চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফের) বাঁধায় দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বেলা ১১টায় বিজিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম কসবায় প্রকল্প কাজ পরিদর্শনের পর নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের কসবা ও সালদা নদী স্টেশন দুটির অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে হওয়ার কারণে বিএসএফ নির্মান কাজে আপত্তি তুলে। এক পর্যায়ে বিএসএফ’র বাঁধায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বিভিন্ন পর্যায়ের কুটনৈতিক তৎপরতা এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিএসএফ’র সাথে কার্যকর যোগাযোগ শুরু করে।
অবশেষে আড়াই বছর পর বিএসএফের বাঁধায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বহুল প্রতীক্ষিত আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কসবা ও সালদা নদী অংশের নির্মান কাজ পুনরায় হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটির অসম্পন্ন হওয়া কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে এবং রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন, কোম্পানী ও বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সাথে বিজিবি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে। বিশেষ করে গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বন্ধ থাকা আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের বিষয়টি জোরালো ভাবে উত্থাপন করা হয়।
একই বছর সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ ও ভারত প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পটির বিষয়ে একটি ফলপ্রসু আলোচনা হয়। এছাড়াও অতি স¤প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি জানান, গত ১ মার্চ বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ.কে.এম নাজমুল হাসান আখাউড়া আইসিপি, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে পকল্পের কসবা ও সালদা নদী স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্পটির বন্ধ থাকা কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দেশের অন্যতম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক সুুবক্ত গীন জানান, প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডুয়েলগেজ প্রকল্পের সব ধরনের বাঁধা দূর হয়েছে। চলতি বছরই কাজটি শেষ হবে। এতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে সময়ও কমে আসবে।
এ সময় বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আশিক হাসান উল্লাহ, তমা গ্রুপের ট্রেগ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মহিউদ্দিনসহ বিজিবি ও রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি বোরো ধান সংগ্রহ শুরু করেছেন উপজেলা প্রশাসন। আজ ১৮ মে বৃহস্পতিবার পৌর শহরে অবস্থিত খাদ্য গুদামে কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় কৃষক মো.ইয়াছিন মিয়ার কাছ থেকে তিন টন ধান ক্রয়ের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের নিকট্ থেকে ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা খাদ্য অফিস।
কসবা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কাওসার সজিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো.মনির হোসেন, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান, সহ-সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সাধারন সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেনসহ অন্যরা।
কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কৃষি এ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রয়ে আবেদন করেন ১ হাজার ২৯ জন কৃষক। এদের মধ্যে ১ হাজার ২১ জন কৃষকের আবেদন গৃহীত হয়। ৮ জন কৃষকের আবেদন বাতিল বলে গন্য হয়। গৃহীত ১ হাজার ২১ জন কৃষকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৩শ ২০ জন কৃষককে বাছাই করেন উপজেলা প্রশাসন। তাদের নিকট থেকে আগামী ৩১ আগষ্টের মধ্যে ১১শ ১৮ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হবে বলেন জানান খাদ্য কর্মকর্তা। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি কৃষকের নিকট থেকে সর্বোচ্চ তিন টন ধান ক্রয় করা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা দরে ১২শ টাকা মন কেনা হবে এই ধান।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, লটারির মাধ্যমে বিজয়ী কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হবে এই ধান । ধান বিক্রি করতে এসে কৃষক যেন কোনো প্রকার হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে নজরদারী থাকবে। কৃষক এবং গুদাম কর্মকর্তার মাঝখানে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা না আসতে পারে সেদিকেও নজর থাকবে উপজেলা প্রশাসনের।
