চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ট্রেন থেকে তেল চুরির ঘটনায় মুরাদ মিয়া (২৮) নামে এক চোর গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে রেল পুলিশের অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো: এরশাদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী একটি কন্টেইনার ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে চুরির সময় ২১০ লিটার তেল উদ্ধার করে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজন ট্রেন ড্রাইভার, ট্রেনের গার্ড ও গ্রেফতারকৃত মুরাদ মিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হয়। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মুরাদ মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আজ ১২ এপ্রিল শনিবার দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো জানান, বাকী চোরদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌরসভায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধে পক্ষকাল ব্যপী মশক নিধন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। পৌরসভার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
পৌরসভারর ৯টি ওয়ার্ডে ফগার মেশিনের মাধ্যমে ওষুধ ছিটানো হবে এবং ঝোঁপ-জঙ্গল পরিস্কার করা হবে।
এময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছেল আহাম্মদ খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, উপজেলা সার্ভেয়ার জহুরুল ইসলাম, মোঃ মাহবুব মোল্লা, আমির হোসেন প্রমুখ।
পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছেল আহাম্মদ খান বলেন, আমরা আগের চেয়ে উন্নত মানের ক্যামিকেল সংগ্রহ করেছি। জন কর্মী পৌরসভার ৪ ৯টি ওয়ার্ডের এ ক্যামিকেল ব্যবহার করে ঔষধ ছিটিয়ে দিবে।
আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মহামারি আকার ধারন করেছে। আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফার নেতৃত্বে মশক নিধনে আমরা পক্ষকাল ব্যপী একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছি।
আজ ইউএনও মহোদয়ের বাসভবনসহ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে ফগার মেশিনে ঔষধ ছিটিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঔষুধ দেওয়া হবে।
এছাড়া ড্রেন, ঝোপ-জঙ্গল যেখানে মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সেখানে ঔষধ দেওয়া হবে। এজন্য তিনি পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
ভাদুঘরে পৌরসভার বিজয় মেলা’র উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার:
মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের মাসকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার আয়োজনে প্রথমবারের মতো ১৫-৩১ ডিসেম্বর ২০২২ “বিজয় মেলা” এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ভাদুঘর বাসটার্মিনাল সংলগ্ন মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম, শাহানা বেগম, মিনারা বেগম, নিলুফা ইয়াছমিন, কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন, শেখ মোঃ মাহফুজ মিয়া, আক্তার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোঃ আবদুল মালেক, ওমর ফারুক জীবন, ফারুক আহমেদ, মীর মোঃ শাহীন মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, মোঃ কাওসার মিয়া, মোঃ সাকিল, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী কাউসার আহমেদ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামছুদ্দিন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজীসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ৯ মাস যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। আজও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু মূল নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এর মূলে ছিল বাঙালী জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করেছিল সেই যুদ্ধে। কিন্তু যারা পাকিস্তানে বিশ্বাস করেছে, যারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করেনি এবং যারা ধর্মান্ধ- সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিল, তারাই ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানের বিরোধীতা করেছে। এখনো তারা বিভিন্নভাবে স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করছে। তাদের থেকে সকলে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় তিনি ভাদুঘরে বিজয় মেলার আয়োজন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা মেয়র মিসেস নায়ার কবির ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার পর ভাদুঘরের উন্নয়নে শহর রক্ষা বাধ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করেন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে ভাদুঘরের বিভিন্ন উন্নয়নে পৌর মেয়রকে সুদৃষ্টি রাখার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর থকে শুরু হওয়া বিজয় মেলা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রতিদিন অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন পণ্যের স্টল ও লাকি কুপন লটারির আয়োজন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বিএনপির নেতারা যতো সহজে জেল হতে ছাড়া পাচ্ছেন আমরা কিন্তু এমন সুযোগ পাইনি। বছরের পর বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির শাসন আমাদের জন্য যেমন সুখকর ছিলোনা তেমনি সুখকর ছিলোনা। তাই বিএনপি বারবার ডেকেও জনতাকে তাদের দিকে টানতে পারছেনা।