অনলাইন ডেস্ক :
হলিউডের প্রভাবশালী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আবারও গাজার মানুষের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের’ একটি শক্তিশালী প্রতিবেদন শেয়ার করে গাজার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন এ অভিনেত্রী। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) শুভেচ্ছা দূত এবং বিশেষ দূত হিসেবে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা জোলির পোস্টে গাজার পরিস্থিতিকে ‘ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের সাহায্যকারীদের জন্য গণকবর’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
জোলির শেয়ার করা ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী যখন আকাশপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথে গাজায় তাদের সামরিক অভিযান আবারও শুরু ও সম্প্রসারিত করছে, তখন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং মানবিক সহায়তা ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জীবনব্যবস্থা আবারও পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে।
পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, গাজায় ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলা মানবিক সহায়তা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার ওপর স্পষ্ট হুমকি তৈরি করেছে। যদিও জোলির এমন পোস্টে বেশ ক্ষেপেছেন ইসরায়েলি উগ্র ডানপন্থিরা। তারা অভিনেত্রীর অবস্থানের বেশ সমালোচনা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে, এতে মোটেও বিচলিত নন বলে জানিয়েছেন জোলি।
বরং শরণার্থী ও মানবাধিকারের জন্য অভিনেত্রীর দীর্ঘস্থায়ী সমর্থন তার মন্তব্যকে আরও জোরালো করে তুলেছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শুভেচ্ছাদূত এবং পরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের বিশেষ দূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করা জোলি গাজার সহিংসতা নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ও ভারতের বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল চলতি মাসেই হচ্ছে। আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আখাউড়-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা জানান।
এর আগে দুপুরে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মো. আবু জাফর মিয়ার নেতৃত্বে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দুদেশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। সকালে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা হয়নি। তবে প্রথমবারের মতো গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, আমরা মূলত আজকে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরীক্ষামূলক ট্রায়াল করতে আসিনি। এ রেলপথ প্রকল্পের কাজটা দেখতে এসেছি, কাজটা কোন পর্যায়ে আছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৫ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং শেষপর্যায়ের কাজ চলছে বলে তার দাবি। চলতি মাসের মধ্যেই দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ আখাউড়া-আগরতলা বহুল কাঙ্ক্ষিত রেলপথ প্রকল্পে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল রান করা হবে।
এ রেলপথ স্থাপনের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ আর ত্রিপুরাকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যবাসীও খুব উচ্ছ্বসিত। আর এর মধ্য দিয়ে দুদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি ও বাণিজ্য জোরালো হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক ও ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী ভাস্কর বকশী বলেন, মঙ্গলবার সকালে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত তা হয়নি। তবে প্রথমবারের মতো গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ট্রায়াল রান করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প কাজ প্রথমে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। পরে পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তারা দুজনই জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে দেশটির উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার সারাংপুর গ্রামে মোবাইল থেকে চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। তার নাম নিতু (২২)। ১ নভেম্বর রবিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে বাড়িতে নিজের মোবাইল ফোনটি চার্জের জন্য বসিয়েছিলেন নিতু নামের ওই তরুণী। চার্জ হয়ে যাওয়ার পরে ফোন থেকে চার্জার খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তার চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে পরিবারের বাকিরা ছুটে আসেন। দেখা যায়, ফোন হাতে কাঁপছেন নিতু। দ্রুত লাঠি জোগাড় করে মোবাইল ফোন থেকে তাকে আলাদা করা হয়।
এরপর মেঝেতেই পড়ে যান তরুণী। তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে কীভাবে চার্জার থেকে ওই তরুণী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন, তা স্পষ্ট নয়। ওই চার্জারের কোনও তার বেরিয়ে ছিল কি না, কোনও অংশ ছেঁড়া ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোবাইল খুলতে যাওয়ার সময়ে তরুণীর হাত ভেজা ছিল কি না তাও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় এসএইচও সঞ্জয় সিংহ জানান, হাসপাতালে মৃত অবস্থাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল ওই তরুণীকে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি থানায়। সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিধসে ১৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় অনেকেই আটকে পড়েছেন। ভারতের কেরালায় ভূমিধসের পর বেশ কিছু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ।
চার ঘণ্টার বৃষ্টিতে আজ ৩০ জুলাই মঙ্গলবার ভোরে রাজ্যটির ওয়েনাড জেলার পাহাড়ি মেপ্পেদি এলাকায় ভূমিধস হয়েছে। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা কেরালা স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (কেসিডিএমএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র : এনডিটিভি
কেসিডিএমএ জানিয়েছে, ভূমিধস এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন কেসিডিএমএ ও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এনডিআরএফের কর্মীরা। কেরালা পুলিশের এলিট ফোর্স কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কর্পসের দু’টি ইউনিটও কাজ করছে। বিমান বাহিনীর সহায়তাও চাওয়া হয়েছে।
সেখানে বহু মানুষ আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কেসিডিএমএ বলছে, মেপ্পেদি এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বর্ষণে উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছয় দিনব্যাপী ‘ভিজিট বাংলাদেশ-২০২২’ শুরু হয়েছে। এবার ১১টি দেশের ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ইত্যাদি সরাসরি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ‘ভিজিট বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের ভিজিট বাংলাদেশে ১১টি দেশের ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশ নেন। এদের মধ্যে আলজেরিয়া, বাহরাইন, বুলগেরিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, ওমান, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্পেন ও ভিয়েতনামের গণমাধ্যম কর্মী, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা রয়েছেন। প্রথম দিন বৃহস্পতিবার তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ভিজিট বাংলাদেশে অংশগ্রহণকারীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী অংশগ্রহণকারীদের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি, স্বাধীন গণমাধ্যম, রোহিঙ্গা সমস্যা ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত করেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ভিজিট বাংলাদেশে এ অংশ নেওয়া সবাই নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন।
ছয় দিনব্যাপী ভিজিট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে বিদেশি অতিথিরা ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, শহীদ মিনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিদর্শন করবেন। তারা টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।
তারা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং একটি শিল্প পার্ক ঘুরে দেখবেন। এছাড়া অতিথিরা শুক্রবার বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন। আগামী ২০ ডিসেম্বর এবারের ভিজিট বাংলদেশের সমাপ্তি হবে।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিনরনগরে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করেছেন শেখ জহির উদ্দিন তুন্নান। তিনি পেশায় প্রকৌশলী ও নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদের ছেলে। বিয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তুন্নান হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেছেন।
কনে লিগার সুলতানা লিসা ও একজন প্রকৌশলী। তিনি নাসিরনগর উপজেলা সদরের সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে বর তুন্নান কয়েকজন বরযাত্রী নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি নাছিরপুর থেকে হেলিকপ্টার চড়ে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরন করেন। সেখান থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে কনের গ্রামে পৌছান।
বিয়ের পর বিকেলে তুন্নান নববধূকে নিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে নাসিরনগর প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের মাঠে অবতরণ করেন। এদিকে হেলিকপ্টারে বিয়ে হওয়া নব দম্পতিকে দেখতে ভিড় করে শত শত উৎসুক জনতা। উপচেপড়া মানুষের ভীড় সামলাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী শেখ জহির উদ্দিন তুন্নান জানান, বিয়ের দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতেই হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেছি।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির নিশ্চিত করেছেন।