চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি মুরাদ হোসেন মুন্না নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া গ্রামের এক বাসিন্দাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা।
গতকাল ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে আউলিয়া বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় বিএসএফ সদস্যরা মুরাদ হোসেন মুন্নাকে আটকে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- জেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, বিজয়নগর উপজেলা হেফাজতের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসাইন, হেফাজত নেতা মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমী, পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শিশু মিয়া, বিএনপি নেতা ইয়াহিয়া খান, এনসিপি নেতা জোহান আহমদ ও খাইরুল ইসলাম, ইয়াহিয়া খান, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক শাহ আলম, উপজেলা সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহলুস-সুন্নাহ্ ফাউন্ডেশন সুমন হাজারী, রানা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছে। সেইসঙ্গে আমরা দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি করছি। বাংলাদেশ সরকারের কাছেও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা বলেন, বারবার বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় বিএসএফের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ ও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
তারা এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
উচ্চ আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনসহ দুটি স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেদখল হয়ে থাকা ২৫ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়। ৯ জুলাই বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মসজিদ রোড এলাকায় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবীন এই অভিযান পরিচালনা করেন।
মামলার রায় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শহরের মসজিদ রোড এলাকায় জেলা প্রশাসন অর্পিত সম্পত্তির ২৪ দশমিক ৮৯ শতক জায়গা ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন জনের কাছে বন্দোবস্ত দেন। ২০১২ সালের জুলাই মাসে লীলাময় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি জায়গাটির মালিকানা দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে মামলা দায়ের করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ আদালত লীলাময় ভট্টাচার্যের পক্ষে রায় দেন। সরকার পক্ষ এই অর্পিত আপীল রায় ডিক্রির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিভিউ দায়ের করেন। পরে মামলার বাদি রিভিউর বিরুদ্ধে একটি আবেদন করেন। উচ্চ আদালতের আপীল ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালের অর্পিত আপীল মোকদ্দমার রায় ডিক্রি বাস্তবায়নের জন্য এক আদেশ দেন।
জেলা প্রশাসন মামলায় হেরে যায়। উচ্চ আদালত জায়গাটি প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের (আইন অধিশাখা-৪) ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিলের পরিপত্র দ্বারা অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ২০০১ এর ২২ (৩) ধারা বিধান বিদ্যামান থাকায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্মারকে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইবুনালের রায় বাস্তবায়নের নির্দেশনা রয়েছে। আপীল ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে প্রতিকার চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই উচ্চ আদালত রিট দায়েরের জন্য কোনো প্রস্তাব প্রেরণের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। ২০১৬ সালের অর্পিত আপীল রায়ের কার্যকারিতার উপর সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ নেই। অর্পিত আপীল ট্রাইব্যুনাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত দেয়া ডিক্রি বাস্তবায়নের আদেশ বিদ্যমান থাকায় মামলার রায়-ডিক্রি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আইনত আর কোনো বাধা নেই বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মতামত দেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মসজিদ রোড এলাকায় উপস্থিত হন। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ভবনে থাকা দোকানদারকে মালামাল সরিয়ে নিতে ২টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। ২টার পরে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
তবে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে উচ্ছেদের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। চেম্বারও কিছু বলেনি।
জমির মালিক লীলাময় ভট্টাচার্যের ছেলে নির্মল ভট্টাচার্য বলেন, ‘জায়গাটি আমাদের পূর্বপুরুষদের। বিভিন্ন কারণে এটি পরে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত হয়। উচ্চ আদালতের রায়ে জায়গাটি আমাদের পক্ষে আসে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার নুসরাত জাবীন বলেন, আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে চেম্বারসহ দুটি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে গরু আনতে গিয়ে খালের স্রোতে ভেসে গিয়ে আপন দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের আকাশিয়া মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর ৩১ মে শনিবার সকালে তিতাস নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুই শিশু হলো, গোকর্ণ গ্রামের মিনার আলীর মেয়ে মারিয়া (১১) ও সামিয়া (৮)। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে মারিয়া ও সামিয়া আকাশিয়া মাঠে গরু আনতে যায়। ফেরার পথে খালের পাশ দিয়ে হেঁটে আসার সময় হঠাৎ তীব্র স্রোতে তারা ভেসে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে রাতভর খোঁজাখুঁজি চালান। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়। গতকাল শনিবার সকাল ৬টার দিকে গোকর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় তিতাস নদীতে মারিয়ার মরদেহ ভেসে ওঠে। কিছুক্ষণ পর সামিয়ার মরদেহ একটি মাছ ধরার জালে আটকে থাকতে দেখা যায়।
গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। বর্ষাকালে নদী বা খালের আশপাশে চলাচলে সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। পরিবারটিকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।’ নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলম জানান, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাছরিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি এসিল্যান্ডসহ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। অনেক চেষ্টা করেও তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে এলাকায় মাইকিং করে নিখোঁজ সংবাদ জানানো হয়। সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা পরিবারটির পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি কমিউনিটির উজ্জ্বল মুখ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক, স্বদেশে এবং বহির্বিশ্বে মানবকলাণ ও সেবামূলক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও কর্ণধার, অতুলনীয় মানবসেবী, অর্গানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলা এ্যাজ এন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস্-এর কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সম্মানে বৈশ্বিক এ সংগঠনের সিলেট ডিভিশনাল চ্যাপ্টারের উদ্যোগে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার সন্ধ্যায় বিভাগীয় নগরী সিলেটের উত্তর জেলরোডস্থ হোটেল ডালাস-এর কনফারেন্স হলে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় চ্যাপ্টারের সভাপতি সাংবাদিক-ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজের প্রিন্সিপাল কবি কালাম আজাদ।
