অনলাইন ডেস্ক :
লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্তিনেজের মতো তারকারা খেলোয়ার ছাড়াই আর্জেন্টিনাকে জয় উপহার দিলেন থিয়াগো আলমাদা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে গতিময় শটে খুঁজে নিলেন জালের ঠিকানা। তাতে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের পথে এক পা দিয়ে রাখল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আজ ২২ মার্চ শনিবার লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে উরুগুয়ের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। নিয়মানুযায়ী, কনমেবল থেকে আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপে সরাসরি সুযোগ পাবে ৬ দল। পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বর দলের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট এগিয়ে থাকায় পরের পাঁচ ম্যাচ থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট পেলেই আর্জেন্টিনা নিশ্চিত করবে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট।
এদিন ৫৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ছয়টি শট নেয় উরুগুয়ে, এর দুটি ছিল লক্ষ্যে। অন্য দিকে আর্জেন্টিনার ১২ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে। তবে দলকে সাফল্যের মুখ দেখতে অপেক্ষা করতে হয় ৬৮তম মিনিট পর্যন্ত। জুলিয়ান আলভারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন আলমাদা। জাতীয় দলের হয়ে সাত ম্যাচ খেলে নিজের তৃতীয় গোল করলেন লিঁওর এ মিডফিল্ডার।
অবশ্য ঘরের মাঠ সেন্টেনারিও স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনাকে শুরু থেকে চেপে ধরে উরুগুয়ে। তবে গোলের জন্য প্রথম শট নেয় আর্জেন্টিনাই। ১৯তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে চেষ্টা করলেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি লিয়ান্দ্রো পারেদেস। আট মিনিট পর এনজো ফার্নান্দেজের দুর্বল বাঁকানো শট গ্লাভসে নেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক সার্জিও রোচেত। দুই দল মিলিয়ে লক্ষ্যে এটাই প্রথম শট।
সফরকারীদের জমাটরক্ষণে একের পর এক আক্রমণ ব্যর্থ হয় উরুগুয়ে। ৩৩তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেন উরুগুয়ে মিডফিল্ডার জর্জিয়ান দে আরাকায়েস্তা। সতর্ক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ঝাঁপিয়ে গ্লাভসে নেন বল। ছয় মিনিট পর দুরূহ কোণ থেকে জুলিয়ানো সিমেওনের দারুণ শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন রোচেত।
ম্যাচের প্রথম কর্নারে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মেসির অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা দলকে নেতৃত্ব দেওয়া নিকোলাস ওতামেন্দি। ৪৩তম মিনিটে আলমাদার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক রোচেত। ফিরতি বলে ফার্নান্দেজের শট স্লাইড করে ব্যর্থ করে দেন হোসে মারিয়ে হিমেনেস। নষ্ট হয় প্রথমার্ধের সবচেয়ে ভালো সুযোগ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণে সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ৪৮তম মিনিটে আলমাদার চমৎকার শট কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন রোচেত। তিন মিনিট পর ৩৫ গজ দূর থেকে ফেদে ভালভের্দের শট যায় মার্তিনেজের গ্লাভসে। ৬২তম মিনিটে জিয়ালিয়ানো সিমিওনের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনার গোলের অপেক্ষা বাড়ান রোচেত।
পরের মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের দুর্দান্ত রক্ষণ চেরা পাসে আলমাদা একটু বাড়তি সময় নেওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেরিয়ে এসে ক্লিয়ার করেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক। কিন্তু ছয় মিনিট পর আর দলকে রক্ষা করতে পারেননি রোচেত। আলভারেজের কাটব্যাকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে তীব্র গতির শটে জাল খুঁজে নেন আলমাদা। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি উরুগুয়ে গোলরক্ষক।
বাকি সময়ে গোলের পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে অহেতুক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড নিকো গঞ্জালেস। শেষ মুহূর্তে ১০ জনের দল নিয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। অথচ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগের দেখায় মেসিদের নিয়েই ঘরের মাঠে উরুগুয়ের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। সে দিক থেকে এটা প্রতিশোধেরও ম্যাচও ছিল। যেটা খুব ভালোভাবেই আদায় করলেন স্ক্যালোনির শিষ্যরা।
এ জয়ে শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনা দুইয়ে থাকা ইকুয়েডরের সঙ্গে ৬ আর সাতে থাকা বলিভিয়ার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ালো ১৫। আগামী বুধবার ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচে ১ পয়েন্ট পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বিশ্বকাপের পরের আসরে তাদের খেলা। অথবা বলিভিয়া পয়েন্ট খোয়ালেই নিশ্চিত হয়ে যাবে আলবিসেলেস্তেদের টিকিট।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১০ দলের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে আলবিসেলেস্তেরা। ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে একুয়েডর। ২১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে ব্রাজিল। ২০ পয়েন্ট নিয়ে পরের দুটি স্থানে যথাক্রমে উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। এদিকে টানা তিন হারে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে নেমে গেছে কলম্বিয়া। সাতে থাকা বলিভিয়ার ১৩ পয়েন্ট।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে আফগানিস্তান তুলেছিল ১৪৮ রান। ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পর আকস্মিক ধস না নামলে সেটা হতে পারত আরও বড়। কিন্তু যা হয়েছে বোলিং সহায়ক উইকেটে সেটাই ছিল যথেষ্ট। বল হাতে পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই তিন উইকেট তুলে নেন আফগান বোলাররা। মাঝে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হলেও, শেষদিকে আরেকবার নিজেদের বোলিং কারিশমা দেখান এশিয়ান দেশটির বোলাররা।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট আবারও চোখ রাঙাচ্ছিল। আফগান সমর্থকদের কেউ কেউ হয়তো সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ম্যাক্সওয়েলের অমন ইনিংসের কথাই ভাবছিলেন। সেই ম্যাচে ৯১ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়েও ম্যাক্সওয়েলের ডাবল সেঞ্চুরিতে হারতে হয় আফগানিস্তানকে। তবে আজ আর তেমনটা হয়নি। ম্যাক্সওয়েলকে ৫৯ রানে থামিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান।
সেন্ট ভিনসেন্টে আজ অস্ট্রেলিয়াকে ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২১ রানে হারিয়েছে আফগানরা। আফগানিস্তানের বোলারদের দাপটে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ১২৭ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি আফগানিস্তানের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে একা হাতে লড়াই করে আফগানদের জেতা ম্যাচ হারিয়ে দিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। টি-টোয়েন্টিতেও সেই শঙ্কা জাগিয়ে তুলছিলেন ম্যাক্সি। আফগান বোলিংয়ের বিপক্ষে বাকি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা যেখানে অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন; সেখানে দলকে জয়ের পথ দেখাচ্ছিলেন তিনি। তবে এদিন গল্পের শেষটা দেখে আসতে পারেননি ম্যাক্সি। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে দলীয় ১০৬ রানে ব্যক্তিগত ৪১ বলে ৫৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংসের শেষ হয় ম্যাক্সির। সেই সঙ্গে শেষ হয় অজিদের জয়ের স্বপ্ন। ম্যাক্সিকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরা আফগানরা শেষমেশ বিশ্বমঞ্চে অজিদের বিপক্ষে পেয়ে যায় প্রথম জয়টা। তাও ২১ রানের ব্যবধানে। আর তাতেই সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা টিকে আছে তাদের। ঝুঁকিতে পড়ে গেছে অজিদের সেমিতে খেলা।
অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছেন মূলত গুলবদিন। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। তিনি আউট করেছেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, টিম ডেভিড ও প্যাট কামিন্সকে। বোলিংয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আফগানিস্তানের অন্য বোলাররা। ট্রাভিস হেডকে শূন্য রানে ফেরানো নাভিন উল হকও ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
