অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনা আর উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছর ১৪৩২ বরণ করে নেয় কানাডার সাস্কাচুয়ান প্রদেশের সাস্কাটুনের প্রবাসী বাংনাদেশিরা। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সাস্কাটুনের বাংলাদেশিরা সর্বজনীন এ উৎসবে অংশ নিয়ে বর্ষবরণে মেতে ওঠেন। সাস্কাটুনের বেথেলহেম ক্যাথলিক স্কুলে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাংলার চিরচেনা সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি শীতের শেষে এই অনুষ্ঠানে যেন নতুন করে নিজেদের ফিরে পেয়েছে। ফুচকা, চটপটি, ঝাল মুড়ি, বিভিন্ন পিঠাপুলির পাশাপাশি শাড়ি আর নানা রকমের জুয়েলারির দোকানে আড্ডায় মেতে উঠেন।
মেলায় যাইরে গানের তালের সাথে উপস্থিত দর্শকেরা যেমন নিজেদের সেই চিরচেনা বাংলায় ফিরে যেতে চায় ঠিক তেমনি বিদেশের মাটিতে নিজেদের শেকড়কে চেনাতে চায় পরবর্তী প্রজন্মকে। বাংলাদেশি কমিউনিটি এসোসিয়েশন অফ সাস্কাচুয়ান (বিকাশ) এর উদ্যোগে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সাস্কাটুনের মেয়র সিনথিয়া মেরি ব্লক, সাস্কাটুনের পুলিশ চিফ ক্যাম ম্যাকব্রিড, বিকাশের সভাপতি খান আরিফ ওয়াহিদ বক্তব্য রাখেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পর্তুগালের লিসবনের আলমাদা শহরে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীর গুলিতে মাহবুবুল আলম নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ১৩ জুন শুক্রবার তার স্ত্রী এবং ১০ ও ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা কন্যার সামনেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত মাহবুবুল সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মানিককোনা গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নান্না মিয়ার ছেলে। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে পর্তুগালে সপরিবারে বসবাস করছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তার দোকানে প্রবেশ করে এবং দোকানের অর্থ লুটপাটের চেষ্টা চালায়। এতে মাহবুবুল বাধা দিলে হামলাকারীরা তার বুকে পর পর ৩ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ এবং জরুরি সেবা সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জানা গেছে বন্দুকধারীরা ছিল ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী দুই যুবক। তারা কালো পোশাক পরে এবং হুড পরে ছিল এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তিনটি গুলি চালায়।
ভুক্তভোগী প্রায় তিন বছর আগে তার পরিবারের সাথে ইংল্যান্ড থেকে পর্তুগালে এসেছিলেন। পর্তুগালের বিচার বিভাগীয় পুলিশ ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে এবং হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের টানে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামে এসেছিলেন আমেরিকান নারী ব্যাংকার শ্যারন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হওয়া ফরিদপুরের যুবক আশরাফউদ্দিন সিংকুকে বিয়েও করেন তিনি। বিয়ের পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান। এক বছরের মাথায় সিংকুকেও নিয়ে যান আমেরিকায়। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে সিংকুর বাবা আলাউদ্দিন মাতুব্বরও ছেলের কাছে বেড়াতে যান আমেরিকায়। বর্তমানে আমেরিকায় সিংকু তার স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই আছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
