চলারপথে রিপোর্ট :
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা নাশকতা মামলার আসামি উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২০ এপ্রিল রোববার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রুবেল মিয়া (৪০) ভলাকুট গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ধনু মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমান ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় একটি সহিংস ঘটনার পেছনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন রুবেল মিয়া।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, রুবেল মিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য ও নাশকতার অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ক্ষেতের শসা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে অন্তত ৯০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আজ ১০ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সবশেষ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন জালাল মিয়া (৪৫), দুলাল মিয়া (৩২), শাহ আলম (৩৫), রাব্বি মিয়া(১১), আমীর আলী (৩৫), মাসুক মিয়া (৪৫) ও সাহার আলী (১৮)।
সংঘর্ষের পর তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার্ড করা হয়েছে।
তাছাড়া সংঘর্ষে আহত অন্তত ৮১ জন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীঘর গ্রামে জমিতে শসা চাষ করেছিলেন সরকার বাড়ির বাসিন্দা জুয়েল। গত দুদিন আগে সেই ক্ষেত থেকে শসা খেয়ে ফেলেন গ্রামের বড়বাড়ির মির জালালের ছেলে হৃদয়। এ নিয়ে সোমবার রাতে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সবশেষ মঙ্গলবার সকালে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শসা খাওয়ার ঘটনার জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সরকার বাড়ি ও বড় বাড়ি গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। বতর্মানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে সরাইলে একটি রেস্টুরেন্টে টিস্যু চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে রনি মিয়া (৬) নামে এক শিশুকে খুন করার তিনদিন পর তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ০২ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রনি মিয়া কুলিকুন্ডা গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। সে কুলিকুন্ডা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটন মিয়া (১৭) নামে দুই কিশোরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রিফাত মিয়া কুলিকুন্ডা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ও লিটন মিয়া একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রনি মিয়া ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল গ্রামের ওরসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন ওরসে মাইকিং করে। পরে শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে নাসিরনগর থানায় একটি ডায়রি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ধারনা করা হচ্ছে শিশু রনি মিয়ার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তাকে খুন করে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি দাঁতমন্ডল গ্রামের ওরসে যাওয়ার কথা বলে রনি মিয়া ঘর থেকে বের হয়। গ্রামের লোকজন রিফাতের সাথে রনি মিয়াকে ওরসে যেতে দেখে।
পরিবারের লোকজন রিফাতের ব্যাপারে সন্দেহ পোষন করায় আমরা প্রথমে রিফাততে আটক করি। রিফাত পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে ও তার সাথে লিটন মিয়া ছিলো বলে জানায়।
পরে লিটনকেও গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে লিটনও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে কুলিকুন্ডা গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশু রনি মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নাসিরনগরে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে উপজেলার চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করণের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন ঘোষণা করেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চন্দ্র চৌধুরী ।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক প্রভাষক শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। এছাড়া প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেন, চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চাতলপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আব্দুল আহাদ ও চাতলপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম ইদু মিয়া।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ালীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক রুবিনা আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম শুভ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায়, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান, মোঃ রবিউল ইসলাম, চিত্তরঞ্জন দত্ত, গোকর্ণ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ শাহজালালসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে সবাইকে জনগণের সেবার মন মানসিকতা নিয়ে এগুতে হবে এবং স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এছাড়াও এ সময়ে তিনি জনগণের সামনে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তুলে ধরেন।
সন্ধ্যার পর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ১নং চাতলপাড় ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখায় আমিনুল হক চৌধুরীকে সভাপতি ও আব্দুল মজিদকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সব সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এখানকার সাহসী সন্তানেরা বারবার রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। আজ ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জুলাই পদযাত্রা শেষে পথসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, উন্নয়ন শুধু ঢাকায় নয়, দেশের প্রত্যেকটি জেলায় সুষম বণ্টন করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্যাসের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন জেলার গ্যাসের চাহিদা পূরণ হয়। অথচ এখানকার মানুষ গ্যাস থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আমরা এমন রাষ্ট্র চাই না, যেখানে উন্নয়ন হলেও নিজের এলাকার মানুষ বঞ্চিত হয়।
পথসভায় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জীবন ও রক্তের বিনিময়ে যে পরিবর্তনের আশা করা হয়েছিল, সেই পরিবর্তন থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে আবারও সবাইকে নিয়ে রাজপথে জীবন দিয়ে দেশকে নতুনভাবে সাজানো হবে।
আখতার হোসেন আরো বলেন, সংস্কারের মাধ্যমে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজাতে হবে। কারণ, গত অর্ধশতকে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করা হয়েছে।
পথসভায় আরো বক্তব্য দেন দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহ্দী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান, এনসিপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুর রহমান লিটন প্রমুখ।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ এবং ২০২১ সালের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে এনসিপি প্রতিনিধি দল।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের রেলগেট এলাকা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পদযাত্রা শুরু হয়। এ সময় দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পদযাত্রাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জনসমাবেশে রূপ নেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মসূচি শেষে এনসিপির নেতারা দুপুরেই হবিগঞ্জে উদ্দেশে যাত্রা করেন।