অনলাইন ডেস্ক :
১৩০ দিন পর আজ খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এবার মসজিদের ৯টি দানবাক্স বা সিন্দুকে পাওয়া গেছে ২৭ বস্তা টাকা।
আজ ২০ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মসজিদের ৯টি সিন্দুক খোলা হয়। এরপর টাকাগুলো বস্তাবন্দি করে নেওয়া হয় মসজিদের দোতলায়।
টাকাগুলো ভরতে ২৭টি বস্তার প্রয়োজন হয়। পুরো কাজে তত্ত্বাবধান করছেন জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট।
এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল মসজিদের সিন্দুকগুলো। তখন পাওয়া গিয়েছিল ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা।
এবার দানের পরিমাণ সেই টাকাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ১৯ আগস্ট মসজিদের সিন্দুকে পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তারও আগে ৬ মে মসজিদের সিন্দুকে মিলেছিল পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ সাত হাজার ৬৮৯ টাকা। জানুয়ারি মাসেও পাওয়া যায় চার কোটিরও বেশি টাকা।
স্থানীয়রা জানান, এ মসজিদের দানবাক্স খুললেই পাওয়া যায় কয়েক কোটি টাকা। এ কারণে মসজিদের দানবাক্সে কী পরিমাণ টাকা পাওয়া গেল, তা নিয়ে লোকজনের থাকে অনেক কৌতূহল। তাই গণনা শেষে জানিয়ে দেওয়া হয় টাকার অঙ্ক।
তবে স্থানীয়রা অনেকে বলেছেন, স্বচ্ছতার স্বার্থে আয়ের পাশাপাশি মসজিদের টাকা-পয়সা ব্যয়ের হিসাবটাও জনসম্মুখে নিয়মিত প্রকাশ করা উচিত। ইদানীং মসজিদে দানের প্রবাহ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
স্থানীয়রা জানান, মুসলমানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এ মসজিদে দান করে। এখানে দান করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে তারা ছুটে আসে পাগলা মসজিদে। দান করে মোটা অঙ্কের টাকা। তবে এ মসজিদের দানবাক্সে যে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়, তা জেলার আর কোনো মসজিদে মেলে না। টাকার সঙ্গে সোনা-রুপার অলঙ্কারসহ থাকে বিদেশি মুদ্রাও। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, ফলফলাদি, মোমবাতি ও ধর্মীয় বই দান করে লোকজন।
তা ছাড়া আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় দানবাক্সে পাওয়া চিঠিপত্র। এসব চিঠিতে লোকজন তাদের জীবনে পাওয়ার আনন্দ, না-পাওয়ার বেদনা, আয়-উন্নতির ফরিয়াদ, চাকরির প্রত্যাশা, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের আশা ও রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে আকুতি প্রকাশ করে। এমনকি শত্রুকে ঘায়েলের দাবিও থাকে কোনো কোনো চিঠিতে।
দানবাক্স বা সিন্দুক খোলার সময় মসজিদে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বড় দল টাকা-পয়সা গণনার তত্ত্বাবধান করে থাকেন।
সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিন্দুকের টাকা-পয়সা বস্তাবন্দি করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন। পরে বস্তাগুলো ধরাধরি করে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমাণ গণনাকারীদের সামনে ঢেলে দেওয়া হয় টাকাগুলো। এভাবেই শুরু হয় গণনার কাজ।
পাগলা মসজিদের টাকা জমা হয় রূপালী ব্যাংকে। তাই এই ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদের কর্মচারী ও কমিটির লোকজন, মাদরাসার ছাত্রসহ সব মিলিয়ে দুই শতাধিক লোক সারা দিন টাকাগুলো গুনবে।
মসজিদ পরিচালনা, এর অর্থ-সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ২৯ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে জেলা প্রশাসক ও কিশোরগঞ্জ পৌর মেয়র।
জানা গেছে, মসজিদের দানের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে। আর ওই টাকার লভ্যাংশ থেকে গরিব অসহায় লোকদের আর্থিক সহায়তা, ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের আর্থিকভাবে অনুদান দিয়ে মসজিদটি আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুদান দেওয়া হয় মসজিদের তহবিল থেকে। এইসব সেবামূলক কর্মকাণ্ড সারা বছরই করে থাকে পাগলা মসজিদ।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানায়, শুধু মুসলমান নয়, অন্য ধর্মের লোকজনও পাগলা মসজিদে বিপুল অঙ্কের টাকা-পয়সা দান করে। সব সম্প্রদায়ের মানুষ পাগলা মসজিদ পরিদর্শনে আসে। যা প্রকৃতপক্ষে অসাম্প্রদায়িকতার বিরল এক দৃষ্টান্ত।
মসজিদের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দানের টাকায় মসজিদের বড়সড় উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। মসজিদ ঘিরে এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি দৃষ্টিনন্দন বহুতল ইসলামী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। সমৃদ্ধ লাইব্রেরিসহ থাকবে আরো বিভিন্ন আয়োজন। এ প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শেষের পথে। এখন সব কিছু গুছিয়ে আনা হচ্ছে। খুব শিগগিরই হয়তো কাজে হাত দিতে পারব আমরা।
কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদ গড়ে উঠেছিল। সময়ের সঙ্গে আজ পাগলা মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে খ্যাতিও।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে মাছে রং করে বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট শহর প্রধান ফিসারি ঘাট কেবি মাছ বাজার এলাকা ও সদর উপজেলার ফতেপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। পুলিশ ও কৃষি বিপণন বিভাগের সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই অভিযান পরিচালনা করে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট শহর প্রধান ফিসারি ঘাট কেবি মাছ বাজার এলাকা ও সদর উপজেলার ফতেপুর বাজারে অভিযানকালে মাছে রং করা অস্থায় মাছ বিক্রেতাসহ মূল্য তালিকা না থাকার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ৩টি পুনরায় এই ধরনের অনিয়ম করা থেকে বিরত থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এ সময় রং করা মাছ নষ্ট করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যতয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।সকলের প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বিশেষ আইনশৃংখলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে যে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোন দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি ও ইউনিয়নে ১টি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি যদি থাকে তাহলে সেগুলো স্থানীয় রিটানিং কর্মকর্তা অপসারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচারণা সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এরপর যদি কেউ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চলায় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দিয়েও কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটর সাইকেলে বৈধ কাগজ নেই সেগুলোকে আটক করা হবে। শুধু মটর সাইকেল নয়, কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া করতে পারবে না। এগুলো যদি চোখে পড়ে তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা রয়েছে তাদের কাছে অভিযোগ দেবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া হবে, এর মধ্যে কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে যোগ না দিলে তাদেরকে পলাতক ঘোষণা করা হবে।
আজ ১১ আগস্ট রোববার সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বুধবার বিকাল ৪টায় পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে সব ইউনিটের সদস্যকে কাজে যোগদান করতে নির্দেশ দেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিওএম, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএনস), সব মেট্রোপলিটন এবং জেলা পুলিশ লাইনস, অন্যান্য পুলিশ স্থাপনাসহ বিশেষায়িত সব পুলিশ ইউনিটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ফোর্সের শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড পুনরুদ্ধার এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, এই সময়ের মধ্যে সব মেট্রোপলিটন, জেলা, নৌ, রেলওয়ে ও হাইওয়ে থানার অফিসার ও ফোর্সকে স্ব স্ব ইউনিটের পুলিশ লাইনসে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অপারেশনস কন্ট্রোলরুম সক্রিয় করা, দায়িত্ব বণ্টন করা এবং সারা দেশের সাথে কার্যকর যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফোর্সের মনোবল বৃদ্ধি এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের দাফন/সৎকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেন, আশা করছি, অচিরেই এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সবার সহযোগিতা আহ্বান করেন তিনি। থানাগুলোকে ঠিকঠাক করতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সচেতন মানুষ, সাংবাদিকসহ সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটি নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি করার নির্দেশ দেন আইজিপি। সামাজিকমাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত বা অ্যাসোসিয়েশনের নামে কোনো ধরনের বিবৃতি, ব্যাজের ছবি বা কোনো ধরনের মন্তব্য করতেও নিষেধ করেছেন ময়নুল ইসলাম।