ফয়সাল, ইতালি থেকে :
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রোজাদারদের সম্মানে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে ইতালি প্রবাসী নোয়াখালী ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতি ইতালি। ইটালির রাজধানী রোমের প্রেনেস্তিনা মক্কি মসজিদে রবিবার এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সংগঠনের সভাপতি আনোয়ারুল আজিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক টিপু, সিনিয়র সহ সভাপতি সুমন মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানার আমন্ত্রণে ইফতার মাহফিলে প্রায় পাঁচ শতাদিক ধর্মপ্রাণ রোজাদার মুসল্লি অংশগ্রহন করেন।
ইফতার পূর্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, বয়ান পেশ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা এবং গাঁজায় অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্যে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন মসজিদে মক্কির ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুর রহমান। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী দিনেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান করেন। তারা সংগঠন অন্যান্য কার্যক্রমের সাথে ইসলামিক কর্মকান্ড করে সমাজকে সুস্থধারায় পরিচালিত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং আগামী দিনে দেশের উন্নয়নেও কাজ করে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এসময় সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আবসার, স্থায়ী কমিটির প্রধান আব্দুল ওহাব, ১নং সদস্য সোহেল চৌধুরী, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন শিমুলসহ সংগঠনের কার্যকরী পরিষদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও ইতালীস্থ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক, ব্যবসায়ীক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা নোয়াখালীর সকল গতিশীল কর্মকান্ডে সক্রিয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কমিউনিটির উন্নয়নে বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আগামীতেও সকলের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফুল এম খানকে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম (Iron Dome) প্রকল্পের নেতৃত্বে নিয়োগ দিয়েছে পেন্টাগন। সম্প্রতি তিনি উক্ত পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। এই নিয়োগের মাধ্যমে তিনি এখন ‘গোল্ডেন ডোম’ নামেও পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচির পরিচালক (Director) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার অধীনে প্রকল্পের নীতি নির্ধারণ, কৌশল ও প্রযুক্তি উন্নয়নের পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হবে। উক্ত প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ প্রতিরক্ষার সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে জানানো হয়েছে।
শরিফুল খানের নিয়োগের বিষয়টি মার্কিন বিমানবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিশ্চিত করা হয়েছে।
শরিফুল এম খান সম্প্রতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পান। এরপরই তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানায়, ৭ সেপ্টেম্বর রবিবার তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জুন মাসে যেসব সামরিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতির জন্য মনোনীত করেন, শরিফুল খান ছিলেন তাদের মধ্যেই। তিনি ছিলেন ৫৫ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনোনীত কর্মকর্তার একজন।
নতুন পদে নিয়োগ পাওয়ার পর গত ২০ আগস্ট শরিফুল খানের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম ওসমান সিদ্দিক বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে নিশ্চিত করেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফুল এম খান ১৯৯৭ সালে ইউএস এয়ার ফোর্স একাডেমি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট অপারেশন এবং জাতীয় গোয়েন্দা অভিযানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও উচ্চপর্যায়ের কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তার কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রয়েছে বহুমুখী অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন সামরিক সম্মাননা। সূত্র: জিও নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
পরিবারের সুখশান্তি ও উন্নত জীবণের আশায় স্ত্রী সন্তান ও মা-বাবাকে ছেড়ে মাত্র ৫ মাস আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী গ্রামের মাসুক মিয়া। প্রবাসে চাকরি করে ভালই কাটছিল তার জীবণ পরিবার পরিজন নিয়ে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সবকিছু তছনছ করে দিল মাসুকের। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ২০ দিন পর গতকাল সোমবার বিকালে মাসুক মিয়া লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরলো । লাশ বাড়িতে পৌছার পর স্ত্রী সন্তানসহ আত্বীয়-স্বজনের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। নিহত মাসুক মিরাশী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের জহুর আলীর ছেলে। নিহত মাসুকের স্ত্রী ও আফনান নামে দেড় বছরের এক ছেলে রয়েছে।
পরিবার সূত্র জানায়, মাসুক মিয়া মাত্র ৫ মাস পুর্বে চাকরি নিয়ে সৌদি আরব যান। ভালই চলছিল তার সহকর্মীদের নিয়ে প্রবাস জীবণ। গত ৭ জানুয়ারী সৌদি আরবে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মাসুক। মাসুকের মৃত্যুর পর সন্তানের লাশ দেখতে পাবেন কিনা এ নিয়ে দুচিন্তায় পড়েন অসহায় পিতা-মাতা।
অবশেষে মৃত্যুর ২০দিন পর প্রবাসে তার সহকর্মী একই গ্রামের মাহমুদুর রহমান রুবেল সৌদির দূতাবাসের সহযোগিতায় লাশ নিয়ে দেশে আসেন। সোমবার ভোর রাতে লাশ পৌছায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। সেখান থেকে অসহায় পরিবারের পক্ষে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য কামাল হোসেন লাশ গ্রহন করে বাড়ি নিয়ে আসেন। বিকেলে লাশ বাড়িতে পৌছার পর স্ত্রী সন্তান, পিতা মাতা ও আত্বীয় স্বজনের কান্নায় আকাশ আতাস ভারি হয়ে উঠে।
