চলারপথে ডেস্ক :
আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রির নতুন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখিয়ে যে কোনো যাত্রী সপ্তাহে যতবার খুশি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন। আগের নিয়ম ছিল, কেউ সপ্তাহে দুইবারের বেশি টিকিট কিনতে পারবে না।
সপ্তাহে দুইবারের বেশি টিকিট কেনার বাধানিষেধ উঠে গেলেও, কোনো যাত্রী একই স্টেশন থেকে দিনে একবারের বেশি টিকিট কিনতে পারবেন না। রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে এ নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
নতুন পদ্ধতির ব্যাখ্যায় রেল জানিয়েছে, কোনো যাত্রী ঢাকার কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামের ট্রেনের টিকিট দিনে একবারই এক সঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি কিনতে পারবেন। তিনি ওই দিন কমলাপুর থেকে আর কোনো ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন না। তবে চট্টগ্রাম থেকে একই দিনের ট্রেনের ফিরতি যাত্রার টিকিট কিনতে পারবে।
গত ১ মার্চ থেকে নতুন পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নিয়ম বাস্তবায়নে এনআইডি দিয়ে আগাম নিবন্ধন করা যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে, তা এখনো চলমান রয়েছে। টিকিট পেতে হলে আগে অনলাইনে এনআইডি ও জন্মতারিখ দিয়ে পরিচয়ের সত্যতা যাচাই (ভেরিফাই) করতে হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে মোবাইল থেকে ২৬৯৬৯ নম্বরে এনআইডি ও জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। সপ্তাহের দুইবারের বেশি টিকিট কিনতে না পারার নিয়মের কারণে, যারা নিয়মিত ট্রেনে চড়েন তারা ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। তাদের জন্য নিয়মে পরিবর্তন এনেছে রেল।
নতুন নিয়মে আরেকজনের নামে কেনা টিকিটে ট্রেনে চড়া যাবে না। যার এনআইডি ব্যবহার করে টিকিট কেনা হচ্ছে, তিনি আরও তিনজনকে নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু তাকে অবশ্যই ট্রেনে থাকতে হবে। নয়ত চারজনকেই বিনা টিকিটের যাত্রী গণ্য করে জরিমানা করা হবে। টিকিটে থাকা নাম থাকা যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিতে ভ্রমণের এনআইডি বা ছবিযুক্ত পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা বাবা অথবা মায়ের এনআইডি দিয়ে টিকিট কিনতে পারবে। জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর উত্তরা থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী রিতা খানকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যার পর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রিতা খান দীর্ঘদিন ধরে উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। যার ছবি ও প্রমাণ বিভিন্ন মিডিয়ায় রয়েছে। তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, রিতা খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে।
গ্রেফতার হওয়া রিতা খান সাবেক তুরাগ থানা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী ছিলেন। তুরাগের বাউনিয়া দলিপাড়া এলাকার মৃত রহমত হোসেন খানের মেয়ে তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, হাইকোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশন সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বিন্যাস করে রায় দিয়েছেন। সে অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলন তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পাক্ষিক মত ও পথ-এর আয়োজনে ‘সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তা নিশ্চয় কিছু ভুল-বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনির জন্য সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটা কখনোই পূরণ হয়নি। বাস্তবে এটি ৭ থেকে ৮ শতাংশের বেশি হয়নি। এই ৭-৮ শতাংশ কোটা পূরণকারী প্রতিযোগীরা প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভায় নিজস্ব যোগ্যতার বলে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এরপর এসেছে কোটার প্রশ্ন। তথাকথিত আন্দোলনকারীরা এসব বিষয়ে না বুঝেই আন্দোলনে মাঠে নেমেছে।
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করে নিজেদের রাজাকার আখ্যায়িত করেছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের চেতনাবিরোধী তাদের এই স্লোগান সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি।
তাদেরকে বুঝতে হবে যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপ দেশের মানুষ সহ্য করবে না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং সুধীসমাজের কতিপয় সদস্যের নেতিবাচক বিবৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করেছে, সেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের যারা পিটিয়েছে, তাদের হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়েছে তাদের সমালোচনা না করে উনারা বরং নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, অগ্নিসংযোগকারী আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করছেন। এই সহমর্মিতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ তাদের হীন উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করে। তারা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা যে স্বাধীনতার আদর্শে অনুপ্রাণিত নয় এতে সেটাই প্রমাণিত হয়।
গণপূর্তমন্ত্রী আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে তারা ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়েছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করেছে, যারা নিজেদের রাজাকার বলে পরিচয় দিয়েছে; তারা প্রকৃত অর্থে আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অপমান করার চেষ্টা করেছে।
তাদের বিচার হওয়া উচিত। যারা মেট্রো রেলের স্টেশন, বিটিভি, ত্রাণ অধিদপ্তর, সেতু ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়েছে তারা শুধু রাষ্ট্রের ক্ষতি করেনি, তারা নিজেদেরও ক্ষতি করেছে। কারণ এসব রাষ্ট্রীয় সম্পদে সবারই অংশীদারি রয়েছে।
সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করে কখনো সরকার উৎখাত করা যায় না, বরং এটা নিজেদেরই ক্ষতি। এই অযৌক্তিক আন্দোলনকে ইস্যু করে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও সব কিছুর সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হওয়া উচিত এবং বর্তমান সরকার তা সঠিকভাবে করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন ‘আমরা একাত্তর’-এর সভাপতি এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী ডাকসুর প্রথম জিএস মাহবুব জামান প্রধান আলোচক হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-পরবর্তী বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচির স্মৃতিচারণা করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে হতাহতের ঘটনা ঘটার দুই দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাথিউ মিলার কিভাবে দুজন নিহতের ঘটনা উল্লেখ করলেন সে প্রশ্ন তোলেন। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত ও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া আন্দোলন চলাকালে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আস্তানায় বন্দিশালা থেকে নানা প্রক্রিয়ায় সাত জনকে ফেরত এনে উদ্ধার করেছে কক্সবাজারের পুলিশ। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্রের নারীসহ চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান।
গ্রেফতার পাচারকারী চক্রের সদস্যরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুর বিল এলাকার মৃত ওমর হামজার ছেলে মো. বেলাল উদ্দিন (২৮), সাবরাং ইউনিয়নের লাফার ঘোনার এলাকার আবদুল গফুরের মাহফুজা (২২), একই ইউনিয়নের গোলারপাড়া এলাকার মৃত আবদুল গণির ছেলে আব্দুল্লাহ (৫৫) ও মিয়ানমারের বুচিডং এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আয়াছ (২৬)।
পাচারকারী চক্রের আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়ারা হলেন, চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের স্টেশন পাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে রায়হান উদ্দিন (২৮), সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুরের মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. হাবিব উল্লাহ (১৬), কক্সবাজার পৌরসভার বৈদ্যঘোনা এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. রায়হান কবির (১৬), একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে মো. আলমগীর (১৮), মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সোনা মিয়ার ছেলে সফর আলী (১৭), একই এলাকার আলী আজগরের ছেলে শওকত আজিজ (১৮) ও উখিয়ার থাইংখালী এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে মো. মামুন মিয়া (২১)।
সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সদর থানায় লিপিবদ্ধ হওয়া ২ টি সাধারণ ডাইরির তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়ার কিছু কিশোর ও যুবককে নানা প্রলোভ দেখিয়ে উন্নত জীবনের কথা বলে মালেয়শিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জিম্মি করে। তাদের প্রথমে টেকনাফের লেঙ্গুর বিল এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর সাগর পথে মিয়ানমারের একটি আস্তানায় নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে। ওখানে জিম্মি করার পর নির্যাতন চালিয়ে ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে।
তিনি জানান, স্বজনরা নির্যাতনের খবর পেয়ে নানাভাবে পাচারকারীদের বিভিন্ন অংকের টাকাও প্রদান করে। এই টাকা গ্রহণকারী লোকজন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ পাচারকারী চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। এরপর গ্রেফতারদের কৌশলে ব্যবহার করে রবিবার রাতে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের সমুদ্র সৈকত এলাকায় ফেরত আনা হয় ৭ জনকে।
মিজানুর রহমান জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি ও গ্রেফতারের কাছ থেকে আর নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসব তদন্ত করে পাচারকারী চক্রের অন্যান্য সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও নিখোঁজ অন্যদের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এসব ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানা ছাড়াও পৃথকভাবে উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
এই অভিযানে অংশ নেন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এসএম শাকিল হাসান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল আজিজ, সাঈদ নুর। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাইছার হামিদ ও পরিদর্শক (গোয়েন্দা) দুর্জয় বিশ্বাস।
চলারপথে ডেস্ক :
দেশের শিক্ষাবোর্ডগুলোর পরিকল্পনা ছিল আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু করার। তবে বেশিরভাগ কলেজ ও মাদ্রাসায় সিলেবাস শেষ না হওয়ায় এ পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী আগস্টে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি। শীগ্রই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা প্রায় দেড় বছর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সশরীরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া বন্ধ ছিল। সে কারণে এলোমেলো হয়ে যায় শিক্ষাপঞ্জি, যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হতো ফেব্রুয়ারিতে। আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। গত বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হয় গত বছরের মার্চ থেকে। তারাই এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বসবেন।
এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা হলেও প্রশ্নপত্রের ধরন হবে আগের মতোই। করোনার সময় যেমন বেশি প্রশ্নপত্র থেকে কম প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল, এবার সেই সুবিধা নেই। মূলত এসব কারণেই জুলাইয়ে এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে এল শিক্ষা বোর্ডগুলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালে পুলিশের পৃথক ৩টি অভিযানে ১ হাজার পিস ইয়াবা এবং ৪ কেজি গাঁজাসহ ৫ জন আটক হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এই অভিযান চালায় বিএমপি’র বিমানবন্দর এবং কাউনিয়া থানা।
আজ বুধবার বিএমপি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দর থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সোনা মিয়ারপুল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ মো. সাইফুল ইসলাম অপূর্ব (৩০) নামে একজনকে আটক করে। আটক সাইফুল ঝালকাঠীর নলছিটি ডিগ্রি কলেজ এলাকার বেপারী বাড়ির আবদুল বারেক বেপারীর ছেলে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ আটক সাইফুলের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেছে।
এদিকে একই রাতে নগরীর কাউনিয়া থানা পুলিশ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটিখানা পূঁজা মন্দির এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ কেজি গাঁজাসহ নগরীর পলাশপুর গুচ্ছগ্রামের আজিজ বেপারী (৬৫) এবং সদর উপজেলার চরকাউয়া হিরন নগরের আমান খানকে (৫৪) আটক করে।
অপরদিকে একই রাতে কাউনিয়া থানার আরেকটি দল ওই রাতে নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর নতুন ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকেরগঞ্জে মো. সুমন হাওলাদার (২৬) ও বন্দর থানার মুসলিমপাড়ার মোসাম্মাত লাকী আক্তারকে (৩৩) ২ কেজি গাঁজাসহ আটক করে। গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় কাউনিয়া থানায় পৃথক মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বিএমপি’র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।