মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
আখাউড়া উপজেলায় টয়লেটের গর্তে পড়ে আলী আহাদ নামে এক দেড় বছর বয়সি শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শিশু আলী আহাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আলী আকবরের পুত্র।
শিশুর চাচা আব্দুর রকিব জানান, আজ ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ঘরের বাইরে আলী আহাদ খেলাধুলা করছিল। এসময় সবার অজান্তে পাশের বাড়ির টয়লেটের খোলা গর্তে পড়ে যায়। ঘন্টাখানেক খোঁজাখুজির পর এই গর্ত থেকে তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. লুৎফর রহমান বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশুটি মারা যায়। পরে পরিবারের লোকজন শিশুকে নিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আখাউড়ায় আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হকের নিজস্ব অর্থায়নে অসহায় দুস্থদের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ৭’শ নারী-পুরুষকে শাড়ি-লুঙ্গি দেওয়া করা হয়।
এরমধ্যে ৩৫০ জনকে শাড়ি এবং ৩৫২ জনকে লুঙ্গি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা। মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিনের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল হক দুলাল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবু কাউছার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা সুহেল প্রমুখ। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকার উত্তরায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের নিহত ও আহত ছাত্রছাত্রীদের স্মরণে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে জেলা স্কাউটস্ অঞ্চলের অধীনস্থ অগ্নিবীণা রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের আয়োজনে মঙ্গলবার বিকালে আখাউড়া রেলওয়ে কুমারপাড়া কলোনীস্থ গ্রুপ কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে নিহততের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
গ্রুপের সহ- সভাপতি কাজী হান্নান খাদেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মোঃ রাকিব উদ্দিন খান খাদেম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ নূরুন্নবী। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন গ্রুপের সহ-সভাপতি এস.কে খাদেম সেলিম।
আলোচনা শেষে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে মিলাদ ও দোয়া পাঠ করা হয় এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার যেন ধৈর্য্য ধারন করতে পারেন আল্লাহর দরবারে সেই দোয়া কামনা করা হয়।
দোয়া পাঠ করেন রেলওয়ে স্কুল মসজিদের ইমাম মাওঃ অলিউর রহমান এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের সম্পাদক মোহাম্মদ হালিম, স্কাউট ইউনিট লিডার আবির দাস আয়ুস।
অনুষ্ঠানে অর্ধশত গ্রুপের স্কাউট, গার্লস ইন স্কাউট, কাব, গার্লস ইন কাব উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা পাঁচ ছুটি শেষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২৬ এপ্রিল বুধবার সকালে বাংলাদেশ থেকে মাছ, রডসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির মধ্যদিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়।
এতে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সিদ্ধান্তে গত ২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ছুটি শেষে সকাল থেকে বন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস জানান, ছুটির সময়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সীমান্ত পথে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি পাহাড়ি রাজ্যে পাথর, ছোট বড় মাছ, প্লাস্টিক সামগ্রী ও সিমেন্টসহ অর্ধশতাধিক পণ্য রপ্তানি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
এস আলম গ্রুপকে অর্থপাচারে সহায়তা করার অভিযোগ থাকা সুজন কান্তি দে (৪৪) নামের এক ব্যক্তি আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সুজন কান্তি চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মালঘর গ্রামের সঞ্জিত কান্তি দে’র ছেলে। তিনি ২৩ বছর যাবৎ এস আলম গ্রুপে চাকরি করছেন। তার বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় নিয়মিত মামলা রয়েছে। তাকে ধরতে আনোয়ারা থানা পুলিশ রিকুইজিশন দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুজন কান্তি নামে ওই ব্যক্তিকে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে তারা বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা রয়েছে। তাকে নেওয়ার জন্য আনোয়ারা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার সময় মাটি ভর্তি ৫টি ড্রাম ট্রাক এবং এক্সভেটরের ব্যাটারি জব্ধ করা হয়েছে। এসময় ট্রাক চালককেও আটক করা হয়। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গাজালা পারভিন রুহি মঙ্গলবার রাতে অভিযান পরিচালনা করেন। তবে মাটি কাটার মূল মালিককে আটক করা যায়নি। জব্দকৃত ট্রাকগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে। ট্রাকের মালিক না পাওয়া গেলে নিলামে বিক্রি করা হবে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাায়ই কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগ আসছিল। বিশেষ করে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে বেশি মাটি কাটা হচ্ছিল। সন্ধ্যার পর কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ড্রাম ট্রাক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গাজালা পারভিন রুহি মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত ধরখার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ধরখার-উজানিসার ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের কৃষি জমি থেকে মাটির কাটার সময় মাটি ভর্তি ৫টি ড্রাম ট্রাক চালকসহ জব্ধ করা হয়। পরে জব্ধকৃত ট্রাকগুলো উপজেলা পরিষদ মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে। ট্রাকচালকরা বেতনভূক্ত কর্মচারী হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
একটি সূত্র জানায়, ধরধার এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র রাতের আঁধারে কৃষি জমি থেকে এক্সভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে বড় বড় ড্রাম ট্রাকে কুমিল্লার বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডে বিক্রি করে। প্রতি রাতে ৪০/৫০টি ড্রাম ট্রাক ৭ থেকে ৮ বার মাটি নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত্র পর্যন্ত মাটি কাটা হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহি বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে বলা আছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা হলে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সাজা দেওয়ার বিধান আছে। ট্রাক চালকরা বলেছে তারা মাটি কাটার মূল ব্যক্তিকে চেনে না। বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে মাটি নিতে এসেছে। ট্রাকগুলো নিতে এলে মাটি কাটার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে জরিমানা করা হবে। নতুবা জব্ধকৃত ট্রাকগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে। অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।