ঘটনাটি ২০১৬ সালের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ফরিদপুরের যুবক মো. আশরাফ উদ্দিন সিংকুর সঙ্গে আমেরিকার নাগরিক ও নিউইয়র্কের বাসিন্দা ব্যাংকার মুসলিম নারী শ্যারনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের টানে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন শ্যারন। এরপর ২০ এপ্রিল ফরিদপুরের ঝাউখোলা গ্রামের আলাউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে সিংকুকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক দিন পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান এবং সিংকু ও তার পরিবারকে বলে যান তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিংকুকে গ্রহণ করবেন। কয়েক মাস পর তিনি সেই কথা রক্ষায় ফরিদপুরে এসে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিংকুকে আমেরিকায় নিয়ে যান শ্যারন। এখন সিংকু আমেরিকাতেই তার স্ত্রী শ্যারনের সঙ্গেই থাকছেন। প্রতিবেশীরা জানান, সিংকু পড়ালেখায় বেশ ভালো ছিল। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সিংকু বড়। ভালোবাসার টানে সুদূর আমেরিকা থেকে আসা নারী শ্যারনকে বিয়ে করে এখন সিংকু বেশ ভালোই আছে।
স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফ হোসেন বলেন, সিংকু আমেরিকায় যাওয়ার পর শুনেছি তারা বেশ সুখেই আছে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে টাকা পাঠায়। বাবা-মায়ের খোঁজখবরও নেয়। বাবাকে সে আমেরিকায় নিয়ে গেছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
‘উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আনন্দময় পরিবেশে শুক্রবার রাতে শামসিয়া অডিটরিয়ামে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একমাত্র মুখপত্র প্রবাস মেলা’র ১১তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণমাধ্যম জগতের একমাত্র প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে প্রবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাজ করছে প্রবাস মেলা পত্রিকা। এই পত্রিকাটি প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা বলছে নানাঘাত, প্রতিঘাত উপেক্ষা করে, আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে প্রবাস মেলা সে প্রত্যাশা করেন আগত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রবাস মেলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, টিভি উপস্থাপক মামুন ইমতিয়াজ। তিনি পত্রিকাটিকে প্রবাসীদের পত্রিকা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশিষ্ট গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এখন টেলিভিশনের সৌদি আরব প্রতিনিধি, রোটারিয়ান জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়ের সঞ্চালনায় সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের সভাপতি, প্রবাস মেলা সৌদি আরব দর্শক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুল ইসলাম বিলাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও এনটিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি প্রধান ফারুক আহমেদ চান।
রিয়াদ গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি মাসুদ রানা, নিউজ২৪ টেলিভিশনের রিয়াদ প্রতিনিধি রুস্তম খান, বর্ণ টিভির পরিচালক ফকির আল আমিন , মাইটিভি রিয়াদ প্রতিনিধি সাদেক আহমেদ, এসএটিভি রিয়াদ প্রতিনিধি ফকির হাকিম, বাংলা ৫২ টিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, মোহনা টিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, লাব্বাইক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শাহ শাহজালাল ভুট্টু, দৈনিক স্বাধীন পত্রিকার সৌদি আরব প্রতিনিধি মো: ইমন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী সেবা কেন্দ্রের ইনচার্জ আবু সায়েদ মো: তারেক, সরকারি মার্কেটিং ডিরেক্টর শওকত উল্লাহ রিপন, সিলেট কুলাউড়া প্রবাসী পরিষদের সভাপতি খালেদ সাহাব উদ্দিন, সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের উপদেষ্টা আবু ইউসুফ, সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সালেহ আহমেদ ভূঁইয়া সহ বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ২০২৫-২৬ দুই বছরের জন্য আবদুল্লাহ আল মামুন কে সভাপতি ও সানাউল্লাহ আপন তাজকে সাধারণ সম্পাদক করে সৌদি আরব প্রবাস মেলা দর্শক ফোরামের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। সবশেষে প্রবাস মেলা পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা সহ দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া করেন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা হাফেজ শামীম মোল্লা।
