অনলাইন ডেস্ক :
ইসলামের পবিত্রতম স্থান সৌদি আরবে ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
দুই মসজিদভিত্তিক ওয়েবসাইট ইনসাইড দ্য হারামাইন ২৯ মার্চ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। চাঁদ দেখা যাওয়ায় এবার দেশটির মানুষ ২৯টি রোজা রাখলেন।
সৌদি আরবের বড় দুই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সুদাইর ও তুমাইরে সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের চাঁদের অনুসন্ধান শুরু হয়।
এর আগে সুদাইর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে সৌদির প্রধান জ্যোতির্বিদ আব্দুল্লাহ আল-খুদাইরি বলেন, “সুদাইর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে আজ ৬টা ১২ মিনিটে সূর্যাস্ত যাবে। এবং অর্ধচন্দ্র সূর্যাস্তের ৮ মিনিট পর অস্ত যাবে।
দৃশ্যমানতার সময় দীর্ঘ অথবা ছোট হোক, যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে তাহলে চাঁদ দেখা সম্ভব।”
পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ আল-আমার নামে অপর এক জ্যোতির্বিদ বলেন, “আমি প্রত্যাশা করছি সুদাইরে আজ আমরা চাঁদ দেখতে পাব।” শেষ পর্যন্ত তাদের ধারণা ঠিক হয়।
এরআগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছিল, ২৯ মার্চ আরব ও ইসলামিক বিশ্বে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখতে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
কারণ ওইদিন সূর্যাস্তের আগে চাঁদ অস্ত যাবে এবং চাঁদ সূর্যের সংযোগ ঘটবে সূর্যাস্তের পর।
খালি চোখে, টেলিস্কোপে অথবা অন্য কোনো উপায়ে আগামী ২৯ মার্চ শাওয়াল বা ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা ‘সম্ভব নয়’ বলেও দাবি করেছিল সংস্থাটি।
যেসব দেশ শুধুমাত্র চাঁদ দেখে ঈদ ও রমজানের তারিখ নির্ধারণ করে সেসব দেশে এবারের রমজান মাসটি ৩০ দিনের হতে যাচ্ছে। যার অর্থ মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি এবং ইসলামিক বিশ্বে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর পালিত হবে।
গত ২০ মার্চ এমনই তথ্য জানিয়েছিল আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র। কিন্তু তাদের এসব ধারণা আংশিক ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
‘কট্টর’ জো বাইডেনের আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনার মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম ভাষণে বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ বাতিল করার ঘোষণা দেন। এর কিছুক্ষণ পরই যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেন তার শুরুতেই জো বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। স্থগিতাদেশে সই করার পর ট্রাম্প জনতার উদ্দেশ্যে সেটি তুলে ধরে দেখান। এছাড়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশেও সই করেন ট্রাম্প।
এর আগে ক্ষমতা ছাড়ার আগে শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফৌজদারি মামলার হুমকিতে রয়েছেন এমন বেশ কয়েকজনকে ক্ষমা করে দেন। নিজের প্রথম ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ওই আদেশও বাতিল হবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি আদেশেও সই করেছেন ট্রাম্প।
এর আগে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে শপথ পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সবার উপস্থিতিতে ধর্মীয় গ্রন্থ বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথ পাঠ করেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। তিনিই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে ক্ষমতায় বসা প্রেসিডেন্ট।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ২০১৭ সালে ক্যাপিটল ভবনের পাশে ন্যাশনাল মলে বিপুল আয়োজনে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার বাদ সাধে তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া। সে কারণেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে। ৪০ বছর আগে ১৯৮৫ সালে একই কারণে ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে শপথ নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান।
অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরাইলি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। কিন্তু ইসরাইলি বাহিনী তাদের হামলা অব্যহত রয়েছে। মাঝে কয়েকদিন যুদ্ধবিরতী থাকলেও তা আর কার্যকর চাইছে না ইসরাইল। এদিকে গাজা অভিযানে নানা সমস্যা মুখোমুখি হচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ইতোমধ্যে অনেক ইসরাইলি সেনা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গাজা ছেড়েছেন। অন্যদিকে অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন।
জানা যায়, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইসরাইলের শত শত সৈন্য চোখে আঘাত পাচ্ছে এবং তাদের অনেকে দৃষ্টিশক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। কারো এক চোখ এবং অনেকের দুই চোখের জ্যোতিই নিভে গেছে বলে কেএএন নিউজ বুধবার জানিয়েছে।
কেএএনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর যেসব সৈন্য সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম পরিধান করেনি, মূলত তারাই বেশি চোখের আঘাত পেয়েছে।
বুলেট স্রাপনেল এবং রিকোয়েলের সংস্পর্শ এসে এবং অনেকে হামাসের আঘাতের ফলে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, যারা চোখে আঘাত পেয়েছে, তাদের প্রায় ১৫ ভাগই এক বা দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
কেএএনের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে চোখের আঘাত নিয়ে প্রায় ৪০ জন ইসরাইলি সৈন্য বিরসেবার সরোকা মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সেখানে আরো পাঁচ সৈন্য ভর্তি হয়েছে।
দক্ষিণ গাজায় ইসরাইল হামাসের তুমুল লড়াই অব্যাহত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় মূল শহর খান ইউনিসে হামাসের সাথে ইসরাইলি সেনাদের তুমুল লড়াই চলছে। এদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের দু’মাস পরে চলমান ভয়াবহ সঙ্ঘাত সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে ইসরাইলি সৈন্যরা বুলডোজার ও ট্যাংক নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা সেখান থেকে নতুন করে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। ফিলিস্তিনের অপর গ্রুপ ইসলামিক জিহাদ ও হামাস সূত্রে বলা হয়েছে, শহরের ভেতরে ইসরাইলি সৈন্যকে ঢুকতে না দেয়ার জন্যে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে শহরের কেন্দ্রস্থলে অভিযান চালিয়েছে। তারা ৩০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি করেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলি সৈন্যরা হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের বাড়ির কাছে পৌঁছে গেছে।
তার এক মুখপাত্র বলেন, তার বাড়িটি খান ইউনিস এলাকার ভূগর্ভে রয়েছে।
এদিকে খান ইউনিসের এক বাসিন্দা অমল মাহদি বলেন, আমরা বিধ্বস্ত। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে একটি সমাধান পেতে আমাদের কাউকে দরকার।
হামাস সরকার জানিয়েছে, বুধবার রাতে অমল মাহদি ইসরাইলি হামলা থেকে অল্পের জন্যে রক্ষা পেয়েছেন। গাজায় ইসরাইল হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৪৮ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারনে আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ছে। জাতিসঙ্ঘের এ সতর্কতার পর ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জাতিসঙ্ঘে গুতেরেসের বর্তমান কালকে বিশ্ব শান্তির জন্যে বিপদ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে ইসরাইলি আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তাদের দক্ষিণের শহর খান ইউনিসও ছাড়তে হচ্ছে। তাদের নেই খাবার, নেই আশ্রয়। তারা বন্ধ থাকা রাফা সীমান্তের দিকে ছুটছে। তাদের তাড়া করে ফিরছে ইসরাইলি বোমা।
ঘাসান বকর নামের এক ফিলিস্তিনি বলছেন, ‘আমরা এখানে এসেছি। কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে। অথচ কোনো আশ্রয় নেই, খাবার নেই। নেই রুটি, নেই আটা। সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য
অণলাইন ডেস্ক :
এক দশক পর ভারতের লোকসভায় ফিরেছে বিরোধী দলনেতার পদ। বাজেট অধিবেশনে আজ ২৯ জুলাই সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিলেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। পৌনে এক ঘণ্টা বক্তব্যে বিজেপি-শাসিত সরকারকে তুলোধুনো করেছেন রাহুল।
রাহুল বলেন, ‘হাজার হাজার বছর আগে কুরুক্ষেত্রে ছয় জন মিলে অভিমন্যুকে চক্রব্যূহে ফাঁসিয়ে হত্যা করেছিলেন। আমিও একটু পড়াশোনা করে দেখেছি, চক্রব্যূহকে পদ্মব্যূহও বলা হয়। পদ্মের মতো সামরিক গঠনের জন্য।”
এর পরই কেন্দ্রকে বিঁধে লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে এক নতুন চক্রব্যূহ তৈরি হয়েছে। তাও আবার পদ্ম ফুলের আকারে। যার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী বুকে পরে থাকেন। অভিমন্যুর সঙ্গে যা করা হয়েছিল, যেভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছিল চক্রব্যূহে, সেটাই দেশের সঙ্গে, দেশের যুব সমাজ, কৃষক, নারী এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে করা হচ্ছে।’ রাহুলের যুক্তি, মহাভারতের চক্রব্যূহের রাশ ছিল ছয় জনের হাতে- দ্রোণাচার্য, কর্ণ, কৃপাচার্য, কৃতবর্মা, অশ্বত্থামা ও শকুনি। বর্তমান সময়ের যে চক্রব্যূহের কথা রাহুল বলছেন, সেখানেও ছয় জনের হাতে রাশ রয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। রাহুলের মতে সেই ছয় জন হলেন- নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মোহন ভাগবত, অজিত ডোভাল, আম্বানি ও আদানি।
লোকসভায় রাহুল এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই আপত্তি জানান স্পিকার ওম বিড়লা। বিজেপি শিবির থেকেও হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। স্পিকার রাহুলকে জানান, যারা লোকসভার সদস্য নন, তাদের নাম ব্যবহার করা যাবে না। সাংবিধানিক পদে থেকে রাহুল যাতে সংসদীয় রীতি-রেওয়াজ মেনে চলেন, সেই বার্তা দেন স্পিকার। এর পর অবশ্য আম্বানী, আদানি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নাম প্রত্যাহার করে নেন। তবে বাকি তিনটি নামের ক্ষেত্রে নিজের বক্তব্যে অবিচল থাকেন রাহুল।
