অনলাইন ডেস্ক :
টেকনাফের শাহপরীতে কোস্ট গার্ড ও র্যাবের যৌথ অভিযানে এক লাখ পিস ইয়াবাসহ পাঁচ রোহিঙ্গা পাচারকারী আটক হয়েছে।
আজ ২৫ মার্চ মঙ্গলবার রাতে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর ২টায় কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন অধীনস্থ বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরী এবং র্যাব-১৫ সিপিসি-১ এর সমন্বয়ে টেকনাফের ঘোলার চর সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকৃত একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের বোট তল্লাশি করে এক লাখ পিস ইয়াবাসহ পাঁচজন ইয়াবা পাচারকারীকে আটক করা হয়।
আটক পাচারকারীরা হলেন, এনায়েত উল্লাহ (৪১), নুর আলম (৩৮), মো. তুহা (২৫), আজিজুল্লাহ (২২) ও আব্দুল হামিদ (২৫)। সবাই টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত ইয়াবা এবং আটককৃত পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
উচ্চ আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনসহ দুটি স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেদখল হয়ে থাকা ২৫ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়। ৯ জুলাই বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মসজিদ রোড এলাকায় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবীন এই অভিযান পরিচালনা করেন।
মামলার রায় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শহরের মসজিদ রোড এলাকায় জেলা প্রশাসন অর্পিত সম্পত্তির ২৪ দশমিক ৮৯ শতক জায়গা ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন জনের কাছে বন্দোবস্ত দেন। ২০১২ সালের জুলাই মাসে লীলাময় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি জায়গাটির মালিকানা দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে মামলা দায়ের করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ আদালত লীলাময় ভট্টাচার্যের পক্ষে রায় দেন। সরকার পক্ষ এই অর্পিত আপীল রায় ডিক্রির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিভিউ দায়ের করেন। পরে মামলার বাদি রিভিউর বিরুদ্ধে একটি আবেদন করেন। উচ্চ আদালতের আপীল ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালের অর্পিত আপীল মোকদ্দমার রায় ডিক্রি বাস্তবায়নের জন্য এক আদেশ দেন।
জেলা প্রশাসন মামলায় হেরে যায়। উচ্চ আদালত জায়গাটি প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের (আইন অধিশাখা-৪) ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিলের পরিপত্র দ্বারা অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ২০০১ এর ২২ (৩) ধারা বিধান বিদ্যামান থাকায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্মারকে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইবুনালের রায় বাস্তবায়নের নির্দেশনা রয়েছে। আপীল ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে প্রতিকার চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই উচ্চ আদালত রিট দায়েরের জন্য কোনো প্রস্তাব প্রেরণের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। ২০১৬ সালের অর্পিত আপীল রায়ের কার্যকারিতার উপর সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ নেই। অর্পিত আপীল ট্রাইব্যুনাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত দেয়া ডিক্রি বাস্তবায়নের আদেশ বিদ্যমান থাকায় মামলার রায়-ডিক্রি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আইনত আর কোনো বাধা নেই বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মতামত দেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মসজিদ রোড এলাকায় উপস্থিত হন। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ভবনে থাকা দোকানদারকে মালামাল সরিয়ে নিতে ২টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। ২টার পরে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
তবে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে উচ্ছেদের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। চেম্বারও কিছু বলেনি।
জমির মালিক লীলাময় ভট্টাচার্যের ছেলে নির্মল ভট্টাচার্য বলেন, ‘জায়গাটি আমাদের পূর্বপুরুষদের। বিভিন্ন কারণে এটি পরে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত হয়। উচ্চ আদালতের রায়ে জায়গাটি আমাদের পক্ষে আসে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার নুসরাত জাবীন বলেন, আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে চেম্বারসহ দুটি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১০ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলমান অভিযানে গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ নাইমুল ইসলাম, মো. জাবেদুর রহমান, আবির হামিদ মাহি, মো. রাকিব, মো. সাজিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মো. সাব্বির হোসেন, অভিজিৎ রায় সরকার, মোঃ অপু, মো. আবুল খায়ের।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের তালিকা:
একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলভার, তিনটি শর্টগান, ৯টি শটগানের বুলেট, ৪টি পিস্তল ও রিভলবারের বুলেট, এবং বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় অবৈধ সীসা কারখানায় অভিযান চালিয়ে তিন চীনা নাগরিকসহ ছয়জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফে মোহাম্মদ ছড়া।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: চীনা নাগরিক ঝানা ইয়াংলিয়াং (৪৪), ঝু শিংলিয়াং (৪১), সান বেনহুয়া (৬৩); এবং বাংলাদেশি মো. ইফতেয়ার সিকদার (৩৩), মো. সোহাগ মিয়া (২৫) ও মো. দিদার (২৬)।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রাখিবুল হাসান, আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
