অনলাইন ডেস্ক :
সিডনির রিভারউডের কঙ্কা ডো’রোতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের (এবিবিসি) ইফতার ও ডিনার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ মার্চ এই ইফতার ও ডিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ হাসান এলসেতোহি ব্যবসায়ীদের প্রতি ইসলামের নির্দেশনাগুলো নিয়ে আলোকপাত করেন। এরপর এবিবিসির চেয়ারপার্সন ফয়েজ দেওয়ান সকলকে শুভেচ্ছা জানান ও আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে এবিবিসির বিগত বছরের কার্যক্রম ও সফলতা তুলে ধরে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভিবাসন মন্ত্রী টনি বার্ক এমপি তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে এবিবিসি আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও এবিবিসির সক্রিয় কার্যক্রমের ভূয়সী প্রসংসা করেন। বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সম্প্রতি তার বাংলাদেশ সফর, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বিভিন্ন ইতিবাচক আলোচনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত দোয়া হয় পরে আজান পাঠ করা হয়। ইফতারের পর এবিবিসির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ সমস্ত অংশগ্রহণকারী, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, অনুষ্ঠানের স্পন্সর ও স্বেচ্ছাসেবকদের অবদানের স্বীকৃতি ও প্রশংসা জানিয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ইসলামিক স্কলার শেখ হাসান এলসেতোহি ও অনুষ্ঠানের স্পন্সরদের হাতে ফুলের তোড়া হস্তান্তর করে অভিনন্দন জানান এবিবিসি ভাইস চেয়ারপার্সন শাহীনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সাজেদা আক্তার সানজিদা ও কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।
কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ উপস্থিত অতিথিদের এবিবিসির মেম্বারশিপ গ্রহণ করে এবিবিসি বিসনেজ ডাইরেক্টরিতে সকল বাংলাদেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করার জন্য অনুরোধ জানান। নৈশভোজ ও বিজনেস নেটওয়ার্কিং পর্বের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
আল আমিন, মালয়েশিয়া থেকে :
মালয়েশিয়ায় রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে আব্দুল মাজেদ খান (২৯) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গত সোমবার সকালে রাস্তা পার হতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, মাজেদ প্রায় নয় মাস আগে মালয়েশিয়া গিয়ে পেনাং শহরে একটি কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সোমবার সকালে নতুন ভিসার জন্য মেডিকেল করতে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি গাড়ির নিচে চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত মাজেদ খানের বাবা মোয়াজ্জেম খান বলেন, আমার ছেলে মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আমি চাই আমার ছেলের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। সরকার যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহুয়া আফরোজ বলেন, মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল মাজেদ খানের নিহতের খবর জানার পর আমরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ঐতিহাসিক গ্লোবাল এসএমই সামিট ২০২৫ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে গ্লোবাল এসএমই বিজনেস হোম (জিএসবিএইচ)। আগামী ২৩ থেকে ২৫ এপ্রিল দাভোস কংগ্রেস সেন্টারে সামিটটি অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান জিএসবিএইচ-এর প্রতিষ্ঠাতা আনিস খান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা রোমান সোমারউ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ব্যবসার শীর্ষ এই সম্মেলনে থাকছে গ্লোবাল এসএমই-এর সিইও এবং এক্সিকিউটিভদের জন্য সমবয়সীদের সঙ্গে প্রভাবপূর্ণ সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি অনন্য সুযোগ প্রদান। ইভেন্টটি এসএমই-এর জন্য মূল ব্যবসার চালকদের সম্বোধন করে এমন বিষয়গুলোর প্রাসঙ্গিক অন্তর্দৃষ্টি প্রদানের জন্য বিশেষজ্ঞ এবং সহকর্মীদের একত্রিত করবে, বিনিয়োগ এবং তহবিল সুযোগ, এক থেকে এক মিটিং, বায়ার এবং সেলার মিটিং, অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারী এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি সঙ্গে মিটিংয়ের সুযোগ, পণ্য বিশ্ব বাজারে প্রদর্শনের সুযোগ।
সারাবিশ্বের সবচেয়ে বড় এসএমই এবং ব্যবসায়িক নেতাদের ৫০০ এর বেশি সমাগোম। এই ইভেন্টে স্পিকার হিসেবে থাকবে ৫০টিরও বেশি শীর্ষ কর্পোরেট ও ব্যবসায়ী নেতারা। বাংলাদেশ থেকে স্পিকার হিসাবে থাকবেন কসৈয়দ আলমগীর, বিয়াট্রিক্স কিম পরিচালক Car (সেটার অটোমোবাইল), Morethandigital প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বেঞ্জামিন তালিনসহ বিশ্বের অনেক সফল ব্যবসায়ী ও লিডার।
ঐতিহাসিক ব্যবসায়ীক এই সামিটের রেজিষ্ট্রেশনের শেষ তারিখ আগামী ১৫ মার্চ ২০২৫, স্টল এবং স্পন্সরের জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি। রেজিষ্ট্রেশন করতে ভিজিটি করুন www.globalsmesummit.com বিস্তারিত জানতে ই-মেইল করতে হবে অপারেশস চিফ নিয়াজুল ইসলাম রনি (rony@gsbh.ch)। গ্লোবাল এস এমই সামিটি জিএসবিএইচ (সুইজারল্যান্ড) এর সঙ্গে আরও আয়োজক হিসাবে থাকছে Gour International (Germany), IDEAS FOR US (MARTITIUS) LTD, Milvest (Africa)।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ নভেম্বর জমকালো আয়োজনে ঢাকায় জিএসবিএইচ এর লঞ্চিং ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কর্পোরেট ব্যক্তিত্বরা।
সুন্দর ভবিষ্যৎ ও উন্নত জীবনের আশায় স্বপ্নবাজ তরুণরা দেশ ছেড়ে প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছেন। অনেকেই মনে করেন ইউরোপের কোনো দেশে পৌঁছে গেলেই ভাগ্যের চাকা বদলে যাবে। তাইতো পছন্দের শীর্ষে থাকা ইউরোপের পথেই পাড়ি জমাচ্ছেন তরুণরা। তবে বৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা অনেকটা সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই। নানা জটিলতা ও বৈধভাবে কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন অনেক তরুণ। আর দালালের খপ্পড়ে পড়ে এ পথে পাড়ি দিয়ে কেউ কেউ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেও অনেকেরই হচ্ছে সর্বনাশ।
অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বা বিভিন্ন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ সীমানা পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের সময় প্রায়ই জীবন হারাচ্ছেন স্বপ্নবাজ তরুণরা। অনেকেই নিখোঁজও হচ্ছেন। তাদেরই দু’জন মাসুদ রানা (২২) ও পাবেল আমদে (২৫)। অবৈধপথে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে ২ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তারা। একই গ্রামের মাসুদ ও পাবেল ইরান-তুরস্ক হয়ে ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজরা হলেন হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের চুনু মিয়ার ছেলে পাবেল আহমেদ ও একই গ্রামের দলাই মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা।
নিখোঁঁজ মাসুদের স্বজনরা জানান, পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে তারা কয়েকজন অভিবাসন প্রত্যাশী ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুবাই থেকে জাহাজে ইরান পৌঁছান। ইরানে কয়েকদিন অবস্থানের পর ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি পাহাড়ি পথ বেয়ে ইরান থেকে তুরস্কে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এক সাথে ১০ জন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশি মোট ২৪ জন নাগরিক ছিলেন তাদের দলে। উঁচু-নিচু পাহাড়, মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম তরার সময় তারা নিখোঁজ হন। এরপর থেকে মাসুদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
অপর নিখোঁজ পাবেলের স্বজনরা জানান, পাবেলসহ ৩৫ জন যুবক ইরান থেকে তুরস্কের পথে যাত্রা শুরু করে। তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করার সময় দালাল চক্রের সদস্যরা রাতের অন্ধকারে পাহাড়-পর্বত মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে তুরস্কে প্রবেশকালে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় ৮ জন যুবক একদিকে লুকিয়ে পড়ে এবং অন্যদিকে ২৭ জন যুবকের সঙ্গে পাবেল দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেল নিখোঁজ হয়। পাবেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ পাবেলের মামা সাইফুর রহমান তালুকদার জানান, ‘পাবেল দেশের বাইরে যাওয়ার কিছুদিন আগে তার ছোট ভাই শাহ ফাহিম ও তার মা নাজমা তালুকদার মারা যান। নিজের পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করতে ইউরোপ যাওয়ার চিন্তা করে পাবেল। ৪ ভাই বোনের মধ্যে পাবেল সবার বড়।’
তিনি কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘পাবেলের মা মারা যাওয়ার পর আমাদের কাছেই সে বড় হয়েছে, মা হারা পাবেলকে অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেছি। ইরান অবস্থানকালে ও তুরস্ক যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে ভাগিনার কথা হয়েছে। সে দোয়া চেয়ে বলেছিল, মামা আমি পৌঁছে ফোন দিব, কিন্তু আর তাকে ফোনে পাইনি। তার সঙ্গে থাকা সঙ্গীদের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ তাদের দেখে অভিযান চালালে যে যার মতো দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেলের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