অনুষ্ঠান সহযোগিতায় ছিলেন সৌদি আরবে একমাত্র বাংলাদেশী স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান সানসিটি পলি ক্লিনিক।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির (ডিএনসি) ভাইস চেয়ারম্যান (Civic Engagement and Voter Participation ) পদে প্রথম মুসলমান প্রার্থী বাংলাদেশী-আমেরিকান ষ্টেট সিনেটর (জর্জিয়া) শেখ রহমান চন্দন ২৪ জানুয়ারি সাউথ ক্যারলিনায় অনুষ্ঠিত পার্টির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামে বলেছেন, এখনও সময় হচ্ছে নেতৃত্বে আমার মত লোকের আসার। ট্রাম্পের মত লোকেরা বারবার আসছেন এবং চলেও যাচ্ছেন। কিন্তু আমার মত বাদামি রংয়ের মানুষেরা, মুসলমানেরা কখনোই এদেশ-সমাজ থেকে চলে যাবো না। বিভিন্ন অঞ্চল ও স্টেটের নেতৃবৃন্দের তুমুল করতালির মধ্যে সিনেটর শেখ রহমান চন্দন আরো বলেন, গত নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিপর্যয়ের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু হোয়াইট হাউজ আর ক্যাপিটল হীলেই নয়, স্টেট, সিটি ও কাউন্টি প্রশাসনেও ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিজয়ের পথ সুগম করতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলে আগামী ৯০দিনের মধ্যে বিজয় নির্দ্ধারণী ৭টি স্টেটে গিয়ে আপামর মানুষের সাথে মতবিনিময় করবো। সামনের দু’বছরের মধ্যে সকল টেরিটরিসহ ৫০টি স্টেট ভ্রমণ করবো এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রতি আমেরিকানদের আস্থার ভিত পুনপ্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। এটাই সময়ের দাবি। শেখ রহমান চন্দন আরো উল্লেখ করেছেন, ভোটারের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ সুগম করতেও সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্বকারিরা নীতি-নির্দ্ধারণে অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ পেতে হবে। বিশেষ কোন বর্ণ আর জাতি-গোষ্ঠির আধিক্য পরিহার করতে পারলেই নাজুক অবস্থা থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টিকে উদ্ধার করা সহজ হবে। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচরের সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের সন্তান শেখ রহমান চন্দন ২০১৮ সাল থেকে ডিস্ট্রিক্ট-৫ আসনে জর্জিয়া লোকাল সরকারের স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এটা হচ্ছে তার চতুর্থ টার্মের দায়িত্ব। ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের অভিপ্রায়ে উচ্চ শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন এবং সেন্ট্রাল পাইডমন্ট কম্যুনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর কর্মজীবনে পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি বসবাসকারি এলাকার বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণের মানুষের সাথে সম্পর্ক নিবিড় করতে সক্ষম হন। সেই পথ বেয়েই আফ্রিকান-আমেরিকান ও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান অধ্যুষিত এলাকা থেকে বারবার বিজয়ী হচ্ছেন। স্পষ্টভাষী শেখ রহমান চন্দনের স্ত্রী আফরোজা এবং এক পুত্র আঞ্জার ও এক কন্যা রাওদাকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকাতেই স্থায়ীভাবে বাস করছেন। ডিএনসি নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদি।
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পাশাপাশি সিনেট এবং হাউজেরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুইয়েছে ডেমক্র্যাটরা। অনেক স্টেটের আসনও হারিয়েছে। এহেন অবস্থায় ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে উদ্যমী-কর্মঠ-মেধাবি এবং ধর্ম-বর্ণ-অঞ্চল নির্বিশেষে সকল আমেরিকানের আস্থা রয়েছে-এমন ব্যক্তিগণের প্রয়োজনীয়তা অনুভ’ত হচ্ছে। সে তাগিদ সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর মধ্য থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩দিনের এই জাতীয় সম্মেলন হবে ম্যারিল্যান্ড স্টেটে ন্যাশনাল হার্বারে। পার্টির চেয়ারম্যান, ট্রেজারার, ভাইস চেয়ারসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি। আরো উল্লেখ্য, প্রথম বাংলাদেশী এবং প্রথম মুসলমান প্রার্থী হলেও ষ্টেট সিনেটর শেখ রহমান চন্দনকে ইতিমধ্যেই ৬ টেরিটরি-সহ অধিকাংশ স্টেটের ডেলিগেটরা সাপোর্ট দিয়েছেন। এরফলে তার নির্বাচনের পথ অনেকটা সুগম হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। ভাইস চেয়ার পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন কংগ্রেসওম্যান (ওহাইয়ো ) জয়েস বীটি, কংগ্রেসওম্যান নিকেমা উইলিয়ামস (জর্জিয়া), বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ার সাবেক স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান (নিউইয়র্ক) মাইকেল ব্ল্যাক প।
সময়ের প্রয়োজনে চার বছর মেয়াদি (২০২৫-২০২৯) ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরগরম শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও। সচেতন ভোটারেরও অধীর আগ্রহে নয়া নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। তেমন একটি আকাঙ্খার পরিপূরক কমিটির চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৮ জন। এর অন্যতম হচ্ছেন ম্যারিল্যান্ড স্টেটের সাবেক গভর্ণর এবং সোস্যাল সিকিউরিটি এডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার মার্টিন ও’ম্যালি, উইসকনসিন স্টেট ডেমক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান বেন উইকলার, বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ার কেন মার্টিন, ইউএস সিনেট প্রার্থী (ম্যারিল্যান্ড) রবার্ট হোটন, এটর্নী ও রাজনৈতিক বিশ্লেক (ম্যাসেচুসেট্স)জ্যাসন পোল, বাইডেন ও ওবামা প্রশাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ন্যাট স্নাইডার, ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার টিমে দায়িত্বপালনকারি সংগঠক ও লেখক ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন এবং টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির এডজাঙ্কট প্রফেসর কুইনটেসা হ্যাথাওয়ে। ট্রেজারার পদে লড়ছেন অলাভজনক একটি সংস্থার সিইও এবং নর্থ ক্যারলিনা ডেমক্র্যাটিক পার্টির ওরেঞ্জ কাউন্টি শাখার সাবেক চেয়ারপার্সন ম্যাট হাজেজ এবং বিদায়ী কমিটির ট্রেজার ভার্জিনিয়া ম্যাকগ্রেগর। সেক্রেটারি পদেও সরাসরি লড়াই হচ্ছে দু’প্রার্থীর। এরা হলেন নিউজার্সি শ্রম দফতরের সাবেক ডেপুটি কমিশনার ম্যারিলিন ডেভিস এবং বিদায়ী কমিটির সেক্রেটারি জ্যাসন র্যা। ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ার পদে পুনরায় লড়ছেন বিদায়ী কমিটির চেয়ার ক্রিস কর্গ এবং ডেপুটি চেয়ার ক্রিস্টফার লওই।
অনলাইন ডেস্ক :
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ‘সেন্টার কালচারাল মুসলমান ইডিএফর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বণার্ঢ্য আয়োজনে প্যারিসের উপকণ্ঠ স্তা-তে এই আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও কালচারাল সেন্টারের হলরুম পরিণত হয় প্রবাসীদের মিলমেলায়। দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিলো অন্যতম আকর্ষণ।
সাংস্কৃতিক বিভাগের সহকারী পরিচালক সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম ও শিল্পী ওমর ফারুকের যৌথ পরিচালনায় প্যারিস শিল্পী গোষ্ঠী ও প্যারিস থিয়েটারের যৌথ পরিবেশনায় গান, কবিতা আবৃত্তি, দর্শক পর্ব ও নাটিকায় মুগ্ধ হয়েছেন প্রবাসীরা।
প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে ইমরান আহমেদের পরিচালনায় ও গোলাম ফারুক ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে কুরআনে হাকীম থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ কারী বেলায়েত হোসাইন খান। বক্তব্য রাখেন সেন্টার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সালাহউদ্দিন, সিসিএএম সভাপতি নুরুল ইসলাম, ঈদ অনুভূতি ব্যক্ত করেন তোফায়েল শিপু, সাকিব সিদ্দিকী, সোহেল আহমেদ, হাবীবুল্লাহ বাহার, সাইফুর রহমান, নাজমুল ইসলাম কোরেশি প্রমুখ প্রবাসীরা।