সংগঠনের সিলেট ডিস্ট্রিক্ট চ্যাপ্টারের সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রহমান চৌধুরীর সাবলীল উপস্থাপনায় প্রানবন্ত এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিলেট নগরীর বিশিষ্টজনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কবি ও সংগঠক শাহেদা রশীদ পপী, কবি-শিক্ষাবিদ সেনুয়ারা আক্তার চিনু, লেখক-প্রকাশক বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল, কবি ও কথা সাহিত্যিক রাজিয়া নিলুফার আজাদ, এডভোকেট শিরিন আক্তার, দেশ টিভি’র সিলেট প্রতিনিধি খালেদ মেহেদী, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর স্টাফ রিপোর্টার আনাস হাবিব কলিন্স, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, কবি-সাহিত্য সমালোচক ও প্রভাষক মামুন সুলতান, কবি ও সংগঠক শায়খ তাজুল ইসলাম, ওসমানী জাদুঘর,সিলেট-এর কীপারআমিনুল ইসলাম, আরপিটিআই সিলেট-এর কর্মকর্তা জহিরুল হক, সিলেট বিভাগ গণদাবি ফোরাম-এর সভাপতি ও অর্গ্যানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলা এজ এন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড ন্যানশনস্ সিলেট মহানগর চ্যাপ্টারের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল কাদের তাপাদার ও আ.ফ.ম.সাঈদ এবং আয়োজক সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় চ্যাপ্টার ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা যুক্তরাজ্যে এবং স্বদেশে সংকটাপন্ন,বিপদগ্রস্ত এবং অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে মৌলভীবাজারের ইটা সিংকাপনের ঐতিহ্যবাহী ‘সিংকাপনী পরিবার’-এর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী, বিলেতে বাংলাদেশী কমিউনিটির উজ্জ্বল মুখ ও স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব কে এম আবু তাহের চৌধুরীর বহুমুখী মানবিক সহায়তা এবং অতুলনীয় অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সেইসাথে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের এ ‘বেসরকারি দূত’-কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সুবিস্তৃত প্রশংসনীয় ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পরম করুণাময় মহান স্রষ্টা ও মহান প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার দরবারে তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ূ কামনা করে মতবিনিময় সভা শেষে বিশেষভাবে মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন ক্বারী মোহাম্মদ ইসহাক।
এদিকে “গণতন্ত্রের মাতৃভূমি নামে খ্যাত মাল্টিকালচারেল, মাল্টিন্যাশনালের বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনারে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার পক্ষ থেকে গত ১৬ ই ডিসেম্বর শহীদ বেদিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদনে একে একে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করার পর অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট সাংবাদিক মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ শাফি কাদির এর পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে কার্ডিফের সাবেক লর্ড মেয়র কাউন্সিলার ড. বাবলিন মল্লিক, ওয়েলসের কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব মাসুদ আহমেদ, আলহাজ্ব আসাদ মিয়া, আসরাফ হোসেন, মুজিবুর রহমান, ইউসুফ খান জিমি, সেলিম আহমদ, আবুল কালাম মুমিন, শাহ শাফি কাদির, আব্দুর রুউফ তালুকদার, সিতাব আলী, মাহমুদ আলী ফয়ছল রহমান, নুরুল ইসলাম, রাসেল আহমদ, নুরুল আলম, তমসির আলী, আফরাজ আহমেদ, শেখ রায়হান, বদরুল হক মনসুর, ইমরান মিয়া,বেলাল আহমেদ, হারুন মিয়া বেলাল খান, ইমরান হোসেন, ফয়ছল মনসুর,
ও যুবেদুর রহমান, সহ কমিউনিটি ও কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অর্গেনাইজেশন ফর দ্যা রেকগনিশন অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দা ইউনাইটেড নেশনস ইউকে সাউথ ওয়েলস শাখার প্রেসিডেন্ট ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মকিস মনসুর সহ বক্তারা এ দিনটি বাঙালি জাতির বিশাল অর্জন ও গৌরবের উল্লেখ করে বলেন যাদের কারণে আমরা লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা পেয়েছি, প্রবাসের মাটিতে একেকজন রাষ্ট্রদূত হিসাবে আমরা বাংলাদেশের পতাকা বহন করে চলছি,সেই সব বীরদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করা সহ সকল শহীদানদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগরে মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম (৩৫) এর ছুরিকাঘাতে অপর চাচাতো ভাই মোঃ নিয়ামুল (২৫) নিহত হয়েছে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত নিয়ামুল নলগরিয়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত আশরাফুল ইসলাম একই বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসা করতো। মাদক ব্যবসা নিয়েই তাদের মধ্যে বিরোধ ছিলো।
এই বিরোধের জেরে বুধবার বিকেল চারটার দিকে আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে তার বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করে আশরাফুল।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ামুলকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আশরাফুল নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করলে হাসপাতালে নেয়ার পর নিয়ামুল মারা যায়। আমরা ঘাতক আশরাফুলকে গ্রেফতার করেছি। নিয়ামুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মাগুরার সেই শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আজ ৯ মার্চ রবিবার বেলা ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের মেইন গেটের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশে একটার পর একটা ধর্ষণ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা অপরাধীদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে পাইনি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধর্ষকের পরিপূর্ণ শাস্তি কার্যকর করতে পারেনি। এটা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চরম ব্যর্থতা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সাগর আহমেদ, কেয়া সরকার, মেজবাহুল হক মেজবা, প্লাবনী সরকার, মোজাহিদ হোসেন মিথুন, আউয়াল সরকার রাব্বি প্রমুখ।