চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের আহুত হরতালের সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে আজ ৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায়, টিএ রোডস্থ জেলা কার্যালয় চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কুমারশীল মোড় হয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়।
সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হাসান হিফয্ এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, দীনি সংগঠনের ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক ফয়েজী, শেখ মুহাম্মদ শাহ আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহসিনুল করীম হারুনী, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এম আবু হানিফ নোমান, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাও. নূরুল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাও. ফয়জুল্লাহ মুহসিন, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাও. আল আমীন হোসাইনী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ মুসলমানদের উপর দখলদার ইসরাইলী অব্যাহতভাবে বোমা বর্ষণ করে আরেকবার প্রমাণ করেছে তারা ধর্ম ও মানবতার শত্রু এবং আল্লাহর অভিশপ্ত জাতি। ইসরাইল যুগে যুগে নিন্দিত, আগ্রাসী বর্ণবাদী ও অভিশপ্ত সন্ত্রাসী জাতি। পাশবিকতাকে ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে, বর্তমান জাতিসংঘের ভূমিকায় বিশ্ব মুসলিম বিস্মিত ও মর্মাহত। তিনি জাতিসংঘকে মুসলিম নিধনকারী সংঘ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিশ্বমুসলিমকে মুসলিম জাতিসংঘ গঠনের আহ্বান জানান। সেই সাথে আরব বিশ্বকে মুসলমানদের পক্ষে জোরালো পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান। মিছিলে বিক্ষোভকারীরা অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানিয়ে শ্লোগান দিয়ে শহর প্রকম্পিত করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ বেশি দামে তেল বিক্রির অভিযোগে তেল বিক্রয়ের তিনটি পাইকারি প্রতিষ্ঠানকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ৮ মার্চ শনিবার দুপুরে শহরের জগত বাজারের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে শহরের জগত বাজারে অভিযানকালে দেখা যায়, তেল বিক্রয়ের পাইকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছে না, ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য সংরক্ষণ করছে না, কিছু ক্ষেত্রে প্রদর্শিত মূল্যের অধিক মূল্য তেল বিক্রি করছেন। এজন্য জগত বাজারের আয়াত ওয়েল মিলকে ৩ হাজার টাকা, একই বাজারের মের্সাস কাউসার ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা ও সুরজিত স্টোরকে ১ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।
এসময় প্রতিষ্ঠানসমূহকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা, ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ, ধার্য্যকৃত মূল্যের চাইতে অধিক মূল্য গ্রহণ না করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদানসহ সতর্ক করা হয়। অভিযানের সময় কনজ্যুমার এসোসসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীন ও ৫ সদস্যের আনসার ব্যাটলিয়নের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম বলেন, অভিযুক্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ অনুযায়ী সাত হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
“আত্ম মর্যাদার পরিবেশ, কুষ্ঠ-কলঙ্কের হবে শেষ”এ প্রতিপাদ্য বিষয় কে সামনে রেখে আজ ২৮ জানুয়ারি রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিভিল সার্জন ডা:মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে একটি ষ্ট্যান্ড র্যালি করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দি- লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর এফ এফ মোঃ জাহিদ হাসান,টি এস ও জুয়েল খিয়াং, ডা:মুস্তাফিজুর রহমান, ডা: মফিজুর রহমান ফিরোজ, ডা:পাভেল, এমওডিসি ডা:রাহাত, পিও মাহমুদা আক্তার প্রমুখ।এছাড়া অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি ও কুষ্ঠ রোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে দি-লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কুষ্ঠ রোগীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিভিন্ন ট্রেনের ৭১টি আসনযুক্ত ৪৪টি টিকেটসহ মোঃ সুমন মিয়া (২৩) ও সাব্বির মিয়া (২৪) নামে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে এই কারাদন্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত সুমন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার উত্তর মৌড়াইলের বাসিন্দা ও সাব্বির মিয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রামের বাসিন্দা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমন মিয়া নামে টিকেট কালোবাজারিকে স্টেশনের বাইরে থেকে আটক করে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এ সময় সুমন মিয়া তার পকেটে থাকা বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের আসনযুক্ত টিকেট ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ডাস্টবিন থেকে টিকেটগুলো সংগ্রহ করে।
খবর পেয়ে সদর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে গননা করে চারটি আন্তঃনগর ট্রেনের ৭১টি আসনযুক্ত ৪৪টিকেট পাওয়া যায়। পরে টিকেট কালোবাজারির সহযোগী সাব্বির মিয়াকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারা লঙ্ঘণের অপরাধে দোষী সাব্যস্থ হওয়ায় সুমন মিয়াকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একই ধারায় সাব্বির মিয়াকে ছয় মাসের কারাদন্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সাব্বিরের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, সুমন মিয়া নামে এক টিকেট কালোবাজারীকে ৭৪টি আসনের টিকেটসহ আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সুমনকে ১ বছর ও তার সহযোগী সাব্বিরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এ সময় মোবাইল ফোন নাম্বার যাচাই ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ট্রেনের টিকেট বিক্রি না করার জন্য রেলস্টেশন মাস্টারকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাড়ির গেট-দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকদের হাত-পা বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় ডাকাতরা ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া হামলায় নারীসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- বাড়ির কর্তা সাইদুল ইসলাম (৭০), তার স্ত্রী জুৎস্না চৌধুরী (৬০), ছেলে মাইনুদ্দিন ইসলাম (২৬) ও মেয়ে আয়েশা আক্তার মুক্তা (২৮)। এর মধ্যে আয়েশা আক্তার মুক্তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যাওয়ায় ও মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
সাইদুল ইসলামের আরেক মেয়ে সাদেকা ইসলাম রত্না বলেন, আমার দুই ভাই ও এক বোন দেশের বাইরে থাকে। বোন সম্প্রতি সুইডেন থেকে বেড়াতে দেশে আসে। সোমবার সন্ধ্যায় সে আবার প্রবাসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে চলে গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে আমার বোন আয়েশা আক্তার মুক্তা ঘরের বাইরে টয়লেটে যায়। এই ফাঁকে ২৫/৩০ জনের একটি ডাকাত দল আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এর মধ্যে ১০/১২ জন আমাদের বাড়ির বাউন্ডারির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। বাউন্ডারির ভেতরে ঢুকে ভবনের কলাপসিবল গেট ও দরজা ভেঙে সাতজন ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমার বাবা, মা ও ভাইকে মারধর করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরই মাঝে আমার বোন টয়লেট থেকে ঘরে ঢুকলে তার মাথায়ও আঘাত করে মেঝেতে ফেলে দিয়ে মারধর করে। এতে তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যায়। ডাকাত দল আমাদের ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমার মায়ের কান ছিড়ে স্বর্ণের দুল দিয়ে যায়।
আহত আয়েশা আক্তার মুক্তা বলেন, আমি টয়লেট থেকে এসে দেখি সাতজন লোক আমার ভাইকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমার দুই শিশুর গলায় ছুরি ধরে রেখেছিল। তাদের সবার মুখে মাস্ক পরা ছিল। তারা আমার মাথায় আঘাত করে। এরপর আমি লুটিয়ে পড়ি। দুই হাতে কখন আঘাত পেলাম বলতে পারিনি। জ্ঞান ফেরার পর দেখেছি দুই হাতে ব্যান্ডেজ।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় তিন লাখ টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ডাকাতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোননীত প্রার্থী ও এই আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এসময় তাঁর সহধর্মীনি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলমসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন অগ্রগতির বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন। চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডের অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করার জন্য তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন।
র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন। তিনি বলেন, আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
উল্লেখ্য, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি টানা চতুর্থবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন।
২০১০ সালের ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু মৃত্যুবরণ করলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। টানা তিনবার বিজয়ী হয়ে তিনি তার সংসদীয় এলাকায় বিপুল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন।