অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ফিনল্যান্ডে এক বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেলসিঙ্কির নিকটবর্তী এসপো শহরের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ক্যাম্পাসে ‘প্রত্যাশা’ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মিলিত হন উৎসবে।
সহস্রাধিক অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে উৎসবটি পরিণত হয় এক টুকরো বাংলাদেশে। বৈশাখী পোশাক, আলপনা, পান্তা-ইলিশ ও দেশীয় খাবার ছাড়াও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুখর ছিল সন্ধ্যা। গান, আবৃত্তি, নৃত্যে ফুটে ওঠে বাংলার ঐতিহ্য।
উপস্থিত ছিলেন ফিনল্যান্ডে বসবাসরত শতাধিক পরিচিত মুখ, যাদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে উৎসব ছিল প্রাণচঞ্চল। আয়োজক সংগঠন ‘প্রত্যাশা’ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কানাডার অন্টারিওতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অব অন্টারিও (এবিইও) এর নতুন পরিচালনা পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান ডেনফোর্থ রোডের বিডি ফিউশন রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মির্জা শহিদুর রহমান।
আরও পড়ুন
পর্তুগালে বাংলাদেশি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত
ইউসুফ তালুকদারকে প্রেসিডেন্ট করে নতুন পরিচালনা পরিষদে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম ফজলুল করীম, পরিচালক যথাক্রমে মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ, অপূর্ব ভৌমিক, ইফাত আরা, মো. আতিকুল ইসলাম, ড. আবুল বাশার, ফারহাত নাইম খান, কাজী বদিউল আলম লিটন, বিপ্লব কর্মকার, শেখ মোহাম্মদ ইসমাইল, শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সোলাইমান দেওয়ান।
ইফাত আরা এবং মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। কেক কেটে অভিষেক উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন
কিশোরি হেনস্থার মামলায় নিউইয়র্কে গ্রেফতার বাংলাদেশি
উল্লেখ্য, তিন সদস্যের নির্বাচন এ বিইওর নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ এলামনাইর প্রতিনিধিবর্গ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট ইউসুফ তালুকদার বলেন, কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাগত উন্নয়নে এই সংগঠনকে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরমে পরিণত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান কানাডায় বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে মূলধরায় অধিকতর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্সটাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রবাসী মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবালকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুন রাতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় চারজন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত আলমগীরকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে প্রথমে ৫০ লাখ দক্ষিণ আফ্রিকান র্যান্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকা) মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে সেই অঙ্ক কমিয়ে ১ কোটি টাকায় নামিয়ে আনে তারা। কিন্তু পরিবার সেই টাকা দিতে না পারায় অপহরণকারীরা আলমগীরকে হত্যা করে।
১২ জুন কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। নিহত আলমগীরের ভগ্নিপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, আমরা বহুবার অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাদের চাহিদামতো টাকা জোগাড় করতে পারিনি। আর সেই কারণে তারা ইকবালকে হত্যা করেছে।
আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করছিলেন এবং সেখানে নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তার পরিবারে রয়েছেন মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করছেন।
নিহতের লাশ ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে পৌঁছাবে বলে পরিবার জানায়।
অনলাইন ডেস্ক :
সিডনির রিভারউডের কঙ্কা ডো’রোতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের (এবিবিসি) ইফতার ও ডিনার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ মার্চ এই ইফতার ও ডিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ হাসান এলসেতোহি ব্যবসায়ীদের প্রতি ইসলামের নির্দেশনাগুলো নিয়ে আলোকপাত করেন। এরপর এবিবিসির চেয়ারপার্সন ফয়েজ দেওয়ান সকলকে শুভেচ্ছা জানান ও আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে এবিবিসির বিগত বছরের কার্যক্রম ও সফলতা তুলে ধরে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভিবাসন মন্ত্রী টনি বার্ক এমপি তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে এবিবিসি আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও এবিবিসির সক্রিয় কার্যক্রমের ভূয়সী প্রসংসা করেন। বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সম্প্রতি তার বাংলাদেশ সফর, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বিভিন্ন ইতিবাচক আলোচনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত দোয়া হয় পরে আজান পাঠ করা হয়। ইফতারের পর এবিবিসির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ সমস্ত অংশগ্রহণকারী, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, অনুষ্ঠানের স্পন্সর ও স্বেচ্ছাসেবকদের অবদানের স্বীকৃতি ও প্রশংসা জানিয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ইসলামিক স্কলার শেখ হাসান এলসেতোহি ও অনুষ্ঠানের স্পন্সরদের হাতে ফুলের তোড়া হস্তান্তর করে অভিনন্দন জানান এবিবিসি ভাইস চেয়ারপার্সন শাহীনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সাজেদা আক্তার সানজিদা ও কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।
কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ উপস্থিত অতিথিদের এবিবিসির মেম্বারশিপ গ্রহণ করে এবিবিসি বিসনেজ ডাইরেক্টরিতে সকল বাংলাদেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করার জন্য অনুরোধ জানান। নৈশভোজ ও বিজনেস নেটওয়ার্কিং পর্বের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জর্জিয়া স্টেট সিনেটর হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাবিলা ইসলাম। গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জর্জিয়ার ৭ম সিনেট জেলা থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নাবিলা তার স্বামী পার্কেস এবং নবজাতক ছেলে আহসানকে সঙ্গে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিশু ও পরিবার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং প্রাক্তন সেনা, সামরিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক সিনেট কমিটিগুলিতে মনোনীত হয়েছেন।
সিনেটর নাবিলা ইসলাম সম্প্রতি জর্জিয়া উইমেনস লেজিসলেটিভ ককাসের সহ-চেয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নাবিলা ইসলাম একজন উদীয়মান নেত্রী এবং সমাজসেবী। তিনি জর্জিয়ার ডুলুথ একজন বাসিন্দা এবং একজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, যিনি তার কর্মজীবন ও পারিবারিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কমিউনিটির সেবা প্রদান করছেন।
নাবিলা ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী পরিবারে। তার বাবা-মা একটি উন্নত জীবন গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। নাবিলা জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।
নাবিলা ইসলাম ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো জর্জিয়া রাজ্যের ৭ম সিনেট জেলা থেকে নির্বাচিত হন। তিনি অত্যন্ত প্রতিভাবান, দক্ষ এবং জনগণের সমস্যাগুলোর প্রতি আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছেন। তার পিতামাতার অভিবাসী জীবন থেকে তার অনুপ্রেরণা আসে, এবং তিনি সবসময় তার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করেন কমিউনিটির উন্নতির জন্য।
শপথ গ্রহণের পর সিনেটর নাবিলা ইসলাম বলেন, একজন শ্রমজীবী অভিবাসীর কন্যা হিসেবে, আমি সবসময় আমাদের বৈচিত্রময় সম্প্রদায়গুলিকে উজ্জীবিত করতে আমার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করব। তিনি বলেন, একজন নতুন মা হিসেবে, আমি বুঝতে পারি যে জর্জিয়ার পরিবারগুলো কী ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আমি প্রস্তুত, যতটুকু সম্ভব, জর্জিয়াকে এমন একটি স্থানে পরিণত করতে যেখানে পরিবারগুলো সফল হতে পারে এবং শিশুরা উন্নতি করতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবের মদিনায় শ্রমিকের কাজ করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার দেবিদ্বারের যুবক মো. বাছির উদ্দিনের (২৩) মরদেহ প্রায় দেড় মাস পর দেশে এসেছে। মো. বাছির দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মৃত স্বপন আলীর ছেলে।
১৭ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর ঈদগাহ মাঠে সামনে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু সাইফুল ইসলাম শহীদ, উপজেলা বিএনপি নেতা মো. আবুল হোসেন লিপুসহ স্থানীয়রা।
বিকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাছির উদ্দিনের মরদেহ এসে পৌঁছায়। পরে সন্ধ্যায় মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাছির উদ্দিনের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাছির উদ্দিন মারা যাওয়ার পর মরদেহ দেশে ফেরানোর জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সহযোগিতায় দেড় মাস পর বাছিরের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর সৌদি আরবের মদিনায় একটি কোম্পানির কনস্ট্রাকশন কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বাছির মারা যায়। আমরা প্রতিবেশী এক প্রবাসীর মাধ্যমে খবর জানতে পারি।
বাছিরের মা শাহীনা বেগম বলেন, বাছিরের বাবা দুই বছর আগে মারা যায়।
পরে অনেক ধারদেনা করে বাছিরকে সৌদি আরবে পাঠাই। আমার ছেলে যে ওখানে মারা যাবে কে জানত। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল বাছির।
জানাযা পূর্ব বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাছিরের পরিবারের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এই ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমাদের। আমাদের কিছু সময় দিতে হবে। আমরা এলাকার সবাই মিলে যদি বাছিরের পরিবারের দিকে খেয়াল রাখি, তাহলে এই পরিবারটি স্বাবলম্বী হবে।