অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১১ বছর পর দেশে এসে নিজ গ্রামে হাজারো ভক্তের উঞ্চ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১৭ মার্চ সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে এ উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা জানায় গ্রামবাসী। এ সময় লাল সবুজের হয়ে জার্সি গায়ে দেয়ার অপেক্ষায় থাকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরীসহ তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
এর আগে সিলেট থেকে সড়ক পথে পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জ আসেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। হামজার গাড়ি বহরটি স্নানঘাট বাজারে পৌঁছলে সেখান থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে বাড়ি নিয়ে যায় ভক্তরা। পরে নিজ বাড়িতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চে যান হামজা। এ সময় ভক্ত ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শকদের মধ্যে হামজা হামজা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
মাত্র বিশ সেকেন্ডের দেয়া বক্তব্যে হামজা দেওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘আমার খুভ ভালা লাগছে আপনারা যে আইছেন আমারে দেখার লাগি।’
পরে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ-বলে শ্লোগান দেন লেস্টার সিটির হয়ে মাঠ মাতানো এই তারকা ফুটবলার।
হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে দেখতে আসা হবিগঞ্জ অনুর্ধ্ব ১৫ দলের কয়েকজন খেলোয়াড় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে এখানে এসেছি। আমরা তার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে একদিন দেশের হয়ে খেলব এবং হামজা চৌধুরী দেশের হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন এই প্রত্যাশা করি।
হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, হামজা শুধু আমাদের জেলার নয়, আমাদের দেশের গর্ব। আমরা চাই তার হাত ধরে আমাদের জেলাসহ দেশের ফুটবলের প্রসার হোক।
স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আজিজ সিদ্দিকী বলেন, ‘হামজা দেশের প্রতি টান থেকেই এবং দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা থেকেই দেশের জার্সি গায়ে দিতে চলছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি সে যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে।’
এদিকে হামজার আগমনকে ঘিরে পুরো এলাকায় নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কে সড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) অভিযানে গত ডিসেম্বর মাসে ২০ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
৪ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, বিজিওএম, পিএসসি, সিগন্যালস্ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ডিসেম্বর মাসে বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২০,১৮,৩২,৫২৯ টাকা মূল্যের ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদকদ্রব্য জব্দ উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে ১৯,৪৫,০৯,৬৭৯ টাকা মূল্যের চোরাচালানী মালামাল এবং ৭৩,২২,৮৫০ টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে- ১৬,১০০ পিস, সিটি গোল্ড চেইন- ১,৩৭,৯৭৬ পিস, চশমা/সানগ্লাস ২০,৫২৪ পিস, প্রসাধনী সামগ্রী- ৭৭,২০১ পিস, ইনজেকশন/ঔষধ- ৭৪,৪১৯ পিস, পাওয়ার ব্যাটারী- ৯৬,০০০ পিস, শাড়ী- ৫২৮ পিস, থ্রি-পিস- ১০০টি, হাজী রুমাল- ৩২,২০৩ পিস, সিগারেট- ১,৩৯,৮০০ পিস, জর্জেট থান কাপড়- ২৫৪৮ মিটার, ডেন্টাল গার্ড- ৩৭,৩২০ পিস, চকলেট- ২৫,৬৫৫ পিস, ভারতীয় ওটস্- ৪৬৩ কেজি, কিসমিস- ৩০০ কেজি, উলের শাল- ৮০ পিস, মোবাইল ফোন- ১২ পিস, রসুন- ৯৫ কেজি এবং চিনি- ১৫০ কেজি।
সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, এই ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে যেন কোন প্রকার চোরাচালানী মালামাল ও মাদকদ্রব্য অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবি রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বরাব এলাকায় ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ট্রেনে কাটা পড়ে একসাথে দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, উপজেলার বলিয়াদি এলাকার আলহাজ সালাউদ্দিন সিদ্দিকীর ছেলে মাহমুদুল হাসান সিদ্দিকী চঞ্চল (৩৮) ও কোনাবাড়ী এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে হামিদুর রহমান রিপন (৩৯)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে চঞ্চল চৌধুরী ও রিপন হোসেন দুই বন্ধু কোনাবাড়ী থেকে বরাব এলাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। বরাব গ্রামে বিএনপির একটি উঠান বৈঠক রয়েছে। তারা দুই বন্ধু উঠান বৈঠক সফল করার লক্ষ্যে বরাবর রওনা দেয়। পথিমধ্যে উত্তরবঙ্গের রেললাইনের বরাব খোলাপাড়ায় রেললাইন পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি ট্রেন দুই বন্ধু ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে তাদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে রেল লাইনের ওপর পড়ে থাকে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নাদির উজ জামান বলেন, নিহতদের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ৩৭ রকমের সবজি, বাংলা ও ইংরেজিতে নাম লেখা। টেবিলে সাজানো সবজি ঘিরে শিক্ষার্থীদের ভিড়। কেউ খাতায় লিখছে, কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে এসব সবজি নিয়ে ধারণা দিচ্ছেন শিক্ষকগণ।
আয়োজনের নাম ‘সবজি দেখে লিখবো খাতায়’। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আখাউড়ার রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১ জানুয়ারি সোমবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা সবজি নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় বসে। তিনটি কক্ষে প্রায় দেড়শ’ শিক্ষার্থী ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরে তাদেরকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সবজি পুরস্কার দেওয়া হয়। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির নয়জন শিক্ষার্থী পুরস্কায় পায়। বেলা ১২টা তেকে ২টা নাগাদ চলে এ আয়োজন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক গাজালা পারভীন রুহি। কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহ ইলিয়াস উদ্দীন, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইয়ার হোসেন শামীম, ফরহাদুল ইসলাম, আশীষ সাহা প্রমুখ।
প্রধান শিক্ষক মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘আয়োজনটি শিক্ষার্থীরা বেশ উপভোগ করেছে। তারা সবজি দেখে তাৎক্ষনিকভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে নাম, গুনাগুন লিখে আমাদেরকে অবাল করে দিয়েছে। আয়োজনটির জন্য শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহ ইলিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘সবজির প্রতি শিশুদের আগ্রহ কম। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুরা সবজি সম্পর্কে যেমন ধারণা পাবে তেমনিভাবে খাওয়ার প্রতিও আগ্রহ বাড়বে। আয়োজনকে ঘিরে শিশুদের স্বতস্ফূর্ততা ছিলো চোখে পড়ার মতো।’
ইউএনও পৌর প্রশাসক গাজালা পারভীন রুহি বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের এ আয়োজন খুবই ব্যতিক্রম। শিশুদের মেধা ও মননশীলতার বিকাশে আয়োজনটি কাজে লাগবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আজমিরীগঞ্জে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ভাংচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আজ ১৩ মে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জলসুখা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়- ওই গ্রামের ডা. রেজাউল করিম ও জলসুখা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলুর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে মাসখানেক পূর্বেও তাদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সবশেষ ১২ মে সোমবার উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। যদিও বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয় মুরুব্বিয়ানদের মাধ্যমে শেষ হয়। এরই জের ধরে আজ সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী পুরুষসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সাইকুল বেগম (৫০), জিয়াউর রহমান (৩৫), তকদির মিয়া (৪২), ইমন (২২), নাইম মিয়া (২৪), শামিম মিয়া (১৯), মছদ উল্লা (৬০), জয় (২০), মুসকুদ উল্লা (৫০), আলী নুর (১৪), ফয়সলকে (১৪) উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডা. রেজাউল করিম জানান, কিছুদিন পূর্বে প্রতিপক্ষরা আমার উপর হামলা করে। এই ঘটনায় আমি একটি মামলা দায়ের করি। সোমবার ওই মামলায় পুলিশ আসামি ধরতে গ্রামে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের লোকজনকে মারধোর করে। মঙ্গলবারও তারা আমাদের লোকজনের উপর হামলা করলে এলাকার অধিকাংশ লোকজন একত্রিত হয়ে তা প্রতিহত করে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
অনলাইনে চাকরির প্রলোভন ও টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতারকৃতরা হলো মূলহোতা আকাশ (২২), রাশাদ (২৮) এবং তাদের সহযোগী আসাদ (৩০)।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সিআইডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিআইডির সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন অপারেশনের একটি বিশেষ দল ঢাকার ধানমণ্ডি, ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম এবং দিনাজপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি। মামলার তদন্ত বর্তমানে চলমান।
সিআইডির মুখপাত্র জসীম উদ্দিন খান জানান, তদন্তের মাধ্যমে এই প্রতারণা চক্রের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে এবং জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই চক্রটি মানুষের কাছে ভুয়া খণ্ডকালীন চাকরি ও লোভনীয় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিত।
তারা টেলিগ্রাম অ্যাপে স্বল্প সময়ে কয়েক গুণ মুনাফা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা তাদের প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে।
সিআইডি আরো জানায়, এই চক্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি আরো অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং ছদ্মনামে ব্যবহৃত সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। এ প্রতারণার শিকার হওয়া সাধারণ মানুষকে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য সিআইডি আহ্বান জানিয়েছে।