দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

সারাদেশ, 31 March 2025, 146 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাসের সাথে মিনিবাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ ৩১ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।

banner

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের লোহাগড়ার জাঙ্গালিয়া মাজার গেট এলাকায় সৌদিয়া পরিবহনের বাসের সাথে একটি মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পরে খবর পেয়ে লোহাগড়া ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিট উদ্ধার কার্যক্রম চালায়। যান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয়ও জানা যায়নি।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

কসবায় ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে আশেপাশে জমি

কসবা, সারাদেশ, 26 May 2025, 176 Views,

শফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় মূল্য গ্রাম ইউনিয়নের বাউরখন্ড মঈনুল চেয়ারম্যানে এর বাড়ি সংলগ্নে ফসলি জমির মাঝখানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের জমিগুলো।স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তার মালিকাধীন জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। যার চারদিকে অনেক কৃষকের জমি রয়েছে। অনেক বার নিষেধ করার পরও তিনি কারও কথা তোয়াক্কা করছেন না। ফলে আশপাশের ফসলি জমিগুলো ভেঙ্গে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধ ড্রেজার দ্বারা ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ২৪ মে শনিবার সরেজমিন মূল্য গ্রাম, বাউরখন্ড গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ফসলি জমির মাঝখানে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। এ মেশিনের মাধ্যমে খনন যন্ত্রের সাহায্যে তোলা হচ্ছে বালু। সে বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে তিন ফসলি জমি। ফলে আশপাশের অন্যান্য জমিগুলোর আইল ভাঙ্গনসহ বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করে পুকুর বানানো হয়েছে।

banner

নাম গোপন রাখার স্বার্থে স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, প্রভাবশালী ব্যক্তি কাউকে তোয়াক্কা না করেই দিনে রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এতে কোনো কৃষকই ফসল করতে পারবে না। এরফলে প্রভাবশালী ব্যক্তিই লাভবান হবেন। কারণ, তিনি পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করবেন। কিন্তু আশপাশের কোনো কৃষক লাভবান হবেন না। ড্রেজার দিয়ে অতিরিক্ত মাটি কাটার ফলে জমি গভীর হয়। ফলে অন্য জমিগুলোর পাড় ভেঙ্গে যায়। এই চক্রটি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই কাজটি করছে। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে কৃষকদের ফসলি জমিগুলো যাতে রক্ষা করা হয়।এ বিষয়ে প্রভাবশালী জমির মালিকানাধীন বলেন, আমি এখানে পুকুর বানাবো, মাছ করবো সেজন্য বালু উত্তোলন করছি। আরো বলেন আমি কার অনুমতির প্রয়োজন মনে করি না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবৈধ লিজার ব্যবসায়ী এরশাদ মিয়া ও ইয়াসিন জানান, আমরা এসিল্যান্ডসহ উপরের লেভেলের সবকিছুই ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন ও বিভিন্ন জায়গাতে বালু মাটি বিক্রি করে থাকি। এ বিষয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ছমিউল ইসলাম বলেন, আমি দুদিনের জন্য ট্রেনিংয়ে চলে আসছি, আপনি কসবা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করুন।

ধরে নেয়ার আট ঘন্টাপর ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো বিএসএফ

সারাদেশ, 3 May 2025, 118 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ৮ ঘণ্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুই বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের পর ২ মে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে তাদের হস্তান্তর করা হয়। ফেরত আসা ব্যক্তিদের পরিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

banner

এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারপাড় সীমান্তের ৮২৫ নম্বর সাব-পিলারের কাছ থেকে রিমন ও সাজেদুল ইসলাম নামের ওই দুইজনকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। রিমন পাটগ্রামের মোস্তাক হোসেনের ছেলে এবং এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সাজেদুল বগুড়া শহরের সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং সম্পর্কে রিমনের মামা।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মূল খুঁটির ১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে, কাঁটাতারের বেড়ার বাংলাদেশ অংশে অবস্থিত একটি ভারতীয় চা বাগানে রিমন ও সাজেদুল টিকটকের ভিডিও তৈরি করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে। ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিজিবি দ্রুত বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করে। ফলস্বরূপ, উভয় পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং দুই বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে ফেরত আনা সম্ভব হয়।

