চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২ হাজার ৫শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্য সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফাহমিদা সিদ্দিকী হাবিবা, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উপ-সহকারী কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক ও উপজেলার ১১টি ইউপির চেয়ারম্যান ও তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ৫ কেজি আউশ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই মানুষের অপেক্ষা। সময়ের সঙ্গে দুপুর গড়াতে সেই অপেক্ষা রীতিমতো জনসমুদ্রের রূপ নেয়। হাজার হাজার মানুষ বরণ করে নেয় প্রিয় দল রংপুর রাইডার্সকে। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে রংপুর স্টেডিয়ামে আসেন দলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাহিদ রানা, অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী হাসান, স্টিভেন টেইলর, খুশদিল শাহ, সাইফ হাসান। এছাড়াও আসেন হেড কোচ মিকি আর্থার, কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল, টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিমসহ টিম ম্যানেজমেন্ট।
গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) শিরোপা জেতা দলটি শুরুতেই জার্সি উপহার দেয় হাজারো ভক্তদের মাঝে। রংপুরবাসীও সাদরে গ্রহণ করে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটারদের। মাঠে প্রবেশের পর মঞ্চে আসেন রাইডার্সরা। একে একে দর্শকদের ধন্যবাদ দেন সব ক্রিকেটার ও কোচ।
রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। দোয়া করবেন যেন বিপিএল ট্রফিটা নিয়ে আসতে পারি। বসুন্ধরা গ্রুপকেও ধন্যবাদ।’
টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম জানান, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ এদেশের ক্রিকেট বদলে দিচ্ছে। রংপুর রাইডার্স এই মাঠে এসে বিপিএলের অনুশীলন করবে, ম্যাচ খেলবে সুযোগ থাকলে। আমরা ট্রফি নিয়ে আবার রংপুরে আসব।’
হেড কোচ মিকি আর্থার জানান, ‘আসসালামু আলাইকুম। যদিও আমি অনেক বেশি বাংলা জানি না। তবে আপনাদের ভালোবাসায় আমি অবাক।’
এসময় দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিপিএল ট্রফিও। মাঠে ছিল বিপিএল ২০২৫ এর মাসকটা ‘ডানা ৩৬’। এছাড়া রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিশেষ কনসার্ট। চলতি বিপিএলে শুরুর ৮ ম্যাচের সবকটায় জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ এক নাম্বারে রয়েছে রংপুর রাইডার্স।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মাওঃ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুবের পরিচালনায় মজলিশপুর ইউনিয়নের উলামা মাশায়েখদের এক আলোচনা সভা ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখের মাওঃ হারুন আল হাবীব, মুফতী আব্দুল হান্নান কাসেমী, মাওঃ আমিনুল ইসলাম, মাওঃ আল আমিন মামুন, মাওঃ মুশাহিদুল ইসলাম, মাওঃ উসমান গণি, মাওঃ হাবিবুর রহমান, মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাফেজ মাওঃ ইসহাক, মাওঃ জাকির হোসাইন, মাওঃ দেলুয়ার, মাওঃ মুফতী বিল্লাল, মাওঃ সাইফুল ইসলাম মঞ্জু, মাওঃ এমদাদ, হাফেজ শফিক, হাফেজ আনোয়ার, মাওঃ নাসির, মাওঃ মুক্তার, মাওঃ ফয়সাল আহমেদ সুলতান, মাওঃ ইলিয়াস, মাওঃ শামিম, মাওঃ হাফিজ, মাওঃ মাহমুদ, প্রমুুখ।
আলোচনা সভায় সকলের পরামর্শ ক্রমে মুফতি আব্দুল হান্নান কাসেমী কে সভাপতি মাওঃ আল আমিন মামুন কে সাধারণ সম্পাদক মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুব কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য ইত্তেহাদুল উলামা ত্বলাবা ঐক্য পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল।
আজ ১৪ জুলাই মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মজিবুল্লাহ মুজিব।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সালাউদ্দিন মোল্লার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও মো. আরমান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবেদ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইয়াছিন বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। অন্যদলগুলো বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী, চীফ হুইপ ও চারবারের এমপি অ্যাড. হারুন আল রশিদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে আইন কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করেছে।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে তার মৌলভীপাড়া কার্যালয়ে ফুলের শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিব উল্লাহ, সহযোগী অধ্যক্ষ অ্যাড. সায়দুল্লাহ মৃধা, সহকারী অধ্যক্ষ অ্যাড. মো. আলমগীর, সহকারী অধ্যক্ষ অ্যাড. এ এস এম ইউনুছ ভূইয়া, অফিস সহকারী আক্তার হোসেন, অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন সুমন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত সবাই তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
ফুলেল শুভেচ্ছা পেয়ে হারুন আল রশিদ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সবার প্রতি।
তিনি বলেন, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যাতে আমার অর্পিত দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করতে পারি। সবার ভালবাসায় মুগ্ধ আমি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এক কিশোরীর বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে। আজ ৪ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে সদরের পৌর এলাকার নয়নপুরের ঘটনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়ার নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন। কনে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীয় এবং উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ভাদুঘর দক্ষিণপাড়া এলাকার বরকত আলীর ছেলে মো. নিলয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে শহরের নয়নপুর জামে মসজিদের পাশের বাড়ির অপ্রাপ্ত বয়সের ওই কিশোরীর বিয়ের তারিখ নির্ধারণ হয়। দুপুরে ওই কিশোরীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজন এই বাল্যবিয়ের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেন। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বরপক্ষের যাত্রা সংবাদ পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। দুপুর দুইটার দিকে কনের বাড়িতে হাজির হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী। বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন তিনি। বাল্য বিয়েতে রাজি হওয়ায় ছেলের বাবাকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী বলেন, কনে অপ্রাপ্ত বয়সের। কনের দাদা ও বরের বাবা আর বাল্যবিয়েতে রাজী হবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে অপ্রাপ্ত বয়সের ওই কিশোরীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। উভয়পক্ষ মুচলেকা দিয়েছেন।