চলারপথে রিপোর্ট :
নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ৯ এপ্রিল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন করেন। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৭০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি চিনি এবং ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া জানান, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, পৌর এলাকার কালভৈরব, কারখানাঘাট- আনন্দবাজার, বর্ডার বাজার, দক্ষিণ পৈরতলা শেখ জালাল মাজার গেইট ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পরে পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
টিসিবির পণ্য নিয়ে কেউ যেন কোন রকম দুর্নীতি করতে না পারে সেজন্য আমাদের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এসময় ট্যাগ অফিসার মোঃ বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে সকল ধর্মের সম অধিকার এবং সহাবস্থান নিশ্চিত করেছে আওয়ামীলীগ সরকার
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পহেলা বৈশাখকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দিয়েছেন।
গতকাল ১৪ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, যতদিন বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে, ততদিন পহেলা বৈশাখের মতো আমাদের এই সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আঃ কুদদূস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ আবু সাঈদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভাষা ও সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি এস.আর ওসমান গনি সজীব। ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় বিভিন্ন ধরনের পন্য নিয়ে ১৮টি স্টল বসে।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলিসহ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মোজা আলমকে (২৭) আটক করেছে কোস্ট গার্ড। ২৯ জানুয়ারি বুধবার বিকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ পূর্ব পাড়া বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি ৯ এমএম বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ সন্ত্রাসী মোজা আলমকে আটক করা হয়।
মো. সিয়াম-উল-হক আরো জানান, জব্দকৃত সব আলামতসহ আটককৃত সন্ত্রাসীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
এ সময়ের সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাটের জৌলুস আগের মতো আর নেই। পাটের ভালো ফলন হলেও চাষিরা আশানুরূপ লাভবান হতে পারছেন না। এছাড়াও পাট জাক (পঁচানো) দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও জায়গা না থাকায় চাষীরা বিপাকে পড়েন। তবু ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য বংশ পরস্পরায় অনেক চাষি এখনো পাটের চাষ করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের তথ্য মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়েছে। এ বছর জেলায় উৎপাদিত পাট প্রায় ৬০ কোটি বিক্রির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের তথ্য মতে চলতি বছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিলো ৪ হাজার ১শ ৮৯ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১শ ৯১ হেক্টর জমি। ২ হেক্টর জমি বেশী চাষ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা, সরাইল উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা, নবীনগর উপজেলা বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। জেলায় চাষীরা এবার তাদের জমিতে দেশী কেনাফ, মেছতা এবং তোষা জাতের পাটের আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারনে পাটের আকার কিছুটা ছোট হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলে এখন চলছে পাটকাটা, পাট জাক দেয়া ও পাট শুকনোর কাজ। তবে বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমান পানি না হওয়ায় ও পাট জাক দেয়ার (পঁঁচানো) পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বিপাকে পরেছেন পাট চাষীরা।
পাট চাষিদের অভিযোগ পাটের উৎপাদন খরচ বাড়লেও পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা। এজন্য কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। তবে কৃষি বিভাগের দাবি ভালো ফলন ও লাভবান হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে পাটের আবাদ।
চাষিরা জানান, এক সময় পাটকে বলা হতো সোনালী আঁশ। পাট বিদেশে রপ্তানী হতো অর্জিত হতো বৈদেশিক মুদ্রা। ওই সময়ে সোনালী আঁশ পাট চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছিলো বড়-বড় হাট বাজার। এখন পাটের সোনালী দিন আর নেই। ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য বংশ পরস্পরায় অনেকে এখনো পাটের চাষ করছেন।
নাসিরনগরের দুলাল মিয়া নামে এক পাট চাষী জানান, আমরা যে আশা করে পাট চাষ করেছিলাম বৃষ্টি না থাকার কারনে আমাদের পাটগুলো আকারে ছোট হয়েছে। আগে পানির মধ্যে পাট কাটতে খরচ কম হতো কিন্তু এবার খরচ বেশি হয়েছে। পানি না থাকার কারণে পাট এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতেও খরচ হয়। আর যদি পানি থাকতো তাহলে এখানেই সবকিছু করা যেতো। তিনি বলেন, বর্তমানে ২ হাজার টাকা মন দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। এই দামে পাট বিক্রি করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। সরকার যদি পাটের দামটা ৩ হাজার টাকা করে দিতো তাহলে আমরা লাভবান হতাম।
বিজয়নগর উপজেলার ফরিদ মিয়া নামে আরেক পাট চাষী বলেন, এবার আমরা পাট নিয়ে খুবই চিন্তিত। পানি না থাকায় জমি থেকে পাট কেটে অন্য জায়গায় নিতে শ্রমিক খরচও লাগছে। আমরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। তিনি বলেন, পাট জাক দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় আমাদেরকে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবছর পাটের ভালো ফলন হয়েছে। পাট চাষে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি বছর আমাদের পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৪ হাজার ১শ ৮৯ হেক্টর জমি, চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১শ ৯১ হেক্টর জমি। তিনি বলেন, জেলার নাসিরনগর, সরাইল, বিজয়নগর, নবীনগর এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পাটের আবাদ বেশী হয়েছে। চাষীরা তাদের জমিতে দেশী কেনাফ, মেছতা এবং তোষা জাতের পাটের আবাদ করেছেন। জেলায় কমপক্ষে ৪১ হাজার ১৬১টি বেল পাট উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে ৬০কোটি টাকা।