প্রথম ওভারে হেডকে ফেরানো নাভিন তৃতীয় ওভারে ফেরান অধিনায়ক মিচেল মার্শকে। এরপর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ডেভিড ওয়ার্নাকে আউট করেন মোহাম্মদ নবী। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৩৯ রানের জুটি গড়েন ম্যাক্সওয়েল ও স্টয়নিস। এরপরই মুলত গুলবদিন ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন। তাঁর বাউন্সারে ইনিংসের ১১তম ওভারে আউট হন স্টয়নিস। টিম ডেভিডও উইকেটে থিতু হতে পারেননি। তাঁকেও আউট করেছেন গুলবদিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ টানা ৮ ম্যাচ জেতার পর হার দেখল অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে শুরুটা দারুণ করে আফগানিস্তান। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ওপেনিংয়ে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। যদিও তুলনামূলক কঠিন উইকেটে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের সামনে খুব একটা দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেননি তাঁরা। দুজনে ১১৮ রানের জুটি গড়েছেন ৯৫ বলে। ৪৮ বলে ৫১ রান করেছেন ইব্রাহিম। গুরবাজ করেছেন ৪৯ বলে ৬০।
এমন জুটির পর বড় একটা সংগ্রহই হওয়ার কথা ছিল আফগানিস্তানের। তবে শেষ ৫ ওভারে মাত্র ২৯ রান করতে পারে তারা। এর কারণ প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিক। বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবারও হ্যাটট্রিক করেছেন এই পেসার। এবারও দুই ওভার মিলিয়ে তাঁর হ্যাটট্রিক। উইকেট নিয়েছেন ১৮তম ওভারের শেষ বল এবং ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে।
আজ কামিন্সের হ্যাটট্রিকের শুরুটা হয় ১৮ ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করে। এরপর ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে আউট করেন করিম জানাত ও গুলবদিন নাইবকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা দুই ম্যাচে কোনো বোলারের হ্যাটট্রিকের ঘটনা এই প্রথম। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয়। এর আগে ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান : ২০ ওভার ১৪৮/৬
অস্ট্রেলিয়া : ১৯.২ ওভার ১২৭/১০
ফল : আফগানিস্তান ২১ রানে জয়ী।
অনলাইন ডেস্ক :
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নেদারল্যান্ডসকে বড় ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ। ১৩৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৮ উইকেট ও ৩৯ বল হাতে রেখে জয় পায় লিটন দাসের দল। আজ ৩০ আগস্ট শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয় ডাচরা। ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন তেজা।
বাংলাদেশের হয়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তাসকিন। এ ছাড়া সাইফ দুটি ও মুস্তাফিজ একটি উইকেট শিকার করেন।
জবাবে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। দলীয় ২৬ রানে পারভেজ হোসেন ইমন (১৫) আউট হলেও হাত খুলে খেলতে থাকেন লিটন দাস। অপর পাশে তাকে ভালো সঙ্গ দেন তানজিদ হাসান। তারা দুজনেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকেন। একপর্যায়ে দলীয় ৯২ রানে তানজিদ হাসান (২৯) সাজঘরে ফেরেন।
ততক্ষণে জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায় বাংলাদেশের। পরে সাইফ হাসান ব্যাটিংয়ে আসেন। শেষপর্যন্ত লিটন দাস ৫৪ রান ও সাইফ হাসান ৩৬ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নেদারল্যান্ডস : ২০ ওভার ১৩৬/৮
বাংলাদেশ : ১৩.৩ ওভার ১৩৮/২
অনলাইন ডেস্ক :
সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালীয় ভারত। দু’বছর আগে যাদেরকে ৩-০ গোলে তারা হারিয়েছিল। এবার আবারও তাদের উড়িয়ে দিয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। আজ (নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার ম্যাচে বাংলাদেশের ড্র প্রয়োজন ছিল সেমিফাইনাল খেলতে। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমে সাবিনারা ৩-১ গোলের দাপুটে জয় আদায় করে নিয়েছেন। পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। আজ মাঠের পারফরম্যান্সে অবশ্য সেই প্রভাব পড়েনি। তিন গোলের দুটি তহুরা খাতুনের, আরেকটি আফিদা খন্দকারের। ভারতের গোলটি করেন অধিনায়ক বালা দেবী। ম্যাচের চারটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে।