নিখোঁজের ২ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি পাবেল ও মাসুদের। আজও তাদের অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।
মৃত্যু ঝুঁকির পথ বেয়ে ইরান-তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দেয়া আল-আমিন আহমেদ নামে অভিবাসী জানান, ‘ইরান হতে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করা অনেকটা মরণ ফাঁদের মতো। সীমান্তপথ পাড়ি দেওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ, অনেক উঁচু-নিচু পাহাড় অতিক্রম করতে হয়, পাশাপাশি মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়। রাতের অন্ধকারে কোনো ধরনের আলো ছাড়াই দালাল চক্রের সদস্যদের পিছনে-পিছনে যেতে হয়। কখনো দীর্ঘপথ মরুভূমি, আবার কোনো কোনো সময় উঁচু-নিচু পাহাড় কিংবা বরফে ঢাকা ঝুঁকিপূর্ণ পথ। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করতে হয়। আর সীমান্তে আটক হলে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘বর্তমানে বৈধ পথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব বিপদজ্জনক পথে বিদেশে পাড়ি না জমানোর অনুরোধ। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের টানে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামে এসেছিলেন আমেরিকান নারী ব্যাংকার শ্যারন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হওয়া ফরিদপুরের যুবক আশরাফউদ্দিন সিংকুকে বিয়েও করেন তিনি। বিয়ের পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান। এক বছরের মাথায় সিংকুকেও নিয়ে যান আমেরিকায়। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে সিংকুর বাবা আলাউদ্দিন মাতুব্বরও ছেলের কাছে বেড়াতে যান আমেরিকায়। বর্তমানে আমেরিকায় সিংকু তার স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই আছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
ঘটনাটি ২০১৬ সালের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ফরিদপুরের যুবক মো. আশরাফ উদ্দিন সিংকুর সঙ্গে আমেরিকার নাগরিক ও নিউইয়র্কের বাসিন্দা ব্যাংকার মুসলিম নারী শ্যারনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের টানে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন শ্যারন। এরপর ২০ এপ্রিল ফরিদপুরের ঝাউখোলা গ্রামের আলাউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে সিংকুকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক দিন পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান এবং সিংকু ও তার পরিবারকে বলে যান তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিংকুকে গ্রহণ করবেন। কয়েক মাস পর তিনি সেই কথা রক্ষায় ফরিদপুরে এসে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিংকুকে আমেরিকায় নিয়ে যান শ্যারন। এখন সিংকু আমেরিকাতেই তার স্ত্রী শ্যারনের সঙ্গেই থাকছেন। প্রতিবেশীরা জানান, সিংকু পড়ালেখায় বেশ ভালো ছিল। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সিংকু বড়। ভালোবাসার টানে সুদূর আমেরিকা থেকে আসা নারী শ্যারনকে বিয়ে করে এখন সিংকু বেশ ভালোই আছে।
স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফ হোসেন বলেন, সিংকু আমেরিকায় যাওয়ার পর শুনেছি তারা বেশ সুখেই আছে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে টাকা পাঠায়। বাবা-মায়ের খোঁজখবরও নেয়। বাবাকে সে আমেরিকায় নিয়ে গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ফিনল্যান্ডে এক বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেলসিঙ্কির নিকটবর্তী এসপো শহরের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ক্যাম্পাসে ‘প্রত্যাশা’ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মিলিত হন উৎসবে।
সহস্রাধিক অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে উৎসবটি পরিণত হয় এক টুকরো বাংলাদেশে। বৈশাখী পোশাক, আলপনা, পান্তা-ইলিশ ও দেশীয় খাবার ছাড়াও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুখর ছিল সন্ধ্যা। গান, আবৃত্তি, নৃত্যে ফুটে ওঠে বাংলার ঐতিহ্য।
উপস্থিত ছিলেন ফিনল্যান্ডে বসবাসরত শতাধিক পরিচিত মুখ, যাদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে উৎসব ছিল প্রাণচঞ্চল। আয়োজক সংগঠন ‘প্রত্যাশা’ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।