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যেখানে যেখানে ছিদ্র আছে তা তদন্ত করে ছিদ্র ঢেকে দিতে হবে। যেসব জায়গায় সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে তা দূর করতে হবে। তারজন্য নিয়মিত সম্মেলন, কমিটি গঠন করতে হবে। দলের পরিক্ষীত তরুন নেতাদের পদে আনতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর বারী চৌধুরী মন্টু।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড মাহবুবুল আলম খোকন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঞা, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,আওয়ামী লীগ নেতা শাহআলম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এড লোকসান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন,জেলা তাতী লী সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূহঞা,পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মুসলিম মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নৌকা প্রতিকের সমর্থনে আজ ২৫ ডিসেম্বর সোমবার স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মিনারা আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভেকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নারী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, মাউশির সাবেক ডিজি ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, নারীরা এখন যে নিরাপদে আছেন, সে নিরাপদ আপনারা বজায় রাখবেন কিনা, সেটা আপনারাই ভাববেন। কারো প্রভাবে আপনার সন্তান যদি মাদকাসক্ত হয়ে যায় তাহলে আপনি সেই নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বজায় রাখতে পারবেন না। এই নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী, নৌকার প্রার্থী।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, দেশে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করবেন।
তিনি আগামী ৭ জানুয়ারী সারাদিন নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়ার জন্যে ভোটারদের প্রতি আহবান জানান। সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় মিলনায়তনে সমন্বিত সাংস্কৃতিক পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে এক প্রতিনিধি সভা আজ মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিতাস পাড়ে অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার লেখক ও কলামিস্ট, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জন্মের সাথে যুক্ত ছিলাম বলেই নিজের মধ্যে একটি আকাক্সক্ষা জাগে যে এ দেশটিকে কিভাবে সুন্দর করা যায়। সেই বোধ থেকেই রাজনীতিতে এসেছি। রাজনীতিও এখন আর আগের মত সহজ নয়। রাজনীতির সমীকরণ অনেক জটিল হয়ে গেছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে অনেক সমীকরণ নিয়ে মাঠে অনেক প্রার্থী থাকতে পারেন। আমি আবার চতুর্থবার আমার নিজ দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়ে আমার সংসদীয় কর্মকালে আমি কতটুকু কি করেছি, তার বিচারভার সদর উপজেলা ও বিজয়নগরবাসীই ভালো করে জানবেন। আমি চেষ্টা করেছি এই দুটি উপজেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, একই সাথে আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষার মাধ্যমে সমাজে শান্তি সমুন্নতকরন, চাঁদাবাজি ভূমিদস্যুতা রাহাজানি, ছিনতাই মুক্ত জনপদ গড়ে তোলা। শিক্ষাঙ্গনে অনেক কিছুই করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ নতুন নতুন কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও গড়ে তোলা হয়েছে। পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রায় প্রতিটিতেই একাধিক শিক্ষা ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষার ব্যাপারে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল এবং আগামীতেও থাকবে ইনশাল্লাহ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনপদ ঐতিহ্যগতভাবেই একটি উদার সংস্কৃতিচর্চার একটি সমৃদ্ধ জনপদ। দীর্ঘকাল থেকেই এখানে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমুন্নত ছিল। কিন্তু হাল আমলে আমাদের এই সংস্কৃতি চর্চাকে অবদমিত করার জন্য অনেক প্রচেষ্টাই এখানে সংঘটিত হয়েছে। মানুষের ঐক্যবদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনার কাছে এসব প্রচেষ্টা পরাভূত হয়েছে। আবারো যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সংস্কৃতিবান্ধব সরকার যদি ক্ষমতায় না আসে তবে তার প্রাথমিক ধাক্কা সংস্কৃতি কর্মীদের উপরই বর্তাবে। তাই আমি মনে করি, অসাম্প্রদায়িক চেতনার যে ধারা বর্তমানে বহমান আছে আগামীতেও তা যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য সংস্কৃতি কর্মীদেরকে দায়িত্বশীল হয়ে ভোটের মাঠে কাজ করতে হবে। এলাকার উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকাকে জয়যুক্ত করুন।’ ২৯টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সমন্বিত সাংস্কৃতিক পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় সমন্বিত সাংস্কৃতিক পরিষদের উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষে সকল শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।