চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ডাবির ঘর এলাকায় মো. আকতার হোসেন নামের এক ব্যক্তি অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করায় এতে পার্শ্ববর্তী কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়ে। আজ ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় জনস্বার্থে অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মো. আকতার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, এ ধরনের অপরিকল্পিত মাটি উত্তোলনের ফলে কৃষি জমি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কৃষি জমি রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের ১৭ সদস্যকে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশ থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। সেই দিনের খুনি ও রাজাকারদের দেশে ফিরিয়ে এনেছিল বিএনপি। তারা দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল। সেখান থেকে দেশকে মর্যাদার আসনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার মাধ্যমে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে বাস্তবায়ন হবে জাতির পিতার স্বপ্ন।
আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার কসবা ওয়েস্ট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শোকসভায় কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করছেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালে হবে উন্নত। আর এ দেশ শুধু শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কাছেই নিরাপদ।
উপজেলায় মাসব্যাপী শোক পালন উপলক্ষে কসবার পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মিলনের পরিচালনায় শোকসভায় বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম জি হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদউল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, জেলা পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ, অধ্যাপক রুমানুল ফেরদৌস প্রমুখ। পরে মিলাদ ও দোয়া শেষে তবারক বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ৭ জানুয়ারি রবিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ব্যক্তির নাম রুহন মিয়া (৫৩)। তিনি কসবা পৌর শহরের শাহপুর এলাকার আলমাছ মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুহন মিয়া শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. জামাল চৌধুরী বলেন, অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। ইসিজি ও অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি মারা গেছেন। তিনি স্ট্রোক করে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২১ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।
দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯ হাজার ২৩৬ জন।
ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহনের সকল প্রস্ততি গ্রহন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আজ ২০ মে সোমবার দুপুরে কসবা ও আখাউড়া উপজেলার ১২৯ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দুটি উপজেলার ১২৯ টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এসব সরাঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়।
তবে ২১ মে মঙ্গলবার ভোর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পৌছে দেয়া হবে। দুই উপজেলার ১২৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭৬ টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে কসবা উপজেলার ৮৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টি এবং আখাউড়া উপজেলার ৪৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
জেলা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অফিসারসহ দুই উপজেলায় ১০২৯জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও কসবা উপজেলায় মোবাইল টীম ৩৩টি, স্ট্রাইকিং টীম ২টি, স্ট্যান্ডবাইটীম ১টি স্পেশাল মোবাইল টীম ১৫টি থাকবে।
আখাউড়া উপজেলায় মোবাইল টীম ২০টি, স্ট্রাইকিং টীম ২টি, স্ট্যান্ডবাইটীম ১টি স্পেশাল মোবাইল টীম ১২টি থাকবে। এছাড়াও র্যাব, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ ও তার তার ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর দখল থেকে নিজের সম্পত্তি ফিরে পেতে ও তাদের অত্যাচার থেকে পরিবার-পরিজনসহ রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কসবা পৌর এলাকার খাড়পাড়ার বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া। আজ ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ ও তার তার ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া জানান, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ ইলিয়াছ ও তার তার ভাই মোঃ জাহাঙ্গীরের ভূমি দখলসহ নানা অত্যাচারে তিনি ও তার পরিবার এক ধরণের মানসিক পীড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তাদের অত্যাচারের নিষ্পোষিত হয়ে বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার এলাকাছাড়া। সংবাদ সম্মেলনে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর আইন-শৃংখলা বাহিনীর নমনীয়তার সুযোগে গত ৭ আগস্ট থেকে মোঃ ইলিয়াছ ও তার ভাই জাহাঙ্গীর তার জায়গা জবর দখল শুরু করে।
