অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক, সবুজ এবং টেকসই পৃথিবী রেখে যেতে হবে। এটি তাদের জ্ঞান, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তির সংমিশ্রণে গঠিত হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য সর্বজনীন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে। আজ ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজকের তরুণদের, যারা এই গ্রহের উত্তরাধিকারী হবে তাদের পেছনে ফেলে আসা উচিত নয়।
এর আগে কাতারের দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান কাতারের মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীরা। এসময় কাতারের প্রটোকল প্রধান রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ফাখরু প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বড় ভাইয়ের কামড়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খাটিখাতা গ্রামে।
গতকাল সোমবার রাতে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছোট ভাই গোলাপ মিয়া (৩৫) মারা যায়।
এর আগে এদিন সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাঁটিখাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর বড় ভাই মঞ্জুর আলী (৪২) পলাতক রয়েছে।
মৃত গোলাপ মিয়া জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাটিহাতা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে। তিনি খাটিখাতা বাজারের নৈশ প্রহরী ছিলেন।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন। তিনি জানান, গোলাপ মিয়া প্রায় সময় নেশা করত। স্থানীয়রা গোলাপ মিয়াকে নেশা করতে মানা করলে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন।
পরে স্থানীয়রা গোলাপ মিয়ার বড় ভাই মঞ্জুর আলীর কাছে বিচার দেয়। মঞ্জুর আলী সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার ছোট ভাই গোলাপ মিয়াকে নেশা না করতে বুঝাতে গেলে তার সঙ্গেও গোলাপ খারাপ ব্যবহার করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে গোলাপ মিয়া মাটিতে পড়ে যায়। সে সময় মঞ্জুর আলী গোলাপ মিয়ার কানে কামড় দিয়ে ধরে। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় গোলাপ মিয়াকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসে। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক তার কানে প্রায় ১৫টি সেলাই করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন।
তিনি আরো জানান, স্বজনরা গোলাপ মিয়াকে ঢাকায় না নিয়ে জেলা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে সেখানে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাপ মিয়া মারা যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমি আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, উপজেলা পরিষদও আইনের শাসনে পরিচালিত হয়। আইন ও বিধি-বিধান মেনে এই পরিষদ চললে, আমি পরিষদের পাশে থাকবো। আইন ও বিধি-বিধান মেনে না চললে আমি পরিষদের পাশে থাকবো না। এই উপজেলা পরিষদ নিজেদের ক্ষমতা ও পরিধি মেনে চলবে ও কাজ করবে বলে বিশ্বাস করি।
আজ ৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এই কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ একটি আদর্শ উপজেলা পরিষদ হবে। সকলের সাথে সমন্বয় করে এই উপজেলা পরিষদ চলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, যারা আপনারা নির্বাচিত হয়েছেন, সদর উপজেলাবাসীর প্রতি আপনাদের অনেক দায়িত্ব। জনগণের কল্যাণে যেনো পরিষদের টাকা খরচ হয়, সে দিকে খেয়াল রাখবেন। নিজের টাকা যে চিন্তা করে খরচ করেন, ঠিক তেমনি পরিষদের টাকাও চিন্তা করে খরচ করবেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন শোভন, বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া, নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আলম, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান আফরিন ফাতেমা জুঁই ও ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন পাভেল।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিগবাহতুল্লাহ নূর।
অনলাইন ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে একটি বাসায় চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়ার দুইদিন পর স্বামী স্ত্রী মারা গেছে। নিহত স্বামী আব্দুস সালাম মন্ডল (৫৫) ও তার স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৪০)।
১২ জুন সোমবার রাতে স্বামী ও ১৩ জুন মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণ হয়ে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ পাঁচজন এসেছিলেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস সালাম মন্ডল সোমবার রাতে মারা যান। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে মারা যান বুলবুলি বেগম। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ ঘটনায় দগ্ধ আরও তিনজন চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বাড়ির মালিক সোহাগ জানান, দগ্ধ হওয়া একই পরিবারের ৫ জনের মধ্যে স্বামী স্ত্রী মারা গেছে। বাকি অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসীন জানান, সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে স্বামী স্ত্রীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে এমন সংবাদ পেয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুন সকাল ৮টায় ফতুল্লা কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকায় সেলিনা বেগমের বাড়িতে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে আগুন ধরে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়। দগ্ধরা হলেন, আব্দুস সালাম (৫৫), তার স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৪০), ছেলে টুটুল (২০), মেয়ে সোনিয়া (৩০) ও নাতিন মেহজাবীন (৭)।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে নতুন সরকার গঠন করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নতুন সরকারসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সব এমপিদের নিয়ে প্রথম সংসদ অধিবেশন বসতে যাচ্ছে ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার। দ্বাদশ সংসদে নতুন এমপিদের প্রথম অধিবেশনের আগে রেওয়াজ অনুযায়ী ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।
