অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে বিতর্কিত মুসলিম ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন মুসলিমরা। শীর্ষস্থানীয় মুসলিম সংগঠন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের উদ্যোগে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদে এই বিক্ষোভ করেন তারা।
এছাড়া সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) দলের প্রধান এবং হায়দরাবাদের প্রভাবশালী রাজনীতিক আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, এই আইনটি বাতিল করতেই হবে, কারণ এটি সংবিধানের চেতনার বিরুদ্ধে।
আজ ২০ এপ্রিল রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সাম্প্রতিক ওয়াকফ আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে ভারতের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম সংগঠন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড দক্ষিণ ভারতের হায়দরাবাদ শহরে এক বিশাল প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করে। শনিবার হাজার হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। ইতোমধ্যে ডজনখানেক পিটিশনও সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয়েছে নতুন আইনের বিরুদ্ধে।
ভারতীয় সংসদ সদস্য ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)-এর সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে “ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ঐক্যের প্রতীক” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেন, “এই আইন ভারতের সংবিধানের মূল চেতনার বিরুদ্ধে, এটি বাতিল করতেই হবে। বহু সংগঠনের নেতৃত্ব এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।”
ওয়াইসি তার বক্তব্যে জানান, যতদিন না এই আইন প্রত্যাহার করা হয়, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের সংশোধনী নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। এই সংশোধনীর ফলে অ-মুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গে হিংসাত্মক সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করে তুলেছে।
সরকার সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বাস দিয়েছে, আগামী মে মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। তবে মুসলিম সম্প্রদায় ও বিরোধী দলগুলোর দাবি, এই আইন সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন করছে এবং সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থি।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি ভারতীয় পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই বিরোধীদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও পাস হয়ে যায়, যার ফলে হায়দরাবাদ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের আহ্বানে এবং ওয়াইসির নেতৃত্বে এই আন্দোলন এখন সারা ভারতব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটকা পরে কারাভোগ শেষে ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফিরে এসেছে। আজ ১৫ মে বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। ভারতের ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশী নাগরিকরা। দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার হয়ে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৮/৯ মাস কারাভোগ করেছেন তারা।
বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকৃতরা হলেন কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো: ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমদ্দার, রাজশাহীর মো: আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মোঃ আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ রুহুল আমিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার এসিস্টেন্ট ওমর শরীফ , আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ওসি আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ওসি মোঃ ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মোঃ মুখলেছুর রহমান, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র অফিসার মোঃ শিহাবুল হোসেন প্রমুখ।
ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার এসিস্টেন্ট ওমর শরীফ বলেন, বাংলাদেশী নাগরিক ৭/৮ মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। আদালতের মাধ্যমে কারাভোগ শেষে তাদেরকে ত্রিপুরায় অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারে রাখায় হয়। পরে আমরা জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের নাম ঠিকানাই পাঠাই। তাদের নাগরিকত্ব যাচাই শেষে ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিগকে আমরা প্রত্যাবশনের ব্যবস্থা করি।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ঘটেছে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। মাঠে বসে ঘাস কাটার সময় হঠাৎ আকাশ থেকে একটি সাপ এসে পড়লো এক নারীর গায়ে।
সাপটি তার ডান হাত পেঁচিয়ে ধরেছে, অন্যদিকে আচমকা আক্রমণ করল একটি বাজপাখি। একদিকে সাপ, অন্যদিকে সেটি কেড়ে নিতে নখের আঁচড় দিয়েই চলেছে বাজপাখিটি। দুই প্রাণীর আক্রমণে গুরুতর আহত হন সেই নারী। যেতে হয় হাসপাতালেও। নিউইয়র্ক টাইমস।
জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর নাম পেগি জোনস। থাকেন টেক্সাসের সিলসবি শহরে। গত ২৫ জুলাই তার গায়ের ওপর সাপ ফেলে দিয়েছিল একটি বাজপাখি।
নিউইয়র্ক টাইমসকে পেগি বলেন, আমি সাপটিকে ছিটকে ফেলার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সেটি আমার হাত পেঁচিয়ে ধরে। সাপটি আমার মুখে আঘাতের চেষ্টা করছিল। এটি বেশ কয়েকবার আমার চশমায় কামড়ও দেয়।
পেগি বলেন, বাজপাখি আমার হাত পেঁচিয়ে ধরা সাপটিকে ধরে এমনভাবে টানছিল যেন সে এটি নিয়ে যেতে চায়। সাপের সঙ্গে পাখিটি আমার হাতও উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
অনেক টানাটানি করেও সাপটিকে কিছুতেই ওই নারীর হাত থেকে ছাড়াতে পারছিল না পাখিটি। শিকারকে ছাড়াতে গিয়ে পেগির হাতে বারবার ধারালো নখ দিয়ে আঘাত করছিল সে।
শেষপর্যন্ত সাপটিকে ওই নারীর হাত থেকে ছাড়ানো সম্ভব হয়। তবে এরপরে হাসপাতালে ছুটতে হয় তাকে।
পেগি জানান, তার হাতে কাটা, ঘষা, আঁচড়ের মতো গুরুতর ক্ষত ছিল। আর সাপের আক্রমণে তার চশমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ভুক্তভোগী জানান, ঘটনাটি খুবই ভয়ংকর ছিল। ওই সময় ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো মারাই যাবেন। এরপর থেকে এখনো ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে তার।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সলিড কোকেনের চালান জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আফ্রিকান দেশে মালাউইর এক নারী ৮ কেজি ৩০০ গ্রামের এই কোকেনের চালানটি বাংলাদেশে নিয়ে আসনে। বুধবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালাউইর নাগরিক নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকোকে (৩৫) কোকেনের এই চালানসহ গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা কোকেনের মূল্য ১০০ কোটি টাকা।
ডিএনসি জানায়, কোকেনের এই চালানটি আফ্রিকার দেশ মালাউই অথবা ইথোপিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল চালানটি পাচার করার জন্য। কারণ এই পরিমাণ কোকেন চাহিদা বাংলাদেশে নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসির উত্তর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) তানভীর মমতাজ।
তিনি বলেন, কোকেন চোরাচালানের আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেটের দেশি ও বিদেশি সক্রিয় কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কোকেনের একটি বৃহৎ চালান আফ্রিকা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে আফ্রিকান একজন নাগরিকের মাধ্যমে ঢাকায় আসবে এমন তথ্য পাই আমরা।
‘এর পর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়ানো হয়। এপিবিএনকে সঙ্গে নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম গঠন করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর টার্মিনালের বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেওয়া হয়। ফ্লাইটি থেকে নামা সব বিদেশি যাত্রীকে আমরা ফলো করি।’
তানভীর মমতাজ বলেন, এ সময় দেখা যায়, নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো (৩৫) নামে এক বিদেশি নারী বিমানবন্দরের নিচতলায় ভিসা অন এ্যারাইভাল ডেক্সে দীর্ঘক্ষণ ধরে অবস্থান করছেন। তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন লাগেজে কোকেন আছে। পরবর্তী সময়ে লাগেজের ভেতরে বিশেষভাবে রাখা ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো আফ্রিকান দেশ মালাউইর নাগরিক। তিনি প্রথমে মালাউই থেকে ইথোপিয়া যান। পরে তিনি ইথোপিয়া থেকে যান দোহাতে। পরে তিনি দোহা থেকে কাতারের এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি তার বাংলাদেশ থেকে আবারও মালাইউতে যাওয়ার কথা ছিল। কোকেনের এই চালানটি বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করার কথা ছিল। পরে বাংলাদেশ থেকে কোকেনের চালানটি অন্য কোনো দেশে চলে যেত। আমাদের ধারণা তাওয়েরা সোকো কোকেনের এই চালানটি মালাইউ থেকে নয়তো ইথোপিয়া থেকে সংগ্রহ করেছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সোকো জানান, ২০২৩ সালে তিনি বাংলাদেশে একবার এসেছিলেন। গার্মেন্টস ব্যবসার কথা বলে তিনি ওই বছর বাংলাদেশে আসেন। এবারও তিনি বাংলাদেশের একটি গার্মেন্টসের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে আসেন। অন এ্যারাইভাল ভিসা নেওয়ার জন্য তিনি তার পরিচয় লুকিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসার নাম করে বাংলাদেশে ঢুকার চেষ্টা করছিলেন। সোকো মালাইউতে পেশায় একজন নার্স। তিনি মূলত কোকেনের এই চালানের বহনকারী। বাংলাদেশে তিনি আরেক জন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই চালান পৌঁছে দিয়ে নিজ দেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশে সোকো কার কাছে কোকেন হস্তান্তর করতেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। তবে বাংলাদেশ অবস্থারত কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই কোকেন যাওয়ার কথা ছিল। আমরা একজন বিদেশিকে সন্দেহ করছি। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা আশা করি চক্রটিকে ধরতে পারব।
২০২৩ সালে সোকো বাংলাদেশে কোকেনের চালান নিয়ে এসেছিলেন কিনা জানতে চাইলে তানভীর মমতাজ বলেন, তখনো তিনি গার্মেন্টস ব্যবসার নাম করে এসেছিলেন। তিনি আসলে কিসের জন্য এসেছিল সেই বিষয়ে আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি।
কোকেনের এই আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোকেনের চালানের সঙ্গে দেশি ও বিদেশি চক্র জড়িত আছে। এই চক্রটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।
কোকেনের চালানটি বাংলাদেশে কোনো দেশে যাওয়ার কথা ছিল, এমন প্রশ্নে মাদকের এই কর্মকর্তা বলেন, এগুলো আমরা আমাদের তদন্ত শেষে বলতে পারব। তবে এটা বলতে চাই- কোকেনের চালানটি বাংলাদেশের জন্য ছিল না। কারণ বাংলাদেশে এই পরিমাণ কোকেন কনজিউম করার মার্কেট নেই।
এই কোকেনের আনুমানিক বাজার দর ১০০ কোটির ওপরে। দেশের ইতিহাসে সলিড কোকেনের এইটিই বড় চালান বলে জানান ডিএনসির এই কর্মকর্তা।
চলারপথে ডেস্ক :
সৌদি আরবের মক্কায় ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশন এবং কোবা হজ এজেন্সির মালিককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- কোবা এয়ার ইন্ট্যারন্যাশনালের মালিক মো. মাহমুদুর রহমান ও তার ছেলে ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশনের মালিক সাদ বিন মাহমুদ। তাদের তিনটির এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রী রয়েছেন। এজেন্সি মালিকদের আটকের ফলে হজযাত্রীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের স্বাক্ষরিত বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, এই এজেন্সি মালিকদের বিরুদ্ধে ১৫ শতাংশ সৌদি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সৌদির একটি ব্যাংক থেকে এই এজেন্সির মালিকরা ৯ লাখ সৌদি মুদ্রা রিয়াল উত্তোলন করেন। এরপর পুলিশের জেরার মুখে কর ফাঁকির বিষয়টি ধরা পড়লে রিয়ালসহ তাদের আটক করা হয়।
এদিকে হজ ফ্লাইটের প্রথম দিন ভিসা জটিলতায় ও হজ এজেন্সির অবহেলায় ১৪০ জন হজযাত্রী নির্ধারিত ফ্লাইটে হজে যেতে পারেননি। এরপর তিন এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রীরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এই তিনটি এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রীর আগামী ১ জুন বিমানের টিকিট নিশ্চিত করা আছে। মালিকদের আটকের কারণে নির্ধারিত তারিখের ন্যূনতম ১০ দিন বিমানের টিকিট পিছিয়ে দিতে বলেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এই বিষয়ে হজ পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনটি হজ এজেন্সির মালিক টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে সৌদি আরবের পুলিশ তাদের আটক করেছে। তবে হজযাত্রীদের অনিশ্চিয়তার কোনো কারণ নেই। তাদের মালিকদের আটক করায় ১০ দিন সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। তাদের হজযাত্রায় কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি যাওয়া হজযাত্রীদের বিড়ম্বনার অভিযোগে ৮টি হজ এজেন্সিকে শোকজ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শোকজে বলা হয়, গত ২১ মে ৮টি এজেন্সির হজযাত্রী মক্কায় আসেন। এসব এজেন্সি হজযাত্রীদের ভিসায় যে হোটেলের ঠিকানা রয়েছে সেই হোটেলে না উঠিয়ে মক্কার বিভিন্ন ফিতরা করা হোটেলে উঠায়। ফলে হজযাত্রীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ছাড়ছেন। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা ইলন মাস্কের প্রশাসন ছাড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ইলন মাস্ক প্রশাসন ছেড়ে যাচ্ছেন। আজ রাত থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এর আগে বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেন ইলন মাস্ক। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগের’ অংশ হিসেবে তার বিশেষ সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্ব শেষ হয়ে আসছে।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প তার নতুন প্রশাসনে যুক্ত করেন ইলন মাস্ককে। তাকে নবগঠিত ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগের’ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়।
বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ইলন মাস্কের সরকারি দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ৩০ মে। ১৩০ দিনের ম্যান্ডেট নিয়ে দায়িত্বে আসেন মাস্ক।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, ফেডারেল সরকারকে পুনর্গঠন এবং ব্যয়-কর্মী কমাতে ডিওজিইয়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিওজিই ফেডারেল সরকারের প্রায় ২৩ লাখের বিশাল বেসামরিক কর্মিবহরের ১২ শতাংশ বা প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার জনকে ছাঁটাই করতে পেরেছে বলে রয়টার্সের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে।
গত মঙ্গলবার ইলন মাস্ক কংগ্রেসে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের কর ও বাজেট-সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।
মাস্কের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে শুধু বিতর্ক নয়, প্রতিবাদও হয়েছে। বেশ কিছু বিনিয়োগকারী ইলন মাস্কের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের উপদেষ্টার দায়িত্ব ছেড়ে দিতে এবং টেসলার ব্যবস্থাপনায় আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র-রয়টার্স