ফেরত আসার পর রিমন ও সাজেদুল জানান, দেশে পৌঁছানোর পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা বিজিবিকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারও বিজিবির এই তড়িৎ পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, বিজিবি ভারতীয় বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান জানালে, বিএসএফ ইতিবাচক সাড়া দিয়ে তাদের হেফাজতে থাকা দুই শিক্ষার্থীকে রাতেই ফেরত দিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে শিশুসহ ৩ জনের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার

জাতীয়, সারাদেশ, 11 April 2025, 201 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১১ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া এলাকার একটি বাড়ি আঙিনা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় হত্যায় জড়িত ইয়াসিন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

banner

মৃতরা হলেন, মিজমিজি এলাকার মৃত আ. ছামাদের মেয়ে লামিয়া আক্তার(২২), তাঁর বোন স্বপ্না আক্তার(৩৫) ও লামিয়ার শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ (৪)। এঘটনায় লামিয়ার স্বামী মো. ইয়াসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে রাস্তার পাশের একটি পরিত্যক্ত স্থানে গন্ধ দেখতে পেয়ে ইট সরিয়ে কয়েকটি বস্তা দেখতে পায়। পরে বস্তুা সড়িয়ে দেখে খণ্ডিত মরদেহ। এসময় স্থানীয় পুলিশকর খবর দেন। স্থানীয়রা জানায়, নিহত লামিয়া আক্তার পোশাক কারখানায় চাকুরি করতেন। তার চার বছরের সন্তান আব্দুল্লাহ ও মানসিক প্রতিবন্ধী বড় বোন স্বপ্নাকে নিয়ে স্বামীর ইয়াসিনের সঙ্গে বাড়া বাড়িতে থাকতেন। ইয়াসিন মিয়া নেশাগ্রস্ত হওয়ার গত কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিলো। এর জেরে তিনজনকে হত্যা করে ইয়াসিন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, মিজমিজি এলাকার একটি পুকুরে স্থানীয়রা বস্তা বন্দী খণ্ড বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। গ্রেফতারকৃত ইয়াসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানায় পুলিশ৷

লাগবে না কি পাপড়, এভাবে সংসার চলছে নব্বই বছরের ফজলুল হকের

সারাদেশ, 24 February 2025, 202 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জীবনের শেষ বয়সে এসেও জীবন যুদ্ধে হার মানতে রাজি নয় ফজলুল হক (৯০)। শরীরের চামড়াগুলো টান ধরে শুকিয়ে গেছে। বয়সের ভাড়ে কোমর বাঁকা হয়ে গেছে। এরপরও হালাল পথের আয় দিয়ে নিজে কর্ম করে বাকি জীবন কাটাতে চায় ফজলুল হক। তাই দুই হাতে পাপড় এর বস্তা নিয়ে ‘লাগবে না কি পাপড় এই যে লাগবে না কি পাপড়, মচমচে পাপড় বলে বিক্রি করছেন। মো. ফজলুল হক দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি পৌরসভার মধ্যে বাসুদেবপুর (তারকাটা) এলাকার বাসিন্দা। ফজলুল হক তার দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছে এবং তাদের সকলের আলাদা সংসার। বাড়িতে তার প্রতিবন্ধী স্ত্রী রুনা বেগম। জীবনের শেষ বয়সে এসে কারও উপর নির্ভরশীল বা হাত না পেতে পাপড় বিক্রির টাকায় সংসার চালাচ্ছেন তিনি।