লোকসভার বিরোধী দলনেতার মতে, বর্তমান কালের এই চক্রব্যূহের নেপথ্য তিনটি শক্তি কাজ করছে। রাহুলের কথায় প্রথম শক্তি হল, ‘পুঁজির উপর একচেটিয়া অধিকারের ভাবনা, যেখানে গোটা দেশের সম্পত্তির উপর দু’জনের অধিকার থাকে।’ সরাসরি কারও নাম না করলেও রাহুলের খোঁচা যে দুই শিল্পগোষ্ঠীর দিকেই ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়া রাহুলের যুক্তিতে, দ্বিতীয় শক্তি হল সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরের মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং তৃতীয় শক্তি হল রাজনৈতিক নেতারা। এই তিন শক্তিই চক্রব্যূহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বলে আক্রমণ শানান লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
এই ‘চক্রব্যূহের’ কারণে দেশবাসীর কী সমস্যা হয়েছে, সে কথাও তুলে ধরেন রাহুল। রাহুলের দাবি, যাঁরা ছোট ছোট ব্যবসা করেন, তাদের উপর এই চক্রব্যূহের প্রথম কোপ পড়েছে। নোট বাতিল থেকে শুরু করে পণ্য ও পরিষেবা কর এবং ‘কর-সন্ত্রাস’-এর কথা উঠে আসে রাহুলের সোমবারের বক্তৃতায়। তিনি বলেন, “দেশে যারা ছোট ছোট ব্যবসা করেন, রাতে তাদের কাছে আয়কর দফতর, পণ্য ও পরিষেবা কর দফতর থেকে ফোন যায়। তারা কর-সন্ত্রাসের শিকার হন। এই কর-সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য বাজেটে কোনও উল্লেখ নেই।”
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজাসহ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ৯ সদস্যদের প্রতিনিধি দল।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছে প্রতিনিধি দলটি।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক নাফিউল হাসান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, ইউএনডিপির বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান ওলোফ লিলার, ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি সুশ্রী সোনালী দয়ালনে, কৌশলগত যোগাযোগ ও আউটরিচ বিশেষজ্ঞ কীর্তিজাই পাহারি, ইউএনডিপির কক্সবাজার সাব অফিস প্রধান কেইটা সুগিমোতো, হেড অব কমিউনিকেশনস মো. আব্দুল কাইয়ুম ও কনসালটেন্ট ভিডিওগ্রাফার রাগীব আহসান শামরাত।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়োজিত এপিবিএন’র ১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. ইকবাল জানিয়েছেন, প্রতিনিধি দলটি ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক সি এর সাব ব্লক এইচ/৭১-এ অবস্থিত ইউএনইচসিআর এবং এনজিও ফোরাম পরিচালিত পাইলট প্রকল্পের মর্ডান ভিলেস, ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত বর্জ্য অপসারণ, ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ সুরক্ষা ও প্রকৃতি কেন্দ্র, ৪ নম্বর ক্যাম্পের সিআইসি অফিস এবং খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এরপর প্রতিনিধিদলটি কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের আওতাধীন দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে নির্মিত শেল্টার গুলো ঘুরে দেখেন ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের ঘরে ঢুকে তাদের জীবনযাপনের মান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।
প্রতিনিধি দলটি দুপুর ২টায় উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা ত্যাগ করেন বলে জানান তিনি।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে খুনিয়া পালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ গৃহহীনদের মধ্যে বিতরণ করা মুজিব বর্ষের ঘর পরিদর্শন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দূষণমুক্ত পরিবেশের জন্য বাইসাইকেল চালিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের ৮ জন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস স্মরণে বাংলাদেশে ভ্রমণে এসেছেন তারা।
চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী প্রদেশের চন্দননগর থেকে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি রানাঘাট দর্শনা হয়ে আলমডাঙ্গা দিয়ে কুষ্টিয়া প্রবেশ করেন তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি দর্শন করে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট হয়ে নদীপথে প্রবেশ করেন জেলা শহর পাবনাতে।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল থেকে পাবনার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে কাজিরহাট হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরবেন নিজ দেশে। ইন্দবাংলা বাইসাইকেল র্যালি নামে এই সংগঠন বাংলাদেশে চতুর্থ বারের মতো ভ্রমণ করছে।
১০ দিনের এই বাইসাইকেল ভ্রমণকালে বিভিন্ন জেলা শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শনসহ সাধারণ মানুষের সাথে তারা সংযোগ স্থাপন করবেন। ভ্রমণের দল প্রধান হিসাবে রয়েছেন দলের একমাত্র নারী সদস্য মহুয়া ব্যানার্জি। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন তার স্বামী শিক্ষক শৈবাল ব্যানার্জি। এছাড়া যারা এসেছেন তাদের মধ্যে দুইজন ব্যবসায়ী ও ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। যে সকল সদস্য এবারের এসছেন তারা হলেন, শিক্ষক শ্রীকান্ত মন্ডল, শিক্ষক প্রণব মাইতি, শিক্ষক প্রসনজিৎ সরকার, শিক্ষক রমজান আলী, ব্যবসায়ি অঞ্জন দাস ও সত্যব্রত ভান্ডারী।