তিনি বলেন, কসবা পৌর শহরের খাড়পাড়ার ওই জায়গাটি তার স্বামী মোঃ সামছুল আলম পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। ২০১৮ সালে মোঃ সামছুল আলম মৃত্যুবরণ করলে তিনি ১ মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ওই জায়গায় বসবাস করে আসছেন। গত ৭ আগস্ট জায়গা দখল শুরু হলে তিনি সেখানে গেলে ইলিয়াছ ও জাহাঙ্গীরের বাহিনী আমার উপর চড়াও হয় এমনকি হত্যার হুমকি দেয়। এরপর থেকে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি বলেন, আমার দাদা শ্বশুর ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আলমের দুইজন স্ত্রী ছিলেন। তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী রওশন আরা বেগমকে সাথে নিয়ে কর্মস্থল পাকিস্তানের করাচিতে চলে যান ও পরে তারা করাচীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই রওশন আরার পাঁচ সন্তানের জন্ম হয়। মেয়ে নাছরিন আলম, ছেলে মনজুরুল আলম, মাসুদ আলম ও মহসনি আলম জন্মসূত্রেই পাকিস্তানে বসবাস করতে থাকেন।
ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আলম মৃত্যুর আগেই সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বন্টন করে দেন। এরই আলোকে দ্বিতীয় স্ত্রী রওশন আরাসহ তার সন্তানদের পাকিস্তানে একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিসহ সকল সম্পত্তি দিয়ে দেন ও পান। অন্যদিকে প্রথম স্ত্রী ও তার তিন সন্তান মনিরুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম ও মোর্শেদ আলমকে বাংলাদেশের সকল সম্পত্তি বুঝিয়ে দেন। এরই সূত্র ধরে আমার শশুর আনোয়ারুল ইসলামের হিস্যা হিসেবে আমার স্বামী সামশুল আলম কাউছার কিছু সম্পত্তি পান। আমার শশুরের স্ত্রী অর্থাৎ শাশুরি, পাঁচ মেয়েও অনুরূপভাবে সম্পত্তি পেয়েছেন। এরই সূত্র ধরে ২০১৪ মালের একটি দলিল মূলে আমি ও আমার সন্তানেরা ৩.৮০ একর জমির মালিক হই। কিন্তু পাকিস্তানের নাগরিক প্রয়াত মনজুরুল আলমের ওয়ারিশদের কাছ থেকে কিছু সম্পত্তির “পাওয়ার” নিয়ে পুরো জায়গা দখলে নিয়ে নেন জাহাঙ্গীর।
তিনি জানান, মনজুরুল আলম বাংলাদেশি নাগরিক নয়, মর্মে আদালত সন্দেহ পোষণ করে। তার নাগরিকত্ব প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আদালত মামলাটি স্থগিত রাখে। তবে সম্প্রতি জায়গা নিয়ে আদালতে অভিযোগ দেয়ার পর স্থিতাবস্থার আদেশ স্থগিত করেন আদালত। সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া আরো বলেন, ওই সময়ে পৌর মেয়রের দায়িত্বে থাকা মোঃ ইলিয়াছ এক প্রত্যায়নপত্রে মনজুরুল আলমসহ তাদের পরিবার যে বাংলাদেশে থাকেন না সেটি নিশ্চিত করেন। পরে অবশ্য মনজুরুল আলম বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বানায়।
সংবাদ সম্মলেন উপস্থিত মোঃ হারুন মিয়া নামে কসবার এক ব্যক্তি জানান, সাঈদা সুলতানার কাছ থেকে তিনি কিছু জায়গা কিনেছিলেন। ওই জায়গাটাও ইলিয়াছ ও তার ভাই দখল কওে নিয়েছে। তিনি জানতে চাইলে তারা বলেন, তারা নাকি জায়গার মালিক। এ ব্যাপারে কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াছের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি সাঈদা সুলতানার ৫ ননদ, শ্বাশুড়ির কাছ থেকে ১৫ বছর আগে জায়গা কিনেছেন ও জায়গাটি ভোগ দখল করে আসছেন।
এ ব্যাপারে মোঃ জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিএসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যাদের কাছ থেকে জায়গা নিয়েছি তাদের বাড়ি আছে কুমিল্লায়। বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। সাঈদা সুলতানা যেসব অভিযোগ করেছেন সবই মিথ্যা। ওনি এ নিয়ে মামলা করলেও আদালতের রায় আমার পক্ষে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় খালি বাড়িতে একা পেয়ে আব্দুল মান্নান গাজী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এরআগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার নিজ বাড়ির বসতঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আব্দুল মান্নান গাজী উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক গাজীর ছেলে।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় বাড়াই উজুরী শাহ দরবার শরীফে ওয়াজ মাহফিল ছিল। বৃদ্ধ আব্দুল মান্নান গাজী ছাড়া তার বাড়ির সবাই ওই মাহফিলে যায়। এরই মাঝে কে বা কারা তাকে বাড়িতে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বসতঘরের বিছানায় ফেলে রেখে যায়। এর কিছুক্ষণ পর নিহতের স্ত্রী এবং মেয়ের জামাতা বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন বিছানায় মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরো জানান, হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। মরদেহ রাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়।