চলারপথে ডেস্ক :
বীমা সুবিধা বেড়েছে প্রবাসী কর্মীদের। বিদেশ যাত্রার সময় এক হাজার টাকা কিস্তি (প্রিমিয়াম) দেওয়া কোনো প্রবাসীর মৃত্যু বা অঙ্গহানি হলে বীমার আওতায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন কর্মী ও তার পরিবার। আর চাকরি হারিয়ে ছয় মাসের মধ্যে ফিরলে পাবেন ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ।
এসব সুবিধা রেখে আজ ১২ মার্চ রবিবার জীবন বীমা করপোরেশেনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
এর আগে ২০১৯ সালে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক বীমা চালু করে সরকার। ৯৯০ টাকা কিস্তিুতে দুই বছর মেয়াদী বীমায় সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতো।
নতুন বীমা নিয়মে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সীরা পাঁচ বছর মেয়াদী বীমা করতে পারবেন। বীমার মেয়াদ পূর্ণের ৯০ দিন পরও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে পুরো ১০ লাখ টাকা পাবে কর্মীর পরিবার। দৃষ্টিহানী, হাতের কব্জি, পায়ের গোড়ালি কাটা পড়লে পুরো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হাতের বা পায়ের একটি আঙ্গুল কাটা পড়লে লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তবে প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে আত্মহত্যা করলে ক্ষতিপূরণ পাবে না কর্মীর পরিবার। এ ছাড়া এইডস ও মাদক গ্রহণে মৃত্যু হলে বীমা সুবিধা পাওয়া যাবে না।
জীবন বীমা করপোরেশন মুনাফার ৫০ শতাংশ ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য খরচ করবে। একে নজিরবিহীন সুবিধা বলেছেন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বিদেশে কোনো মৃত্যু হলে সৎকারের জন্য ৩৫ হাজার এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ টাকা দেয় সরকার। তা অব্যহত থাকবে জানিয়ে ইমরান আহমদ বলেন, নিয়মানুযায়ী নিয়োগকারী কর্মীরা চিকিৎসা দেবে। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মীরা বিদেশে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। তাদের জন্য বিকল্প ভাবতে হবে। যে দেশে কর্মী যাচ্ছে, সেই দেশে বীমা করা যায় কিনা- তা দেখা যেতে পারে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ। তিনি বলেন, নতুন কর্মীরা বর্ধিত বীমা সুবিধা পাবেন। আগে থেকে যে লাখ লাখ কর্মী বিদেশে রয়েছেন, তাদেরও বীমার আওতায় আনা প্রয়োজন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রবাসী কর্মীদের পরিবার ও সন্তানরা অভিবাসনের সামাজিক মূল্য দিচ্ছে। তাদের জন্যও বীমা সুবিধা প্রয়োজন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, যেসব নারী কর্মী যৌন নির্যাতনের শিকার করে হয়ে দেশে ফিরেছেন, বীমায় তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নেই। কর্মীরা বিদেশে আইনের জটিলতায় পড়লে, এর জন্য বীমা থেকে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। একজন কর্মী তিন চার লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ যান। চাকরি হারিয়ে ফিরলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত নয়।
চুক্তিতে জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুল হক চৌধুরী এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বিএনপি। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নয়াপল্টন এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, আমান উল্লাহ আমানসহ সকল সিনিয়র নেতাদের সাজা প্রদানের প্রতিবাদে এবং মিথ্যা-গায়েবী মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশী সাজা বাতিল এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যুগপৎ ধারায় আন্দোলনের একদফা দাবির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ।
সরজমিন দেখা যায়, সমাবেশে অংশ নিতে বেলা ১টা থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে কর্মসূচির প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তুলেন।
এদিকে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাপানের পথে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপান যাওয়ার আগে আজ ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নবনির্মিত ভিভিআইপি লাউঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে জাপানের টোকিওর উদ্দেশে রওনা হন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫-২৮ এপ্রিল জাপানে সরকারি সফর করবেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেলে টোকিও থেকে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১ মে সোমবার বিশ্বব্যাংক সদরদপ্তরে বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে ‘রিফ্লেকশন অন ৫০ ইয়ার্স অব ওয়ার্ল্ড ব্যাংক – বাংলাদেশ পার্টনারশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।
এরপর ৪ মে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডন যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের আমন্ত্রণে লন্ডন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
৬ মে শনিবার ওয়েস্টমিনিস্টারে রাজা ও রানির রাজ্যাভিষেকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
তিন দেশ সফর শেষে ৯ মে মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত মূল্যে চার্জার ফ্যান বিক্রির অপরাধে রাজধানীর নবাবপুরে অভিযান চালিয়ে দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার নওয়াবপুরে ন্যাশনাল ফ্যান হাউজ ও মিডিয়া হোম অ্যাপ্লায়েন্স নামে দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
তবে, অভিযান শুরুর খবরে অধিকাংশ চার্জার ফ্যান বিক্রেতারা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। অনেকে দোকানে থাকা ফ্যান সরিয়ে ফেলে। অনেকে ব্যবসায়ী দোকান ছেড়ে পালিয়ে যান।
অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার। তিনি বলেন ১১ ফেব্রুয়ারিতে আমদানিকারক যে ফ্যান ২৪০০ টাকায় বিক্রি করেছেন, সে চার্জার ফ্যান ৪ জুন সাড়ে ৬ হাজারে বিক্রি করেছেন।
এসময় দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের বিষয়ে তিনি বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আকস্মিকভাবে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ভোক্তাদের কাছে এমন গলাকাটা দাম নিয়ে প্রতারণা করতে দেওয়া হবে না।
দেশজুড়ে চলমান তীব্র দাবদাহে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। ভাপসা গরমে নাকাল রাজধানীবাসী। এ অবস্থায় একটু স্বস্তির আশায় তারা ছুটছেন চার্জার ফ্যানের দোকানগুলোয়। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটার মহোৎসবে মেতে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার এ নৈরাজ্য ঠেকাতে মাঠে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ঢাকায় অধিদপ্তরের তিনটি টিম বাজার তদারকির কার্যক্রম পরিচালনা করে। বায়তুল মোকাররম এলাকায়, স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এবং নবাবপুর মার্কেট এলাকায় অভিযানে চালানো হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্রুত দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। অভিজ্ঞ মুমিনুল ৪০ রানে ফিরলেও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯২ বলে সেঞ্চুুরি তুলে নিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
শতক হাঁকাতে শান্ত খেলেছেন ৯টি চারের মার। তার সেঞ্চুরির উপর ভর করে ২০৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান। শান্ত খেলছিলেন ১০৪ রান নিয়ে, অপরপ্রান্তে ৪৩ রান নিয়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
এর আগে ২৬ রানে ছিল না ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। ২ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে বাংলাদেশ যায় চা-বিরতিতে।
এরপর জুটি গড়েন শান্ত ও মুমিনুল। দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল দুই ব্যাটারের জুটিটি। অপ্রত্যাশিত রানআউটের মাধ্যমে শতরানের (৯০) কাছাকাছি এসে ভেঙে যায় পার্টনারশিপ। ভুল বোঝাবুঝিতে ৬৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মুমিনুল।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে লাঞ্চের আগে বেশ দেখেশুনে খেললেও বিরতির পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি জাকির আর জয়। ৩০ বলে ১৭ রান করে অ্যাজাজ প্যাটেলের অনেক বেশি টার্ন করা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন জাকির।
৪৬ বলে ৮ রান করে জয় হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে শান্ত-মুমিনুলের জুটি।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড খুব বড় পার্থক্য গড়তে পারেনি বাংলাদেশের সঙ্গে। লিড নিয়েছে মাত্র ৭ রানের। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আর জাকির হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে ১০ ওভারে মোটে ১৯ রান তুলে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলেন তারা।
এর আগে দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। কিউইরা পিছিয়ে ছিল ৪৪ রানে। স্বীকৃত ব্যাটার বলতে কেউই নেই।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ছোট করে হলেও লিড পেতে যাচ্ছে, ধরে নিয়েছিলেন সমর্থকরা। তবে তাদের সেই আশায় গুঁড়েবালি। কাইল জেমিসন আর টিম সাউদির মতো লোয়ার অর্ডার দুই ব্যাটার নবম উইকেটে দলকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ ৫২ রান।
নবম উইকেটে টিম সাউদি আর কাইল জেমিসনের এই জুটিটাই ক্ষতি করে দিলো বাংলাদেশের। নাহলে টাইগাররা প্রথম ইনিংসে লিড পেতে পারতো।
সেটি হয়নি। তবে নিউজিল্যান্ডও যে বড় লিড নিয়েছে, তা নয়। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানের জবাবে ১০১.৫ ওভার খেলে ৩১৭ রানে অলআউট হয়েছে কিউইরা। তাদের লিড ৭ রানের।
তৃতীয় দিনের সকালে প্রথম ঘণ্টা অনায়াসেই পার করে দেন সাউদি আর জেমিসন। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে ট্রাম্পকার্ড মুমিনুল হকের হাত ধরেই সাফল্য পায় টাইগাররা। এক ওভারে জেমিসনকে (২৩) এলবিডব্লিউ আর সাউদিকে (৩৫) বোল্ড করেন বাঁহাতি এই পার্টটাইম স্পিনার।
তাইজুল ইসলাম ১০৯ রানে ৪ উইকেট আর মুমিনুল হক ৪ রানে নেন ৩টি উইকেট।
অনলাইন ডেস্ক :
হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেছেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
আজ ২১ এপ্রিল রবিবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন জমা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিন্নির আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান।
এর আগে গত বছরের ৮ মে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন তিনি। পরে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় এলে পরে আর শুনানি হয়নি।
গত বছরের ১১ জানুয়ারি মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।
পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
খালাস পান মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা।
পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।
হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।