অনলাইন ডেস্ক :
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ, বৈশাখী মেলা এবং সাংস্কৃতিক উৎসব। আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন ফিরে পেলেন এক টুকরো বাংলাদেশ। ১৯ এপ্রিল শনিবার আবুধাবি শেখ জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামি স্কুলের প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে বাঙালিয়ানায় মোড়া উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারেক আহমেদ ও তার সহধর্মিণী। শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে তারাই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
দেশীয় পোশাকে সজ্জিত নারী-পুরুষ, শিশুরা অংশ নেয় বিভিন্ন আয়োজনে। মেলায় ছিল ১৬টি রকমারি পণ্যের স্টল, যেখানে পাওয়া যায় পান্তা-ইলিশ, চিতই পিঠা, নকশি পিঠা, সিঙ্গারা, সমুচা, ঝালমুড়ি, জিলাপি, রসমালাইসহ নানা রকম মুখরোচক বাঙালি খাবার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় একক ও সমবেত গান, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, নৃত্য এবং শিশু-কিশোরদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। অংশগ্রহণ করেন দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রবাসী শিশু-কিশোর, বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
প্রবাসজীবনের একঘেয়েমি ভুলিয়ে আবুধাবিতে এমন একটি আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মধ্যে দেশীয় সংস্কৃতির সৌন্দর্য ভাগাভাগি করে নেন। এই আয়োজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে দেশপ্রেম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বন্ধন আরো দৃঢ় করে তোলে বলে আয়োজকেরা মনে করেন।
শফিকুল ইসলাম বাদল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ইটালি প্রবাসী মোঃ দিদার মিয়ার আম্মাজান আনোয়ারা বেগম (৮৬) গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ ১৮ জুন বুধবার যোহরের নামাজের পর বিরামপুরে নতুন বাজারে সংলগ্নে মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজ পড়ান মরহুমার বড় নাতি হাফেজ ইব্রাহিম মিয়া,পরে বিরামপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন সম্পূর্ণ করা হয়েছে। মৃত্যুকালে চার ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমা ছেলে আতাউর রহমান বলেন আমার আম্মা আপনাদের সাথে চলাফেরা করেছে, যদি ভুল ত্রুটি করে থাকে আল্লাহর ওয়াস্তে আমার আম্মাকে ক্ষমা করে দিবেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মুসল্লিরা বলেন আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে মরহুমার সকল পাপ মার্জনা ও জান্নাতুল ফিরদাউস লাভের জন্য দোয়া করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ফিনল্যান্ডে এক বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেলসিঙ্কির নিকটবর্তী এসপো শহরের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ক্যাম্পাসে ‘প্রত্যাশা’ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মিলিত হন উৎসবে।
সহস্রাধিক অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে উৎসবটি পরিণত হয় এক টুকরো বাংলাদেশে। বৈশাখী পোশাক, আলপনা, পান্তা-ইলিশ ও দেশীয় খাবার ছাড়াও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুখর ছিল সন্ধ্যা। গান, আবৃত্তি, নৃত্যে ফুটে ওঠে বাংলার ঐতিহ্য।
উপস্থিত ছিলেন ফিনল্যান্ডে বসবাসরত শতাধিক পরিচিত মুখ, যাদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে উৎসব ছিল প্রাণচঞ্চল। আয়োজক সংগঠন ‘প্রত্যাশা’ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
সুমন মৃধা, অষ্ট্রেলিয়া :
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে নিউ সাউথ ওয়েলস বিএনপি এবং যুবদল অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে আজ ১৬ আগস্ট শনিবার লাকেম্বা রেলওয়ে প্যারেডে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিউসাউথওয়েলস স্টেট বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ ইরফান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. খাইরুল কবির পিন্টু।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ আবুল হাছান।
আরো উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ডা. আব্দুল ওহাব বকুল, সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন ঢালী, কামরুল হাসান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এএনএম মাসুম, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ শিবলু, এসএম খালেদ, যুবদলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মিনহাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ কুদ্দুসুর রহমান, আরমান হোসেন ভূইয়া, প্রচার সম্পাদক লিন্টাস পেরেরা, নিউসাউথওয়েলস বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম অপু, মাসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল খন্দকার, অসিত গোমেজ, বিজন পালমা, শফিকুল ইসলাম, দীন মোহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা সাহেদ আহম্মেদ, মমিন আহম্মেদ, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সিডনির লাকেম্বায় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা এবং জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে সাধারণের মাঝে তবারক হিসেবে কেক বিতরণ করা হয়
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ভূমিকা এবং আন্দোলনে সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে আপসহীন নেত্রী হওয়ার ভূমিকা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি আশা করেন বেগম খালদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে চিরদিন গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে বেঁচে থাকবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাঙালির ঐহিত্যবাহী পিঠাকে প্রবাস প্রজন্মের সাথে পরিচিত রাখতে মনোজ্ঞ এক উৎসবের আয়োজন করেছিল নিউইয়র্ক অঞ্চলে বহুল পরিচিত ‘বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন’।
জ্যাকসন হাইটসে জুইস সেন্টারে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর সমাগমে শুরুতেই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। এ সময় পাশে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং আবুল বাশার চুন্নু। হোস্ট সংগঠনের প্রধান ড. সবিতা দাস, শাকিলা রুনা, রুনা রায়, মুনমুন সাহা প্রমুখ।
বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন এলাকার স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা, কম্যুনিটি লিডার ডা. প্রভাত চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু। বিভিন্ন পর্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের ফাঁকে হোস্ট সংগঠন এবং নিরন্তরভাবে কর্মরতদের মধ্যে স্টেট অ্যাসেম্বলীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননাপত্র বিতরণ করেন অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা।
বহ্নিশিখার শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তারা সমবেত কন্ঠে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর শুরু হয় বিজয় দিবসের আলোকে শিশু-কিশোরদের নৃত্য, সঙ্গীত, কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি ঐতিহ্য আলোকে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও।
একক, দ্বৈত, সমবেত সঙ্গীতে অংশ গ্রহণ করেন ড. সবিতা দাস, রুনা রায়, জুলি খাস্তগীর, ইমন বিশ্বাস, পূজিতা দাস, শিলা চন্দ, সুশীল সিনহা, প্লামী দাস, শাকিলা রুনা, মাধু রায়সহ আরো অনেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের টানে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামে এসেছিলেন আমেরিকান নারী ব্যাংকার শ্যারন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হওয়া ফরিদপুরের যুবক আশরাফউদ্দিন সিংকুকে বিয়েও করেন তিনি। বিয়ের পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান। এক বছরের মাথায় সিংকুকেও নিয়ে যান আমেরিকায়। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে সিংকুর বাবা আলাউদ্দিন মাতুব্বরও ছেলের কাছে বেড়াতে যান আমেরিকায়। বর্তমানে আমেরিকায় সিংকু তার স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই আছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
ঘটনাটি ২০১৬ সালের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ফরিদপুরের যুবক মো. আশরাফ উদ্দিন সিংকুর সঙ্গে আমেরিকার নাগরিক ও নিউইয়র্কের বাসিন্দা ব্যাংকার মুসলিম নারী শ্যারনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের টানে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন শ্যারন। এরপর ২০ এপ্রিল ফরিদপুরের ঝাউখোলা গ্রামের আলাউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে সিংকুকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক দিন পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান এবং সিংকু ও তার পরিবারকে বলে যান তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিংকুকে গ্রহণ করবেন। কয়েক মাস পর তিনি সেই কথা রক্ষায় ফরিদপুরে এসে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিংকুকে আমেরিকায় নিয়ে যান শ্যারন। এখন সিংকু আমেরিকাতেই তার স্ত্রী শ্যারনের সঙ্গেই থাকছেন। প্রতিবেশীরা জানান, সিংকু পড়ালেখায় বেশ ভালো ছিল। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সিংকু বড়। ভালোবাসার টানে সুদূর আমেরিকা থেকে আসা নারী শ্যারনকে বিয়ে করে এখন সিংকু বেশ ভালোই আছে।
স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফ হোসেন বলেন, সিংকু আমেরিকায় যাওয়ার পর শুনেছি তারা বেশ সুখেই আছে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে টাকা পাঠায়। বাবা-মায়ের খোঁজখবরও নেয়। বাবাকে সে আমেরিকায় নিয়ে গেছে।