এর আগে শুরুর একাদশে দুই পরিবর্তন করে মারিয়া মান্দা ও মাসুরা পারভীনকে সুযোগ দিয়েছিলেন কোচ পিটার বাটলার। ১৫ মিনিটে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের কর্নার ভারতীয় গোলরক্ষক ঠিকমতো গ্রিপ করতে পারেননি। বল এসে পড়ে বাংলাদেশের আফিদার কাছে। ভারতীয় ডিফেন্ডাররা ব্লক করার আগেই তিনি শট নেন। ভারতীয় গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে গোললাইন অতিক্রম করে তার শটটি। এরপরই বাংলাদেশ গোল উৎসবে মাতে।
গোলের পর বাংলাদেশ আরও সুন্দর ফুটবল খেলা উপহার দেয়। অল্প সময়েই তারা বেশ কয়েকটি আক্রমণ শাণায়। ২৮ মিনিটে ভারতের ডিফেন্ডারের ভুলে আরেকটি গোল পায় বাংলাদেশ। বাম প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি ভারতীয় ডিফেন্ডার। তার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড তহুরার গায়ে লেগে সেই বলটি জালে জড়ায়।
৪২ মিনিটে তৃতীয় দফায় ব্যবধান বাড়ায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শামসুন্নাহার সিনিয়র ও জুনিয়র বল দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে বক্সের ওপর বল পান তহুরা খাতুন। জোরালো শটে গোল করেন বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটে ভারত এক গোল পরিশোধ করে। ভারতের আক্রমণে বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা গ্রিপ করতে পারেননি। গোলরক্ষকের হাত ফসকে যাওয়া বলে হেড দিয়ে জালে পাঠান ভারতীয় অধিনায়ক বালা দেবী।
বিরতির পর ভারত গোলের কয়েকটি সুযোগ পায়। প্রতিবারই বাধা হয়ে দাড়ান গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা। রুপ্নার পারফরম্যান্সে ভারত দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল পায়নি। বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার দ্বিতীয়ার্ধে স্বপ্না রাণী, সানজিদাকে নামান। অবশ্য বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে তেমন গোলের সুযোগ পায়নি। ফলে প্রথমার্ধের একই ব্যবধান নিয়েই দুই দল মাঠ ছাড়ে।
অনলাইন ডেস্ক :
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে খুলনা টাইগার্সকে ৭ রানে হারাল ফরচুন বরিশাল। ১৬৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলতে পারে খুলনা। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার রাতে চট্টগ্রামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান এসেছে মাহমুদউল্লার ব্যাট থেকে। এ ছাড়া রিশাদ হোসেনের ১৯ বলে ৩৯ রানের বর করে ১৬৭ রানের লিড নেয় বরিশাল।
জবাবে খুলনার খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি। শূন্য রানে আউট হন ইমরুল কায়েস। তবে আরেক ওপেনার নাঈম ও তিনে নামা মেহেদি মিরাজ দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেও পারেননি। ৬৫ রানে ভাঙে তাদের জুটি। ৩৩ রানে আউট হন মিরাজ। এ ছাড়া আফিক হোসেন করেছেন ২৭ রান। শেষ পর্যন্ত খেলতে থাকেন নাঈম। জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। রিপন মন্ডলের করা ওভারের প্রথম তিন বলে দুই ছক্কায় ১২ রান তোলেন নাঈম শেখ। তাতে কিছুটা হলেও জয়ের স্বপ্ন দেখছিল দলটি। কিন্তু চতুর্থ বলে নাঈম ৭৭ রানে আউট হলে ম্যাচ থেকে খুলনা ছিটকে যায়। শেষ পর্যন্ত ফরচুন বরিশাল ৭ রানের জয় পায়।
অনলাইন ডেস্ক :
৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ৩ মে শুরু হওয়া সিরিজের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। প্রথমবার দলে ডাক পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেলে ছেলে জোনাথন ক্যাম্পবেল।
অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। সিকান্দার রাজার নেতৃত্বাধীন দলে ফিরেছেন ফারাজ আকরাম ও তাদিওনাসে মারুমানি। দলের বাকিরা জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সিরিজের অংশ ছিলেন।
এছাড়া অভিজ্ঞ ক্রেগ আরভিন, শন উইলিয়ামস, ব্লেজিং মুজারাবানিরা আছেন দলে। রায়ান বার্ল, জনজি লুকরাও ভালো টি-২০ খেলেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড এখনও দলটির হেড কোচ নিয়োগ দেয়নি। বাংলাদেশ সিরিজে স্টুয়ার্ট মাটসিকেনারি কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।
জিম্বাবুয়ের দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), আকরাম ফারাজ, বেনেত্তি ব্রেইন, রায়ান বার্ল, ক্যাম্পবেল জোনাথন, ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বিয়া, লুক জনজি, ক্লিভ মাদান্দে, তাদিওনাসে কায়তানো, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেজিং মুজুরাবানি, আনিসলি এন্ডলভ, রিচার্ড এনগ্রাভা, শন উইলিয়ামস।