অনলাইন ডেস্ক :
দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো দুইজন। আজ ১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে শিবচর-জাজিরা সীমান্তবর্তী কুতুবপুর সাহেববাজার নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর সাহেববাজার এলাকার শাজাহান তালুকদারের ছেলে মিঠু তালুকদার, শরীয়তপুরের জাজিরা কলম ঢালীকান্দির বাবুল ঢালীর ছেলে হৃদয় ঢালী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা গোলচত্বর থেকে কুতুবপুরের সাহেববাজার এলাকামুখি সড়কে বিপরীতমুখী বেপরোয়া দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় অপর দুই যুবক।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার স্থানটি শিবচর-জাজিরার সীমান্তবর্তী কুতুবপুর সাহেববাজার এলাকার। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অভিযানে গত ১ বছরে (২০২৪ সালে) প্রায় একশত পঞ্চাশ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৮৬ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ১ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি, এসি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১শত ৪৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৩১৯ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধ মাদক ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। একই সময় এসব মাদক ও চোরাচালানীর সাথে জড়িত ৮৬ জনকে গ্রেফতার এবং ২০ জন পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে হুইস্কি ১০৭৭১ বোতল, বিয়ার ১৭০৮ পিস, ইস্কফ সিরাপ ৩৯১৩ বোতল, গাঁজা ৩৯২০.৯ কেজি, ফেন্সিডিল, ৩৪১৪ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট- ৪৬,০৬৮ পিস, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ি ১৭১৬৬ পিস, গরু ৩৩৩ টি, বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ফোন ১৯৪৮ টি, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ৪৫০৪০ টি, বাসমতি চাল ৩৭৩১৮.৫ কেজি, চিনি ১০,৯৫,৬৭০.৫ কেজি, নেহা মেহেদী ২১৫৮১৫ পিস, জিরা ১৫৬২ কেজি, বিভিন্ন প্রকার চকলেট ১১৭৯৯৮ পিস, বিভিন্ন প্রকার তালা ১৪,২৩৪ পিস, বিভিন্ন প্রকার বাঁজি-৬৩,৯০,০০৯ পিস, বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ঔষধ সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার কাপড়, কসমেটিক্স সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশ, মোটর সাইকেল, সিএনজি, বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রকার মাছ ইত্যাদি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোর সদর থানার ভেতরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরিফুল ইসলাম। এর আগে ঐ দিন সন্ধ্যায় ঘুষ নেওয়ার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে (এস.আই আমিনুল) সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা চলতে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবারে ধারণ করা এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সাথে হাত মেলানোর ছলে ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা ড্রয়ারে রেখে দেন। এই ভিডিওটি ধারণ করেন মামুন হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী।
মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এ সময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে পুনরায় তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেড়িয়ে আসেন। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
দুলাল মিয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাইয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ১২ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত মরিয়ম আক্তার (সাড়ে ৩ বছর) সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউপির বিহাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. কাউসার মিয়ার মেয়ে এবং একই উপজেলার ধানসার গ্রামের শাহেদ মিয়ার মেয়ে সাহিদা আক্তার (আড়াই বছর)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর পশ্চিমপাড়া এলাকায় বাড়ির উঠানে খেলা করছিল দুই শিশু। খেলতে খেলতে বাড়ির পাশে থাকা পুকুরে পড়ে যায় তারা। স্থানীয়রা ও পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। তখন কোথাও তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, শিশু শাহিদা আক্তার তার নানার বাড়ি বিহাইর বেড়াতে আসছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ বিভিন্ন আলামতের নিস্পত্তিকৃত মামলার পৌনে ৪কোটি টাকার মাদক ও বিভিন্ন আলামত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
৮ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় কুরুলিয়ার পাড়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মুখে আধুনিক চুল্লি এবং ভারী যান (ভোল্ডোজার) ব্যবহার করে বিভিন্ন মাদক ও আলামত ধ্বংস করা হয়।
এসময় আলামত ধ্বংস কমিটির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তার, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, আদালতের পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও নাজির সুমনময় চৌধুরী এবং মালাখানার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ উপ-পরিদর্শক যোবাইদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ধ্বংসকৃত মাদক ও আলামতের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ১শত ৪ কেজি ১৩০ গ্রাম গাঁজা, ৫২ হাজার ৮শত ৪৮৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২শত ৯২ বোতল ফেন্সিডিল, ২হাজার ৩শত ১৯ বোতল স্কফ সিরাজ, ৪শত ৯৮ বোতল বিদেশী মদ, ৩১ লিটার চোলাইমদ, ৪টি বিয়ার ক্যানসহ অন্যান্য ১০৪পিস।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেসেঞ্জারে পরিচয়। টানা দুই বছরের প্রেম। বাধা হয়নি ছয় হাজার কিলোমিটারের পথ। বাধা হয়নি ধর্ম। ধীরে ধীরে প্রেম। শেষ পরিণয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। ইউক্রেনের নাগরিক অ্যান্দ্রো প্রকিপ। নাম বদলে এখন মোহাম্মদ। বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের বৃষ্টি আক্তারকে। স্বামীর সঙ্গে নাম মিলিয়ে বৃষ্টির নাম এখন বৃষ্টি প্রকিপ।
আজ ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কালাছড়া গ্রামে দেখা মিলে বৃষ্টি ও প্রকিপের। কথা বলেন তাদের ভালোবাসা নিয়ে। জানালেন বিয়ে করতে পেরে তারা খুশি। সবার দোয়া চান তারা।
কালাছড়া গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে বৃষ্টি। এসএসসি পাস। টুকটাক ইংরেজি জানেন। বছর দুয়েক আগে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠান প্রকিপকে। সেই থেকে প্রেমের শুরু। গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন প্রকিপ। সে দিনই বিয়ে করেন বৃষ্টিকে।
কথা হলে বৃষ্টি জানান, প্রকিপকে পেয়ে তিনি বেশ খুশি। প্রকিপ শুরু থেকেই বলছিলেন বিয়ে করবেন। শেষ পর্যন্ত সে কথা রেখেছে তার। আমিও তার সাথে চলে যেতে প্রসেস করছি।
প্রকিপ জানায়, তার বিয়ে করা দরকার ও সে মুসলিম হবে- এ দুটি বিষয় আকৃষ্ট করেছে তাকে। বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পেরে সে খুব খুশি। বাংলাদেশ তার ভালো লাগছে।
ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ফরহাদ আলী বলেন, প্রেমের এমন ঘটনায় তারা সবাই খুশি। এ দম্পত্তিকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন।