চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় হাঁস নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ ২৮ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ২০ দিন আগে রোশেনা বেগম নামে এক নারীর কয়েকটি রাজহাঁস ঘুজিয়াখাই গ্রামের জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জয়দর মিয়া রোশেনা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন।
এর দুইদিন পর প্রতিশোধ নিতে রোশেনার লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই পক্ষ আপোসে রাজি হয়।
তবে আপোসের পরও জয়দর মিয়ার লোকজন রোশেনার পক্ষের সাইফ মিয়াকে মারধর করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় ও আদালতে মামলা করে।
সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে দুই পক্ষের লোকজন বাড়িতে আসতে শুরু করে। পূর্বের বিরোধের জের ধরে তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই এলাকায় ফিরে আসে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুইপক্ষের লোকজন ঘোষণা দিয়ে কবরস্থানের পাশে খোলা মাঠে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলে দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জমিতে রাজহাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এ নিয়ে থানায় ও আদালতে মামলা রয়েছে। আজ সেই পুরনো ঘটনার জের ধরেই আবার সংঘর্ষ হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাতলপাড় ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এ সময় সর্বজনীন পেনশন স্কিম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন প্রান্তিক মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় একদিন বড় সম্পদে পরিণত হবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে সকলকে এই পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহবান জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যার মো: রাফি উদ্দিন আহমেদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: নুরে আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, এনজিও প্রতিনিধি মো: আবু সাঈদ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি কুতুবুল আলম পাটোয়ারি প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন সচিব, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউজিসি) উদ্যোক্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নাসিরনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২১ অক্টোবর শনিবার বেলা ১১ টার নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক সড়কের কলেজ মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সভাপতি পীরজাদা মাওলানা রিয়াজুল করিম আল-কাদরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাজী আতাউর রহমান গিলমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সহ-সভাপতি পীরজাদা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, জামিয়া মতিনিয়া সুন্নীয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা মাওলানা মুস্তাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, মাওলানা নজরুল ইসলাম আজিজি, মাওলানা আনোয়ারুল আজিজ, মাওলানা সাহাবুদ্দিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নুরুল আলম শেখ, প্রভাষক মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা শেখ নুরুল আলম, যুবসেনার মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাজহারুল হক রাব্বি পাঠান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা ইসরায়েলি সেনাদের ফিলিস্তিনে হামলার তীব্র সমালোচনা করে অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবিসহ সেখানকার মুসলমাদের প্রতি সমবেদনা জানান।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন দরবার শরীফের পীর মাশায়েখসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুইপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ ১০জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে উপজেলার সদরের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মীর ফাহাদ (৩৮), মীর বশির আহমেদ (৬০), মীর আলতাফ হোসেন (৪০), মীর রাসেল (৫২), মীর মিনহাজ (৫০), মীর জালাল (৪৫), মীর রুবেল (৩৮), মীর নাসির (১৮), বাসিরুন্নেসা (৭০), মীর মাসুমা (২২)। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় মীর ফাহাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। তারা সবাই পারিবারিকভাবে একে অপরের আত্মীয় ।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা মীর বশিরের সাথে চাচাত ভাই মীর কাশেমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় একযুগ আগে মীর কাশেম সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের মীর আফতাজ উদ্দিনের কাছে জমি বিক্রি করে। পরবর্তীতে দেড় বছর আগে আফতাজের কাছ থেকে সেই জায়গা ক্রয় করে মীর বশির। কিন্তু মীর বশির জায়গার দখল নিতে পারছিল না। ঘটনার দিন উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সেই জমি মাপার কথা ছিল। বেলা ১১টার দিকে উভয়পক্ষ উপস্থিত হলে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ প্রায় ১০জন আহত হয়।
আহত এডভোকেট মীর রাসেল জানান, আমার ভাই মীর বশির একটি জায়গা ক্রয় করে। কিন্তু সেই জায়গা মীর কাশেম দখল করে রেখেছে। আজ জায়গাটি দখল করতে গেলে মীর কাশেমের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে মীর কাশেমের ভাতিজা মীর জালাল জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আমরা কাউকে আক্রমণ করিনি, তারাই আমাদের উপর হামলা করেছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনার সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করা বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত সৈয়দ এ কে একরামুজ্জানকে এবার অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে উপজেলা বিএনপি।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ. হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১- (নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে গত সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন। এরপর গত মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে ‘দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী কর্মকান্ডের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে লেখা অবাঞ্ছিতের ঘোষণাটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন এম.এ. হান্নান। নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিবৃতি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কমিটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বহিস্কার করেছে। বিএনপির নাসিরনগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে এই বহিস্কৃত নেতাকে নাসিরনগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান বলেন, একরামুজ্জামানকে উপজেলার সকল জায়গায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ৩৯ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৬ মার্চ বুধবার সমিতির প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে ইউসিসি‘র অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সহকারী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কমল চন্দ্র বনিকের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফারজানা খন্দাকার, ইউসিসি‘র চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, ইউসিসির সাবেক সহ-সভাপতি নবী নেওয়াজ ভূঁইয়া, ইউসিসির সহ-সভাপতি সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া, সমবায়ী হুমায়ুন করীর ভূঁইয়া, অরুণ জ্যোতি ভট্রাচার্য প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া।
সভায় আয়-ব্যয় ও প্রতিবেদন পাঠ করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্ত মো: তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন সমিতির সভাপতি/ম্যানেজারগণ উপস্থিত ছিলেন।