হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের আয়োজনে লন্ডনে প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন ও জাতি গঠন শীর্ষক সেমিনার, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠি হয়েছে। গত ১৭ মার্চ সোমবার বিকালে পূর্ব লন্ডনের বেথনালগ্রীন রোডের একটি হলে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের উদ্যোগে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন : অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠণ শীর্ষক এক সেমিনার, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বৃটেনের বাংলাদেশের হাই কমিশনারের পক্ষে হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মীর নূরানী রূপমা ।
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কনভেনর কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ড. মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কি নোট স্পিকার হিসেবে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিলেতের ইমিগ্র্যাশন জাজ সলিসিটর বেলায়েত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী, নিউহ্যাম কাউন্সিলের সিভিক মেয়র কাউন্সিলর রহিমা রহমান, সংগঠন এর কো- কনভেনর মসুদ আহমদ, টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কয়সর, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজ হক, সাবেক সিভিক মেয়র কাউন্সিলার পারভেজ আহমদ, কাউন্সিলর রিতা ইসলাম, কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আবু তালহা চৌধুরী, সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনের কনভেনর হারুনুর রশিদ, কো- কনভেনর জামাল হোসেন, সিনিয়র জয়েন্ট কনভেনর তাজুল ইসলাম, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি তাইছির মাহমুদ, সোসাইটি অব ব্রিটিশ বাংলাদেশী সলিসিটরস এর সভাপতি ব্যারিস্টার আব্দুল গাফফার, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশা, ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউডের সত্ত্বাধিকারী ব্যারিস্টার লুৎফুর রহমান, সাবেক স্পিকার আহবাব হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্টের সেক্রেটারি গুলজার খান, ট্রেজারার আখলাক আহমদ, ব্যারিস্টার মাসুদ আহমদ চৌধুরী ,সাংবাদিক রহমত আলী, সাংবাদিক খালেদ মাসুদ রনি, মানব টিভি সম্পাদক সাংবাদিক সাঈদ চৌধুরী, ড. আজিজুল আম্বিয়া ও ড. আজমল চৌধুরী প্রমুখ ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক সংগঠক আব্দুল মুকিত, পাইলট সাব্বির করিম, বর্নবাদ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী আব্দুল মুকিত ও আব্দুস সাত্তার ,মিসবাহুজ্জামান সোহেল, সালেহ গজনবী, দেওয়ান নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক তবারক হোসেন, সাংবাদিক সাকির হোসেন, গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে’র সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য ও সাউথ ইস্ট রিজিয়নের জয়েন্ট কনভেনর শিপার রেজাউল করিম, নুরুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, হেলেন ইসলাম, শাহ শাফি কাদির, আব্দুর রুউফ তালুকদার, সাদিক আহমদ, কদর উদ্দিন, আব্দুর রহিম রঞ্জু, সৈয়দ সায়েম করিম, আব্দুল বাসিত রফি, আজম আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক ট্রেজারার আজম খাঁন, ব্যারিস্টার আব্দুস শহীদ, ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার এনামুল হক, যুব সংগঠক শামসুল ইসলাম সলফী, সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম, প্রফেসর আব্দুল হাই, আতিক রাহনান, শানূর আলী, বেলাল হোসেন, একাউন্ট্যান্ট ওলিউর রহমান, আবুল কালাম, মোঃ শামসুল ইসলাম, তৌরিস মিয়া, আফসার হোসাইন, সৈয়দা নাজমিন সুলতানা শিখা, শেখ নুরুল ইসলাম .সাংস্কৃতিক কর্মী মাহফুজা তালুকদার ,ডঃ আজিজুল আম্বিয়া , নাজমা হোসাইন, শেখ আব্দুর রুউফ তালুকদার, হাফিজ জিলু খান, মোঃ ফজলু মিয়া, সালেহ আহমদ, নূর আহমদ, মোঃ লোকমান হোসেন, সামিউল, আব্দুল সাত্তার, সাকির চৌধুরী, মোহাম্মদ চৌধুরী, মোঃ জুনায়েত রিয়াজ, মোঃ বদরুল ইসলাম মোস্তাক, ফয়েজ আহমদ, মোঃ জিয়াউর রহমান, শাহ মুনিম, তুহিন আহমদ, মাইনুর রহমান তুহেল, দেওয়ান সালাম স্বাধীন, মোঃ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
সেমিনারে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পিজিক্সে অধ্যয়ণরত সাইমুর মুজিব রহমান, ইকোনমিক্স এন্ড ম্যানেজমেন্টে অধ্যয়নরত মুক্তাদির আহমদ, ম্যাথসে অধ্যয়নরত তাহসিন এবং হিস্ট্রি এন্ড ফিলোসপিতে অধ্যয়নরত আমিরুল ইসলাম প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশ গঠনে কি নোটের উপর তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রবাসী কমিউনিটি ও মেইনস্ট্রিম রাজনীতির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ইফতার মাহফিল এক মিলন মেলায় রূপ নেয়। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হাফিজ মো: জিলু খাঁন।
সভায় বক্তারা প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নের প্রথম ধাপ সূচিত হতে পারে বলে সেমিনারে অভিমত ব্যক্ত করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশের জাতি গঠনে কমিউনিটির বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে এই গ্ৰুপে বিভিন্ন সময়ে যার যার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও দক্ষতাসম্পন্ন পেশাজীবীদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের কার্যকর পন্থা বের করা সম্ভব হবে।
কমিউনিটির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত হয়ে ইফতার ও আলোচনা সভাকে সফল করে তুলার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে সাউথ ইস্ট রিজিওনের কনভেনর হারুনুর রশিদ ও উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কয়সর।
সভাপতির বক্তব্যে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কনভেনর মকিস মনসুর হাইকমিশনার প্রতিনিধি সহ উপস্থিত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ সহ আমাদের সংগঠন এর যারা অর্থ প্রদান করেছেন এবং পোগ্রাম সফল করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংগঠন এর আগামী দিনের পথচলায় সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে সেমিনার এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বিশ্বব্যাপী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যাপক প্রসারে ইউরোপ-আমেরিকা সহ সারা বিশ্বেরই চোখ এখন আইটি খাতে। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার বিভিন্ন স্বনামধন্য আইটি সেক্টরে কাজ করা অসংখ্য বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান আইটি ও সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞরা এই খাতে বাংলদেশের সম্ভাবনার দরজা আরো ব্যাপক পরিসরে উন্মোচনের জন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে এসেছে!
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আইটি বিশেষজ্ঞ গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব নেটওয়ার্ক বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ মিজান চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য বাংলাদেশী আইটি প্রতিষ্ঠান আইডাটাকোর ইমফোটেকের সিইও ও নিউইয়র্কের বোর্ড অব এডুকেশনে কর্মরত সিনিয়র আইটি বিশেষজ্ঞ আহমেদ সোহেল সম্প্রতি নিউইয়র্কে অন্যান্য আইটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আমেরিকান-বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন (বিএটিসি) নামে একটি আইটি সংগঠন গঠন করেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক সাধারণ সভায় সংগঠনের একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিউইয়র্কের জামাইকায় অবস্থিত মেহমান রেস্টুরেন্টে এক অনুষ্ঠানে এ কার্যকরী কমিটি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট হিসাবে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন মিজান চৌধুরী. প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন আহমেদ সোহেল, এই কার্যকরী কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন সিনিয়র সহসভাপতি – ড মোহাম্মদ শফি চৌধুরী, সহসভাপতি- মাহফুজ রহমান, সহসভাপতি-রায়ান তাজ, যুগ্ম সম্পাদক-রাশেদুল আলম রিমেল, যুগ্ম সম্পাদক-সাদাত হোসেন, কোষাধ্যক্ষ- তোরিকুল ইসলাম, সহকারী কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, সংগঠনিক সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-রাব্বি আরমান, মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক-মো. আজাদ, সদস্যপদ বিষয়ক চেয়ারম্যান-আসাদুজ্জামান চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য – সংগীত সাহা, আনিসুর রহমান, মো. সামদানি, মো. আব্দুল করিম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠনের পরিচিতি অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইটি বিশেষজ্ঞ ও কমিটির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সোহেল। সভাপতিত্ব করেন আইটি বিশেষজ্ঞ ও কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি মিজান চৌধুরী।
বিশেষ আলোচনা সভায় উপিস্থিত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান আইটি বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলার জন্য একটি টেকসই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন যেখানে তারা আইসিটি (ICT) ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা, মেন্টরশিপ ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন।এক্ষেত্রে তারা নিকট ভবিষতে একটি আইটি ওয়ার্কশপ আয়োজনের ব্যাপারেও মতামত ব্যাক্ত করেন। পাশাপাশি কমিউনিটির স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে তারা তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করতে পারবেন এবং আইটি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত পেতে পারেন।
বাংলাদেশি এবং আমেরিকান প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময় ও ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা উন্নীত করার ব্যাপারেও তারা গুরুত্বআরোপ করেন। নবগঠিত ব্যাতিক্রমী এই আইটি সংগঠনটি বাংলাদেশি-আমেরিকানদের আইটি খাতে উৎসাহী করতে আইটি খাতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি, প্রশিক্ষণ সেশন এবং নেতৃত্ব উন্নয়ন কর্মসূচিসহ পেশাগত অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জনে ফ্রি সার্ভিস দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ, বৈশাখী মেলা এবং সাংস্কৃতিক উৎসব। আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন ফিরে পেলেন এক টুকরো বাংলাদেশ। ১৯ এপ্রিল শনিবার আবুধাবি শেখ জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামি স্কুলের প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে বাঙালিয়ানায় মোড়া উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারেক আহমেদ ও তার সহধর্মিণী। শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে তারাই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
দেশীয় পোশাকে সজ্জিত নারী-পুরুষ, শিশুরা অংশ নেয় বিভিন্ন আয়োজনে। মেলায় ছিল ১৬টি রকমারি পণ্যের স্টল, যেখানে পাওয়া যায় পান্তা-ইলিশ, চিতই পিঠা, নকশি পিঠা, সিঙ্গারা, সমুচা, ঝালমুড়ি, জিলাপি, রসমালাইসহ নানা রকম মুখরোচক বাঙালি খাবার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় একক ও সমবেত গান, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, নৃত্য এবং শিশু-কিশোরদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। অংশগ্রহণ করেন দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রবাসী শিশু-কিশোর, বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
প্রবাসজীবনের একঘেয়েমি ভুলিয়ে আবুধাবিতে এমন একটি আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মধ্যে দেশীয় সংস্কৃতির সৌন্দর্য ভাগাভাগি করে নেন। এই আয়োজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে দেশপ্রেম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বন্ধন আরো দৃঢ় করে তোলে বলে আয়োজকেরা মনে করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে নিউইয়র্কের জ্যামাইকার স্থানীয় এক রেষ্টুরেন্টে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস স্মরণে ও দিবসটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের দাবিতে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের আহবায়ক এনামুল হায়দার এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসাইন, মুলধারার রাজনীতিবিদ ও নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, মুলধারার রাজনীতিবিদ এডভোকেট মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর ভূইঁয়া, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম, সাংবাদিক রিমন ইসলাম, দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, চৌমুহানী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আবদুল মান্নান, জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন স্বপন,যুগ্ম আহবায়ক তছলিম উদ্দিন খান, আরজু হাজারী, মোহসিনুর রহমান সবুজ, দলটির যুক্তরাষ্ট্র এর অন্যতম নেতা গাজী আযম বাদল,শরীফ উদ্দিন, সাবেক ছাত্র নেতা গোলাম ফারুক, আজিজুল হক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতেই দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সদ্য প্রয়াত স্ত্রী নাসিমা আক্তার, দলটির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম সহ দলের সকল শহীদ ও প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট কাল নীরবতা পালনসহ বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চের দ্বিতীয় তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝখানে সোনালি মানচিত্রখচিত পতাকা। নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে সেদিন পতাকাটি উত্তোলন করেন ঐসময়কার ডাকসু’র ভিপি ও সাবেক মন্ত্রী এবং জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে তৎকালীন ডাকসু নেতাদের উদ্যোগে সাড়া দিয়েছিলেন আমজনতা। প্রকৃতপক্ষে সেদিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত হয় এবং স্বাধীনতা অর্জনের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় স্বাধীনতার পর প্রত্যেক সরকারই এই ঐতিহাসিক দিনটিকে অবহেলা আর অবজ্ঞা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দেয়নি। তেমনিভাবে ঐতিহাসিক ৩রা মার্চকেও প্রতিটি সরকারই শুধুমাত্র রাজনৈতিক হীনমন্যতার রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুগ্ম আহবায়ক সামছু উদ্দিন আহমেদ শামীম।