পরিদর্শক মো. রাখিবুল হাসান জানান, সোনারামপুর এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে সীসা কারখানা স্থাপন করে সেখানে উৎপাদন ও ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছিল। ওই কারখানায় সীসা গলানোর ফলে পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছিল। কারখানাটি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সীসা সরবরাহ করা হতো।
অভিযানে কারখানাটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত তিন চীনা নাগরিকসহ মোট ছয়জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে।
অনলাইন ডেস্ক
ট্রাফিক পুলিশের হেনস্থা ও হয়রানির প্রতিবাদে রাজধানীর গাবতলীতে মহাসড়ক অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিক। অবরোধের কারণে বন্ধ রয়েছে মিরপুর সড়কে যান চলাচল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
রাজধানীর প্রবেশ মুখে অবরোধের কারণে গাবতলীর উভয় পাশে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। তা বিস্তৃত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সাভারের আমিনবাজার থেকে বলিয়ারপুর পর্যন্ত। চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন অফিস মুখো যাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে আশিক মিয়া নামের এক পিকআপ চালকের গাড়ির কাগজপত্র চেক করার বিষয় নিয়ে প্রথমে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
তাদের অভিযোগ, ফিটনেস,রুট পারমিটসহ সকল কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ওই পিকআপ ভ্যানের লুকিং গ্লাস ভাঙ্গা থাকায় ২০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
এ সময় চালক ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ট্রাফিক সার্জেন্ট জহিরসহ দুই পুলিশ তাকে মারধর করেন।
এর প্রতিবাদে পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা গাবতলীতে সড়ক অবরোধ করলে সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়। সূত্র : যায়যায়দিন
চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনার চাটমোহর উপজেলার একটি গ্রাম মামাখালী, যে গ্রামে এখনো বর্ষা মৌসুমে চলাচল করতে হয় কাদা আর পানির রাস্তায়। চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ও নিমাইচড়া দুই ইউনিয়নের সীশান্তবর্তী হলেও ইউনিয়ন দুটির ভেতর গ্রামটির অবস্থান। কাগজে-কলমে বনমালী নগর নামের মৌজার গ্রামটি স্থানীয়ভাবে মামাখালী গ্রাম নামে পরিচিত। গ্রামটিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বসবাস হলেও নেই শুধু ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, মামাখালী গ্রামের পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাঁচা সড়কটি গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই বেহাল সড়কটিতে চরম দুর্ভোগের ভেতর দিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। অনেক সময় বর্ষার পানিতে রাস্তাটি তলিয়ে গেলে তিন-চার মাস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দ্বীপের বাসিন্দাদের মতো দিন পার করতে হয় গ্রামবাসীর। শুধু যানবাহনই নয়, হেঁটে চলাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। যাদের সামর্থ আছে তারা নৌকায় যাতায়াত করেন।
বিদ্যালয়গামী শিশুরা প্রতিদিন কাদা-পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করেন। গ্রামবাসীর অভিযোগ মূলত গ্রামটির একাংশ ছাইকোলা ইউনিয়নের ও অপর অংশ নিমাইচড়া ইউনিয়নে হওয়ার কারণেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে না। ফলে পুরো এলাকাটি বছরের পর বছর থেকে যায় সুবিধাবঞ্চিত। তারা দাবি করেন মামাখালী পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি প্রথমে মাটির কাজ শেষে পাকাকরণ করা হোক। তাহলে তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়, অপরদিকে তারা চলাচল করে সাচ্ছন্দবোধ করবেন।
গ্রামের এক বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, জন্মের পর থেকেই এই গ্রামের এমন অবস্থা দেখে আসছি। আমার যৌবন বয়সে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেও পারিনি। গবাদী পশু নিয়ে বর্ষা মৌসুমে আমাদের ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হয়।
গ্রামের বাসিন্দা রহিমা খাতুন বলেন, আমার ছোট ছেলে স্কুলে পড়ে। প্রতিদিন বই খাতা ভিজে যায়। কখনো কাদায় পড়ে যায়, তখন খুব কষ্ট লাগে। আমরা কি এই কষ্ট নিয়েই বাঁচবো? আমাদের এলাকার উন্নয়ন কি কখনো হবে না- প্রশ্ন তার।
সোলায়মান, ইজ্জত আলী, আবুল হোসেনসহ একাধিক বয়স্করা বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় সবাই আসে রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ভোট নেন। নির্বাচিত হওয়ার পর আর কেউ ফিরে তাকায় না গ্রামটির দিকে।
বনমালীনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বাসনা রানী মন্ডল বলেন, বর্ষাকালে রাস্তা-ঘাট এতটাই পিচ্ছিল আর কাদা হয় যে, শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় বইপুস্তক নষ্ট করে ফেলে। আমরা শিক্ষকদেরও বর্ষা মৌসমে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী মোহা: রাকিব হোসেন জানান, আমি এই ষ্টেশনে নতুন, আমার জানা ছিল না। তারপরও আমাদের নিকট সে ভাবে কেউ কখনো প্রকল্প নিয়ে আসেনি, তাই রাস্তাটি মেরামত হয়নি। আমরা স্ব উদ্যোগে খোঁজ খবর নিয়ে রাস্তাটি মেরামতের চেষ্টা করবো বলেও তিনি জানান।