অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যায় ইংরেজি ভাষাভাষি এক ব্যক্তির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তুমুল বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে বলতে শোনা যায় ‘আমি বাংলাদেশি নই, আমি একজন ব্রিটিশ এমপি।’ এখানে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করায় তিনি এমনটি বলেছেন।
শুধু এতটুকুই নয় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে ধারণা করা যায়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার কথা জিজ্ঞেস করায় মেজাজ হারান টিউলিপ।
এসময় সেই ব্যক্তিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সতর্ক হোন, ওসব ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি বাংলাদেশি নই, আমি একজন ব্রিটিশ এমপি।
এদিকে ঢাকায় পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলায় সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশের আদালত।
মূলত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রকাশ পেতে থাকে তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির চিত্র।
এদিকে, লন্ডনে নিজের বাড়ির বাইরে বাংলাদেশে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ বলেন, তিনি “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের শিকার।”
অন্যদিকে, শুধু এই এক অভিযোগই নয় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে আরো বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই ভাগ্নির বিরুদ্ধে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের আয়োজনে লন্ডনে প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন ও জাতি গঠন শীর্ষক সেমিনার, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠি হয়েছে। গত ১৭ মার্চ সোমবার বিকালে পূর্ব লন্ডনের বেথনালগ্রীন রোডের একটি হলে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের উদ্যোগে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন : অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠণ শীর্ষক এক সেমিনার, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বৃটেনের বাংলাদেশের হাই কমিশনারের পক্ষে হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মীর নূরানী রূপমা ।
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কনভেনর কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ড. মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কি নোট স্পিকার হিসেবে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিলেতের ইমিগ্র্যাশন জাজ সলিসিটর বেলায়েত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী, নিউহ্যাম কাউন্সিলের সিভিক মেয়র কাউন্সিলর রহিমা রহমান, সংগঠন এর কো- কনভেনর মসুদ আহমদ, টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কয়সর, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজ হক, সাবেক সিভিক মেয়র কাউন্সিলার পারভেজ আহমদ, কাউন্সিলর রিতা ইসলাম, কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আবু তালহা চৌধুরী, সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনের কনভেনর হারুনুর রশিদ, কো- কনভেনর জামাল হোসেন, সিনিয়র জয়েন্ট কনভেনর তাজুল ইসলাম, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি তাইছির মাহমুদ, সোসাইটি অব ব্রিটিশ বাংলাদেশী সলিসিটরস এর সভাপতি ব্যারিস্টার আব্দুল গাফফার, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশা, ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউডের সত্ত্বাধিকারী ব্যারিস্টার লুৎফুর রহমান, সাবেক স্পিকার আহবাব হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্টের সেক্রেটারি গুলজার খান, ট্রেজারার আখলাক আহমদ, ব্যারিস্টার মাসুদ আহমদ চৌধুরী ,সাংবাদিক রহমত আলী, সাংবাদিক খালেদ মাসুদ রনি, মানব টিভি সম্পাদক সাংবাদিক সাঈদ চৌধুরী, ড. আজিজুল আম্বিয়া ও ড. আজমল চৌধুরী প্রমুখ ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক সংগঠক আব্দুল মুকিত, পাইলট সাব্বির করিম, বর্নবাদ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী আব্দুল মুকিত ও আব্দুস সাত্তার ,মিসবাহুজ্জামান সোহেল, সালেহ গজনবী, দেওয়ান নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক তবারক হোসেন, সাংবাদিক সাকির হোসেন, গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে’র সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য ও সাউথ ইস্ট রিজিয়নের জয়েন্ট কনভেনর শিপার রেজাউল করিম, নুরুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, হেলেন ইসলাম, শাহ শাফি কাদির, আব্দুর রুউফ তালুকদার, সাদিক আহমদ, কদর উদ্দিন, আব্দুর রহিম রঞ্জু, সৈয়দ সায়েম করিম, আব্দুল বাসিত রফি, আজম আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক ট্রেজারার আজম খাঁন, ব্যারিস্টার আব্দুস শহীদ, ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার এনামুল হক, যুব সংগঠক শামসুল ইসলাম সলফী, সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম, প্রফেসর আব্দুল হাই, আতিক রাহনান, শানূর আলী, বেলাল হোসেন, একাউন্ট্যান্ট ওলিউর রহমান, আবুল কালাম, মোঃ শামসুল ইসলাম, তৌরিস মিয়া, আফসার হোসাইন, সৈয়দা নাজমিন সুলতানা শিখা, শেখ নুরুল ইসলাম .সাংস্কৃতিক কর্মী মাহফুজা তালুকদার ,ডঃ আজিজুল আম্বিয়া , নাজমা হোসাইন, শেখ আব্দুর রুউফ তালুকদার, হাফিজ জিলু খান, মোঃ ফজলু মিয়া, সালেহ আহমদ, নূর আহমদ, মোঃ লোকমান হোসেন, সামিউল, আব্দুল সাত্তার, সাকির চৌধুরী, মোহাম্মদ চৌধুরী, মোঃ জুনায়েত রিয়াজ, মোঃ বদরুল ইসলাম মোস্তাক, ফয়েজ আহমদ, মোঃ জিয়াউর রহমান, শাহ মুনিম, তুহিন আহমদ, মাইনুর রহমান তুহেল, দেওয়ান সালাম স্বাধীন, মোঃ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
সেমিনারে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পিজিক্সে অধ্যয়ণরত সাইমুর মুজিব রহমান, ইকোনমিক্স এন্ড ম্যানেজমেন্টে অধ্যয়নরত মুক্তাদির আহমদ, ম্যাথসে অধ্যয়নরত তাহসিন এবং হিস্ট্রি এন্ড ফিলোসপিতে অধ্যয়নরত আমিরুল ইসলাম প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশ গঠনে কি নোটের উপর তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রবাসী কমিউনিটি ও মেইনস্ট্রিম রাজনীতির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ইফতার মাহফিল এক মিলন মেলায় রূপ নেয়। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হাফিজ মো: জিলু খাঁন।
সভায় বক্তারা প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নের প্রথম ধাপ সূচিত হতে পারে বলে সেমিনারে অভিমত ব্যক্ত করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশের জাতি গঠনে কমিউনিটির বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে এই গ্ৰুপে বিভিন্ন সময়ে যার যার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও দক্ষতাসম্পন্ন পেশাজীবীদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের কার্যকর পন্থা বের করা সম্ভব হবে।
কমিউনিটির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত হয়ে ইফতার ও আলোচনা সভাকে সফল করে তুলার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে সাউথ ইস্ট রিজিওনের কনভেনর হারুনুর রশিদ ও উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কয়সর।
সভাপতির বক্তব্যে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কনভেনর মকিস মনসুর হাইকমিশনার প্রতিনিধি সহ উপস্থিত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ সহ আমাদের সংগঠন এর যারা অর্থ প্রদান করেছেন এবং পোগ্রাম সফল করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংগঠন এর আগামী দিনের পথচলায় সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে সেমিনার এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের টানে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামে এসেছিলেন আমেরিকান নারী ব্যাংকার শ্যারন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হওয়া ফরিদপুরের যুবক আশরাফউদ্দিন সিংকুকে বিয়েও করেন তিনি। বিয়ের পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান। এক বছরের মাথায় সিংকুকেও নিয়ে যান আমেরিকায়। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে সিংকুর বাবা আলাউদ্দিন মাতুব্বরও ছেলের কাছে বেড়াতে যান আমেরিকায়। বর্তমানে আমেরিকায় সিংকু তার স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই আছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
ঘটনাটি ২০১৬ সালের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ফরিদপুরের যুবক মো. আশরাফ উদ্দিন সিংকুর সঙ্গে আমেরিকার নাগরিক ও নিউইয়র্কের বাসিন্দা ব্যাংকার মুসলিম নারী শ্যারনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের টানে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন শ্যারন। এরপর ২০ এপ্রিল ফরিদপুরের ঝাউখোলা গ্রামের আলাউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে সিংকুকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক দিন পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান এবং সিংকু ও তার পরিবারকে বলে যান তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিংকুকে গ্রহণ করবেন। কয়েক মাস পর তিনি সেই কথা রক্ষায় ফরিদপুরে এসে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিংকুকে আমেরিকায় নিয়ে যান শ্যারন। এখন সিংকু আমেরিকাতেই তার স্ত্রী শ্যারনের সঙ্গেই থাকছেন। প্রতিবেশীরা জানান, সিংকু পড়ালেখায় বেশ ভালো ছিল। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সিংকু বড়। ভালোবাসার টানে সুদূর আমেরিকা থেকে আসা নারী শ্যারনকে বিয়ে করে এখন সিংকু বেশ ভালোই আছে।
স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফ হোসেন বলেন, সিংকু আমেরিকায় যাওয়ার পর শুনেছি তারা বেশ সুখেই আছে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে টাকা পাঠায়। বাবা-মায়ের খোঁজখবরও নেয়। বাবাকে সে আমেরিকায় নিয়ে গেছে।
ফয়সাল, ইতালি থেকে :
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রোজাদারদের সম্মানে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে ইতালি প্রবাসী নোয়াখালী ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতি ইতালি। ইটালির রাজধানী রোমের প্রেনেস্তিনা মক্কি মসজিদে রবিবার এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সংগঠনের সভাপতি আনোয়ারুল আজিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক টিপু, সিনিয়র সহ সভাপতি সুমন মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানার আমন্ত্রণে ইফতার মাহফিলে প্রায় পাঁচ শতাদিক ধর্মপ্রাণ রোজাদার মুসল্লি অংশগ্রহন করেন।
ইফতার পূর্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, বয়ান পেশ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা এবং গাঁজায় অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্যে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন মসজিদে মক্কির ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুর রহমান। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী দিনেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান করেন। তারা সংগঠন অন্যান্য কার্যক্রমের সাথে ইসলামিক কর্মকান্ড করে সমাজকে সুস্থধারায় পরিচালিত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং আগামী দিনে দেশের উন্নয়নেও কাজ করে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এসময় সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আবসার, স্থায়ী কমিটির প্রধান আব্দুল ওহাব, ১নং সদস্য সোহেল চৌধুরী, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন শিমুলসহ সংগঠনের কার্যকরী পরিষদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও ইতালীস্থ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক, ব্যবসায়ীক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা নোয়াখালীর সকল গতিশীল কর্মকান্ডে সক্রিয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কমিউনিটির উন্নয়নে বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আগামীতেও সকলের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) থেকে নয়জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। টার্মিনাল ওয়ানে অবৈধভাবে মোবাইলের সিম কার্ড বিক্রির অভিযোগে আটক করা হয়। ১০ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এসব বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়।
দেশটির অস্ট্রো আওয়ানি জানায়, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেছেন, আটককৃত ব্যক্তিদের বয়স ২২ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তারা গত দুই মাস ধরে অবৈধভাবে সিম কার্ড বিক্রির কাজে জড়িত ছিলেন। তারা মূলত বাংলাদেশি পর্যটকদের লক্ষ্য করেই এই কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।
তিনি আরো জানান, অভিযানে বিভিন্ন মালয়েশিয়ান টেলিকম কোম্পানির সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে, যা অন্য ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত ছিল। প্রতিটি সিম কার্ড ২৫ রিঙ্গিতে বিক্রি করা হতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে দুই হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত আয় করতেন। অভিযানে চারটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ১২১টি সিম কার্ড, আটটি সিম কার্ড খোলার সূঁচ এবং মোট ১ হাজার ৫৫৫ রিঙ্গিত জব্দ করা হয়েছে।
তদন্তে আরো বেরিয়ে এসেছে, আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজনের কাছে কোনও বৈধ ভ্রমণ নথিপত্র ছিল না, দু’জনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং বাকি দু’জন অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাসের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন।
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ৬(৩) ধারা অনুযায়ী পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থানের জন্য একই আইনের ১৫(৪) ধারা অনুযায়ী দু’জনকে এবং ভিজিট পাসের শর্ত ভঙ্গের দায়ে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৬৩-এর ৩৯(বি) ধারায় আরো দু’জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আরো তদন্ত চলছে এবং তাদের মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন অফিসে রাখা হয়েছে। সূত্র: দ্য স্টার, ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা এক প্রবাসী যুবক নিহত হয়েছে। তিনি নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দিনারা গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ উদ্দীন সিকদারের ছেলে মৃত বিল্লাল হোসেন সিকদার (৩৮)। জীবিকার তাগিদে তিনি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার পারি জমিয়েছেন।
জানা যায়, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা বিল্লাল হোসেন সিকদার ও আরো একজন বাংলাদেশীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিল্লাল হোসেন সিকদার প্রায় ১০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। সেখানে একটি মুদি দোকানে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতোই তারা দোকানে বেচা কেনা করতে ছিলেন হটাৎ কিছু সন্ত্রাসীরা দোকানে ঢুকে দোকানের মালামাল লুটপাট করে। সন্ত্রাসীরা লুটপাট করে চলে যাওয়ার সময় তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে চলে যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে। মৃত বিল্লাল শিকদারের একজন ৯ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মা-বাবা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। এলাকায়ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবার মরদেহ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করেন।