কামাল হোসেন জানান, অসহায় পিতা-মাতা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান রেখে মাসুক মারা যান।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবের মদিনায় শ্রমিকের কাজ করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার দেবিদ্বারের যুবক মো. বাছির উদ্দিনের (২৩) মরদেহ প্রায় দেড় মাস পর দেশে এসেছে। মো. বাছির দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মৃত স্বপন আলীর ছেলে।
১৭ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর ঈদগাহ মাঠে সামনে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু সাইফুল ইসলাম শহীদ, উপজেলা বিএনপি নেতা মো. আবুল হোসেন লিপুসহ স্থানীয়রা।
বিকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাছির উদ্দিনের মরদেহ এসে পৌঁছায়। পরে সন্ধ্যায় মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাছির উদ্দিনের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাছির উদ্দিন মারা যাওয়ার পর মরদেহ দেশে ফেরানোর জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সহযোগিতায় দেড় মাস পর বাছিরের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর সৌদি আরবের মদিনায় একটি কোম্পানির কনস্ট্রাকশন কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বাছির মারা যায়। আমরা প্রতিবেশী এক প্রবাসীর মাধ্যমে খবর জানতে পারি।
বাছিরের মা শাহীনা বেগম বলেন, বাছিরের বাবা দুই বছর আগে মারা যায়।
পরে অনেক ধারদেনা করে বাছিরকে সৌদি আরবে পাঠাই। আমার ছেলে যে ওখানে মারা যাবে কে জানত। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল বাছির।
জানাযা পূর্ব বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাছিরের পরিবারের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এই ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমাদের। আমাদের কিছু সময় দিতে হবে। আমরা এলাকার সবাই মিলে যদি বাছিরের পরিবারের দিকে খেয়াল রাখি, তাহলে এই পরিবারটি স্বাবলম্বী হবে।
নিউইয়র্কে বাঙালী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবণ নির্মানের জন্য ফান্ডরেজিং লাঞ্চ ২২ ডিসেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ঈদুল আযহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ডে একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এ ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীবৃন্দ মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানে অর্থ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতায় তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বাংলাবাজার জামে মসজিদের ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলীর সভাপতিত্বে এবং মসজিদের সাধারণ সম্পাদক লালন আহমেদ ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ বদরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে বক্তব্য রাখেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ ও বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহইয়া।
তারা মসজিদকে ইবাদত বন্দেগীর সর্বশ্রেষ্ট স্থান হিসেবে উল্লেখ করে কুরআন-হাদীসের আলোকে মসজিদ নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইহকাল-পরকালের কল্যাণে সহীভাবে ইসলাম পরিপালনের দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তারা মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের নিকট অনুরোধ জানান।
মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর নতুন জায়গায় বহুতল মসজিদ ভবণ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, স্থান সংকুলানের অভাবে বর্তমান মসজিদে জুমার নামাজে দু’টি পৃথক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তার পরও স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লীদের বাইরে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। এজন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলী ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মসজিদ নির্মাণে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রঙ্কসের ১৩৫১ ওডেল স্ট্রিটে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়, মসজিদের ক্রয়কৃত পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গায় নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজ শুরু করার পর পর্যায়ক্রমে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ঈদুল আজহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
আলমাছ আলী ইউএসএনিউজঅনলাইন.কমকে জানান, অনুষ্ঠানে সুধী ও মুসল্লীরা বাংলাবাজার জামে মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানের জন্য অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতিসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আবু সাঈদ।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটি সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, বাংলাবাজার মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা মো. ফখরুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ দলা মিয়া ও ডা. মোহাম্মদ শাহ আলম, মসজিদের লাইফ মেম্বার ডা. রুমানা সবুর, ডা মাসুম, ডা. কাদের, ডা. জুয়েল, ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হাশেম হাসনু ও সামাদ মিয়া জাকারিয়া, মসজিদ কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ এ হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক শামিম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, সহ কোষাধ্যক্ষ সোহেল চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য আজিজুল হক, ওয়ালিউর রহমান, লাইফ মেম্বার আকশাদ আলী বাবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটি, মুসল্লীসহ সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্যরা।
শেষে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। মসজিদের জন্য সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা : বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক, ১৩৫১, ওডেল স্ট্রিট, ব্রঙ্কস, নিউইয়র্ক – ১০৪৬২, ফোন : ৩৪৭-২৯৩-৫৮৫৮।
বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক্, চেজ ব্যাংক এন.এ. হিসাব নং : ১৭৮ ৭৩২ ৯০৬, রাউটিং নং : ০২১০০০০২১ এবং gofundme, Zelle.
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী মরহুম আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের প্রচেষ্টায় ব্রঙ্কসে বাঙালীদের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র স্টারলিং-বাংলাবাজার এলাকায় ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ভাড়া বাড়িতে বাংলাবাজার জামে মসজিদের যাত্রা শুরু হয়। পরের বছরের মাঝামাঝি ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার মূল্যে মসজিদের বর্তমান নিজস্ব ভবণটি ক্রয় করা হয়। গত ২০২৩ সালে বাংলাবাজার জামে মসজিদের জন্য ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মসজিদের পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গা ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ক্রয় করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আমেরিকায় বাংলাদেশি কমিউনিটির অগ্রযাত্রায় সোমা সাঈদ নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছেন। কুইন্স সিভিল কোর্টের বিচারক হওয়ার চার বছরের মাথায় তিনি নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে যাচ্ছেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এ পদে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। কমিউনিটির সক্রিয় ভূমিকা থাকলে আগামী ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে তার বিজয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৭ আগস্ট কুইন্স কাউন্টি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বার্ষিক জুডিশিয়াল কনভেনশনে সর্বসম্মতভাবে নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টের (কুইন্স বরো ট্রায়াল কোর্ট বেঞ্চ) পাঁচটি শূন্যপদে বিচারপতি হিসেবে পাঁচজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পার্টির প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিক্স মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন। মনোনীতরা হলেন—ইরা গ্রিনবার্গ, সোমা সাঈদ, স্যান্ড্রা পেরেজ, ফ্রান্সেস ওয়াং এবং গ্যারি মিরেট।
সোমা সাঈদ ১২ বছর বয়সে বাবা-মার সঙ্গে টাঙ্গাইল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তার বাবা আফতাব সৈয়দ ছিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। নিউইয়র্কে স্কুল-কলেজের শিক্ষা শেষ করে তিনি নিজ মেধা ও পরিশ্রমে ২০২১ সালে কুইন্স কাউন্টি সিভিল কোর্টে বিচারক নির্বাচিত হন। এতে তিনি নিউইয়র্ক স্টেটে প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান ও প্রথম মুসলিম নারী বিচারক হিসেবে ইতিহাস গড়েন।
শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ‘বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি অব এনওয়াইসি’র ব্যানারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তাকে নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। তিনি সোমার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন তুলে ধরে বলেন, “বিশ্বের বহু দেশের আইনপ্রণেতারা আমেরিকার বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা অনুসরণ করেন। এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় সোমা সাঈদের মতো মেধাবী বিচারপতির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লিউ, ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি গুরদিপ সিং নাড়ুলা, সিভিল কোর্ট জাস্টিস প্রার্থী ইভ চো গুলেরগান, গ্যারি মিরেট, ফ্রান্সেস ওয়াং, ইমাম শামসী আলী, এডভোকেট নাসিরউদ্দিন, শামসুল হক, বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান জিল্লু, কমিউনিটি নেতা মিজান চৌধুরী প্রমুখ।
সোমা সাঈদ উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমার বাবা সাংবাদিকতা করতেন। তার কর্মনিষ্ঠা আমাকে মানবকল্যাণে অনুপ্রাণিত করেছে। আগামী নির্বাচনে আমি আপনাদের সমর্থন ও দোয়া নিয়ে জয়ী হতে চাই।