banner

গ্রামেগঞ্জ ও শহরে ছোট থেকে বড়দের একটি মুখরোচক খাবার হচ্ছে পাপড়। সাধারণত মেলার মাঠ, সিনেমা হলের সামনে, পূজা-পার্বণে, অস্থায়ী বাজার, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা ধর্মীয় মাহফিলস্থলে পাপড় বিক্রির ধুম পড়ে যায়। দামে সস্তা এ খাবারটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হলেও মুখরোচক হওয়ায় এর চাহিদার কমতি নেই। জীবনের শেষ বয়সে এসে দুই হাতে বস্তায় নিয়ে পাপড় বিক্রি করে সংসার চালায় ফজলুল হক। দীর্ঘদিন পাপড় তৈরি করে ফেরি করে বিক্রি করে তিনি চালান অভাবের সংসার। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নিয়ে বেশ সুখেই আছেন তিনি।

সম্প্রতি ফজলুল হকের সাথে কথা হয়। বলছেন এই যে পাপড় লাগবে পাপড়, মচমচে পাপড়। মুহূর্তে তাঁর নিকট এগিয়ে গিয়ে শুনলাম তার অতীত ও বর্তমান জীবনের গল্প। অভাবের সংসার তেমন লেখা পড়া করতে পারে নাই। প্রথমের দিকে হিলি এলএসডি গোডাউনে বস্তা ভড়াতো এবং বস্তা সেলাই করতো এতে সুন্দর সংসার চলতো তার। দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে বড় করে বিয়ে সাদী দিয়ে সবার এখন আলাদা সংসার। বড় ছেলে গার্মেন্টসে চাকরি করে এবং আর এক ছেলে একটি কারখানায় চাকরি করে। ছেলেরা প্রতি মাসে যে খরচের টাকা দেয় তা দিয়ে সংসার চলে না। তাই জীবনের শেষ বয়সে এসে পাপড় বিক্রি করে সংসার চালান ফজলুল হক।

তিনি অনেক আগের কথা মাটির বাড়ির দেয়াল ভেঙে পড়ে গিয়ে ছিল আমার স্ত্রীর উপরে তখন তার কোমড়ে প্রচণ্ড আঘাত পায়। চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মতিঝিল এলাকায় প্রায় দেড় যুগ সময় পার করেন তিনি। মতিঝিল এলাকায় ছেঁড়া, ফাটা ও টুকরো টুকরো করা টাকা কিনে নিতেন তিনি। এরপর ওই টাকা গুলো নাম্বার সহ জোড়া দিয়ে ব্যাংকে দিতো এতে প্রতি হাজারে তার ৪’শ থেকে ৫’শ টাকার মতো ব্যাংক দিতো। তা দিয়েই সংসার চলতো ফজলুল হকের। কিন্তু তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তার যেতে বলেন ভারতের বেঙ্গালুরুর। টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয় নাই। সেখানে চিকিৎসার ব্যয় প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা। এতো টাকা কোথায় পাবো বলে প্রশ্ন ছোড়ে ফজলুল হক।

রাজধানীতে বাসা ভাড়া ও সংসারের খরচ বেশি হওয়ার প্রায় বিশ বছর আগে চলে আসেন নিজ বাড়ি হিলিতে। বাড়িতে বসে তেল, ময়দা, হলুদ, ডিম, কালোজিরা ও লবণসহ বিভিন্ন মশলা দ্বারা তৈরি কার হয় এই পাপড়। তৈরি করা পাপড় প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই হাতে পাপড়ের বস্তা নিয়ে বিক্রি করেন তিনি।

উপজেলা পরিষদে পাপড় কিনে নেওয়া আরিফ হোসেন নামের এক যুবক বলেন, ফজলু কাকার পাপড় খুবই মজাদার। আমি প্রায়ই জায়গায় দেখা হলেই খাই। আবার মাঝে মাঝে আমার ছেলে-মেয়ের জন্য কিনে নিয়ে যাই।

তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় এর নিকট ফজলুল হক চাচার বিষয়ে কিছু বলতেই তিনি বলেন, আমি ওনাকে আগের থেকে চিনি। আমার জানা মতে ওনি খুব ভালো মানুষ। মাঝেমধ্যে আমার অফিসে আসে আমি তাকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করি।

পাপড় কেমন বিক্রি হয় জানতে চাইলে ফজলুল হক চাচা বলেন, প্রতিদিন ১’শ থেকে দেড়শ পাপড় বিক্রি করি। একটি পাপড় ৫ টাকা দরে বিক্রি করায় দৈনিক প্রায় ৫’শ থেকে সাতশত টাকা বিক্রি হয়। এখন বেশি লাভ হয় না তেলসহ সব জিনিসের দাম বেশি।
তিনি আরো বলেন, আমার দুই ছেলে তাদের আলাদা সংসার তাদের ও খরচ আছে। বাড়ীতে আমার স্ত্রী (তোমার চাচি) অসুস্থ প্রতিবন্ধী মানুষ। পাপড় ভাজতে হয় গ্যাসের চুলায়। ছেলেরা যে টাকা দেয় গ্যাস সিলিন্ডার ও ঔষধ সহ টুকটাক খরচ করতেই শেষ হয়। তাই কার ও কাছে হাত না পেতে নিজে পরিশ্রম করে সংসার চালায়।

সরকারি কোন সুবিধা পায় কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাও বা ১৮০০’শ টাকা কখন ও দুই মাস আবার কখনো তিন মাস পরে এলা দিয়ে কি হয় বা!

ওই দিন বাদ মাগরিব উপজেলা পরিষদের মসজিদের বাহিরে আমার সাথে দেখা হয় ফজলুল হক চাচার। আমি পাপড় নিতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বলে তোমাকে টাকা দেওয়া লাগবে না বা। তুমি আমার অনেক গল্প শুনলেন, ছবি তুললেন টাকা নিবো না বা। আমি ৫০ টাকার নোট দিয়ে বললাম চাচা একটা পাপড় দেন বাকিটা রেখে দেন। ওনি বললেন না এতো টাকা নিবো কেন! পরে আমাকে একটি পাপড় দিয়ে ৪০ টাকা ফেরত দেয়। আমাদের সমাজের অনেকের ফজলুল হক চাচার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।(সূত্র :বিবার্তা)

৪ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১৬জন গ্রেফতার

সারাদেশ, 28 February 2025, 209 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কুয়াকাটা সংলগ্ন পশ্চিম সাগর মোহনা ও লেম্বুরবনে কোস্টগার্ড ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১৬ পাচারকারীকে আটক করেছে। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোনের ষ্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তানভীর আজবাল হৃদয় প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, কোস্টগার্ড ও র‌্যাব বুধবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।

banner

এসময় একটি নামবিহীন ট্রলারে অভিনব কায়দায় জালের মধ্যে লুকিয়ে সমুদ্রপথে পাচারকালে ১ লাখ পিসসহ ১৬ পাচারকারীকে আটক করে। একই সময় লেবুরবন অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি বস্তায় থাকা আরো ৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

অটককৃতরা হলেন নবি হোসেন, মনির উদ্দিন, সোয়দ আলম, মোফাচ্ছেল হোসেন, মোবারক হোসেন, ছবুর আহম্মদ, সেলিম মাঝি, ওমর ফারুক, তহিদুল আলম, আবু তালেব, আব্দুল নবী, ফজলে করিম, মোস্থাক আহম্মদ, আব্দুল খালেক, আলফাত ও খলিল আহম্মদ। এরা নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ চক্রটি সমুদ্র পথে দীর্ঘদিন ধরে এ মাদক পাচারের সাথে জড়িত বলে কোষ্টগার্ড সদস্যরা জানান। তবে এ চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

গ্রেফতারকৃত ১৬ মাদক পাচারকারী, জব্দ ট্রলার ও উদ্ধার করা ৪ লাখ পিস ইয়াবা মহিপুর থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের এ ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন।