অনলাইন ডেস্ক :
বেলুচ বিদ্রোহীদের হামলায় রবিবার একটি সামরিক বহরে থাকা মোট ৯০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। তবে, পাকিস্তানের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হামলায় মাত্র পাঁচজন আধাসামরিক সদস্য নিহত হয়েছেন।
বিএলএ জানায়, তারা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর একটি বহরকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা চালিয়েছে। রকশান মিলের কাছে, আরসিডি মহাসড়কে, নোশকির এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী দাবি করেছে, বহরটি আটটি বাস নিয়ে গঠিত ছিল, যার মধ্যে একটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে বিস্ফোরণে।
বিএলএ আরো জানায়, তারা পরিকল্পিতভাবে বহরের সব সেনাকে হত্যা করেছে, যার ফলে শত্রুপক্ষের মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ জনে।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর এএফপিকে বলেন, “বহরটি সাতটি বাস নিয়ে তাফতান সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। নোশকির কাছে এক বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি বাসের একটির সঙ্গে ধাক্কা খায়, যার ফলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।”
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি হামলাটির নিন্দা জানিয়েছেন।
এর আগে ১২ মার্চ মঙ্গলবার মাশকাফ টানেলের কাছে, কোয়েটা থেকে ১৫৭ কিলোমিটার দূরে, এক নজিরবিহীন জিম্মি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সদস্যরা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালিয়ে ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রীকে জিম্মি করে।
সেনাবাহিনী আরো জানায়, নিহত বিদ্রোহীদের মধ্যে কয়েকজন আত্মঘাতী হামলাকারী ছিল, যাদের স্নাইপার দিয়ে হত্যা করা হয়, যখন তারা জিম্মিদের মধ্যে বসে ছিল। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে যুক্তরাজ্যের এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠা এক ব্যক্তি দিল্লির স্থানীয় একটি হোটেলে ওই ব্রিটিশ নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠে। তবে এখানেই দুর্দশার শেষ নয়! এমনকি ওই নারী যখন সহায়তার জন্য এক ব্যক্তির কাছে যান, তখন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে হোটেলের লিফটে তাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে। দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির মহিপালপুর এলাকায়। পুলিশের অভিমত, নির্যাতিতা অভিযোগকারীনি নারী জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই অভিযুক্তের সাথে তাদের পরিচয় হয়। এরপর তারা নিয়মিতভাবে কথা বলতে শুরু করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তার সাথে সশরীরে দেখা করতে ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নেন ওই ব্রিটিশ নারী।
ভারতে নামার পর, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত মহিপালপুরে একটি হোটেল রুম বুক করেন। গত মঙ্গলবার, অভিযুক্ত ব্যক্তি হোটেলে গিয়ে ওই নারীর সাথে দেখা করতে যান। যদিও ওই ব্রিটিশ মহিলা যখন বুঝতে পারেন যে ওই ভারতীয় ব্যক্তি তার সাথে অনুপযুক্ত আচরণ করার চেষ্টা করছেন, তখন তাদের উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
ব্রিটিশ নারী অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছেন। তার আরো দাবি, একসময় তিনি তখন আতঙ্কিত হয়ে সাহায্যের জন্য হোটেলের রিসেপশনে পৌঁছান। কিন্তু তাকে সাহায্য করার অজুহাতে অন্য একজন ব্যক্তি হোটেলের লিফটে তাকে শ্লীলতাহানি করেন।
ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত দুই পৃথক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে ব্রিটিশ হাইকমিশনকেও ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দিল্লির মহিপালপুরের একটি হোটেলে একজন ব্রিটিশ মহিলার সাথে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে তারই এক সঙ্গীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রথম ব্যক্তির সাথে ওই ব্রিটিশ মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছিল এবং মূলত তার সাথে দেখা করতেই যুক্তরাজ্য থেকে দিল্লিতে আসেন বিদেশিনী।
প্রসঙ্গত : চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকেই কর্ণাটকের কোপ্পাল জেলায় এক ইসরাইলি নারী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি তাদের সাথে থাকা স্থানীয় একটি স্টে-হোম’এর নারী মালিককেও গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এর পাশাপাশি ওই ইসরায়েলি পর্যটকের এক ভারতীয় পুরুষ সঙ্গীকে স্থানীয় একটি খালে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, পরে তার মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় ভারত জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। পরে তদন্তে নেবে তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক নেত্রী তুলসী গ্যাবার্ড। দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট বুধবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারি পদে নিয়োগ দেয় তাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের ভূমিকা ব্যাপক ও বিস্তৃত। সিআইএ এবং এফবিআইসহ যুক্তরাষ্ট্রের মোট সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ১৮টি। এই ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীর সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি এবং এ সংস্থাগুলো জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের কাছে জববাদিহিতা করে। জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হিসেবে এখন থেকে এই ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থা দেখভালের দায়িত্ব পেলেন তুলসী।
তুলসি গ্যাবার্ডকে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান করা হবে কি না- এ প্রশ্নে ভোট হয়েছিল সিনেটে। এই কক্ষের মোট ১০০ জন সদস্যের ৫২ জন তাকে এ পদে নিয়োগের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
তুলসী গ্যাবার্ডের জন্ম ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুদূরবর্তী অঙ্গরাজ্য অ্যামেরিকান সামোয়ার বৃহত্তম শহর তুতুলিয়ায়। তার বাবা মাইক গ্যাবার্ড যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক এবং বর্তমানের বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেট সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো সিনেট নির্বাচন হয়েছে, প্রতিটিতেই তিনি জয় পেয়েছেন।
হাইস্কুল পাশের পর তিনি হাওয়াইয়ের লিওয়ার্ড কমিউনিটি কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু পড়া শেষ না করেই সেই কলেজ ছেড়ে দিয়ে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত প্রতিরক্ষা সংস্থা হাওয়াই আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে যোগ দেন তিনি। পরের বছর মার্কিন সেনাবাহিনীর মেডিকেল শাখার সদস্য হিসেবে যুদ্ধে অংশ নিতে ইরাকে সফর করেন তিনি। ইরাক থেকে ফেরার পর ২০০৯ সালে হাওয়াই প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি নেন তুলসী।
পেশাগত জীবনের প্রায় পুরো সময়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রশান্ত মহাসগারীয় ইউনিটে কর্মরত ছিলেন তুলসী। সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের চেয়ে সামরিক বাহিনীর মেডিকেল ইউনিট, পুলিশ ও অন্যান্য দাফতরিক শাখায় বেশি সময় থেকেছেন তিনি। সামারিক বাহিনীতে তার সর্বশেষ পদবী ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল।
বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রথমে ডেমোক্রেটিক পার্টিতেই তুলসী যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য হিসেবে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধিত্বও করেছেন তিনি। ২০২২ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে সরে দাঁড়ান তুলসী, তারপর ২০২৪ সালে রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হন।
২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চেয়ে তুলসী ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু কিছুদিন প্রচারাভিযান চালানোর পর নিজে থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়ে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন তিনি।
ডেমোক্রেটিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদ বাগানো তুলসীর জন্য খুবই কঠিন ছিল। রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ট্রাম্পকে সমর্থনের ‘পুরস্কার’ হিসেবে এই পদ দেওয়া হয়েছে তুলসীকে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরা
ডেস্ক :
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণায় অভিযুক্ত বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা ভারতে জামিন পেয়ে পালিয়ে গেছেন। ভারতের মেখলিগঞ্জ থানায় প্রতি সপ্তাহে সশরীরে থানায় হাজিরা দেওয়ার শর্তে জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। এর আগে এক প্রতিবেদনের মাধ্যেম দেশটির পুলিশ সদর দপ্তর হাইকোর্টকে জানায় সোহেল রানা বর্তমানে আলীপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি ৪২ দিন ধরে সেখানে নেই।
পুলিশ জানায়, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ তার সাজা ঘোষণা করেন। এরপর থেকে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলেই ছিলেন। কিন্তু জেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জামিনের আবেদন করেন সোহেল। পরে মেখলিগঞ্জ থানায় প্রতি সপ্তাহে সশরীরে হাজিরা এবং থানা এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না এমন শর্তে একই বছরের ৮ ডিসেম্বর তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
পুলিশ আরো জানায়, জামিন পাওয়ার পর থানায় এসে হাজিরা দেওয়ার পরিবর্তে তিনি একটি ই-মেইলের মাধ্যমে জানান শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য তাকে উন্নত চিকিৎসা নিতে থানা এলাকার বাইরে যেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু কাগজও থানায় ই-মেইল করেন তিনি। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ই-অরেঞ্জ কাণ্ডের পর ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের পর শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে এক বোনের কাছে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সোহেল রানা। ভূটান-নেপাল ও বাংলাদেশ সীমানা ঘেরা শিলিগুড়ি করিডোর থেকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে। উন্মুক্ত ভারত-নেপাল সীমান্তের সুযোগ নিয়ে ফের নেপালে পালানোর চেষ্টা করতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল। তীব্র তাপ এবং প্রবল বাতাসের কারণে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যাডহক কমান্ড সেন্টারে জরুরি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের কয়েকটি এলাকায় হঠাৎই ভয়াবহ দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। বিমান, হেলিকপ্টার মোতায়েন করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং তীব্র বাতাসের কারণে বেশ কয়েকটি জায়গায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় শহর খালি করে দিয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, বেইত শেমেশ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে এশতাওল, বেইত মেইর এবং মেসিলাত জিওন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং পুলিশ ওই এলাকা থেকে জেরুজালেমে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা (রুট ৩৮) বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা যায়, আগুন প্রথমে শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছে মোশাভ তারুমের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার সময় প্রবল বাতাসের কারণে তা আরও বেড়ে যায়।
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অথরিটির একজন মুখপাত্র টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, এ আগুনে ৯ জন সামান্য আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাতজন দমকলকর্মী এবং দু’জন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন।
অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কর্তৃপক্ষ আগুন নেভানোর জন্য ছয়টি জেলা থেকে অগ্নিনির্বাপকদের তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফও যোগ দিয়েছে আগুন নেভানোর কাজে।
অনলাইন ডেস্ক:
বিভিন্ন অভিযোগ ও সমালোচনায় জর্জরিত টিউলিপ সিদ্দিককে এবার বরখাস্ত করতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ। মূলত বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে যুক্তরাজ্যের এই মন্ত্রী ব্যাপক চাপে রয়েছেন। এমনকি দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তেও ক্রমবর্ধমান চাপ রয়েছে টিউলিপের ওপর। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মূলত টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা বলেছেন, “কিয়ার স্টারমারের টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে।”তিনি আরও বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।”ব্যাডেনোচ বলেন, সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলো তৈরি করেছে তা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ সিদ্দিক সেই কাজে মনোনিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, “এখন বাংলাদেশ সরকারও শেখ হাসিনার (সাবেক) সরকারের সাথে তার (টিউলিপের) যোগসূত্র নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের পরই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এই মন্তব্য করেন। ড. ইউনূস সম্প্রতি সানডে টাইমসকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া লন্ডনের সম্পত্তিতে বসবাস করার বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এছাড়া সম্প্রতি টোরি এমপিরাও টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা টিউলিপের উদ্দেশে বলেছেন, ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তিনি যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
টোরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন, “টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং ব্যাখ্যা করতে হবে আসলে কী ঘটেছে এবং কেন। যদি তিনি তা না করেন তবে মন্ত্রী হিসেবে তিনি তার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না।”
টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য কোনও ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে লেখা একটি চিঠিতে তিনি দাবি করেন, “আমি কোনও ভুল করিনি।” এমন অবস্থায় সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এ লক্ষ্যে টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের শর্টলিস্টও করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস দিন দুয়েক আগে এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে টিউলিপ সিদ্দিককে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন প্রার্থীদের নাম প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন। সংবাদমাধ্যমটি ওই প্রতিবেদনে আরও জানায়, যদিও প্রদানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন- তিনি টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্রও টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে “সম্পূর্ণ অসত্য” বলে দাবি করেছেন, কিন্তু তারপরও টাইমসকে বলা হয়েছে— টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে কে তার উত্তরসূরি হতে পারেন তা প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কেউ কেউ অন্তত অনানুষ্ঠানিকভাবেই বিবেচনা করছেন। সূত্র: বিবিসি