চলারপথে রিপোর্ট :
“ধর্ম, বর্ণ ভিন্ন মত, সবার জন্য খেলাফত” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নাসিরনগর উপজেলা শাখার ঈদ পুনর্মিলনী ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবদুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বি এম গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় ঈদ পূর্ণমিলনী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্ঠা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী শায়েখ হাফেজ মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আল-মাদানী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের শুরার সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা সামছুদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম কাসেমী, উপদেষ্ঠা হাফেজ হোসাইন আহমেদ, মাওলানা আবদুল কাদির, হাফেজ ইকবাল হোসেন, মো: মাজারুল হক কাসেমী, মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান, জামায়াতের প্রতিনিধি মো: রমজান আলী, মাওলানা আবু আহমদ কল্যাণ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান অ্যাড. আবু বকর সিদ্দিক ও নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সাইফুজ্জামান জনি। এছাড়াও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হোসাইন আহমদ নুরপুরী, যুব মজলিসের ফখরুদ্দিন বিশালসহ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নাসিরনগর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা রাফিউদ্দিন আহমেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি মোনাব্বর হোসেন,থানার অফিসার্স ইনর্চাজ(ওসি) মো: সোহাগ রানা,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: অভিজিৎ রায়,উপজেরা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: নুরে আলম,উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হক,অধ্যক্ষ মো ইলিয়াস মিয়া,পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক, চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম, গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, ধরমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম,ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া, গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হক, চাপরতলা ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ ভূইয়া, প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম,প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়াসহ আইনশৃংখলা কমিটির সসদ্যগণ।
সভায় বক্তারা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি মাদক-জুয়া,চুরি-ডাকাতি বন্ধসহ আইনশৃংখলা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোটে বাধা দেওয়ায় পোলিং অফিসারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ কিছুটা ধীরগতিতে চলছে।
আজ ৮ মে বুধবার উপজেলা নির্বাচনের নাসিরনগরের রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার পলাশ মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ূন কবির (চশমা প্রতীক) তার কয়েকজন সমর্থক নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর তার সমর্থকরা জাল ভোট দিতে চাইলে কর্মরত পোলিং অফিসার ফয়সাল ইসলাম বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রার্থীর সমর্থকরা পোলিং অফিসারকে চড়-ধাপ্পড় মারতে থাকেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে ওই কেন্দ্রের পরিস্থিতি শান্ত আছে। ভোটগ্রহণও চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার শেষ হলো সপ্তাহব্যাপী বইমেলার সমাপনী, বিকালে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উৎসকৃষ্ট বই মানুষকে দেয় অনাবিল আনন্দ। আর এই বইয়ের যোগান দেয় বইমেলা। তাইতো পছন্দের বই কিনতে বইপ্রেমীরা মুখিয়ে থাকেন অমর একুশে বইমেলার দিকে। কিন্তু সেই বইমেলা যদি বাসার পাশেই হয় তবে তো কথাই নেই। গ্রন্থের সাহচর্যেই মানুষ অগ্রসর হয়ে চলে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্রম-অগ্রযাত্রার পথে। এর ধারা অব্যাহত রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন আয়োজন করে ৭দিন ব্যাপী প্রাণের বইমেলা। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বইমেলা মঞ্চে প্রতিদিন আলোচনা সভা,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে,কবিতা আবৃত্তি,সাধারণ জ্ঞান,কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রায় এক যুগ পর অনুষ্ঠিত বইমেলায় উচ্ছ্বাস দেখা গেছে অনেকের মাঝেই। প্রতিদিনই পাঠকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল বইমেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরাও মেলায় বই কিনতে আসে।মেলায় শিশুদের উপযোগী বইও এনেছেন বিক্রেতারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রাফিউদ্দিন আহমেদ। গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ বইমেলায় দেশের প্রখ্যাত লেখকদের বই দিয়ে সাজানো ছিল ২০টি বইয়ের স্টল। মেলায় সকাল থেকে শতশত বইপ্রেমী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বইপ্রেমীরা এসে পছন্দের বই কিনে ঘরে ফিরেছেন। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে বইমেলা। বইমেলায় বিক্রি সন্তোষজনক ছিল বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তবে গত সাতদিনে ২০টি স্টলে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার বই বিক্রি হয়েছে। শেষদিন ছিল ক্রেতাদের অনেক সমাগম। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিবলী চৌধুরী বলেন বই কিনতে আগে ঢাকায় যেতে হতো। ঢাকা যাওয়া কষ্টকর। এখানে ঘরের পাশেই পছন্দের বই পাওয়া যাচ্ছে আমাদের প্রাণে বইমেলায়। তাই দীর্ঘ একযুগ পর নাসিরনগরে বইমেলার আয়োজন করায় নবাগত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম বলেন,বই হচ্ছে প্রাণের খোরাক। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের মাসে অন্তত ১টি বই কেনা উচিত এবং সেটা পড়া উচিত। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়াকে আমার বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন এমন চমৎকার বইমেলার আয়োজন করার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ তৈরী ও অভ্যাস গড়ে তোলার জন্যই বইমেলার আয়োজন করা। কিন্তু এত মানুষের ভালবাসা ও আগ্রহ বইমেলার প্রতি এটা আমার ধারণা ছিল না। সবাই পছন্দের বই কিনছে এটা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। ভবিষ্যতেও আমরা এই বইমেলা অব্যাহত রাখবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
নজরুল ও চন্দন দুই বন্ধু, জন্মের পর থেকেই দুই জনের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। দু’জনেই লেখাপড়া শেষে একসঙ্গে একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘদিন যাবত লিভারজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন শিক্ষক নজরুল ইসলাম (৪৫)।
গতকাল বুধবার দুপুরে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম।
মুসলিম বন্ধুর লাশের খাটিয়া কাঁধে করে গোরস্তানে নিয়েছেন হিন্দু বন্ধু চন্দন দেব। বন্ধু নজরুলের শেষ বিদায়ে প্রতিটি কাজে অংশ নিয়েছেন চন্দন দেব।
নজরুল ইসলামের জানাযার সময় উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্য নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক চন্দন দেব বলেন, আমাদের জন্ম দুটি গর্ভে কিন্তু আমরা চলেছি ভাইয়ের মতো। নজরুলের মৃত্যুতে আমি ভেঙে পড়েছি। ধর্ম আমাদের আলাদা করতে পারেনি; কিন্তু মৃত্যু আলাদা করে দিল!
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এখানে শতবছর ধরে সকল ধর্মের মানুষ পারস্পরিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছে। নজরুল ইসলামের লাশের খাটিয়া কাঁধে তুলে নিয়ে সেই কথা আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন চন্দন দেব।
বিজয়লক্ষ্মী কলেজের প্রভাষক বরুণ কান্তি সরকার বলেন, এটাই আমাদের প্রকৃত নাসিরনগর। শুধু চন্দন দেব নয়, এর আগেও হিন্দু পরশমনি নামের একজনের শেষকৃত্যে মুসলমান যুবকরাও ভূমিকা রেখেছে।