন ট্রাম্প।

কানাডার আগামী প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের এই ঘোষণা প্রসঙ্গে বলেন, এটা কানাডার ‘প্রতিটি শ্রমিক, পরিবার এবং ব্যবসার উপর আঘাত।’

এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে আমাদের প্রতিক্রিয়ায় যেন যুক্তরাষ্ট্রের উপর সর্বাধিক এবং কানাডার উপর সব থেকে কম প্রভাব পরে। তাদের নির্ধারিত কর ততদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে, যতদিন না পর্যন্ত আমেরিকা কানাডার প্রতি সম্মান দেখাবে এবং মুক্ত বাণিজ্যের নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে কানাডার দ্রব্য সামগ্রীর উপর ২৫ শতাংশ কর বসানোর কথা ঘোষণা করে হোয়াইট হাউস। তাদের তরফ থেকে বলা হয় মাদক ব্যবসা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি কানাডা। মার্চ থেকে নতুন শুল্ক চালু হওয়ার কথা থাকলেও কানাডা তাদের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা পাঠাতে সম্মত হয়।

এই শুল্ক পরিস্থিতি আরো জটিল হয় যখন সোমবার অন্টারিও’র প্রধান ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের উপভোক্তাদের জন্যও তিনি ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর বসাবেন। কানাডা-আমেরিকার সীমান্ত প্রদেশ অন্টারিও থেকে নিউ ইয়র্ক, মিশিগান এবং মিনেসোটায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। তিনি অন্যান্য প্রদেশকেও আমেরিকার উপর শুল্ক বাড়াতে বলেন। সূত্র : এপি ও ডয়চে ভেলে।

Leave a Reply

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৬৩৯জন নিহত

অনলাইন ডেস্ক : ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত Read more

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

জার্মানির নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে হাত মেলালেন না সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা

আন্তর্জাতিক, 5 January 2025, 341 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সিরিয়ার নতুন নেতা আহমেদ আল-শারার সাথে শুক্রবার দামেস্কে সাক্ষাত করেছেন ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তবে সাক্ষাতে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জ্যাঁ-নোয়েল ব্যারোতের সাথে হাত মেলালেও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবকের সাথে হাত মেলাননি আল-শারা। তিনি আগে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত ছিলেন।

banner

রাজনীতির অভ্যর্থনার প্রোটোকলে হাত মেলানো খুব সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এটি এড়িয়ে গেছেন সিরিয়ান নতুন প্রশাসনের প্রধান। যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জার্মান দৈনিক বিল্ড এই ঘটনাটিকে ‘হ্যান্ডশেক কেলেঙ্কারি’ আখ্যা দিয়েছে।

দ্য নিউ আরবের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপের এই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থনের চিহ্ন হিসাবে সিরিয়া সফর করেছিলেন, যেখানে তারা গত মাসে বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সাহায্য করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

এছাড়া জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি নারীদেরও সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানাতে এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল।

কিন্তু দামেস্কের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে পৌঁছানোর পর আল-শারা ব্যারোতের দিকে তার হাত বাড়িয়ে দিলেও বেয়ারবকের দিকে দেননি। বরং শারা এই সময় তার হাত বুকে রেখেছিলেন।

ইসলামের কিছু কঠোর ব্যাখ্যা বিপরীত লিঙ্গের লোকেদের মধ্যে শারীরিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ করে যদি তারা বিবাহিত না হয়।

এই অবস্থা দেখে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারোত নিজেও আর আল-শারার দিকে হাত বাড়িয়ে দেননি, কিন্তু আল-শারা যখন হাতে মেলাতে এগিয়ে দেন তখন তিনিও হাত মেলান।

এ নিয়ে বেয়ারবক বলেন, ‘আমি যখন সেখানে যাচ্ছিলাম, তখন আমার কাছে স্পষ্ট ছিল যে স্বাভাবিকভাবেই হাত মেলানোর ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু এটি একইভাবে স্পষ্ট ছিল, শুধু আমি নই, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতেন। সে অনুযায়ী, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তাঁর হাত (আল-শারার দিকে) বাড়াননি।’

সিরিয়া একটি বহুজাতিক ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষের রাষ্ট্র। এখানে কুর্দি, আর্মেনিয়ান, আসিরিয়ান, খ্রিস্টান, দ্রুজ, আলাউই শিয়া এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি আরবসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী বসবাস করে। শারার দল সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং স্বাধীনতা সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিদ্রোহী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা এক সময় আল-কায়েদার সাথে জড়িত ছিলো। বর্তমানে শারার প্রতিবেশীদের আশ্বস্ত করতে চাইছেন, এটি ইসলামি জঙ্গিবাদের শিকড় থেকে দূরে সরে গেছে।

কারাগার থেকে দলীয় বৈঠক করতে পারবেন ইমরান খান

আন্তর্জাতিক, 29 December 2023, 833 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানকে তার নিজের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনী বৈঠক করার অনুমতি দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেব এক রায়ে এই ঘোষণা দিয়েছেন।

banner

দেশটির নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে দেশটিতে। ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআইও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবে আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাবাস এবং পাঁচ বছরের নির্বাচন নিষেধাজ্ঞার দণ্ডপ্রাপ্ত ইমরান খান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না তা এখনো অনিশ্চিত। তার আইনজীবীরা অবশ্য নিম্ন আদালতের এই রায় স্থগিতের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন। তবে সেই আপিলের ওপর এখনো শুনানি শুরু হয়নি সর্বোচ্চ আদালতে। বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান।

এদিকে, সম্প্রতি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা দেন পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা। সেই পিটিশনে তারা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে দলের নীতি নির্ধারণ ও কৌশল ঠিক করতে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করতে চান তারা। শুক্রবার আইএইচসির এজলাসে শুনানির জন্য পিটিআইয়ের পিটিশনটি ওঠে। এ সময় পিটিআইয়ের আইনজীবী দল, আদিয়ালা কারাগারের সুপারিন্টেডেন্ট এবং পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে দুই পক্ষের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণার সময় আদালত বলে, পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা যদি মনে করেন যে, নির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করার জন্য দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে তারা আলোচনা করতে চান, তাহলে তা তারা করতে পারেন এবং সেজন্য পিটিআইয়ের প্রতিনিধি দল আদিয়ালা কারাগারেও যেতে পারেন। এক্ষেত্রে সাংবিধানিক কোনো বাধা নেই। তবে দলের বর্তমান চেয়ারম্যান গওহর খানের নেতৃত্বে দলের শীর্ষ নেতারাই কেবল এই বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন। সংবাদসূত্র : ডন

সৌদির যেকোনো বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 23 August 2023, 1738 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে দেশের যে কোনো বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের যে কোনো বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলো।

banner

আজ ২৩ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

২০১২ সালের সৌদির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম ও মদিনা বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করা যেতো। আজকের চুক্তির পর শুধু এই চারেই সীমাবদ্ধ থাকলো না আকাশপথ।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং সৌদি আরবের পক্ষে সৌদি জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ আল দুয়াইলেজ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

নতুন স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পরিচালিত ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪৯টি যাত্রীবাহী এবং কার্গো ফ্লাইট পরিচালিত হতো। নতুন চুক্তিতে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়ে ৭০ করা হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় দেশের এভিয়েশন শিল্প বিকশিত হয়ে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে। গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে সারা দেশে বিমান পরিবহন অবকাঠামোর যুগোপযোগী উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা বৃদ্ধি, কারিগরি ও জন দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের এভিয়েশন খাত উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে অন্যতম এভিয়েশন হবে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ফলে দুই দেশের এভিয়েশন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো বৃদ্ধি পাবে। এটি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সহযোগিতার সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের পরিকল্পিত উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যটন মহা-পরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ সম্ভাবনা কে কাজে লাগাতে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে দুই দেশের সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সৌদি আরব বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করলে তাকে আমরা স্বাগত জানাবো।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্ধুত্ব অত্যন্ত দৃঢ়। সৌদি আরবে একটি বড় বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে, যারা দুই দেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখছেন। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিমান চলাচলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই দেশই এর সুফল পাবে।

সৌদি আরবের মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের আন্তরিক আতিথেয়তা এবং চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে এ দেশের পর্যটনের বিকশিত হওয়ার বড় সুযোগ রয়েছে। যেকোনো পর্যটক বাংলাদেশের আতিথেয়তাকে আজীবন মনে রাখবে। সৌদি আরব ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল রাবিয়াহ ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুলাইহান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মোবাইল চার্জার খুলতে গিয়ে তরুণীর মৃত্যু!

আন্তর্জাতিক, 2 December 2024, 372 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে দেশটির উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার সারাংপুর গ্রামে মোবাইল থেকে চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। তার নাম নিতু (২২)। ১ নভেম্বর রবিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।

banner

 

জানা গেছে, সকালে বাড়িতে নিজের মোবাইল ফোনটি চার্জের জন্য বসিয়েছিলেন নিতু নামের ওই তরুণী। চার্জ হয়ে যাওয়ার পরে ফোন থেকে চার্জার খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তার চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে পরিবারের বাকিরা ছুটে আসেন। দেখা যায়, ফোন হাতে কাঁপছেন নিতু। দ্রুত লাঠি জোগাড় করে মোবাইল ফোন থেকে তাকে আলাদা করা হয়।

 

এরপর মেঝেতেই পড়ে যান তরুণী। তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

 

তবে কীভাবে চার্জার থেকে ওই তরুণী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন, তা স্পষ্ট নয়। ওই চার্জারের কোনও তার বেরিয়ে ছিল কি না, কোনও অংশ ছেঁড়া ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোবাইল খুলতে যাওয়ার সময়ে তরুণীর হাত ভেজা ছিল কি না তাও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

 

স্থানীয় এসএইচও সঞ্জয় সিংহ জানান, হাসপাতালে মৃত অবস্থাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল ওই তরুণীকে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি থানায়। সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস

গাজায় আরো ৩৫জন ফিলিস্তিনি নিহত, এখনো ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ

আন্তর্জাতিক, 17 April 2025, 127 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ১৬ এপ্রিল বুধবার ভোর থেকে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। গাজার মেডিকেল গুলোর সূত্রে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। সাম্প্রতিক ঘণ্টাগুলোতে আরও ভয়াবহ হামলার খবর আসছে বিধ্বস্ত এই উপত্যকা থেকে।

banner

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে আল জাজিরা জানায়, বুধবার ভোর থেকে গাজায় সামরিক তৎপরতায় আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি ঘটেছে। আকাশজুড়ে ড্রোনের গম্ভীর গর্জন যেন যুদ্ধের অমোঘ উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।

ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনুস শহরের অস্থায়ী তাঁবুগুলোর ওপর ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো বেসামরিক মানুষ। একই সঙ্গে দেইর আল-বালাহ এলাকায় সাধারণ মানুষের সমাবেশেও আঘাত হানা হয়েছে। গাজার উত্তরের দিক থেকেও আরও ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের খবর মিলছে।

পূর্ব গাজায় রাতভর গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে। উজ্জ্বল ফ্লেয়ার ছুড়ে আকাশ আলোকিত করে ইসরায়েলি স্থলবাহিনী নিজেদের অভিযান চালানোর জন্য স্পষ্ট দৃশ্যমানতা নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘ জানায়, গত ১৮ মার্চ হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি ভেঙে দেওয়ার পর থেকে গাজায় আরও প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত বা দ্বিতীয়বারের মতো উচ্ছেদ হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ১৮ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ৫১,০২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১১৬,৪৩২ জন।

যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১,৭০০ জনেরও বেশি হতে পারে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে থাকা হাজার হাজার মানুষের আর কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তাদের মৃত ধরে নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে গাজায় এখনো বন্ধ রয়েছে ত্রাণ সরবরাহ। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখা তাদের ‘সুস্পষ্ট নীতির’ অংশ এবং এটি হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটি ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এদিকে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা গাজার পরিস্থিতি নিয়ে যে সর্বশেষ তথ্য দিয়েছে, তা এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমবর্ধমান হামলা ও সব ধরনের সহায়তা আটকে দেওয়ার কারণে সেখানে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তা ও জরুরি পণ্য প্রবেশ বন্ধ রাখার কারণে খাদ্য গ্রহণের অবস্থা মারাত্মকভাবে খারাপ হয়ে পড়েছে, যা সাত সপ্তাহ ধরে চলছে। সংস্থাটি বলছে, মার্চ মাসে গাজায় ৩,৬৯৬ জন শিশু তীব্র অপুষ্টির কারণে চিকিৎসা নিয়েছে, যেখানে ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ২,০২৭ জন — অর্থাৎ মাত্র এক মাসে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি বেড়ে গেছে।