সংসদ সচিবালয় জানায়, ২৯ জানুয়ারি সোমবার একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে অধিবেশনের মাধ্যমে দ্বাদশ সংসদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। অন্যদিকে, মাত্র ১১টি আসন নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬২ জন আওয়ামী লীগের পাশেই থাকবে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার বেলা ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।
সংসদ সচিবালয় আরও জানায়, অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী জানান, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। প্রথমদিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতোমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণ ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তার বক্তব্যে প্রাধান্য পাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সংসদ নেতার দায়িত্ব পালন করবেন। গত ১০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। এই সংসদে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি, কল্যাণ পার্টি একটি এবং স্বতন্ত্র সদস্যরা ৬২টি আসন পেয়েছে। এবারই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিরোধী দলের থেকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের সংখ্যা প্রায় ছয়গুণ বেশি। গত রোববার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সরকারি বাসভবন গণভবনে আমন্ত্রণ জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে কার্যকর করতে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্ররা সংরক্ষিত নারী আসনের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেন।
সংসদ সচিবালয় জানায়, অধিবেশনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এজন্য সংসদের টানেল ও ড্রাইভওয়েতে যেকোনো ধরনের গাড়ি রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে দর্শনার্থীদের মোবাইল বাইরে রেখে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেকটি মোবাইল বিশেষভাবে পরীক্ষার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অধিবেশন কক্ষে সংসদ সদস্যদের বসার চেয়ার ঠিক আছে কি না তাও পরীক্ষা করা হয়েছে। অধিবেশন কক্ষের সব মাইক্রোফোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। অধিবেশন চলাকালে সব লিফট ত্রুটিমুক্ত রাখতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে সংসদ ভবন ফুলসহ বিভিন্ন গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে। অধিবেশন চলাকালে অক্সিজেন সুবিধাসহ সার্বক্ষণিক একটি অ্যাম্বুলেন্স রাখতে বলা হয়েছে। সংসদ লবিতে একজন ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী থাকবে। এছাড়া সংসদ অধিবেশন ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক সম্পর্কে অবহিত করতে সংসদ সদস্যদের জন্য ‘শর্ট ম্যাসেজ সার্ভিস’ নামে একটি সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
সচিবালয় কর্মকর্তারা জানান, নতুন সংসদের প্রথম দিনের অধিবেশনে প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, দেশ-বিদেশি কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা এবং ভিআইপিদের আত্মীয় স্বজনসহ পাঁচ শতাধিক অতিথি উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সংগৃহীত তালিকা চূড়ান্ত করে আমন্ত্রণপত্র বিতরণ করা হয়েছে। আমন্ত্রণপত্র ছাড়া কোনো অতিথি ওই দিন সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে পারবেন না।
সংসদ নেতার নির্দেশ ও স্পিকারের পরামর্শ অনুযায়ী চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী আসনবিন্যাস চূড়ান্ত করেছেন। আসন বিন্যাসে একাধিকবার নির্বাচিত, রাজনৈতিক দলে অবস্থান, ভোটের ব্যবধান, জনপ্রিয়তাসহ কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বারবার নির্বাচিতদের তুলনামূলক সামনের দিকে আসন দেওয়া হলেও প্রথমবার নির্বাচিত হয়েও সামনের সারিতে আসন পেয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
সর্বোচ্চ নয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড
সবচেয়ে বেশি নবমবার সংসদ সদস্য হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। আর ৮ বার সংসদ সদস্য হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া বর্তমান কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, মো. দবিরুল ইসলাম, মির্জা আজম ও বীর বাহাদুর উশৈসিং সাতবার নির্বাচিত হয়েছেন। তারা সকলেই সামনের সারিতে আসন পেয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে বিভিন্ন পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ ৩০মে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশ দেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। রাষ্ট্রপতি আশা করেন যে, সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে গ্রামে-গঞ্জে নিয়োজিত আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা ইতিবাচক অবদান রাখবেন।
“সামাজিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এই বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যান্য পেশাগত বাহিনীকে সহযোগিতা করে আসছে,” বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপ্রধান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আনসার ও ভিডিপি-র ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আনসার ও ভিডিপির প্রধান বাহিনীর সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত নানা পদক্ষেপসহ সার্বিক কর্মকান্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।