৩ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে ঐদিন পল্টন ময়দানে ছাত্র জনতার সমাবেশে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান সিরাজ।
তাই আজকের আলোচনা সভা থেকে জুলাই ‘২৪ গণ আন্দোলনের ফসল বতর্মান সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, ঐতিহাসিক ২ ও ৩ মার্চকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার জন্য এবং অন্যান্য দিবসের সাথে এ দুটো দিবসকেও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।তবেই নতুন প্রজণ্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ইফতার এবং নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।
অনলাইন ডেস্ক :
আমরা ক’জন সিডনি অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে গতকাল ২৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ইস্ট ক্যাম্বলটাউন কমিউনিটি হলে ‘আমাদের বৈশাখ’ শিরোনামে পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া হয়। সুমনা বড়ুয়া, কুহেলী বড়ুয়া ও দেবযানীর সঞ্চালনায় দুপুর দুইটায় বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত, দলীয় সংগীত, বাচ্চাদের দলীয় নৃত্য এবং গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। দেশীয় সংস্কৃতির রঙে রঙিন হয়ে ওঠে পুরো বর্ষ বরণের আয়োজনটি। বিকাল ৪ টায় বৈশাখের খাবারে ছিল নানান রকমের ফল, মিস্টি, ফিরনি, নারিকেলের নাড়ু, স্ন্যাকস, পিঠা পুলি ও চা।
বাচ্চাদের ছবি আঁকা, একক গান, কবিতা আবৃত্তি এবং নাচের পর পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় স্থানীয় শিল্পীরা নাচ ও গানে অংশ নেয়।
আমন্ত্রিত অতিথিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, কাউন্সিলর ইব্রাহিম খলিল মাসুদ, শঙ্খনাদের সভাপতি গণেশ ভৌমিক, বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া বুডিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ বড়ুয়া, সন্তোষ বড়ুয়া, নারী সংগঠক জুই সেন পাল। আয়োজক কমিটি অতিথিদের নিয়ে বাংলা বর্ষবরণের কেক কাটেন।
আয়োজক কমিটির পক্ষে পবিত্র ও হৈমন্তী বড়ুয়া বাংলা বর্ষবরণের আয়োজনে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি তারা সংগঠনের সকল সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান শেষে রাতের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার উপদেষ্টা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম (৭৫)চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শহরেরএকটি হাসপাতালে গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গণমাধ্যমকে সংবাদ জানিয়েছেন সামসুল আহমেদ শামীম। বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম এর নামাজে জানাযা ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নিউইয়র্ক শহরের1404 newkirk avenue, Brooklyn বেলাল মসজিদে বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবারের ও দলের পক্ষ তার নামাজে জানাযায় উপস্থিত হওয়ার সকলের প্রতি অনুরোধ করা হচ্ছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর মাষ্টার আবুল কালাম স্বস্ত্রীক দেশে যান। ২৯ জানুযারি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেরার পথে, নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের সাথে সাথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বিমানবন্দর থেকে জরুরি গাড়ির মাধ্যমে হাসপাতালে নেয়া হয়,আর সেখান থেকেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরপারে পাড়ি জমালেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আবুল কালাম।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি, যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, ছেলে, দুই মেয়ে নাতি – নাতনিসহ অসংখ্য সহযোদ্ধা, বন্ধু – বান্ধব রেখে গেছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের এ বীর সেনানী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে, স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা কায়েমসহ শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অধিকার ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামে আজীবন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে গেছেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন সরকারের সময়ে জেল জুলুমের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ হিসাবে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
মাষ্টার আবুল কালাম এর মৃত্যুতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাষ্টার আবুল কালামের মৃত্যুতে জেএসএফ’র পক্ষ থেকে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।