অনলাইন ডেস্ক
চীনের উত্তরাঞ্চলীয় হেবেই প্রদেশের চেংদেতে একটি নার্সিং হোমে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চেংদে-এর লংহুয়া পল্লীর একটি বয়স্কদের পরিচর্যা কেন্দ্রের আবাসিক কমপ্লেক্সে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আজ ৯ এপ্রিল বুধবার ভোর ৩টা পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া। ধারণা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, ‘নার্সিংহোমে থাকা অন্যান্য বয়স্ক ব্যক্তিদের আরো পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’ আগুন লাগার কারণ তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত করতে বিশেষজ্ঞরা নার্সিংহোমে গেছেন বলে চীনা এই সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে।
সূত্র : দ্যা গার্ডিয়ান
অনলাইন ডেস্ক :
একদিনেই দখলদার ইসরায়েল হামলা চালাল চার দেশে। আজ ৬ মে মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থাটির লাইভ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে অন্তত ৫৪ জনকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েল একইদিনে ইয়েমেন, লেবানন এবং সিরিয়ায়ও বিমান হামলা চালিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইয়েমেনের বন্দর নগরী হোদেইদায় অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে দু’জন নিহত ও ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। এছাড়া লেবানন ও সিরিয়াতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে গত রবিবার গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা। এই পরিকল্পনার মধ্যে গাজা পুরোপুরি দখল ও ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো বিষয় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এরইমধ্যে হাজার হাজার সংরক্ষিত সেনা ডেকে পাঠিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা আর হামাসকে পরাজিত করতে চাপ বাড়ানোকে তারা কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা রবিবার সন্ধ্যায় গাজায় হামলা বাড়ানো নিয়ে বৈঠকে বসে। সেসব বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। সূত্র: আল-জাজিরা
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক নেত্রী তুলসী গ্যাবার্ড। দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট বুধবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারি পদে নিয়োগ দেয় তাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের ভূমিকা ব্যাপক ও বিস্তৃত। সিআইএ এবং এফবিআইসহ যুক্তরাষ্ট্রের মোট সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ১৮টি। এই ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীর সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি এবং এ সংস্থাগুলো জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের কাছে জববাদিহিতা করে। জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হিসেবে এখন থেকে এই ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থা দেখভালের দায়িত্ব পেলেন তুলসী।
তুলসি গ্যাবার্ডকে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান করা হবে কি না- এ প্রশ্নে ভোট হয়েছিল সিনেটে। এই কক্ষের মোট ১০০ জন সদস্যের ৫২ জন তাকে এ পদে নিয়োগের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
তুলসী গ্যাবার্ডের জন্ম ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুদূরবর্তী অঙ্গরাজ্য অ্যামেরিকান সামোয়ার বৃহত্তম শহর তুতুলিয়ায়। তার বাবা মাইক গ্যাবার্ড যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক এবং বর্তমানের বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেট সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো সিনেট নির্বাচন হয়েছে, প্রতিটিতেই তিনি জয় পেয়েছেন।
হাইস্কুল পাশের পর তিনি হাওয়াইয়ের লিওয়ার্ড কমিউনিটি কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু পড়া শেষ না করেই সেই কলেজ ছেড়ে দিয়ে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত প্রতিরক্ষা সংস্থা হাওয়াই আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে যোগ দেন তিনি। পরের বছর মার্কিন সেনাবাহিনীর মেডিকেল শাখার সদস্য হিসেবে যুদ্ধে অংশ নিতে ইরাকে সফর করেন তিনি। ইরাক থেকে ফেরার পর ২০০৯ সালে হাওয়াই প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি নেন তুলসী।
পেশাগত জীবনের প্রায় পুরো সময়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রশান্ত মহাসগারীয় ইউনিটে কর্মরত ছিলেন তুলসী। সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের চেয়ে সামরিক বাহিনীর মেডিকেল ইউনিট, পুলিশ ও অন্যান্য দাফতরিক শাখায় বেশি সময় থেকেছেন তিনি। সামারিক বাহিনীতে তার সর্বশেষ পদবী ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল।
বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রথমে ডেমোক্রেটিক পার্টিতেই তুলসী যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য হিসেবে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধিত্বও করেছেন তিনি। ২০২২ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে সরে দাঁড়ান তুলসী, তারপর ২০২৪ সালে রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হন।
২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চেয়ে তুলসী ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু কিছুদিন প্রচারাভিযান চালানোর পর নিজে থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়ে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন তিনি।
ডেমোক্রেটিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদ বাগানো তুলসীর জন্য খুবই কঠিন ছিল। রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ট্রাম্পকে সমর্থনের ‘পুরস্কার’ হিসেবে এই পদ দেওয়া হয়েছে তুলসীকে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
আইকন অব দ্য সিস। বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ। ফিনল্যান্ডের শিপইয়ার্ডে জাহাজটি নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে সম্ভাব্য ডেলিভারির আগেই শেষবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে সাগরে ভাসবে জাহাজটি। যে টাইটানিক জাহাজ বিশ্বে বিস্ময় ও ইতিহাস হয়ে আছে নতুন নির্মিত জাহাজটি তার চেয়ে ১৩ গুণ বড়। সিএনএন।
২০২৪-এর জানুয়ারিতেই যাত্রা শুরু করবে বিশ্বের বৃহত্তম এ ক্রুজ জাহাজ। আইকন অব দ্য সিসের দৈর্ঘ্য ১,২০০ ফুট, ওজন ২ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টন।
এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রুজ শিপ ছিল ওয়ান্ডার অব দ্য সিস। এর চেয়ে আয়তনে ৬ শতাংশ বড় আইকন অব দ্য সিস। ৫,৬১০ জন যাত্রী ও ২,৩৫০ জন ক্রুসহ মোট ৭,৯৬০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করতে পারবে এই বিশাল জাহাজ। এই বিশালত্ব এবং যাত্রীধারণ ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিনোদনমূলক ব্যবস্থা। ওয়াটার স্লাইড, সুইমিংপুল, হ্রোয়ালপুল-সব মিলিয়ে জাহাজটিতে বিনোদনের ৪০টিরও বেশি ব্যবস্থা রয়েছে।
২০২২-এর এপ্রিলে ফিনল্যান্ডের মেয়ার তুর্কু শিপইয়ার্ডে জাহাজটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। সম্প্রতি সেখান থেকেই এটির ট্রায়াল রান হয়। ট্রায়াল রানে আইকন অব দ্য সিস কয়েকশ মাইল পথ ভ্রমণ করেছে। সেই সময় প্রধান ইঞ্জিন, হল, ব্রেক সিস্টেম, স্টিয়ারিং, শব্দ এবং কম্পন ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। ৪৫০ জন বিশেষজ্ঞ চার দিন ধরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহাজটিকে সমুদ্রযাত্রার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছেন।
চলতি বছরের শেষে আরেকটি ট্রায়াল হবে। তারপর জাহাজটি যাবে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে। ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সেখান থেকেই শুরু হবে আইকন অব দ্য সিসের প্রথম সমুদ্র ভ্রমণ। প্রথম ভ্রমণের টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। ক্যারিবিয়ান সাগরের পূর্ব এবং পশ্চিম পথ ধরে নিয়মিত এক সপ্তাহের একেকটি সফর করার কথা ক্রুজ শিপটির। বাহামায়, কোকোকে নামে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান সংস্থার নিজস্ব একটি দ্বীপ আছে। সাত রাতের এক রাতে অতিথিদের সেই স্থানেও নিয়ে যাওয়া হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ অবশ্যই এর ওয়াটার পার্ক। এখানে থাকছে ছয়টি ওয়াটার স্লাইড। এর মধ্যে একটি ‘ওপেন ফ্রি-ফল স্লাইড’, একটি ‘ফ্যামিলি রাফ্ট স্লাইড’ এবং দুটি ‘ম্যাট-রেসিং স্লাইড’। জাহাজটিতে ২৮টি বিভিন্ন ধরনের কেবিন থাকছে। ৮২ শতাংশ কক্ষে তিন বা তার বেশি অতিথি থাকতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দখলদার ইসরায়েলী বাহিনীর বোমা হামলা থেকে ইংরেজী নববর্ষের প্রথম দিনও রক্ষা পাইনি নিরিহ ফিলিস্তিনিরা। তাদের লাগাতার বোমা হামলায় ইতোমধ্যে প্রায় ২২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে হাজার হাজার যুবককে। আর আহত হয়ছেন অসংখ্য মানুষ। বাস্তহারা হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
এদিকে নতুন বছরের শুরুতেই ইসরায়েলি বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। আজ ১ জানুয়ারি সোমবার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল ও আল জাজিরা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলে ২০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে হামাস।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল আবিবের দিকে ২০টির বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিহত করা হয়। এ সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সতর্কসংকেত (সাইরেন) বাজানো হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে হামাসের ছোড়া একটি রকেটের টুকরো ইসরায়েলের স্থানীয় এক হাসপাতালে গিয়ে পড়লেও, এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
অপরদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের সাবেক ধর্মমন্ত্রী ইউসুফ সালামা (৬৮) নিহত হয়েছেন।
এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর রবিবার ইউসুফ সালামার বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায় বলে জানায় ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা। এছাড়া হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও বিয়ষটি নিশ্চিত করেছে।
ওয়াফা বলছে, ইউসুফ সালামার বাড়ি গাজার মধ্যাঞ্চল আল-মাঘাজি শরণার্থী ক্যাম্পে। ফিলিস্তিনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন ইউসুফ। তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধর্মমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ইমামও ছিলেন ইউসুফ সালামা। তবে, ফিলিস্তিনের সাবেক এই মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে উত্তরের পাহাড়ি অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নতুন একটি দাবানল। এতে এরই মধ্যে প্রায় ২১ বর্গকিলোমিটার এলাকার গাছপালা ও ঝোপঝাড় পুড়ে গেছে। ২২ জানুয়ারি বুধবার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কাস্টেইক লেক এলাকায় এই দাবানলের কারণে হাজারও বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষ জরুরি আদেশ জারি করেছে।
দমকলকর্মীরা জানান, কাস্টেইক লেক এলাকায় শুরু হওয়া ‘বিশাল আগুন’ স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি তৈরি করেছে। ওই এলাকায় প্রায় ১৮ হাজার ৬০০ মানুষ বসবাস করেন। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুন সেখানে গাছপালা ও ঝোপঝাড় ধ্বংস করে দিচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ বিভাগের রবার্ট জেনসেন স্থানীয়দের দ্রুত এলাকা ত্যাগ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এর আগে পলিসেডস ও ইটন দাবানলে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ধরনের বিপর্যয় এই এলাকায় আমরা দেখতে চাই না। আপনাকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়ে থাকে, দয়া করে এখনই চলে যান।
সান্তা আনা নামক শুকনো ও শক্তিশালী বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমির পাশাপাশি পানিবাহী উড়োজাহাজ থেকেও কাজ করছেন।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে আবহাওয়াবিদদের মতে, এই সময়ের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ পরিস্থিতি, অর্থাৎ শক্তিশালী বাতাস ও কম আর্দ্রতার কারণে দাবানলের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।
লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলের ইটন ও পালিসেডস দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ইটন দাবানল ৯১ শতাংশ এবং পালিসেডস দাবানল প্রায় ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ঘরবাড়ি।
পরিস্থিতি দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য অভিষিক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেস সফর করবেন বলে জানা গেছে।
বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা আকুওয়েদার জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা