অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গানে গানে বাংলা পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করে নেয় অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ অ্যালামনাই অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতি দল। চৈত্র সংক্রান্তি ১৪৩১ এবং বর্ষবরণ ১৪৩২ উদযাপন করে দলের সক্রিয় দশ জন সদস্য।
পহেলা বৈশাখ শুধুই বাঙালির। এই দিনে সে তার অস্তিত্বের জানান দেয় প্রাণে প্রাণে, উৎসবে। বিশ্বকে বলে দেয়-আমি বাংলাদেশি, আমি বাঙালি; আমার আছে গর্বের ইতিহাস। সংকল্প জানায় এক নতুন আগামীর; অতীত বেদনাকে ভুলে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাওয়ার। এ জাতির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ। বিগত বছরের জরাকে দূরে ঠেলে আজ বাংলাভাষীদের স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন আলোয় অবগাহনের দিন, আনন্দে মেতে উঠারও দিন।
নতুন বছরে শুভেচ্ছা বাণী এবং মঙ্গল কামনার সাথে, ’এসো হে বৈশাখ-‘ গানটির কোরাস পরিবেশন করে অমিয়া মতিন, শাফিনাজ আমিন, মাহবুবা কান্তা, মাফরুহা আলম, শ্রাবন্তী কাজী, নাইয়ারা কেয়াসী, তনিমা আলী, তনিমা তাবাসসুম, সূচনা চৌধুরী ও দিলশাদ রহমান। অপরাহ্নের এ আয়োজনে ভোজে ছিল বাঙ্গালীর চিরাচরিত ভর্তা-ব্যঞ্জন এবং পিঠা-পুলি-পায়েস- মুড়ি-মুড়কি। ষোলো আনা বাঙ্গালীয়ানায় প্রবাসের রবিবারটি সাদা-লাল এবং নকশী সাজে জমে উঠেছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
চিকিৎসা শেষে দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমানকে সাথে নিয়ে বীরের বেশে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করার সংবাদে উৎফুল্ল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিএনপির নেতা-কর্মীরাও। এ উপলক্ষে গতকাল ৫ মে সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় এক আনন্দ-সমাবেশ করেছেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, সারা বিশ্বের প্রবাসীদের অকুন্ঠ ভালবাসা আর শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার চক্রান্তের অংশ হিসেবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় সাজা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু দেশবাসী তা কখনোই মেনে নেননি।
গিয়াস আহমেদ উল্লেখ করেন, সময়ের পরিক্রমায় দিবালোকের মত উদ্ভাসিত হলো যে, বেগম খালেদা জিয়া হলেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিকের অনন্য উদাহরণ। কারণ, স্বৈরাচার এরশাদ, মইন-ফখরুদ্দিনের আমল থেকেই বেগম জিয়া গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন রয়েছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার জঘন্য ষড়যন্ত্রের কাছেও মাথানত করেননি। তারই পুরস্কার হিসেবে এখোন তিনি সুচিকিৎসা শেষে বাংলাদেশে ফিরছেন বীরের বেশে। সাথে যাচ্ছেন ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমান। অপরদিকে, শেখ হাসিনা দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-গুম-খুন-লুটতরাজের দায় নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন অর্থাৎ নিজেই রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।
বিশেষ সম্মানীত অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন বলেন, আমরা এখোন অধীর আগ্রহে রয়েছি বাংলাদেশের অবিসম্বাদিত নেতা তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানানোর জন্যে। এবং এটা হচ্ছে সময়ের দাবি। দীর্ঘদিন থেকেই আমরা ‘তারেক রহমানের বীরের বেশে প্রত্যাবর্তন’কে উদযাপনের জন্যে। এতে আরো বক্তব্য দেন স্টেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জসীমউদ্দিন ভিপি।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ আনন্দ-সমাবেশ পরিচালনা করেন সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান সাঈদ। নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন বদরুল হক আযাদ, মনিরুল ইসলাম, কাওসার আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধেও মামলার পর বিভিন্ন মেয়াদেও সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মামলাকেও বিএনপির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন বলে অভিহিত করা হয়েছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রুকলীনের ওমর রেস্টুরেন্টে গত ১৮ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হেলাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং শরিফ হোসেন নিরব ও কবির হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় ‘চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ-এর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ইফতার ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন -নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষীপুর সোসাইটির সভাপতি লিয়াকত আলী,এসএম রহমত উল্ল্যাহ, হুমায়ন কবির ও লিয়াকত হোসেন মামুন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন-হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন,আবুল কাশেম,হারুনুর রশীদ বাবুল,নিজাম উদ্দীন,নুর নবী চৌধুরী।
প্রধান বক্তা ছিলেন-মাঈন উদ্দীন নটু ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন-রিয়াজ উদ্দীন চৌধুরী ।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার গণ্যমান্য অনেক
ব্যক্তিবর্গ ।
ইফতার মাহফিলে সকলের উপস্থিতিতে চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ-এর আহবায়ক কমিটির করেন হুমায়ন কবির,লিয়াকত হোসেন মামুন এবং মাঈন উদ্দিন নটু।
সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে হেলাল উদ্দিনকে আহবায়ক এবং শরিফ হোসেন নিরবকে সদস্য সচিব করে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী আহবায়ক কমিটি নাম ঘোষণা করেন।
কমিটির কর্মকর্তারা হলেন আহবায়ক হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহবায়ক, নূর আলম সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক ফারুক খান, নোমান সিদ্দিকী. হুমায়ুন বাঙ্গালী,আবিদ হোসেন মাসুদ,নূর জালাল স্বপন, মাসুদ রানা, মোঃ জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম, রাশেদুল আলম,সাইফুল ইসলাম ও শাওন শুভ,সদস্য সচিব শরিফ হোসেন নিরব, যুগ্ম সদস্য সচিব, কবির হোসেন,সরাজ ইসলাম জাকির হোসেন জুপিটার ,সদস্য রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, শাহজাহান ভূইয়া মিলন, আবু হানিফ, শওকত আকবর, এম এইচ রনি, ইসমাইল হোসেন, বিকাশ চন্দ্র দে ভুট্টো, গোলাম গউস রুবেল, মাহামুদুল মুরাদ, নাজমুল হুদা জর্জ, শাহাদাত হোসেন সুজন, শামসুল ইসলাম মিয়া তরুন, মোঃ মহসীন, ওমর ফারুক পলাশ, শিহাব বিন ওযাসেফ, মনজুর আলম মঞ্জ,আব্দুর রহিম, আলাউদ্দিন তরফদার, ইসমাইল হোসেন পলাশ, শাহরিযার আলম হিমেল, সামছুল আলম, আমিন উল্লাহ, মহিন উদ্দিন মামুন, মিঠু চৌধুরী লিটন, বিপ্লব খন্দকার, আসিফ মাহমুদ,নূর হোসেন, তানভীর হাসান রাজীব, আব্দুর রহমান, মোঃ সোহাগ, রাজীব হোসেন, জহিরুল ইসলাম সোহাগ,শওকত আলী,আব্দুল কাদের খোকন, মাকসুদুর রহমান কিরন, আব্দুল বাছেদ কাকন, আরিফে হোসেন,ওমর ফারুক শরীফ, আশরাফ উদ্দিন ফয়সাল, ইব্রাহিম খলিল, আবু বক্কর ছিদ্দিক, মোঃ রতন, কাজী জুয়েল, ফাহাদ হোসেন, মোহাম্মদ মিলন, ইয়াসিন আরাফাত রাফি, রিযাদ হোসেন, সজীব আহাম্মেদ, আনসার উ্দ্দিন জাবেদ, মাহবুব আলম, নুরুল হুদা, হাসান গাজী, আল আমিন, সাইফুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন সজীব, ইয়াসিন জনি, ইয়াসিন রবিন, আফজাল হোসেন পিয়াল, হাসান রতন, সাজ্জাদুল হাসান রনি, মুরাদ হোসেন, আহাম্মেদ বাবু, বাদশা ফাহাদ, মনির উদ্দিনকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
নব নির্বাচিত আহবায়ক কমিটি পবিত্র রমযানে ইফতার ও দোয়ার মাহফিলের মাধ্যমে সোসাইটির আনুস্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন।নতুন আহবায়ক কমিটি উপজেলার সকলকে নিয়ে দলমত নির্বিশেষে একসংঙ্গে কাজ করার অংঙ্গীকার করেন।
ইফতার ও ডিনার শেষে হেলাল উদ্দীনের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুস্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ঐতিহাসিক গ্লোবাল এসএমই সামিট ২০২৫ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে গ্লোবাল এসএমই বিজনেস হোম (জিএসবিএইচ)। আগামী ২৩ থেকে ২৫ এপ্রিল দাভোস কংগ্রেস সেন্টারে সামিটটি অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান জিএসবিএইচ-এর প্রতিষ্ঠাতা আনিস খান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা রোমান সোমারউ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ব্যবসার শীর্ষ এই সম্মেলনে থাকছে গ্লোবাল এসএমই-এর সিইও এবং এক্সিকিউটিভদের জন্য সমবয়সীদের সঙ্গে প্রভাবপূর্ণ সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি অনন্য সুযোগ প্রদান। ইভেন্টটি এসএমই-এর জন্য মূল ব্যবসার চালকদের সম্বোধন করে এমন বিষয়গুলোর প্রাসঙ্গিক অন্তর্দৃষ্টি প্রদানের জন্য বিশেষজ্ঞ এবং সহকর্মীদের একত্রিত করবে, বিনিয়োগ এবং তহবিল সুযোগ, এক থেকে এক মিটিং, বায়ার এবং সেলার মিটিং, অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারী এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি সঙ্গে মিটিংয়ের সুযোগ, পণ্য বিশ্ব বাজারে প্রদর্শনের সুযোগ।
সারাবিশ্বের সবচেয়ে বড় এসএমই এবং ব্যবসায়িক নেতাদের ৫০০ এর বেশি সমাগোম। এই ইভেন্টে স্পিকার হিসেবে থাকবে ৫০টিরও বেশি শীর্ষ কর্পোরেট ও ব্যবসায়ী নেতারা। বাংলাদেশ থেকে স্পিকার হিসাবে থাকবেন কসৈয়দ আলমগীর, বিয়াট্রিক্স কিম পরিচালক Car (সেটার অটোমোবাইল), Morethandigital প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বেঞ্জামিন তালিনসহ বিশ্বের অনেক সফল ব্যবসায়ী ও লিডার।
ঐতিহাসিক ব্যবসায়ীক এই সামিটের রেজিষ্ট্রেশনের শেষ তারিখ আগামী ১৫ মার্চ ২০২৫, স্টল এবং স্পন্সরের জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি। রেজিষ্ট্রেশন করতে ভিজিটি করুন www.globalsmesummit.com বিস্তারিত জানতে ই-মেইল করতে হবে অপারেশস চিফ নিয়াজুল ইসলাম রনি (rony@gsbh.ch)। গ্লোবাল এস এমই সামিটি জিএসবিএইচ (সুইজারল্যান্ড) এর সঙ্গে আরও আয়োজক হিসাবে থাকছে Gour International (Germany), IDEAS FOR US (MARTITIUS) LTD, Milvest (Africa)।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ নভেম্বর জমকালো আয়োজনে ঢাকায় জিএসবিএইচ এর লঞ্চিং ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কর্পোরেট ব্যক্তিত্বরা।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আসেফ বারী টুটুল। জ্যাকসন হাইটসের সবচেয়ে পরিচিত ভবনগুলোর মধ্যে একটি, ‘ব্রুসন ভবন’, এখন থেকে পরিচিত হবে ‘বারী টাওয়ার’ নামে। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এটি শুধু ভবনের নাম বা মালিকানার পরিবর্তন নয়, বরং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির উন্নয়ন এবং স্বপ্ন পূরণের এক উদাহরণ। এ সংবাদ পরিবেশন করেছেন সাইয়েম শুভ।
বাংলাদেশি ও মূলধারার ব্যবসায়ীদের অফিসে ঠাসা জ্যাকসন হাইটসের প্রাণকেন্দ্র ৩৭তম এভিনিউ, ৭৩ ও ৭৪ স্ট্রিটের সংযোগস্থলে অবস্থিত ৭৪-০৯ ঠিকানার বিখ্যাত ‘ব্রুসন বিল্ডিং’টি ছিলো একটি আধুনিক অফিস ভবন, যা দীর্ঘ ইতিহাস এবং পুনর্জাগরণের প্রতীক হিসেবে আজও দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
১৯৪৯ সালে নির্মিত এই ভবনটি ২০১৬ সালে আধুনিক রূপে পুনর্গঠন করা হয়। এই বিশাল ভবনটি সম্প্রতি কিনে নিয়েছেন আসেফ বারী ও তাঁর সহধর্মিণী মুনমুন হাসিনা বারী। ২০২৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ভবনটির ক্রয় ও হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এ উপলক্ষ্যে বারী পরিবার আয়োজন করে এক দোয়া মাহফিলের। এতে উপস্থিত ছিলেন বারী গ্রুপের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ থেকে আগত মুনমুন হাসিনা বারীর বাবা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, এবং মা সালেহা কবির চৌধুরী।
জ্যাকসন হাইটস একটি বৈচিত্র্যময় ও সংস্কৃতিমণ্ডিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। ব্রুসন বিল্ডিংয়ের এই এলাকায় অবস্থানই তার অন্যতম বড় সম্পদ। আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, দোকান, এবং সাংস্কৃতিক আকর্ষণ। যা শুধু অফিস কর্মচারী নয়, ক্লায়েন্টদের জন্যও এক বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ভবনটি ৭৪ স্ট্রিট-ব্রডওয়ে স্টেশন থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত, যা ৭ ট্রেনের মাধ্যমে ম্যানহাটনসহ কুইন্সের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সহজ যোগাযোগ নিশ্চিত করে। এই সুবিধাটি ব্যবসার জন্য চমৎকার এক সংযোগ স্থাপন করেছে।
এই বিল্ডিংয়ের নতুন সংস্করণটি আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত, যা আধুনিক অফিস ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভবনের ইন্টেরিয়র ডিজাইন অত্যাধুনিক, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য একদম উপযোগী। ভবনটি বৈচিত্র্যময় ব্যবহারের জন্য আদর্শ এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক হাব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ভবনটি শুধু একটি ইমারত নয়, এটি জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্যও একটি পরিচিত নাম। এটি একটি পেশাদারদের ব্যবসায়িক হাব, যেখানে অনেক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এবং মূলধারার বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছে আস্থা ও গৌরবের প্রতীক ছিল। এই ভবনের মালিকানা পরিবর্তনের খবরে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এক নতুন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
আসেফ বারী টুটুল, যিনি বারী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, নিশ্চিত করেছেন যে, “বারী টাওয়ারের চতুর্থ তলা হবে বারী হোম কেয়ার এবং প্রবাসের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক পত্রিকা “বাংলা পোস্ট” এর নতুন অফিস। তিনি বলেন, “দু-এক মাসের মধ্যেই আমরা বারী গ্রুপের সকল কার্যক্রম নতুনভাবে এই ভবন থেকে পরিচালনা শুরু করবো। আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যাতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে পারি।”
নিউইয়র্কের মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ শহরে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করা এক বিরল অর্জন। রংপুরের সন্তান আসেফ বারী টুটুল সেই বিরল উদাহরণগুলোর মধ্যে অন্যতম। কেবল ব্যবসায়ী হিসেবেই নয়, তিনি তাঁর কর্মনিষ্ঠা, মানবিক মূল্যবোধ, এবং নেতৃত্বগুণ দিয়ে নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশি সমাজে নিজেকে এক আদর্শ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি তাঁর সাফল্যকে সবসময় কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য কাজে লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি শুধু আমার বা আমার পরিবারের জন্য নয়, বরং পুরো কমিউনিটির জন্য একটি অর্জন। আমাদের সবার জন্য এটি গর্বের বিষয়।” বারী গ্রুপ ভবিষ্যতে তাদের কার্যক্রম প্রসারের জন্য বারী টাওয়ারকে একটি ব্যবসায়িক এবং সামাজিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে।
আসেফ বারী টুটুল জানান, “ভবিষ্যতে এখানে একটি গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে, যেখানে কমিউনিটির সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কমিউনিটির জন্য কাজ করা। সবার দোয়া আমাদের শক্তি যোগায়। আশা করছি, এই নতুন যাত্রা আমাদের এবং কমিউনিটির জন্য আরও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।” আসেফ বারী জানান, ভবনের ব্যবস্থাপনায় এমন কিছু পরিবর্তন আনা হবে, যা বাংলাদেশি কমিউনিটির মার্কিন মূলধারার সঙ্গে আরও গভীর সংযোগ স্থাপন করবে।”
আসেফ বারীর সাফল্যের গল্প শুধু তাঁর একার নয়। এটি একটি পরিবারের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতিচ্ছবি। তাঁর জীবনসঙ্গী মুনমুন হাসিনা বারী এবং তাদের তিন সন্তান আদিব বারী, সাবাহ বারী, এবং মাহি বারী নিজেদের মেধা ও শ্রম দিয়ে বারী গ্রুপকে একটি সুপরিচিত নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহযোগিতা করেছেন। বারী গ্রুপের নেতৃত্বে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির উন্নয়ন এবং দেশের সামাজিক অগ্রগতির জন্য তারা নানা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। শীঘ্রই তিনি নিউইয়র্ক বাংলাদেশি আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন দাতব্য কার্যক্রমে লায়ন্স ক্লাব ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের খ্যাতনামা ফ্যাশন হাউস ‘সিগনেচার কালেকশন’র শাখা নিউইয়র্কে চালু হলো ৫ জানুয়ারি। এটি বাংলাদেশের বাইরে তাদের প্রথম আউটলেট ও প্রদর্শনী কেন্দ্র। একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিতিতে জ্যামাইকায় হিলসাইড এভিনিউর সন্নিকটে (৯০-০৩ মেরিক বুলেভার্ড) আউটলেটটির উদ্বোধন করেন “সিগনেচার কালেকশন” এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ফারজানা ইসলাম রুমকি। কেক কেটে উদযাপনের সূচনা করেন তিনি।
মনোরমভাবে সজ্জিত এ শাখা উদ্বোধন উপলক্ষে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্টের সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের দেশি-বিদেশি পোশাক, মূলত সালোয়ার-কামিজ এবং শাড়ি ক্রয় করেন আগতরা। ডিসকাউন্টের এই সুযোগ আরো কয়েকদিন পাবেন ক্রেতারা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে “সিগনেচার কালেকশন” আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি আউটলেট খুলেছে। এর চারটি ঢাকায় এবং একটি চট্টগ্রামে অবস্থিত।
উদ্বোধনীর সময় সিগনেচার কালেকশনে’র সিইও রুমকি বলেন, বিদেশের মাটিতে প্রথম আউটলেট খুলতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত ও আনন্দিত। তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, বিশেষ করে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই নিউইয়র্কে এবং বাংলাদেশি পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে তারা এই শাখা খুলেছেন।
রুমকি বলেন, আমেরিকায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত অন্যান্য সিটির পাশাপাশি অন্য দেশেও আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে এবং বিদেশে তাদের সাড়ে ৮ লাখ অনলাইন ফলোয়ার রয়েছেন, যারা প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিচ্ছেন।